মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে। গত বছর অভিবাসী কর্মী হিসেবে পাড়ি দেওয়া ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৯০ শতাংশই গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুটিকয়েক দেশনির্ভর শ্রমবাজার দেশে অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। এর মধ্যে কোনো একটি দেশ অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করলে বা বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী কাজের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ লাখ ৬৬২ জনই গেছেন সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। যা গত বছর মোট জনশক্তি রপ্তানির ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ জনশক্তি রপ্তানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই পাঁচ দেশের ওপর।
অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠায়, এটি সরকারের দাবি হলেও ৯০ শতাংশের বেশি কর্মী যান গুটিকয়েক দেশে। বাকি দেশগুলোতে কর্মী পাঠানোর হার খুবই কম। আশঙ্কার বিষয়, প্রধান শ্রমবাজারগুলোতেও কর্মী রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ায় এরই মধ্যে ইউএই-তে কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরবেও শ্রমিকের চাহিদা কমেছে। মালয়েশিয়ায় যেসব শ্রমিক গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশটির শ্রমবাজার প্রায় বন্ধই বলা যায়। তিনি জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার পেছনে একটি সিন্ডিকেট দায়ী।
কর্মী ভিসায় গত তিন বছরে বিদেশে গেছেন ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ হাজার বাংলাদেশি। এ সময়ে শুধু বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার সৌদি আরবে গেছেন ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৬ জন। যা মোট কর্মী রপ্তানির অর্ধেকের বেশি।
বিএমইটির তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশে গেছেন ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী। এর মধ্যে সৌদি আরব যান ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন। ২০২৩ সালে মোট কর্মী রপ্তানি হয় ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন; সৌদি আরব যান ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন। গত বছর মোট ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৩ জনের মধ্যে সৌদি আরব গেছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৪ জন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে সৌদি আরবে কর্মীদের বড় একটি অংশ গেছেন ফ্রি ভিসায়। তাঁদের কাজের কোনো চুক্তি নেই, কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। কাজ জোগাড় করে নিতে হয়। বেশি কর্মী যাওয়ায় দেশটিতে কাজের সুযোগ কমেছে। ফ্রি ভিসায় যাওয়া কর্মীদের অনেকে সপ্তাহে এক-দুই দিন কাজ করতে পারেন। আবার যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিতে কাজ করছেন, তাঁরাও প্রত্যাশা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
বিগত বছরগুলোয় সৌদি আরব বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় বর্তমানে অন্যান্য দেশের কর্মীদের নিয়োগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের শ্রমিকদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারণ, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে মূলত অদক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয়।
সৌদি আরবের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কর্মরত আছেন। চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুললে ওই বছর যান ৫০ হাজার ৯০ জন। ২০২৩ সালে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। ২০২৪ সালে যান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন।
সূত্র বলেছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও এখন অনিশ্চয়তায়। ২০২৪ সালের জুনে শ্রমবাজারটি আবার বন্ধ হয়েছে। মূলত বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট অতিরিক্ত খরচে কর্মী নিয়োগ ও দেশটিতে যাওয়া অনেক শ্রমিক বেকার থাকায় বন্ধ হয় কর্মী রপ্তানি।
কাতার ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিয়েছিল, যার একটি বড় অংশ ছিল বাংলাদেশি। কিন্তু বিশ্বকাপ-পরবর্তী চাকরির সংকটে এই শ্রমবাজারও বর্তমানে সংকুচিত হচ্ছে। কাতারে ২০২২ সালে ২৪ হাজার ৪৪৭ জন, ২০২৩ সালে ৫৬ হাজার ১৪৮ এবং ২০২৪ সালে ৭৪ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন। তবে চলতি বছর কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, বিশ্বকাপ-পরবর্তী অবকাঠামোগত প্রকল্প কমে যাওয়ায় কাতারে নির্মাণ খাতে নিয়োগ কমেছে। পাশাপাশি দেশটি এখন বেশি দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক বছরে মালয়েশিয়া, ইউএই এবং ওমান তাদের শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়েছে। কাতার, কুয়েত এবং সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ কমিয়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসন খাতের পতন ঠেকাতে প্রচলিত বাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টির দিকে সরকারের নজর বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে যাঁরা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগ কম বেতনে কাজ করছেন।
সিঙ্গাপুর দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়, যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। অনেক শ্রমিক সিঙ্গাপুরে যেতে আগ্রহী হলেও সুযোগ সীমিত। এর পরও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি কর্মী যাচ্ছেন। দেশটিতে ২০২২ সালে ৬৪ হাজার ৩৮৩ জন, ২০২৩ সালে ৫৩ হাজার ২৬৫ এবং ২০২৪ সালে ৫৬ হাজার ৮৭৮ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন।
ইউএই–তে ২০২২ ও ২০২৩ সালে গেছেন যথাক্রমে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৫ ও ৯৮ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী। তবে ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ১৬৬ জনে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গেছেন মাত্র ১ হাজার ১৫০ জন। নির্মাণ খাতে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় ইউএই-তে নিয়োগ কমেছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, প্রচলিত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি যদি বিকল্প বাজার তৈরি না করা যায়, তবে দেশের শ্রমবাজার গুরুতর সংকটে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার নতুন শ্রমবাজার খোঁজার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে—রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক ও ইরান। এ জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার উদ্যোগ রয়েছে।
বিএমইটি’র অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বেশ কিছু নতুন শ্রমবাজার নিয়ে কাজ চলছে। রাশিয়া বর্তমানে এসব গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। পাশাপাশি ইরাক ও ইরানেও কর্মী যাচ্ছেন। শুধু ইরাকেই ৫০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে। গত বছর অভিবাসী কর্মী হিসেবে পাড়ি দেওয়া ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৯০ শতাংশই গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুটিকয়েক দেশনির্ভর শ্রমবাজার দেশে অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। এর মধ্যে কোনো একটি দেশ অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করলে বা বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী কাজের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ লাখ ৬৬২ জনই গেছেন সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। যা গত বছর মোট জনশক্তি রপ্তানির ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ জনশক্তি রপ্তানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই পাঁচ দেশের ওপর।
অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠায়, এটি সরকারের দাবি হলেও ৯০ শতাংশের বেশি কর্মী যান গুটিকয়েক দেশে। বাকি দেশগুলোতে কর্মী পাঠানোর হার খুবই কম। আশঙ্কার বিষয়, প্রধান শ্রমবাজারগুলোতেও কর্মী রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ায় এরই মধ্যে ইউএই-তে কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরবেও শ্রমিকের চাহিদা কমেছে। মালয়েশিয়ায় যেসব শ্রমিক গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশটির শ্রমবাজার প্রায় বন্ধই বলা যায়। তিনি জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার পেছনে একটি সিন্ডিকেট দায়ী।
কর্মী ভিসায় গত তিন বছরে বিদেশে গেছেন ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ হাজার বাংলাদেশি। এ সময়ে শুধু বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার সৌদি আরবে গেছেন ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৬ জন। যা মোট কর্মী রপ্তানির অর্ধেকের বেশি।
বিএমইটির তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশে গেছেন ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী। এর মধ্যে সৌদি আরব যান ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন। ২০২৩ সালে মোট কর্মী রপ্তানি হয় ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন; সৌদি আরব যান ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন। গত বছর মোট ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৩ জনের মধ্যে সৌদি আরব গেছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৪ জন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে সৌদি আরবে কর্মীদের বড় একটি অংশ গেছেন ফ্রি ভিসায়। তাঁদের কাজের কোনো চুক্তি নেই, কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। কাজ জোগাড় করে নিতে হয়। বেশি কর্মী যাওয়ায় দেশটিতে কাজের সুযোগ কমেছে। ফ্রি ভিসায় যাওয়া কর্মীদের অনেকে সপ্তাহে এক-দুই দিন কাজ করতে পারেন। আবার যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিতে কাজ করছেন, তাঁরাও প্রত্যাশা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
বিগত বছরগুলোয় সৌদি আরব বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় বর্তমানে অন্যান্য দেশের কর্মীদের নিয়োগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের শ্রমিকদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারণ, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে মূলত অদক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয়।
সৌদি আরবের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কর্মরত আছেন। চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুললে ওই বছর যান ৫০ হাজার ৯০ জন। ২০২৩ সালে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। ২০২৪ সালে যান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন।
সূত্র বলেছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও এখন অনিশ্চয়তায়। ২০২৪ সালের জুনে শ্রমবাজারটি আবার বন্ধ হয়েছে। মূলত বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট অতিরিক্ত খরচে কর্মী নিয়োগ ও দেশটিতে যাওয়া অনেক শ্রমিক বেকার থাকায় বন্ধ হয় কর্মী রপ্তানি।
কাতার ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিয়েছিল, যার একটি বড় অংশ ছিল বাংলাদেশি। কিন্তু বিশ্বকাপ-পরবর্তী চাকরির সংকটে এই শ্রমবাজারও বর্তমানে সংকুচিত হচ্ছে। কাতারে ২০২২ সালে ২৪ হাজার ৪৪৭ জন, ২০২৩ সালে ৫৬ হাজার ১৪৮ এবং ২০২৪ সালে ৭৪ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন। তবে চলতি বছর কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, বিশ্বকাপ-পরবর্তী অবকাঠামোগত প্রকল্প কমে যাওয়ায় কাতারে নির্মাণ খাতে নিয়োগ কমেছে। পাশাপাশি দেশটি এখন বেশি দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক বছরে মালয়েশিয়া, ইউএই এবং ওমান তাদের শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়েছে। কাতার, কুয়েত এবং সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ কমিয়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসন খাতের পতন ঠেকাতে প্রচলিত বাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টির দিকে সরকারের নজর বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে যাঁরা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগ কম বেতনে কাজ করছেন।
সিঙ্গাপুর দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়, যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। অনেক শ্রমিক সিঙ্গাপুরে যেতে আগ্রহী হলেও সুযোগ সীমিত। এর পরও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি কর্মী যাচ্ছেন। দেশটিতে ২০২২ সালে ৬৪ হাজার ৩৮৩ জন, ২০২৩ সালে ৫৩ হাজার ২৬৫ এবং ২০২৪ সালে ৫৬ হাজার ৮৭৮ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন।
ইউএই–তে ২০২২ ও ২০২৩ সালে গেছেন যথাক্রমে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৫ ও ৯৮ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী। তবে ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ১৬৬ জনে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গেছেন মাত্র ১ হাজার ১৫০ জন। নির্মাণ খাতে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় ইউএই-তে নিয়োগ কমেছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, প্রচলিত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি যদি বিকল্প বাজার তৈরি না করা যায়, তবে দেশের শ্রমবাজার গুরুতর সংকটে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার নতুন শ্রমবাজার খোঁজার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে—রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক ও ইরান। এ জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার উদ্যোগ রয়েছে।
বিএমইটি’র অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বেশ কিছু নতুন শ্রমবাজার নিয়ে কাজ চলছে। রাশিয়া বর্তমানে এসব গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। পাশাপাশি ইরাক ও ইরানেও কর্মী যাচ্ছেন। শুধু ইরাকেই ৫০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে। গত বছর অভিবাসী কর্মী হিসেবে পাড়ি দেওয়া ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৯০ শতাংশই গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুটিকয়েক দেশনির্ভর শ্রমবাজার দেশে অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। এর মধ্যে কোনো একটি দেশ অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করলে বা বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী কাজের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ লাখ ৬৬২ জনই গেছেন সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। যা গত বছর মোট জনশক্তি রপ্তানির ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ জনশক্তি রপ্তানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই পাঁচ দেশের ওপর।
অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠায়, এটি সরকারের দাবি হলেও ৯০ শতাংশের বেশি কর্মী যান গুটিকয়েক দেশে। বাকি দেশগুলোতে কর্মী পাঠানোর হার খুবই কম। আশঙ্কার বিষয়, প্রধান শ্রমবাজারগুলোতেও কর্মী রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ায় এরই মধ্যে ইউএই-তে কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরবেও শ্রমিকের চাহিদা কমেছে। মালয়েশিয়ায় যেসব শ্রমিক গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশটির শ্রমবাজার প্রায় বন্ধই বলা যায়। তিনি জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার পেছনে একটি সিন্ডিকেট দায়ী।
কর্মী ভিসায় গত তিন বছরে বিদেশে গেছেন ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ হাজার বাংলাদেশি। এ সময়ে শুধু বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার সৌদি আরবে গেছেন ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৬ জন। যা মোট কর্মী রপ্তানির অর্ধেকের বেশি।
বিএমইটির তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশে গেছেন ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী। এর মধ্যে সৌদি আরব যান ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন। ২০২৩ সালে মোট কর্মী রপ্তানি হয় ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন; সৌদি আরব যান ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন। গত বছর মোট ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৩ জনের মধ্যে সৌদি আরব গেছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৪ জন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে সৌদি আরবে কর্মীদের বড় একটি অংশ গেছেন ফ্রি ভিসায়। তাঁদের কাজের কোনো চুক্তি নেই, কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। কাজ জোগাড় করে নিতে হয়। বেশি কর্মী যাওয়ায় দেশটিতে কাজের সুযোগ কমেছে। ফ্রি ভিসায় যাওয়া কর্মীদের অনেকে সপ্তাহে এক-দুই দিন কাজ করতে পারেন। আবার যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিতে কাজ করছেন, তাঁরাও প্রত্যাশা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
বিগত বছরগুলোয় সৌদি আরব বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় বর্তমানে অন্যান্য দেশের কর্মীদের নিয়োগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের শ্রমিকদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারণ, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে মূলত অদক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয়।
সৌদি আরবের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কর্মরত আছেন। চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুললে ওই বছর যান ৫০ হাজার ৯০ জন। ২০২৩ সালে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। ২০২৪ সালে যান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন।
সূত্র বলেছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও এখন অনিশ্চয়তায়। ২০২৪ সালের জুনে শ্রমবাজারটি আবার বন্ধ হয়েছে। মূলত বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট অতিরিক্ত খরচে কর্মী নিয়োগ ও দেশটিতে যাওয়া অনেক শ্রমিক বেকার থাকায় বন্ধ হয় কর্মী রপ্তানি।
কাতার ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিয়েছিল, যার একটি বড় অংশ ছিল বাংলাদেশি। কিন্তু বিশ্বকাপ-পরবর্তী চাকরির সংকটে এই শ্রমবাজারও বর্তমানে সংকুচিত হচ্ছে। কাতারে ২০২২ সালে ২৪ হাজার ৪৪৭ জন, ২০২৩ সালে ৫৬ হাজার ১৪৮ এবং ২০২৪ সালে ৭৪ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন। তবে চলতি বছর কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, বিশ্বকাপ-পরবর্তী অবকাঠামোগত প্রকল্প কমে যাওয়ায় কাতারে নির্মাণ খাতে নিয়োগ কমেছে। পাশাপাশি দেশটি এখন বেশি দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক বছরে মালয়েশিয়া, ইউএই এবং ওমান তাদের শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়েছে। কাতার, কুয়েত এবং সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ কমিয়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসন খাতের পতন ঠেকাতে প্রচলিত বাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টির দিকে সরকারের নজর বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে যাঁরা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগ কম বেতনে কাজ করছেন।
সিঙ্গাপুর দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়, যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। অনেক শ্রমিক সিঙ্গাপুরে যেতে আগ্রহী হলেও সুযোগ সীমিত। এর পরও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি কর্মী যাচ্ছেন। দেশটিতে ২০২২ সালে ৬৪ হাজার ৩৮৩ জন, ২০২৩ সালে ৫৩ হাজার ২৬৫ এবং ২০২৪ সালে ৫৬ হাজার ৮৭৮ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন।
ইউএই–তে ২০২২ ও ২০২৩ সালে গেছেন যথাক্রমে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৫ ও ৯৮ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী। তবে ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ১৬৬ জনে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গেছেন মাত্র ১ হাজার ১৫০ জন। নির্মাণ খাতে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় ইউএই-তে নিয়োগ কমেছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, প্রচলিত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি যদি বিকল্প বাজার তৈরি না করা যায়, তবে দেশের শ্রমবাজার গুরুতর সংকটে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার নতুন শ্রমবাজার খোঁজার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে—রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক ও ইরান। এ জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার উদ্যোগ রয়েছে।
বিএমইটি’র অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বেশ কিছু নতুন শ্রমবাজার নিয়ে কাজ চলছে। রাশিয়া বর্তমানে এসব গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। পাশাপাশি ইরাক ও ইরানেও কর্মী যাচ্ছেন। শুধু ইরাকেই ৫০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে। গত বছর অভিবাসী কর্মী হিসেবে পাড়ি দেওয়া ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশির মধ্যে ৯০ শতাংশই গেছেন মাত্র পাঁচটি দেশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুটিকয়েক দেশনির্ভর শ্রমবাজার দেশে অর্থনীতির জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। এর মধ্যে কোনো একটি দেশ অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করলে বা বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমবাজার বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রেমিট্যান্সে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে বিএমইটি’র ছাড়পত্র নিয়ে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮৬৯ জন কর্মী কাজের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ লাখ ৬৬২ জনই গেছেন সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, কাতার, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই)। যা গত বছর মোট জনশক্তি রপ্তানির ৮৯ শতাংশ। অর্থাৎ জনশক্তি রপ্তানি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই পাঁচ দেশের ওপর।
অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনিম সিদ্দিকী এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ১৬৮টি দেশে কর্মী পাঠায়, এটি সরকারের দাবি হলেও ৯০ শতাংশের বেশি কর্মী যান গুটিকয়েক দেশে। বাকি দেশগুলোতে কর্মী পাঠানোর হার খুবই কম। আশঙ্কার বিষয়, প্রধান শ্রমবাজারগুলোতেও কর্মী রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। নির্মাণ খাতের প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ায় এরই মধ্যে ইউএই-তে কর্মী নিয়োগ কমে গেছে। প্রধান শ্রমবাজার সৌদি আরবেও শ্রমিকের চাহিদা কমেছে। মালয়েশিয়ায় যেসব শ্রমিক গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকে চাকরি না পেয়ে দেশে ফিরেছেন। দেশটির শ্রমবাজার প্রায় বন্ধই বলা যায়। তিনি জানান, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার পেছনে একটি সিন্ডিকেট দায়ী।
কর্মী ভিসায় গত তিন বছরে বিদেশে গেছেন ৩৪ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ হাজার বাংলাদেশি। এ সময়ে শুধু বাংলাদেশের বৃহত্তম শ্রমবাজার সৌদি আরবে গেছেন ১৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৬ জন। যা মোট কর্মী রপ্তানির অর্ধেকের বেশি।
বিএমইটির তথ্য বলছে, ২০২২ সালে বিদেশে গেছেন ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী। এর মধ্যে সৌদি আরব যান ৬ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জন। ২০২৩ সালে মোট কর্মী রপ্তানি হয় ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন; সৌদি আরব যান ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন। গত বছর মোট ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৩ জনের মধ্যে সৌদি আরব গেছেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৪ জন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে সৌদি আরবে কর্মীদের বড় একটি অংশ গেছেন ফ্রি ভিসায়। তাঁদের কাজের কোনো চুক্তি নেই, কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তাও নেই। কাজ জোগাড় করে নিতে হয়। বেশি কর্মী যাওয়ায় দেশটিতে কাজের সুযোগ কমেছে। ফ্রি ভিসায় যাওয়া কর্মীদের অনেকে সপ্তাহে এক-দুই দিন কাজ করতে পারেন। আবার যাঁরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চুক্তিতে কাজ করছেন, তাঁরাও প্রত্যাশা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
বিগত বছরগুলোয় সৌদি আরব বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়ায় বর্তমানে অন্যান্য দেশের কর্মীদের নিয়োগ বাড়িয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তান ও ভারতের শ্রমিকদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। কারণ, দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা থাকলেও বাংলাদেশ থেকে মূলত অদক্ষ ও স্বল্পদক্ষ শ্রমিক পাঠানো হয়।
সৌদি আরবের পর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার মালয়েশিয়া। বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় কর্মরত আছেন। চার বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালে দেশটির শ্রমবাজার খুললে ওই বছর যান ৫০ হাজার ৯০ জন। ২০২৩ সালে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। ২০২৪ সালে যান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন।
সূত্র বলেছে, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারও এখন অনিশ্চয়তায়। ২০২৪ সালের জুনে শ্রমবাজারটি আবার বন্ধ হয়েছে। মূলত বাংলাদেশি ও মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির সিন্ডিকেট অতিরিক্ত খরচে কর্মী নিয়োগ ও দেশটিতে যাওয়া অনেক শ্রমিক বেকার থাকায় বন্ধ হয় কর্মী রপ্তানি।
কাতার ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিয়েছিল, যার একটি বড় অংশ ছিল বাংলাদেশি। কিন্তু বিশ্বকাপ-পরবর্তী চাকরির সংকটে এই শ্রমবাজারও বর্তমানে সংকুচিত হচ্ছে। কাতারে ২০২২ সালে ২৪ হাজার ৪৪৭ জন, ২০২৩ সালে ৫৬ হাজার ১৪৮ এবং ২০২৪ সালে ৭৪ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন। তবে চলতি বছর কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বলছে, বিশ্বকাপ-পরবর্তী অবকাঠামোগত প্রকল্প কমে যাওয়ায় কাতারে নির্মাণ খাতে নিয়োগ কমেছে। পাশাপাশি দেশটি এখন বেশি দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে।
ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত এক বছরে মালয়েশিয়া, ইউএই এবং ওমান তাদের শ্রমবাজার বন্ধ করে দিয়েছে। কাতার, কুয়েত এবং সৌদি আরব বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ কমিয়েছে। এ অবস্থায় অভিবাসন খাতের পতন ঠেকাতে প্রচলিত বাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টির দিকে সরকারের নজর বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সৌদি আরব ও মালয়েশিয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে যাঁরা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগ কম বেতনে কাজ করছেন।
সিঙ্গাপুর দক্ষ শ্রমিক নিতে চায়, যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ। অনেক শ্রমিক সিঙ্গাপুরে যেতে আগ্রহী হলেও সুযোগ সীমিত। এর পরও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশি কর্মী যাচ্ছেন। দেশটিতে ২০২২ সালে ৬৪ হাজার ৩৮৩ জন, ২০২৩ সালে ৫৩ হাজার ২৬৫ এবং ২০২৪ সালে ৫৬ হাজার ৮৭৮ জন বাংলাদেশি কর্মী গেছেন।
ইউএই–তে ২০২২ ও ২০২৩ সালে গেছেন যথাক্রমে ১ লাখ ১ হাজার ৭৭৫ ও ৯৮ হাজার ৪২২ জন বাংলাদেশি কর্মী। তবে ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ১৬৬ জনে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গেছেন মাত্র ১ হাজার ১৫০ জন। নির্মাণ খাতে স্থবিরতা দেখা দেওয়ায় ইউএই-তে নিয়োগ কমেছে। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী বলেন, প্রচলিত শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি যদি বিকল্প বাজার তৈরি না করা যায়, তবে দেশের শ্রমবাজার গুরুতর সংকটে পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ অবৈধভাবে সাগরপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করবে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, সরকার নতুন শ্রমবাজার খোঁজার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে রয়েছে—রাশিয়া, পর্তুগাল, মাল্টা, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইরাক ও ইরান। এ জন্য দক্ষ শ্রমিক তৈরি করতে প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করার উদ্যোগ রয়েছে।
বিএমইটি’র অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, বেশ কিছু নতুন শ্রমবাজার নিয়ে কাজ চলছে। রাশিয়া বর্তমানে এসব গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। পাশাপাশি ইরাক ও ইরানেও কর্মী যাচ্ছেন। শুধু ইরাকেই ৫০ হাজারের বেশি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ২০২৪ সালে দেশে রেকর্ড প্রায় ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা পাঠিয়েছেন বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় খাত জনশক্তি রপ্তানির বাজার সীমিত হয়ে গেছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১০ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৩ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৪ ঘণ্টা আগে