নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২১ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১২ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২১ মিনিট আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৪২ মিনিট আগে