Ajker Patrika

ফিরে দেখা ২০২৪ /সড়ক-রেলে অরাজকতা বছরজুড়ে

সৌগত বসু, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩: ০১
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

দেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার মিশেলে ভরা একটি বছর ২০২৪ সাল। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পালাবদল এই বছরকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। নজিরবিহীন এই ঘটনায় ট্রাফিক ব্যবস্থার ভেঙে পড়ে। এর আগেই মেট্রোরেলে নাশকতার ঘটনা আতঙ্ক বাড়িয়ে দেয়। বছরজুড়েই ছিল সড়কে দুর্ঘটনায় দুঃসহ মৃত্যুর মিছিল। তবে বছরের শেষে রেলপথে নতুন সংযোগের উদ্যোগ কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে।

সড়কে মৃত্যুর মিছিল

দেশের সড়ক-মহাসড়কে প্রতিদিন ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হয়েছে, অসংখ্য মানুষ পঙ্গু হয়েছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে সড়কে ঘটে গেছে ৬ হাজার ৪৭৪টি দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৯৯ জন, আহত হয়েছেন ১১ হাজার ০৬১ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ২০ জন মানুষের প্রাণ ঝরেছে সড়কে।

নিহতের বড় অংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার। একইসঙ্গে বাস-ট্রাক-প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, অটোরিকশা ও ইজিবাইক দুর্ঘটনাও প্রতিদিন প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় চরম দুর্বলতা আর নানাবিধ ত্রুটি দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে সামনে এসেছে।

বছরের শেষ মাসেও সড়কে রক্ত ঝরেছে। ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজায় টোল পরিশোধে দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসকে একটি বেপরোয়া বাস ধাক্কা দেয়। এতে পাঁচজন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। ২২ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার কারণে শ্রীনগরের শিংপাড়া এলাকায় সাতটি গাড়ির সংঘর্ষ ঘটে। এতে একজন নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হন। ২৩ ডিসেম্বর একই এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোলপ্লাজার কাছে ঘন কুয়াশার মধ্যে প্রাইভেটকারের পেছনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় এক নারী নিহত এবং পাঁচজন আহত হন। ২৬ ডিসেম্বর নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ চারজন নিহত হন।

ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকদের অদক্ষতা, বেপরোয়া গতি, শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা এবং বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকার পাশাপাশি মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল এবং ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতাই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।

সরকার পতনের পর সড়কে বিশৃঙ্খলার রাজত্ব

২০২৪ সালে রাজধানীর সড়ক ব্যবস্থাপনা যেন নিয়ন্ত্রণহীন এক মহাযুদ্ধের ময়দানে পরিণত হয়।’ নগর পরিবহন’ সেবা শৃঙ্খলা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বন্ধ হয়ে যায়। ই-টিকেটিং পদ্ধতির আশা ছিল বাস ভাড়া নৈরাজ্য কমাবে, কিন্তু বছরের শুরুতেই তা মিলিয়ে যায়।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ঢাকার সড়ক যেন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারায়। রাজধানী দখল করে নেয় অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে ঢাকায় ঢুকে পড়ে হাজার হাজার অটোরিকশা, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে পঙ্গু করে দেয়। প্রশাসনের একাধিক নিষেধাজ্ঞা ও অভিযানের পরও এগুলো নির্বিঘ্নে ফ্লাইওভার ও ভিআইপি সড়কে চলাচল শুরু করে। এমনকি সরকারি উদ্যোগও অটোরিকশার অবৈধ দৌরাত্ম্য রুখতে ব্যর্থ হয়েছে।

সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এতটাই ভেঙে পড়ে যে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামতে হয়। রাজধানীর শাহবাগ, কাকরাইল, মহাখালী, বনানীসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে একের পর এক সড়ক অবরোধের ঘটনায় যানজট দুর্বিষহ দুঃস্বপ্নে রূপ নেয়। আন্দোলনকারীদের অবরোধ আর ট্রাফিক পুলিশের ব্যর্থতায় ঢাকার সড়ক একপ্রকার অচল হয়ে পড়ে। তবে বছরের শেষ দিকে আন্দোলন ও সড়ক অবরোধ কিছুটা কমায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সামান্য উন্নতির আভাস পাওয়া যায়।

মেট্রোরেল ও বিআরটিএ ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ

২০২৪ সালের জুলাই মাস ছিল ঢাকার ইতিহাসে এক ভয়াবহ অধ্যায়, যেখানে সড়ক ও রেলপথে সেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিআরটিএ ভবন ও মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে তাণ্ডব চলে, পাশাপাশি পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হামলা হয়।

মেট্রোরেলে তাণ্ডব

১৮ জুলাই ঢাকার মিরপুর-১০ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের পর সেখানকার পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে মিরপুর-১০ ফুটওভার ব্রিজের ওপর মেট্রোরেল স্টেশনে। ১৯ জুলাই মেট্রোরেলের মিরপুর-১০, কাজীপাড়া এবং শেওড়াপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়। পুরো মেট্রোরেল সেবা বন্ধ হয়। সেবা বন্ধ থাকার পর প্রায় ৩৭ দিন ধরে ঢাকার মেট্রোযাত্রীদের স্বাভাবিক জীবনে ছন্দপতন ঘটে। রাজধানীজুড়ে যানজটের তীব্রতা বাড়ে, মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।

বিআরটিএ ভবনে আগুন

১৯ জুলাই দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-এর (বিআরটিএ) বনানীতে প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। মিরপুরে বিআরটিএ ভবনের ভেতরে দুর্বৃত্তরা ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে। হামলার ফলে বিআরটিএর মোটরযান রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ ও মালিকানা পরিবর্তনসহ সব ধরনের সেবা প্রায় এক মাস বন্ধ থাকে।

সেতু ভবনে হামলা

১৮ ও ১৯ জুলাই বনানীর সেতু ভবনে হামলা চালিয়ে যানবাহনসহ ভবনের নিচতলায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলার তাণ্ডব শেষে ৫৫টি গাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। ভবনের বঙ্গবন্ধু কর্নার, অভ্যর্থনা কেন্দ্র, মিলনায়তনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। পুরো সেতু ভবনও পুড়ে যায়। এতে বিপুল ক্ষতি হয় প্রতিষ্ঠানটির।

জোড়াতালির বিআরটি চালু

কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই বছরের শেষ দিকে জোড়াতালি দিয়ে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের বাস পরিষেবা চালু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ৪ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পে নিজস্ব কোম্পানির বাস চলার কথা থাকলেও বিআরটিসির ১০টি এসি বাস চালানো হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের ২৫টি স্টেশনের কোনোটিরই কাজ এখনো শেষ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাসভিত্তিক দ্রুত গতির পরিবহন বিআরটি। এর জন্য বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তার বদলে বিআরটিসি বাস নামানো এক ধরনের ‘তামাশা।’

মেট্রোরেলে টিকিট সংকট

বছরের শুরুতে ২০ জানুয়ারি মেট্রোরেল পুরোপুরি উত্তরা থেকে মতিঝিল চলাচল শুরু করে। রাজধানীর যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন গতি আনা এই পরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রীদের জন্য দুই ধরনের টিকিট রয়েছে। একটি হলো এমআরটি পাস বা র‍্যাপিড পাস, অন্যটি একক যাত্রার টিকিট। র‍্যাপিড পাস কেনা যাত্রীরা টাকা না ফুরানো পর্যন্ত যেকোনো সময় যাত্রা করতে পারেন। আর একক যাত্রা করা যাত্রীদের স্টেশন থেকে তাৎক্ষণিক টিকিট কিনে যাত্রা করতে হয়। তবে বছরের শেষ দিকে একক যাত্রার টিকিট সংকটে পড়ে মেট্রোরেল। এর জন্য সাময়িক বন্ধ রাখতে হয় স্টেশনগুলো।

গত অক্টোবরে ডিএমটিসিএল জানায়, ২ লাখ ৪০ হাজারের মতো একক যাত্রার টিকিট খোয়া গেছে বা নষ্ট হয়েছে। খোয়া যাওয়া টিকিটগুলো যাত্রীরা ফেরত না দিয়ে স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেছেন।

বন্ধ ঢাকা-কলকাতা ট্রেন চলাচল

জুলাই মাসে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস এবং মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।

১ আগস্ট স্বল্প দূরত্বের ট্রেনগুলো চালু হয়, কিন্তু আন্দোলন তীব্র হওয়ায় ৩ আগস্ট ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ১২ আগস্ট মালবাহী ট্রেন আবার চালু হয়। ১২ আগস্ট থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু করে। আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস আবার চালু হয় ১৫ আগস্ট থেকে। বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীসেবা ফের চালু করার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করলেও ইন্ডিয়ান রেলওয়ে বোর্ড তাদের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়নি।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ পুরোপুরি চালু

ঢাকা-ভাঙ্গা অংশ উদ্বোধনের ১৪ মাস পর গত ২৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হয়। প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের নতুন এই রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনা, যশোর ও বেনাপোল রুটে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীসেবা বাড়াতে দুটি রুটে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ এবং ‘রূপসী বাংলা’ নামের দুটি আন্তনগর ট্রেনও যুক্ত হয়েছে। কিন্তু নাম ভিন্ন হলেও ইঞ্জিন-কোচের সংকটে ট্রেন দুটি চলবে একটি রেক দিয়ে। নতুন রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনায় ট্রেনে যেতে লাগবে পৌনে চার ঘণ্টা, যেখানে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে এই যাত্রায় সময় লাগে সাড়ে ৯ ঘণ্টা। বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে বেনাপোলে যেতে ট্রেনে সময় লাগে সাড়ে সাত ঘণ্টা। নতুন রেলপথে যেতে লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা।

শ্বেতপত্রে উঠে আসে বেহিসাবি খরচ

পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেল ও দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ— যোগাযোগ খাতের এই পাঁচ মেগা প্রকল্পে সব মিলে ব্যয় বেড়েছে ৫৬ হাজার ৬০৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের এসব প্রকল্পে খরচ হয়েছে প্রাথমিক খরচের চেয়ে অনেক বেশি। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরা শ্বেতপত্রে মেগা প্রকল্পের খরচের এমন চিত্র উঠে এসেছে। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি বলেছে, কয়েকটি প্রকল্প এখনো শেষ হয়নি। ফলে খরচ আরও বাড়তে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি: আসিফ নজরুল

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রবাসীরা জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় অর্জনে প্রবাসীদের সমর্থন ও ত্যাগ অতুলনীয়। তাঁদের কল্যাণে সরকার বদ্ধপরিকর।

আজ মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ ভবনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্সের সর্বোত্তম ব্যবহারবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ভোটাধিকার চালু করা। এর ফলে তাঁরা প্রবাসে থেকেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রবাসী কর্মীদের জন্য মাল্টিভিসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের সঙ্গে সাধারণ কর্মী নিয়োগ-সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে দক্ষ কর্মী নিয়োগ বাড়বে এবং কর্মী ও নিয়োগকর্তার অধিকার ও স্বার্থ অধিকতর সুরক্ষিত হবে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মী পাঠানো শুরু করেছি। দক্ষতার ভিত্তিতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জর্ডানে নারী শ্রমিকদের বিনা ফি-তে ও জরিমানা ছাড়া রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসীরা দেশে আসার সময় আগে একটি মোবাইল ফোন আনতে পারতেন। আমরা এটি বাড়িয়ে দুটি আনতে পারার সুযোগ করেছি। এ ছাড়া বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য প্রবাসী লাউঞ্জ স্থাপন করা হয়েছে এবং আংশিক মালিকানায় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে এ ধারা অব্যাহত থাকলে প্রবাসীদের কল্যাণে মাইলফলক অগ্রগতি অর্জিত হবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া ও ইফাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আই আর ভ্যালেন্টাইন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজা-দাফনে মোতায়েন থাকবেন ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাই তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত নেওয়া, জানাজা ও দাফন ঘিরে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারের বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব তথ্য জানান।

শফিকুল আলম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়িকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ১০ হাজারের বেশি পুলিশ ও এপিবিএন সদস্য থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যও থাকবেন।

প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। আপসহীন নেত্রী। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন, এটা অতুলনীয়। এভারকেয়ার থেকে খালেদা জিয়ার লাশবাহী গাড়ি সংসদে ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আসা পর্যন্ত জানাজা এবং দাফন—সবকিছু পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হবে। তাঁর জানাজা, দাফনসহ প্রতিটি অনুষ্ঠান সুচারুভাবে করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে সরকার। এ জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সহযোগিতা দেওয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা, দাফন, সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্বে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সভা শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তা টিমের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ কে এম শামসুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সার্বিক কার্যক্রম ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কা নেই জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ডিএমপির ১০ হাজারের বেশি পুলিশ, এপিবিএন এবং অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা থাকবেন। কিছু কিছু জায়গায় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে একটা ব্যবস্থাপনা থাকবে।

নিরাপত্তার বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, পুলিশ, নিরাপত্তা সংস্থার তরফ থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে। ফলে পুলিশের এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর নিজেদের মধ্যে কিছু প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, এখন আরও বড় আকারে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে।

শফিকুল আলম বলেন, আগামীকাল সকালে তাঁর লাশবাহী গাড়ি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে। নেওয়ার পথে রাস্তার দুই পাশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা করা হবে। তবে কখন লাশ সংসদ ভবন এলাকায় নেওয়া হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রীয় সম্মানে তাঁকে নিয়ে আসা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, খালেদা জিয়ার জানাজায় প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা ও কূটনীতিকেরা উপস্থিত থাকবেন। কিছুদিন আগে সংসদ ভবন এলাকায় বড় একটি জানাজা হয়েছে। খালেদা জিয়ার জানাজা আরও বড় আকারে হবে। সে আলোকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতিতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির নেত্রী ছিলেন না, তিনি জাতীয় নেত্রী ছিলেন। বিএনপির দলীয় অবস্থান থেকে সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দিতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

শামসুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার লাশ যখন এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা নেওয়া হবে, তখন রাস্তার দুপাশে জনসাধারণ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫০
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আগামীকাল বুধবার ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জানাজায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টিকে বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সৌজন্য ও রাজনৈতিক শ্রদ্ধা প্রদর্শনের অংশ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে খালেদা জিয়ার জানাজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার যোগ দেবেন বলে নিশ্চিত করেছে ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশন। হাইকমিশনের একটি সূত্র জানায়, ইসহাক দার আগামীকাল বুধবার ঢাকায় এসে সরাসরি জানাজায় অংশ নেবেন।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, একাধিক দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান ও দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় ভূমিকার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী হিসেবে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।

এদিকে, জানাজা ঘিরে ঢাকায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, দেশি-বিদেশি অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোও জানাজা এবং সংশ্লিষ্ট আনুষ্ঠানিকতায় ব্যাপক জনসমাগমের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মতভেদ ছাপিয়ে দেশজুড়ে শোক ও শ্রদ্ধার আবহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চুনারুঘাটে ‘চিতল মুখলিছ’কে গণপিটুনি

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, কাল সাধারণ ছুটি

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

‘এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত