Ajker Patrika

ধার করে চলছে ৭৪% গরিব: জরিপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২৩, ০০: ৫৮
ধার করে চলছে ৭৪% গরিব: জরিপ

বাজারে চাল-ডাল থেকে শুরু করে সবকিছুর দাম বেড়েছে দফায় দফায়। সেই তুলনায় মানুষের আয় বাড়েনি। উচ্চবিত্তের চিন্তা নেই। মধ্যবিত্ত কোনোরকমে ম্যানেজ করে চলছে। কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে নিম্নবিত্তের। জরিপের তথ্য বলছে, ভাত থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবকিছু খাওয়া কমিয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। আর ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ এখন সংসার চালাচ্ছে ধারদেনা করে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এ জরিপ করেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে জরিপের তথ্য প্রকাশ করা হয়।

সানেম জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি–এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা, তাদের আয়-ব্যয়ের তুলনামূলক তথ্য জানতে এ জরিপ চালানো হয়। চলতি মাসের ৯ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে চালানো এ জরিপে দেশের আটটি বিভাগের ১ হাজার ৬০০ পরিবার অংশগ্রহণ করে। শহর ও গ্রামে সমানসংখ্যক পরিবার আসে জরিপের আওতায়।

জরিপের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, এই ছয় মাসে নিম্ন আয়ের মানুষের খাদ্য বাবদই খরচ বেড়েছে ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। কুলিয়ে উঠতে না পেরে ৯০ শতাংশ মানুষ খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। প্রতি পরিবারে আয় না বাড়লেও গড়ে খরচ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ। 

সানেম বলেছে, বিশ্ববাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, টাকার মান কমার সঙ্গে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় গত ছয় মাসের তুলনায় বর্তমানে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত, মাছ, মাংস ও ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য গ্রহণে কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছে।

জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ ভাত খাওয়া কমিয়েছে। একই সময়ের ব্যবধানে ৯৬ দশমিক ৪ শতাংশ গরিব মানুষ মাংস খাওয়া বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। মাছ খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ লোক। ৭৭ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ ডিম ও ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ লোক ভোজ্যতেল খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।

সানেম বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কারসাজি প্রতিরোধে যে শক্তিশালী ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া উচিত, তার অনুপস্থিতির কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, কিছু প্রভাবশালী ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বাজারে প্রভাব বিস্তারের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামছাড়া হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির যে চাপ এক বছর ধরে বাংলাদেশ মোকাবিলা করছে, তা শুধু বৈশ্বিক কারণেই হচ্ছে না; বরং এ ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও এর জন্য দায়ী।

সানেমের জরিপের তথ্য বলছে, গত এক বছরে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পেরে নিম্ন আয়ের মানুষ সঞ্চয় ভাঙছে। নিম্ন আয়ের ৫৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ বলেছে, গত ছয় মাসের তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের সঞ্চয় কমেছে। আয়-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ নিয়মিত কাজের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়তি খরচ মেটাতে আগের সঞ্চিত টাকা ভাঙতে বাধ্য হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে মধ্যবিত্তও চাপে আছে বলে মনে করে সানেম। আয় আর ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তের কাতারে নেমে গেছে।

জরিপের তথ্য বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অতিরিক্ত দামের সঙ্গে কুলাতে না পেরে নিম্ন আয়ের ৪৫ দশমিক ৪২ শতাংশ মানুষ ক্ষুদ্রঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে। ৩৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ বন্ধু, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের কাছে ধার করছে। অনেকেই আবার কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ব্যাংক ও মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।

গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, ইলিশ মাছ, রুই ও কাতলা মাছকে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের ‘বিশেষ খাদ্য’ উল্লেখ করে সানেম বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আগের ছয় মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে গরিব মানুষ এক মাসে গরুর মাংস খেয়েছে একবার। এখন সেটা নেমে এসেছে শূন্য দশমিক ৩ বারে।

মুরগির মাংস ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে প্রতি মাসে ২ বার খাওয়া হলেও সেটা সেপ্টেম্বর মাসের দিকে প্রতি মাসে ছিল ৪ বার। এই ছয় মাসে ডিম খাওয়ায় ছেদ পড়েছে। সেপ্টেম্বরের দিকে ৮ দশমিক ১ বার খাওয়া হলেও ফেব্রুয়ারি মাসে খাওয়া হচ্ছে ৫ দশমিক ৮ বার।

পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ গত ছয় মাসের তুলনায় এখন উদ্বিগ্ন কি না? এই প্রশ্নে সেপ্টেম্বরের দিকে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ বলেছে, তারা পর্যাপ্ত খাদ্যপ্রাপ্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন। বর্তমানে সেটার পরিমাণ বেড়েছে ৭২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ছয় মাস আগে ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ নিম্ন আয়ের মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার খেতে পেত না। বর্তমানে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশে।

সেলিম রায়হান বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে গরিব মানুষের ওপর নিষ্ঠুরতম শুল্ক। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকারের উচিত মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় উৎসে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।

উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’

দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৫২
পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন সাড়ে ৯ লাখ ছাড়াল

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ‘Postal Vote BD’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধনকারী পোস্টাল ভোটারের সংখ্যা ইতিমধ্যে সাড়ে ৯ লাখ অতিক্রম করেছে।

আজ সোমবার নির্বাচন কমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৫১ হাজার ৮০৮ জন ভোটার পোস্টাল ভোটের জন্য সফলভাবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

ইসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে পোস্টাল ভোটের প্রতি বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের মধ্যে নিবন্ধন সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সৌদি আরব। দেশটিতে অবস্থানরত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক পোস্টাল ভোটের জন্য আবেদন করেছেন। নিবন্ধনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতার (৬৩ হাজার ৯২৮ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে মালয়েশিয়া (৫১ হাজার ৫৭২ জন)।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোটারদের মধ্যে ৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯১৩ জন পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে বড় একটি অংশই সরকারি চাকরিজীবী, যার সংখ্যা ৩ লাখ ১ হাজার ৭১ জন। এ ছাড়া নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত ৪৬ হাজার ৮০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ৪ হাজার ৩৬৭ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য এবং আইনি হেফাজতে থাকা ৩ হাজার ৬৭৫ জন ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন।

নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্টাল ভোটের এই নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আগামী বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত চলবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগ্য ভোটারদের নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত