Ajker Patrika

আ.লীগের ৯ জনসহ অক্টোবরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১২: এমএসএফ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২০: ২৯
আ.লীগের ৯ জনসহ অক্টোবরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১২: এমএসএফ

অক্টোবর মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৮টি ঘটনায় হতাহত হয়েছেন ৪২৪ জন। তাঁদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৪১২ জন আহত হয়েছেন। নিহত ১২ জনের মধ্যে ৯ জনই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। বাকি তিনজন বিএনপির।

মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘মানবাধিকার পরিস্থিতি মনিটরিং প্রতিবেদন অক্টোবর, ২০২৪’ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং নিজস্ব অনুসন্ধানের ওপর ভিত্তি করে এ প্রতিবেদন তৈরি হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের গণসংযোগে ব্যস্ততা দেখা যায়। অপর দিকে রাষ্ট্রপতির অপসারণ ও আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। অপর দিকে সেপ্টেম্বর মাসের মতো এ মাসেও বিএনপির দলীয় কর্মীদের অন্তর্দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যাওয়ায় হতাহতের ঘটনা ঘটেই চলেছে। যার ফলে নাগরিক জীবনে নিরাপত্তার বিষয়টি বারবার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

এমএসএফ বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার পর সাবেক সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আন্দোলন বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। এসব মামলায় ইচ্ছানুযায়ী আসামি করে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদের মধ্যে দ্বন্দ্ব পরিলক্ষিত হয়েছে।

এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায় নতুন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও নেতা-কর্মীদের নামে ১০২টি মামলা হয়েছে। গত মাসে মামলার সংখ্যা ছিল ২৩৮। এর মধ্যে এ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৮৩টি মামলা হয়েছে। দায়ের করা এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে ৩৩টি। এ মাসে দায়েরকৃত মোট মামলায় আসামির তালিকায় সুনির্দিষ্টভাবে নাম রয়েছে প্রায় ১২ হাজার ১৮০ জনের। সেই সঙ্গে ‘অজ্ঞাতনামা’ আসামির সংখ্যা কমপক্ষে ১৫ হাজার ৭৯৯। লক্ষণীয় যে দায়েরকৃত মামলার ক্ষেত্রে অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা কমে গেলেও হত্যা মামলায় ঢালাওভাবে আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ ব্যবসায়ী, বিএনপির নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকদের। পূর্বশত্রুতা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে শায়েস্তা করা এবং চাঁদাবাজি ও হয়রানি করতে অনেককে আসামি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ হাজার ৭৬০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৭৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কোটা আন্দোলন নিয়ে সৃষ্ট সহিংসতার ঘটনায়। মোট গ্রেপ্তারদের বেশির ভাগই বিগত সরকারের প্রশাসন, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও নেতা-কর্মী।

এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সারা দেশে সাত হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অস্ত্রধারী, মাদক, খুন, ছিনতাই, ডাকাতির আসামি থাকলেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ছাত্র–জনতার আন্দোলন দমনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশ নেওয়া ব্যক্তিবর্গ, আন্দোলন দমনে হামলার জন্য সংগঠিত করা, হামলাকারীদের মধ্যে বিশেষ করে চিহ্নিত অস্ত্রধারীদের।

এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগের হামলার দুটি ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অন্তর্দ্বন্দ্বের তিনটি ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন। এ মাসে কারা হেফাজতে পাঁচজনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এমএসএফ বলছে, অক্টোবর মাসেও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র উদ্বেগজনক। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের যেভাবে শারীরিক, মানসিক এবং আইনি হয়রানি, আক্রমণ, হুমকি ও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে তা শুধু্র অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, বরং তার মাধ্যমে সৎ সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধ করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। অক্টোবর মাসে ২০টি ঘটনায় ৩২ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নানাভাবে হামলা, হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ মাসে তিনজন সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবং পরবর্তী সংঘাতে এ মাসে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চারটি মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন সাতজন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন তিনজন সাংবাদিক।

এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবরে সাইবার নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে মোট ৫৫ জনকে। এ মাসে সীমান্তে বিএসএফের ছোড়া গুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। এ মাসে বিভিন্ন পর্যায়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু নির্যাতনের ২২টি এবং জাতিগত সংখ্যালঘু নির্যাতনের একটি মোট ২৩টি ঘটনা ঘটেছে।

এমএসএফ বলছে, অক্টোবরে ২৮৮টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, যা গত মাসের তুলনায় ৮০টি বেশি ঘটেছে। এ মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৫১টি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ১৫টি এবং ধর্ষণ ও হত্যা ১টি। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী। এ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩ জন নারী ও ৪০ জন পুরুষ, মোট ৫৩ জন অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়েছে। এ মাসে অন্তত ২৪টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৯ জন নিহত ও ৩ জন নারীসহ ১৯ জন কিশোর ও যুবক গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুম করে নির্যাতনের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৬
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সূচনা বক্তব্যের জন্য আগামী ২১ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন।

পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আজ অভিযোগ গঠনের আদেশের দিন ১৭ আসামির মধ্যে ১০ জন সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

তাঁরা হলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

অভিযোগ পড়ে শোনানোর পর আসামিদের কাছে দোষ স্বীকার করেন কি না, তা জানতে চান ট্রাইব্যুনাল। এ সময় সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশ্যা করেন।

এই মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

গুম করে র‍্যাবের টিএফআই সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একনেকে সাড়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকার ২২ প্রকল্প অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪২
একনেকের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত
একনেকের সভায় প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২২ প্রকল্পের ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন ৩০ হাজার ৪৮২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১ হাজার ৬৮৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন ১৪ হাজার ২৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার পরিকল্পনা কমিশনে এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ১৪টি ও সংশোধিত প্রকল্প ৫টি এবং মেয়াদ বৃদ্ধি প্রকল্প ৩টি।

সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো—সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘কর্ণফুলী টানেল (আনোয়ারা) থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের গাছবাড়িয়া পর্যন্ত সংযোগ সড়ক (জেড-১০৪০) উন্নয়ন প্রকল্প’; দিনাজপুর সড়ক বিভাগাধীন হিলি (স্থলবন্দর)-ডুগডুগি ঘোড়াঘাট জাতীয় মহাসড়ক (এন-৫২১) যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বিদ্যমান সরু/জরাজীর্ণ কালভার্টসমূহ পুনর্নির্মাণ এবং বাজার অংশে ‘রিজিডপেভমেন্ট ও ড্রেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প’ এবং ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর ‘প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)।’

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নারায়ণগঞ্জের আলীগঞ্জে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৮টি ১৫ তলা ভবনে ৬৭২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা ওয়াসা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণা একাডেমি স্থাপন’ প্রকল্প, ‘সিলেট সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প, ‘জলবায়ু সহনশীল জীবনমান উন্নয়ন—Climate Resilient and Livelihood Enhancement Project (CRALEP)’ প্রকল্প, ‘পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়ক প্রশস্তকরণ ও শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্প।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুটির মধ্যে মোংলা কমান্ডার ফ্লোটিলা ওয়েস্টের (কমফ্লোট ওয়েস্ট) অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প এবং সাভারে আর্মি ইনস্টিটিউট অব ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্প।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘Modernization and Expansion of Eastern Refinery Limited (ERL) প্রকল্প। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘দুস্থ শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র পুনঃ নির্মাণ কোনাবাড়ী, গাজীপুর (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ‘Education and Research Capacity Building of National Institute of Advanced Nursing Education and Research (NIANER)’ প্রকল্প। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত)’ প্রকল্প।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কর্ণফুলী এবং সংযুক্ত নদীসমূহের (কাচালং, রাইখিয়ং ও শলকনদী) টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প’, ‘গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনর্বাসন’ প্রকল্প, ‘সুরমা-কুশিয়ারা নদী অববাহিকার উন্নয়ন এবং বন্যা ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প এবং ‘Disaster Risk Management Enhancement Project (Component-1, BWDB Part) (proposed 2nd Revision)’ প্রকল্প।

এ ছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘বগুড়া কৃষি অঞ্চলের টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ‘দারুল আরকাম ইসলামি শিক্ষা পরিচালনা ও সুসংহতকরণ (২য় পর্যায়) ’ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

সভায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, খাদ্য এবং ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, স্বরাষ্ট্র এবং কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম এবং ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৫ ডিসেম্বর যাত্রীদের বিমানবন্দরের উদ্দেশে সময় নিয়ে রওনা দেওয়ার অনুরোধ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪৯
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

আগামী ২৫ ডিসেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের আশঙ্কার কথা জানিয়ে যাত্রীদের পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ওই দিন বিমানবন্দর এলাকা, বিমানবন্দর থেকে গুলশানগামী সড়কসমূহ এবং পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট সড়ক)-তে ব্যাপক জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এসব এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে এবং তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ অবস্থায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের সকল সম্মানিত যাত্রীদের ফ্লাইট মিস এড়াতে এবং নির্বিঘ্ন যাত্রা নিশ্চিত করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, যাত্রীদের ভ্রমণ যেন সুষ্ঠু, সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত হয়, সে জন্য ২৫ ডিসেম্বর পর্যাপ্ত সময় হাতে রেখে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও স্ব-শাসিত সংস্থায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে জারি করা অধ্যাদেশে কিছুটা সংশোধন এনেছে সরকার। এ সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব সংস্থার নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছরের বেশি নির্ধারিত আছে, ওই সব পদের সেই বয়সসীমা বহাল রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার জারি হওয়া অধ্যাদেশ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর জারি করা ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪’ বা ১১ নম্বর অধ্যাদেশ সংশোধন করে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ।

নতুন অধ্যাদেশটি ‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত হবে বলে তুলে ধরে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ বলছে, সংশোধনীটি’ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে জারি হওয়া অধ্যাদেশের পূর্ণাঙ্গ শিরোনাম সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ শিরোনাম, প্রস্তাবনা, ধারা ১-এর উপ-ধারা (১) এবং ধারা ৩-এর দফা (গ) থেকে ‘আধা-স্বায়ত্তশাসিত’ শব্দবন্ধটি ও সংশ্লিষ্ট চিহ্ন করা হয়েছে।

এ ছাড়া আগের অধ্যাদেশের নতুন একটি উপধারা সংযোজনের বিষয় তুলে ধরা হয়েছে সংশোধনীর অধ্যাদেশটিতে।

‘৩ক’ শিরোনামে সংযোজন হওয়া নতুন উপধারাটি বলা হয়, ধারা ৩-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, যেসব সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থার নিজ নিজ নিয়োগ বিধিমালা বা ক্ষেত্রমত প্রবিধানমালায় কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছরের বেশি নির্ধারিত রয়েছে, এমন সব ক্ষেত্রে ওই নির্ধারিত বয়সসীমা অপরিবর্তিত ও বহাল থাকবে।

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও স্ব-শাসিত সংস্থায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে গত বছরের ১৮ নভেম্বর অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল।

ওই অধ্যাদেশের ৩ ধারায় বলা হয়েছিল, ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সব ক্যাডারের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের আওতা বহির্ভূত সব সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ বছর।

‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থার চাকরির যেসব পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বা অনূর্ধ্ব ৩২ বছর উল্লেখ আছে, সব ক্ষেত্রের বয়সসীমা ৩২ বছর প্রতিস্থাপিত হবে। প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান স্ব স্ব নিয়োগ বিধিমালা বা প্রবিধানমালা বহাল থাকবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত