ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব
শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অবকাঠামো তৈরি এবং ভূমি অধিগ্রহণের খরচ কমবে। সরকারি সেবা পেতে মানুষকে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে দৌড়াতে হবে না।
উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব ২৪ আগস্ট প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপনের কথা রয়েছে। সভায় চিকিৎসকদের জন্য তৃতীয় ধাপে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ এবং জাতীয় বেতন কমিশনের ৫২টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও অনুমোদনের জন্য তোলার কথা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, যত্রতত্র বসতভিটা নির্মাণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন কৃষিজমিসহ অন্যান্য জমির পরিমাণ কমছে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনেও কৃষি-অকৃষিজ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ প্রস্তাবে মূল্যবান জমি থাকলে তা যথাসম্ভব বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অনাবাদি, পতিত বা কম মূল্যবান জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়া ঘনবসতি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য এলাকা এবং শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত সম্পত্তিও অধিগ্রহণের জন্য যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কৃষি ব্যবহার কমিটির সভায় মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বহুতল কমপ্লেক্স ভবন বা গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস বা আবাসিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজেদের কার্যালয় স্থাপনের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিল করছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে গত ১ জুন কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি অফিসের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ না করে সমন্বিত ভবন নির্মাণ করে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় একই ছাতার নিচে আনার বিষয়ে কার্যক্রম নিতে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশ প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদন পেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে হবে। এরপর সরকার নির্বাহী আদেশে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা এই প্রস্তাব করেছি। একেক অফিস একেক জায়গায় হলে কেউ বেশি জায়গায় অফিস করে। আবার অনেকে জায়গা নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করে না। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে ওই জায়গা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর নিজেদের বলে দাবি করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সব জায়গাই সরকারের। অনেক জায়গা অব্যবহৃত পড়ে থাকে, কিছু জায়গা অন্যরা দখল করে। অনেক সময় ব্যয় নির্বাহে ইজারাও দেয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব অফিস এক জায়গায় থাকলে অল্প ভূমিতে সবার সংস্থান হবে।’
চিকিৎসকদের জন্য আরও ১,৮৫৩ পদ
স্থায়ী পদ না থাকায় অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিতে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত (সুপারনিউমারারি) পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদের অভাবে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসককে মেডিকেল অফিসারের পদ থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে। সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের স্থায়ী পদ কম থাকায় মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা শিক্ষা এবং সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য অধ্যাপকের ১৮৭ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ৪০৪টি এবং সহকারী অধ্যাপকের ১ হাজার ২৬২টি পদসহ রাজস্ব খাতে ১ হাজার ৮৫৩টি পদ অস্থায়ীভাবে সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ এক বছরের জন্য ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়ে এসব পদের বেতন স্কেলও নির্ধারণ করে দিয়েছে।
চিকিৎসকদের জন্য গত ২৭ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৩০ টি, ২৫ মে দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ৫৯টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। তৃতীয় ধাপ মিলিয়ে চিকিৎসকেরা ৬ হাজার ৯৪২টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ পাচ্ছেন।
স্থায়ী পদ কম থাকায় সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে প্রশাসন এবং পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার। এখন স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন শ্রেণিতে চিকিৎসকদের জন্য ৩৬ হাজার ৯২১টি ক্যাডার পদ রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপকের ৩ হাজার ৫৯ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৯৬০ ও অধ্যাপকের ১ হাজার ৫৯টি পদ রয়েছে।
প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির ২৪ আগস্টের সভায় জাতীয় ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত অবকাঠামো নীতিমালা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন রেলওয়ে হিসাব বিভাগের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাসের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে।

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হলে ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে। অবকাঠামো তৈরি এবং ভূমি অধিগ্রহণের খরচ কমবে। সরকারি সেবা পেতে মানুষকে এক ভবন থেকে আরেক ভবনে দৌড়াতে হবে না।
উপজেলা, জেলা, বিভাগ এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব ২৪ আগস্ট প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় উত্থাপনের কথা রয়েছে। সভায় চিকিৎসকদের জন্য তৃতীয় ধাপে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ এবং জাতীয় বেতন কমিশনের ৫২টি পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও অনুমোদনের জন্য তোলার কথা। সভায় সভাপতিত্ব করবেন মন্ত্রিপরিষদের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন, যত্রতত্র বসতভিটা নির্মাণ, অপরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন কৃষিজমিসহ অন্যান্য জমির পরিমাণ কমছে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনেও কৃষি-অকৃষিজ জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে।
স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ম্যানুয়ালে বলা হয়েছে, অধিগ্রহণ প্রস্তাবে মূল্যবান জমি থাকলে তা যথাসম্ভব বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে অনাবাদি, পতিত বা কম মূল্যবান জমি অধিগ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। এ ছাড়া ঘনবসতি, শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য এলাকা এবং শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত সম্পত্তিও অধিগ্রহণের জন্য যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে।
২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কৃষি ব্যবহার কমিটির সভায় মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বহুতল কমপ্লেক্স ভবন বা গুচ্ছাকারে এক বা একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে একই মন্ত্রণালয় বা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস বা আবাসিক ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নিজেদের কার্যালয় স্থাপনের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিল করছে।
সূত্র জানায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের সভাপতিত্বে গত ১ জুন কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এরপর সিদ্ধান্ত হয়, জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি অফিসের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ না করে সমন্বিত ভবন নির্মাণ করে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় একই ছাতার নিচে আনার বিষয়ে কার্যক্রম নিতে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশ প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে পাঠানো হবে। এরপর ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকারি দপ্তরগুলোর জন্য সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটিতে অনুমোদন পেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিতে হবে। এরপর সরকার নির্বাহী আদেশে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ গতকাল বুধবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমির কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমরা এই প্রস্তাব করেছি। একেক অফিস একেক জায়গায় হলে কেউ বেশি জায়গায় অফিস করে। আবার অনেকে জায়গা নিয়ে সঠিকভাবে ব্যবহার করে না। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে ওই জায়গা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর নিজেদের বলে দাবি করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সব জায়গাই সরকারের। অনেক জায়গা অব্যবহৃত পড়ে থাকে, কিছু জায়গা অন্যরা দখল করে। অনেক সময় ব্যয় নির্বাহে ইজারাও দেয়। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব অফিস এক জায়গায় থাকলে অল্প ভূমিতে সবার সংস্থান হবে।’
চিকিৎসকদের জন্য আরও ১,৮৫৩ পদ
স্থায়ী পদ না থাকায় অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে চিকিৎসকদের পদোন্নতি দিতে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত (সুপারনিউমারারি) পদ সৃষ্টি করতে যাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পদের অভাবে পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিপুলসংখ্যক চিকিৎসককে মেডিকেল অফিসারের পদ থেকে অবসরে যেতে হচ্ছে। সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপকের স্থায়ী পদ কম থাকায় মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা শিক্ষা এবং সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য অধ্যাপকের ১৮৭ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ৪০৪টি এবং সহকারী অধ্যাপকের ১ হাজার ২৬২টি পদসহ রাজস্ব খাতে ১ হাজার ৮৫৩টি পদ অস্থায়ীভাবে সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থ বিভাগের ব্যয় ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ এক বছরের জন্য ১ হাজার ৮৫৩টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টিতে সম্মতি দিয়ে এসব পদের বেতন স্কেলও নির্ধারণ করে দিয়েছে।
চিকিৎসকদের জন্য গত ২৭ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩ হাজার ৩০ টি, ২৫ মে দ্বিতীয় ধাপে ২ হাজার ৫৯টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছে সরকার। তৃতীয় ধাপ মিলিয়ে চিকিৎসকেরা ৬ হাজার ৯৪২টি সংখ্যাতিরিক্ত পদ পাচ্ছেন।
স্থায়ী পদ কম থাকায় সংখ্যাতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করে প্রশাসন এবং পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিচ্ছে সরকার। এখন স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারাও এই সুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিভিন্ন শ্রেণিতে চিকিৎসকদের জন্য ৩৬ হাজার ৯২১টি ক্যাডার পদ রয়েছে। এর মধ্যে সহকারী অধ্যাপকের ৩ হাজার ৫৯ টি, সহযোগী অধ্যাপকের ১ হাজার ৯৬০ ও অধ্যাপকের ১ হাজার ৫৯টি পদ রয়েছে।
প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির ২৪ আগস্টের সভায় জাতীয় ভূ-স্থানিক তথ্য-উপাত্ত অবকাঠামো নীতিমালা, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কর্মকর্তা-কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের অধীন রেলওয়ে হিসাব বিভাগের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাব পাসের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২২ আগস্ট ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২২ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২২ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

সরকারি দপ্তরগুলো যে যার মতো অফিস ভবন নির্মাণ করায় একদিকে আবাদি-অনাবাদি জমি কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয়। এসব এড়াতে সারা দেশে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসের জন্য একই স্থানে সমন্বিত অফিস ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
২২ আগস্ট ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে