নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। দেশে চালু হয় রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা। ১৫ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন খন্দকার মোশতাক। ওই বছরের ৫ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। আর ৭ নভেম্বর পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।
খন্দকার মোশতাক ১২ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়ে সরকার গঠন করেন। যার মধ্যে ২১ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাকশালের মন্ত্রিসভার সদস্য। যাদের বেশীরভাগকেই রাখা হয়েছিল পূর্বের দায়িত্বে। আর বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভায় না থাকা শাহ মোয়াজ্জেম হোসনেকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার চিফ হুইপ।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ২৯ জনের মধ্যে মৎস্য, বন, বন্যা এবং বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৫ আগস্ট নিহত হন। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলী, শিল্প মন্ত্রী এইচ এম কামরুজ্জামান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, তথ্য ও বেতার মন্ত্রী কোরবান আলী এবং এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মোমিন তালুকদার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন নাই। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী কামাল হোসেন সেই সময় বিদেশে ছিলেন। তিনি সেই সময় দেশে আসতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সেই সময় দু-একজন ছাড়া বেশির ভাগই চাপের মুখে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যোগ দেওয়া কয়েকজন আবার মোশতাকের পতনের পরে আওয়ামী লীগেও ফিরে আসেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভার বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও ভূমিমন্ত্রী মোহাম্মদ উল্লাহ উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খন্দকার মোশতাক মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন। কারামুক্তির পরে ডেমোক্রেটিক লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আর ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মারা যান। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহ জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন শিক্ষাবিদ আজিজুর রহমান মল্লিক। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে তিনি আবারও পুরোনো পেশায় ফিরে যান। ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রফেসর এমিরিটাস হিসেবে নিয়োগ দান করে। বাঙালি মূলধনে গড়ে ওঠা প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাংক 'ন্যাশনাল ব্যাংক'-এর অনারারি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
বাকশাল সরকারের বন্দর ও জাহাজ দপ্তর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তার আগে তিনি রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। ১৯৮৫ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্র পাঠ করা অধ্যাপক ইউসুফ আলী বাকশাল সরকারের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে জিয়া, এরশাদ সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাকশাল সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
মাদারীপুরের ফণী ভূষণ মজুমদার বাকশাল সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। ১৯৭৭ সালে সামরিক আইনে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
মাগুরার সোহরাব হোসেন বাকশাল সরকারের পূর্ত ও গৃহনির্মাণ মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রী সভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। সরকার পতনের পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বাকশাল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান মোশতাক সরকারে একই পদে ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন। ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
নেত্রকোনার আব্দুল মোমিন বাকশাল সরকারের খাদ্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন তিনি। ২০০২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী রেবেকা মোমিন এখন নেত্রকোনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী। তাঁকে বঙ্গবন্ধু বাকশাল সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তিনিও মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মোশতাকের পতনের পর শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে মারা যান।
বাকশাল সরকারের পাটমন্ত্রী ছিলেন কিশোরগঞ্জের আসাদুজ্জামান খান। খন্দকার মোশতাকের সরকারে যোগ দিলে যাকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালেও তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি মারা যান।
ছাত্রনেতা কে এম ওবায়দুর রহমান বাকশাল সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সবার সঙ্গে তিনিও খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তিনি জেল হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০৪ সালে এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন তিনি। মোশতাকের পতনের পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। দলটির মহাসচিবের দায়িত্বেও ছিলেন। তার মেয়ে শামা ওবায়েদ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু সরকারের চিফ হুইপ সাবেক ছাত্রনেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বাকশাল সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। এখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনিও জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০০৪ সালে খালাস পান তিনি।
হবিগঞ্জের দেওয়ান ফরিদ গাজী বাকশাল সরকারের বাণিজ্য, পাট ও চা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের বাণিজ্য ও খনিজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে সপ্তম থেকে ১০ম পর্যন্ত নৌকা মার্কায় জয়লাভ করেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। সেই সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) হবিগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
বাকশাল সরকারের তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তাহের উদ্দিন ঠাকুর। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে জেল হত্যা মামলা থেকেও খালাস পান তিনি।
চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাকশালের শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। জেল হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন। বিএনপির আমলে ২০০৪ সালে এ মামলার রায় হলে তিনি বেকসুর খালাস পান।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেমউদ্দিন খান হাবু মিয়া বাকশালের পাট প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও পাট প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।
পিরোজপুরের নুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাকশালের রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। যদিও দুই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ২১ জুলাই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে একই পদে ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। জেল হত্যা মামলায় তিনিও আসামি ছিলেন। পরে খালাস পান মামলা থেকে।
মঞ্জুরের পদত্যাগের পরে ন্যাপের নেতা কুষ্টিয়ার সৈয়দ আলতাফ হোসেন রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মোশতাকের মন্ত্রিসভা তিনিও যোগ দেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় সড়ক যোগাযোগের প্রতিমন্ত্রীর। পরে আবার ন্যাপে ফিরে আসেন তিনি।
মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একমাত্র নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হন খুলনার মোমিন উদ্দিন আহমদ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
পিরোজপুরের ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডল বাকশালের সাহায্য ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফেরত এবং পরবর্তী সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত।
লালমনিরহাটের রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া বাকশালের বন, মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। মোশতাকের পতনের পর ভোলা মিয়া বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন।
মোশতাক সরকারের চিফ হুইপ ছিলেন নীলফামারীর আবদুর রউফ। পরে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে পরে তিনি কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যুক্ত হন। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থাকা অবস্থায় ২০১১ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা জেনারেল এম এ জি ওসমানী। সেবার ২৯শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী উপস্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মাধ্যমে প্রচলিত সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। দেশে চালু হয় রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থা। ১৫ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন খন্দকার মোশতাক। ওই বছরের ৫ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। আর ৭ নভেম্বর পাল্টা সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় আসেন জিয়াউর রহমান।
খন্দকার মোশতাক ১২ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী নিয়ে সরকার গঠন করেন। যার মধ্যে ২১ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাকশালের মন্ত্রিসভার সদস্য। যাদের বেশীরভাগকেই রাখা হয়েছিল পূর্বের দায়িত্বে। আর বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভায় না থাকা শাহ মোয়াজ্জেম হোসনেকে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। যিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার চিফ হুইপ।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার ২৯ জনের মধ্যে মৎস্য, বন, বন্যা এবং বিদ্যুৎ শক্তি মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ১৫ আগস্ট নিহত হন। এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী এম মনসুর আলী, শিল্প মন্ত্রী এইচ এম কামরুজ্জামান, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ, তথ্য ও বেতার মন্ত্রী কোরবান আলী এবং এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মোমিন তালুকদার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন নাই। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী কামাল হোসেন সেই সময় বিদেশে ছিলেন। তিনি সেই সময় দেশে আসতে অস্বীকৃতি জানান। তবে সেই সময় দু-একজন ছাড়া বেশির ভাগই চাপের মুখে খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। যোগ দেওয়া কয়েকজন আবার মোশতাকের পতনের পরে আওয়ামী লীগেও ফিরে আসেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভার বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ রাষ্ট্রপতি ও ভূমিমন্ত্রী মোহাম্মদ উল্লাহ উপ-রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। খন্দকার মোশতাক মাত্র ৮৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন। কারামুক্তির পরে ডেমোক্রেটিক লীগ নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। আর ১৯৯৬ সালের ৫ মার্চ তিনি মারা যান। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহ জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বাকশালের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী ছিলেন শিক্ষাবিদ আজিজুর রহমান মল্লিক। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে তিনি আবারও পুরোনো পেশায় ফিরে যান। ১৯৭৬ সালের ১ জানুয়ারি তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের ১৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে প্রফেসর এমিরিটাস হিসেবে নিয়োগ দান করে। বাঙালি মূলধনে গড়ে ওঠা প্রথম বাণিজ্যিক ব্যাংক 'ন্যাশনাল ব্যাংক'-এর অনারারি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।
বাকশাল সরকারের বন্দর ও জাহাজ দপ্তর মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী। তার আগে তিনি রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হননি। ১৯৮৫ সালে তিনি জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।
মুজিবনগর সরকারের ঘোষণাপত্র পাঠ করা অধ্যাপক ইউসুফ আলী বাকশাল সরকারের শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে জিয়া, এরশাদ সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
বাকশাল সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একই দায়িত্বে ছিলেন। সরকারের পতনের পরে ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন।
মাদারীপুরের ফণী ভূষণ মজুমদার বাকশাল সরকারের এলজিআরডি মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। ১৯৭৭ সালে সামরিক আইনে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি।
মাগুরার সোহরাব হোসেন বাকশাল সরকারের পূর্ত ও গৃহনির্মাণ মন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রী সভায়ও তিনি একই পদে ছিলেন। সরকার পতনের পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
বাকশাল সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টাঙ্গাইলের আব্দুল মান্নান মোশতাক সরকারে একই পদে ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের টিকিটে সাংসদ হন। ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
নেত্রকোনার আব্দুল মোমিন বাকশাল সরকারের খাদ্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ছিলেন। খন্দকার মোশতাকের সরকারের তিনি কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন তিনি। ২০০২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী রেবেকা মোমিন এখন নেত্রকোনা-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি ছিলেন অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী। তাঁকে বঙ্গবন্ধু বাকশাল সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। তিনিও মোশতাকের মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মোশতাকের পতনের পর শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসেন। তিনি ১৯৭৮ সালে মারা যান।
বাকশাল সরকারের পাটমন্ত্রী ছিলেন কিশোরগঞ্জের আসাদুজ্জামান খান। খন্দকার মোশতাকের সরকারে যোগ দিলে যাকে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৮ সালেও তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ১৯৭৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতাও নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি মারা যান।
ছাত্রনেতা কে এম ওবায়দুর রহমান বাকশাল সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। সবার সঙ্গে তিনিও খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। তিনি জেল হত্যা মামলায়ও অভিযুক্ত ছিলেন। ২০০৪ সালে এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন তিনি। মোশতাকের পতনের পরে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। দলটির মহাসচিবের দায়িত্বেও ছিলেন। তার মেয়ে শামা ওবায়েদ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক।
বঙ্গবন্ধু সরকারের চিফ হুইপ সাবেক ছাত্রনেতা শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন বাকশাল সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। এখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনিও জেলহত্যা মামলার আসামি ছিলেন। ২০০৪ সালে খালাস পান তিনি।
হবিগঞ্জের দেওয়ান ফরিদ গাজী বাকশাল সরকারের বাণিজ্য, পাট ও চা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের বাণিজ্য ও খনিজ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে সপ্তম থেকে ১০ম পর্যন্ত নৌকা মার্কায় জয়লাভ করেন। ২০১০ সালে তিনি মারা যান। সেই সময় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। তাঁর ছেলে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ (মিলাদ গাজী) হবিগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ।
বাকশাল সরকারের তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তাহের উদ্দিন ঠাকুর। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পরে মামলা থেকে খালাস পেয়েছিলেন। ২০০৪ সালে জেল হত্যা মামলা থেকেও খালাস পান তিনি।
চট্টগ্রামের নুরুল ইসলাম চৌধুরী বাকশালের শিল্প ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই দায়িত্বে ছিলেন। জেল হত্যা মামলায় আসামি ছিলেন। বিএনপির আমলে ২০০৪ সালে এ মামলার রায় হলে তিনি বেকসুর খালাস পান।
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেমউদ্দিন খান হাবু মিয়া বাকশালের পাট প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হন। মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও পাট প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন।
পিরোজপুরের নুরুল ইসলাম মঞ্জুর বাকশালের রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। যদিও দুই মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ২১ জুলাই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে একই পদে ছিলেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন। জেল হত্যা মামলায় তিনিও আসামি ছিলেন। পরে খালাস পান মামলা থেকে।
মঞ্জুরের পদত্যাগের পরে ন্যাপের নেতা কুষ্টিয়ার সৈয়দ আলতাফ হোসেন রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মোশতাকের মন্ত্রিসভা তিনিও যোগ দেন। দায়িত্ব দেওয়া হয় সড়ক যোগাযোগের প্রতিমন্ত্রীর। পরে আবার ন্যাপে ফিরে আসেন তিনি।
মোশতাকের মন্ত্রিসভায় একমাত্র নতুন সদস্য হিসেবে যুক্ত হন খুলনার মোমিন উদ্দিন আহমদ। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তিনি বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। এরশাদ সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেন।
পিরোজপুরের ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডল বাকশালের সাহায্য ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোশতাকের মন্ত্রিসভায়ও একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে আওয়ামী লীগে ফেরত এবং পরবর্তী সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত।
লালমনিরহাটের রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া বাকশালের বন, মৎস্য ও পশুপালন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। মোশতাক সরকারের একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হন। মোশতাকের পতনের পর ভোলা মিয়া বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন।
মোশতাক সরকারের চিফ হুইপ ছিলেন নীলফামারীর আবদুর রউফ। পরে তিনি আওয়ামী লীগে ফিরে আসেন। তিনি ১৯৮৬ ও ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে পরে তিনি কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে যুক্ত হন। তিনি গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য থাকা অবস্থায় ২০১১ সালে মৃত্যু বরণ করেন।
১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে একদলীয় বাকশাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হলে তিনি সংসদ সদস্যপদ এবং আওয়ামী লীগের সদস্যপদ ত্যাগ করেন মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা জেনারেল এম এ জি ওসমানী। সেবার ২৯শে আগস্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পান, তবে ৩রা নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনার পর পদত্যাগ করেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।
খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।
ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।
আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।
তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।
আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।
কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।
২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করে
৪ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

মেট্রোর র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।
ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।
অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম
ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।
অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।
ডিটিসিএ জানিয়েছে, র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।
ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।
ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পরে তাঁর রক্তের ওপর পা রেখেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। ওই দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গঠন করেন ২৩ সদস্যের মন্ত্রিসভার। যার মধ্যে ২২ জনই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের (বাকশাল) মন্ত্রিসভার।
১৫ আগস্ট ২০২১
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।
৩ ঘণ্টা আগে