নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

দেশে দিনদিন মুক্ত সাংবাদিকতার জায়গা সংকুচিত হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ স্বাধীন সাংবাদিকতাবিরোধী বিভিন্ন আইনের কারণে সাংবাদিকেরা যা বলতে চান তা বলতে পারছেন না, যা লিখতে চাচ্ছেন তা লিখতে পারছেন না। যার কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না।
আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস: ডিজিটাল নজরদারিতে সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সম্পাদক পরিষদের সভাপতি দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এত আইন কেন তা জানতে চান। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে আপনাদের পেশা বিকশিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আইনটির ১৪টি জায়গা জামিন অযোগ্য রয়েছে। সাংবাদিকতা কি এইরকম অপরাধ যে—এটা জামিন অযোগ্য হবে। ডিজিটাল অপরাধের বিরুদ্ধে এটার প্রয়োগ হওয়ার কথা থাকলে এটা এখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ হচ্ছে। এটা গণমাধ্যমের ওপর প্রয়োগ হবে না তা আইনে থাকলেই আমাদের দাবিটা বাস্তবায়ন হয়ে যায়।’
মাহ্ফুজ আনাম আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না। তাই গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র ব্যাহত করা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। তাও আমরা সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা গণমাধ্যম বিকশিত হওয়ার জন্য যা যা দরকার করে যাব।’
সভায় আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের কথা বলি, এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা সেভাবে স্বীকার করি না। একটা পরস্পর বিরোধী অবস্থানে চলে যাই। আমরা দেখেছি যে, এ পর্যন্ত যত সরকারই এসেছে তারা কেউ সেভাবে প্রেস কিংবা গণমাধ্যমকে সহায়তা করার জন্য একেবারে আত্মনিয়োগ করেছে, সে কথা বলা যাবে না। কারণ প্রত্যেকটা সরকারই গণমাধ্যমগুলোকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি মনে করে। এই জায়গাটাই হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেখানে আমরা গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলছি, গণতন্ত্রের সংস্কৃতির কথা বলছি কিন্তু সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারছি না। এই যে স্ববিরোধিতা, এই জায়গাটায় সাংস্কৃতিক যে প্রক্রিয়া সেটার সংকট তৈরি হয়েছে। এই সংকটটা চিহ্নিত করা দরকার।’
অধ্যাপক গোলাম রহমান আরও বলেন, ‘এগুলো নিয়ে শুধু সুশীল সমাজ কথা বলছেন। কিন্তু আমি বলব শুধু সুশীল সমাজ নয় এখানে রাজনৈতিক দলগুলোকে, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আনতে হবে। গণতান্ত্রিক চর্চায় প্রকৃতপক্ষে তাদের অংশগ্রহণ করা জরুরি। আমার মনে হয় সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। এ সমাজের নাগরিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে নিশ্চয়ই, অবশ্যই গণমাধ্যমরে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সম্পাদক আরও বলেন, ‘ডিজিটাল টেকনোলজির কারণে জনগণ বা নাগরিকের যে সুবিধাটা পাওয়ার কথা সেটা যদি নিশ্চিত করতে হয় তাহলে এটাকে আইনি সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু আমরা এই আইনি সহায়তার নাম করে যখন আইন প্রণয়ন করতে দেখি, আর সেই আইন জনগণের বিরুদ্ধে চলে যায়, তখন সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এবং চ্যালেঞ্জটাকে চিহ্নিত করে অন্তত বর্তমান কাজগুলোর পরিকল্পনা করি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘দেশে সাংবাদিকতা আইনগতভাবে নজরদারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে এটাকে আরও শক্ত করা হয়েছে। সার্বিকভাবে এই আইনের মাধ্যমে আমাদের কথা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে কিন্তু তা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অপরাধ রোধের জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের যে ধারাগুলো বাধা সৃষ্টি করে সেগুলো বাদ দিতে হবে।’
ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কোনো আইন হতে পারে না। আইন হয় মানুষ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে অথচ এই আইন রাষ্ট্রকে পিছিয়ে দিচ্ছে। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা যেই আইন কেড়ে নেয় সেটা আইন হতে পারে না। এই কালো আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর সময় বলা হয়নি ‘ভাত দে হারামজাদা?’ —তাই বলে মেরে ফেলেছে? নেতাদের সমালোচনা করা যায় কিন্তু জানোয়ারের সমালোচনা করা যায় না। যারা সমালোচনায় বাধা দেন তাঁরা কি তাদের জানোয়ারদের কাতারে নিয়ে যাচ্ছেন?’
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও সাংবাদিকদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে সাংবাদিকদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ১৩ বছরে ৪৫ জন সংবাদকর্মী খুন হয়েছেন। ২০০৯ সালের গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে ১২১ থেকে ১৬২ তম হয়েছি। নিউ মার্কেটে সহিংসতায় ১৪ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে। অথচ মামলা হলেও সাংবাদিকদের আহত হওয়ার ঘটনায় একটা জিডিও হয়নি।’
বিএফইউজে এর একাংশের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকার কেন মালিকের আত্মীয়স্বজনের বিরুদ্ধে কথা বললেও চাকরি চলে যায়। নজরদারি শুধু আমাদের ওপর সরকার না, আমাদের মালিকেরাও করছে।’
ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আইনটি পাসের সময় বলেছেন এই আইন তাঁর স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্নের জন্য তো আর সাংবাদিকতার বারোটা বাজতে পারে না। তার পর থেকেই এই আইন অপপ্রয়োগ হচ্ছে। এই আইনের অধীনে ৮৭ ভাগ মামলায় কোনো সাজা দেওয়া হয় নাই। অর্থাৎ এটা হয়রানি করার জন্য করা হয়েছে।’
সম্পাদক পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ও মানবজমিনের সম্পাদক বলেন, ‘এরশাদ, খালেদা জিয়ার আমলে জেলে গিয়েছিলাম। এই সরকারের আমলে ৮ মাস বাইরে থেকেছি। মালিকদের মধ্যে সমস্যা নাই, আমাদের মধ্যেই সমস্যা। কোনো লেখা আসলে সাংবাদিকরাই বলে এই লেখাটা না দিলে কেমন হয়? আমরা যা দেখছি তা দেখছি না, যা বলছি তা বলছি না, যা শুনছি তা শুনছি না। আমরা দেখি, শুনি কিন্তু কার্যকর করি না। প্রতিদিন আমি ভয় পাই। বলতেও পারি না, লিখতেও পারি না। এই যে ভয়, এটা থেকে মুক্তির জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার।’
সম্পাদক পরিষদের সহসভাপতি ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘ডিজিটাল নজরদারিতে কি সাংবাদিকতা করা যায়? এটাকে কি মুক্ত সাংবাদিকতা বলা যাবে? আমরা লিখতে পারি কিন্তু যেটা লিখতে চাই সেটা পারি কিনা? ডিজিটাল অবরোধের যুগে সাংবাদিকতা যদি করতে চাই তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
দ্য নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও পরিষদের সহসভাপতি নূরুল কবির বলেন, ‘সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিলেও কর্তৃত্বপরায়ণ সরকার সব সময় গণমাধ্যমকে দমন করতে চায়। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার উন্নয়নের জন্য হওয়ার কথা থাকলেও সেটা এখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে নোয়াবের সভাপতি এ. কে আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। নোয়াব এটার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই কথা বলেছে। সংবাদপত্রের বিকাশে সাহসী নেতৃত্ব দরকার। তবে এখন সেটা কমে আসছে। আয় না থাকলে সংবাদপত্র বিকাশ হয় না তাই পত্রিকার আয় বৃদ্ধি হওয়া প্রয়োজন। সরকারি বিজ্ঞাপনের ১২০০ কোটি টাকা আমরা এখনো পাওনা আছি।’
সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৫ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তারা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
আজ রোববার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর এক সহযোগী ময়মনসিংহের দুর্গম সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে। পুলিশি নজরদারি এড়াতে তারা স্থানীয় দালাল চক্রের সহায়তা নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তদন্তের অগ্রগতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডটি আকস্মিক কোনো ঘটনা নয়, এটি ছিল সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো একটি পরিকল্পনা। ডিএমপি এ পর্যন্ত এই ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডের মূল মোটিভ এবং পরিকল্পনার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেছে।’ ডিএমপি আশা করছে, আগামী ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এই মামলার একটি পূর্ণাঙ্গ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করা হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১২ ডিসেম্বর হামলার শিকার হন ওসমান হাদি। ওই দিন দুপুর আনুমানিক ২টা ২০ মিনিটের দিকে মতিঝিল মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। পল্টন থানার বক্স কালভার্ট রোডে পৌঁছামাত্র মোটরসাইকেলে আসা প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর এক সহযোগী চলন্ত অবস্থায় হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
গুলিবিদ্ধ হাদিকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ১৫ ডিসেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের বাদী হয়ে পল্টন থানায় একটি মামলা করেন। প্রাথমিক এজাহারে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হলেও হাদির মৃত্যুর পর গত ২০ ডিসেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্দিক আজাদের নির্দেশে মামলায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা) সংযোজন করা হয়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শপথ অনুষ্ঠানে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্যান্য উপদেষ্টা, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ২৩ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইনসচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজকোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান তিনি। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৫ মিনিট আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৫ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তম অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে। বারবার গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও দেশে মুক্ত গণমাধ্যম চর্চা করতে দেওয়া হচ্ছে না। গণমাধ্যমের হাত-পা বেঁধে গণতন্ত্র বিকাশ হবে না...
১৪ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিল গভীর ও পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই মামলার প্রধান অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদ (ওরফে রাহুল দাউদ) এবং তাঁর এক সহযোগী ইতিমধ্যেই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।
২৫ মিনিট আগে
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আজ রোববার বঙ্গভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
১ ঘণ্টা আগে
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
১০ ঘণ্টা আগে