Ajker Patrika

সাংবাদিকদের অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে সুবিধাবাদীরা, মত সম্পাদকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাংবাদিকদের অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে সুবিধাবাদীরা, মত সম্পাদকদের

গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশে সাংবাদিকতা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এ জন্য সাংবাদিকদের বিভাজনকে দায়ী করেছেন সম্পাদক ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, দলীয় রাজনীতিতে সাংবাদিকদের সংশ্লিষ্টতা এই বিভাজনকে প্রকট করেছে। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্যের সুবিধা নিচ্ছে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী। এ থেকে বেরিয়ে আসতে সাংবাদিকদের ঐক্য জরুরি। 

সিরডাপ মিলনায়তনে আজ শনিবার সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত ‘৫০ বছরের বাংলাদেশ, গণমাধ্যমের অর্জন ও আগামীর চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংবাদপত্রের সম্পাদক ও গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞরা এসব অভিমত দেন। 

যেসব আইন স্বাধীন সাংবাদিকতাকে ব্যাহত করছে সভায় সেগুলো পরিমার্জন বা প্রয়োজনে সংশোধনের দাবি জানিয়েছে সম্পাদকদের এই পরিষদ। পাশাপাশি সংবাদপত্রের মালিক, সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের দায়-দায়িত্বগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, দেশের স্বার্থে মত প্রকাশের জন্য একজন সাংবাদিককে আদালতে যেতে হবে, সেটা কখনও কাম্য নয়। সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন হয়ে গেছে। দলীয় রাজনীতিতে সাংবাদিকেরা নাম লিখিয়ে ফেললে সংবাদপত্রের নিরপেক্ষতা চলে যাবে। সাংবাদিকদের অনেক সমিতি হয়েছে। এই বিভাজনের ফলে আপনাদের দাবিগুলো আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। সন্তোষজনকভাবে ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হয়নি। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে ঝামেলা হয়। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অনারারি অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খানের মতে, সাংবাদিকদের একটি সংগঠন থাকা উচিত। তিনি বলেন, আমরা (সাংবাদিক) এখন বিভক্ত। প্রেস কাউন্সিল যেন নখদন্তহীন বাঘের মতো না হয়। সত্যিকারের গণতন্ত্র থাকলে সংবাদপত্র টিকে থাকবে। 

এসময় সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এসে সাংবাদিকদের সেই বজ্রকঠিন ঐক্য আমরা ধরে রাখতে পারিনি। পেশাগত ঐক্য ক্রমেই ফিকে হয়ে এসেছে। সাংবাদিকদের অনৈক্যের সুযোগ নিচ্ছে সুবিধাবাদী সব গোষ্ঠী। কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। 

ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, শিল্প হিসেবে গণমাধ্যম দাঁড়াচ্ছে না। বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে, সবাই আসছে নিজের স্বার্থ নিয়ে, নিজের স্বার্থ রক্ষায় তারা বেরিয়েছে। বিত্তশালীরা সংবাদপত্রে আসছে এটি নিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই। সম্পাদকীয় পরিষদ আসলে দাঁড়িয়েছে কি-না? এই সম্পাদক পরিষদে কতজন সম্পাদক আছেন? 

শ্যামল দত্ত বলেন, একটি কর্তৃপরায়ণ শাসন ব্যবস্থা যখন প্রবলভাবে দেশ শাসন করবে তখন গণমাধ্যম কীভাবে তার স্বাধীন চর্চা করবে? এই জায়গা থেকে আমাদের আগামী চ্যালেঞ্জগুলো চিন্তা করতে হবে। বাংলাদেশে কি প্রতিষ্ঠানগুলো দাঁড়াচ্ছে? সেগুলো যদি না দাঁড়ায় আমরা কীভাবে গণমাধ্যমকে সেই জায়গায় নিতে পারব? সংসদ কি আমরা কার্যকরভাবে দেখতে পাচ্ছি? বিচার বিভাগ কি সেই অর্থে ফাংশনেবল আছে? নির্বাহী বিভাগ দলীয় আনুগত্যের একটি চরম উদাহরণ, সেই জায়গা থেকে আমরা কিভাবে গণমাধ্যমে স্বাধীন চর্চা করব?’ 

তিনি বলেন, আজকে একটি গণতান্ত্রিক সমাজে সাংবাদিকতা যে চ্যালেঞ্জর মুখোমুখি এটি একটি নজিরবিহীন। অদৃশ্য এবং অদৃশ্য না এমন চ্যালেঞ্জগুলো গণমাধ্যমের সামনে আনছে। করপোরেট বিজ্ঞাপন আছে, তাদের বিরুদ্ধে লিখলে বিজ্ঞাপন বন্ধ। সরকারের বিরুদ্ধে লিখলে সরকারি বিজ্ঞাপন কমে যাবে। তাহলে টিকে থাকার মেকানিজম কি? তথ্য কাউন্সিল, প্রেস ইনস্টিটিউট, প্রেস কাউন্সিল অকার্যকর থাকার চেয়ে না থাকা ভালো। 

বিভিন্ন সরকারের সময় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের তৎপরতা তুলে ধরে নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর বলেন, আজকে যে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার মধ্যে আমরা আছি, যেখানে ভোট দেওয়ার প্রচলন প্রায় উঠে গেছে, সেখানে গণতন্ত্রপরায়ণ জনগণের অংশগুলো আর গণতান্ত্রিক সাংবাদিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতবাদ সংবাদপত্রসমূহের বা সাংবাদিকতার একটা নতুন করে ঐক্যের জায়গা তৈরি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। 

প্রবীণ সাংবাদিক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করপোরেট হাউস সাংবাদিকতায় এসেছে। এর ফলে সরকারের সঙ্গে এমন সংযুক্তি হয়েছে যে মিলেমিশে গেছে, আলাদা করা যায় না। এগুলো সাংবাদিকতাকে ক্ষতি করেছে। গণতান্ত্রিক সমাজ যে প্রতিষ্ঠানের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, সে প্রতিষ্ঠানগুলো ভেঙে খানখান হয়ে গেছে, সে প্রতিষ্ঠানগুলো নেই, গণতান্ত্রিক ভিত নেই, কিসের ওপর দাঁড়িয়ে সাংবাদিকতা করব? 

কিছু আইনের অপপ্রয়োগের কথা তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। তিনি বলেন, একটি ঘটনায় একটির বেশি মামলা না হওয়ার বিধান আইনে থাকলেও একাধিক মামলা হচ্ছে। কেউ সংক্ষুব্ধ না হলেও তার মামলা নেওয়া হচ্ছে। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকতাকে প্রতিহত করছে। আমি অনুরোধ করছি আইন সংশোধন করেন। 

মাহফুজ আনাম বলেন, অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট একটি ঔপনিবেশিক আইন। তথ্য আইন প্রবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা, এটি এখনো প্রয়োগ করা হচ্ছে। আদালত অবমাননা আইন প্রয়োজনে সংশোধন করতে হবে। 

দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক এবং ঢাকা ট্রিবিউনের জাফর সোবাহান সভায় বক্তব্য দেন। প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই মাসের চুক্তিতে স্বাস্থ্যের ডিজি ও সচিব নিয়োগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।

২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ২৫৮২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।

খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।

ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পি কে হালদার। ফাইল ছবি
পি কে হালদার। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।

তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলার তদন্ত-বিচারকাজে আইনি পরামর্শক হলেন সমাজী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

জেপির মঞ্জুর পর নির্বাচন বর্জন করলেন রুহুল আমিন হাওলাদার ও ফিরোজ রশীদ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত