Ajker Patrika

জাতিকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়: প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ০৪
জাতিকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘যদি আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, বহুদলে বিশ্বাস করি, তাহলে সহনশীল হতেই হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে একে অপরের প্রতি সহনশীল হতেই হবে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করব আর সহনশীল হব না, এটা গণতন্ত্রের চর্চা বলা যাবে না।’ 

জাতীয় শোক দিবসের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। 

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা যদি একাত্তরকে মেনে নিই, সংবিধান মেনে নিই, গণতন্ত্রকে মেনে নিই, তারপর যদি রাজনীতি শুরু করা যায় এবং গণতন্ত্রকে যদি ধারণ করি, তাহলে আমাদের ভেতর যে দূরত্ব আছে সেটা কমে আসবে।’ 

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছিলেন, যে কারণে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েছেন, আমার মনে হয় সেই লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারব। আমার মতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় এই জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য। সেই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তারপর আমাদের এগোতে হবে। অন্যথায় বারবার আমরা এই বিপদের সম্মুখীন হতেই থাকব।’ 

আপিল বিভাগের বিচারপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার নেপথ্যে কারা তাঁদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করতে হবে। আমার প্রস্তাব হচ্ছে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে প্রতিবছর একটি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, তার পরের বছর ভাষা তত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয় এভাবে করা। আর ১৫ আগস্টে একটি করে আন্তর্জাতিকমানের লাইব্রেরি স্থাপন করা হোক।’ 

আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত বেশি আলোচনা করছি, বঙ্গবন্ধুর চর্চাটা সেখানে একেবারেই কম হচ্ছে। আমরা যে যেখানে দায়িত্ব পালন করছি, সে দায়িত্ব থেকে বঙ্গবন্ধুর চর্চাটা করলে তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।’ 

ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘আমাদের অতীতের পরিচয় আছে, বর্তমানের পরিচয় আছে, ভবিষ্যতের পরিচয় থাকতে পারে। কিন্তু আমরা যখন বিচারক হিসেবে শপথবদ্ধ হয়েছি, আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের এখতিয়ারটা কী? আমি কতটুকু করতে পারি? আমি কী বলতে পারব? এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত। আমরা দেশে বিপ্লব ঘটাতে চাই না। আমরা যে শপথ নিয়েছি এর মধ্যে থেকেই কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক দলের নেতা দল বদল করতে পারেন। কিন্তু আমি বিচারপতি হিসেবে যখন শপথ বাক্য পাঠ করি, সংবিধানের বাইরে যাওয়ার আর সুযোগ নেই।’ 

বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, বঙ্গবন্ধু সুপ্রিম কোর্ট উদ্বোধন করতে এসে বলেছিলেন, আপনারা বিচারক, আইন ও সংবিধান অনুযায়ী বিচার করবেন। কিন্তু এমন কোনো ব্যাখ্যা দেবেন না, যেই ব্যাখ্যায় সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ সংবিধান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সমাজ, বাস্তবতা, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সংগ্রাম মাথায় রাখতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট অনেকবার এ রকম ভুল করেছে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় না নিয়ে। 

আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু মানুষের মুখে ফেনা উঠছে। কেন? সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেল বাংলাদেশে? বঙ্গবন্ধুর সময় সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেল। তাঁকে হত্যা করার পর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজকেও সেটি দেখতে পাই। আমার মনে হয় একটি সমস্যা হতে পারে। তখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সালে শেখ হাসিনা আটক হয়ে গেল। কাউকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তাঁর পাশে দাঁড়ানোর লোক নেই। এখন তো লোকের অভাব নেই। বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ সবই জয় বাংলার লোক। এত বেশি ভালো, ভালো না। সাবধান হয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। আমরা ন্যায় বিচার করব। সকলে সৎভাবে জীবন-যাপন করব।’ 

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার বলেন, ‘গতকাল রাত ১২টার সময় আমার দুই ছেলে চলে যাচ্ছে, বললাম কোথায় যাও? বলল পিজি হাসপাতালে যাচ্ছি। কেন? বলল, এরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করতে পারে, আমাদের মেসেজ দিছে তাড়াতাড়ি সেখানে যেতে। আমি বললাম কী দাঙ্গা? তারা বলল, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী মারা গেছে এ জন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে পারে। পরে রাতেই ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়। কেন? এই শঙ্কা কেন আসবে এই দেশে। যে দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেখানে কেন এই ৫২ বছর পর শঙ্কা আসবে? এরা কি তাহলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর? আমার তো মনে হয় তাই।’ 

তিনি বলেন, ‘আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন মানুষ মারা গেছে, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী আমি জানি না। আল্লামা নামধারী। সে কি এতই জ্ঞানী ছিল বাংলাদেশে? তাকে পাহারা দেওয়ার জন্য হাজার হাজার পুলিশ সারা রাত জাগছে। ভোরবেলা পিরোজপুরে নিয়ে গেছে। মেসেজ আছে, আমার মোবাইলে আছে। এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহস করতে হবে আরও। কমিশন হতে হবে। কমিশনের রিপোর্ট হতে হবে, জাতির কাছে সেই রিপোর্ট থাকবে, ওই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচার হতে হবে।’ 

প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি পেশ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর বিচারের জন্য আপিল বিভাগে রায়ে বলা হয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠন, অপরাধী সংগঠন। তাদের বিচারের জন্য আইনের সংশোধনী দরকার। কী সাজা হবে, সেটা কেন হচ্ছে না, সংশ্লিষ্ট মহলে আপনি জানুন। আমরা বিচার করতে চাই। কী হবে বিচার করলে? হত্যা করবে? হত্যার বিষয়টি জেনেই যুদ্ধে গিয়েছিলাম। আমি বিচার করতে চাই এটার। আমি দাবি করব জামায়াতের বিচার করা হোক। রাজাকারের জন্য দেশ নয়, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য। আমার আর কয়েক মাস আছে। আমাকে যদি বলা হয়, এই বিচার করলে গুলি করা হবে তবুও আমি বলব বিচার করব।’ 

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির ‍উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে সকালে সুপ্রিম কোর্টে নির্মিত স্মৃতি চিরঞ্জীবে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় তাঁর সঙ্গে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত