Ajker Patrika

পানি বণ্টনে বাংলাদেশকে ঠকাচ্ছে ভারত, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৩ জুন ২০২৪, ২১: ৪২
পানি বণ্টনে বাংলাদেশকে ঠকাচ্ছে ভারত, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় গুরুত্ব পাচ্ছে না

অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টনে ন্যায্য পাওনা থেকে বাংলাদেশকে বরাবরই বঞ্চিত করছে প্রতিবেশী ভারত। এর ফলে দেশের নদী শুকিয়ে শুকানোর পাশাপাশি পরিবেশের বিপর্যয় ঘটছে। কিন্তু ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বিষয়টি যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছে না। পানির হিস্যা বুঝে নিতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে বলে বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন।

আজ রোববার ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-ভারত পানি বণ্টন: অভিজ্ঞতা, আশঙ্কা ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলা হয়। এতে পানি ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক ও আইন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। সাংবাদিক মনি হায়দারের সঞ্চালনায় আয়োজনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল। 

তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে আগামী দুই বছর পরেই গঙ্গা নদীর পানি চুক্তিটা মেয়াদ শেষ হবে। এর প্রেক্ষিতে এই সভা। আমাদের ভারতের সঙ্গে শুধু ৫৪টা অভিন্ন নদী আছে। এর মধ্যে একটা নদীর ক্ষেত্রে ফুল ফেজে এগ্রিমেন্ট আছে। সেটা হচ্ছে গঙ্গা নদী। অন্যান্য নদীর ক্ষেত্রে আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন যে তিস্তা নিয়ে অনেক বছর ধরে আলোচনা চলছে। ২০১১ সালে একটা চুক্তি হয়ে যাচ্ছিল। এখানে কমন একটা মিস আন্ডারস্ট্যান্ডিং আছে যে মমতা ব্যানার্জির জন্য চুক্তি হয়নি। আপনারা দয়া করে ভারতের সংবিধান দেখবেন। আন্তর্জাতিক চুক্তির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ইউনিয়ন গভর্নমেন্টের আওতাভুক্ত। মমতা ব্যানার্জি আপত্তি করলে ভারত সরকার চুক্তি করতে পারবে না—এট যদি কেউ বলে, ফেডারেল ফর্ম অব গভর্নমেন্ট নিয়ে আমার মনে হয় ধারণার অভাব আছে। মূল কথা হচ্ছে, তিস্তা চুক্তি ভারত সরকার যদি করতে চায়, মমতা অভ্যন্তরীণভাবে যতই আপত্তি জানাক ভারত সরকার করতে পারে। এটা ভারত সরকার চাচ্ছে না, তাই হচ্ছে না। এতে স্টেট মিনিস্টার কিছু করতে পারে না।’ 

ভারতের সঙ্গে দর–কষাকষির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে ন্যায্য পানি বণ্টনে কোনো মিটিংয়ে নদীর বিষয়টি খুব একট গুরুত্ব পায় না বলে আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কোনো মিটিংয়েই আমরা মূল ইস্যু হিসেবে গঙ্গা ইস্যু দেখতে পাইনি। অপেক্ষাকৃত গুরুত্বহীন হিসেবে মাঝে মাঝে আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু মেইন অ্যাজেন্ডা হিসেবে সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবারও আমরা গঙ্গা বা তিস্তা ইস্যু দেখতে পাচ্ছি না।’ 

প্যানেল আলোচনায় পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘আমরা পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কারিগরি ভিত্তিটাকে মূল ভাবি। কারিগরি লোকদের দোষারোপ করি বা চাপ সৃষ্টি করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, যারা কারিগরি বিষয়ে তেমন কিছু বোঝেন না, তারা গম্ভীরভাবে মতামত প্রকাশ করেন। আমি মনে করি, মূল সিদ্ধান্ত হবে রাজনীতির ভিত্তিতে। রাজনীতির ভিত্তিতে শুধু নদী নিয়ে আলোচনা হবে, না নদীর সঙ্গে অন্য জিনিসকেও যুক্ত করা হবে। মূল কথা হচ্ছে পানি কতটা পাব, কীভাবে পাব, কী ধরনের প্রকল্প হবে, সারা বছরের পানির একটা হিসেব–নিকেশ হবে কি না সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। সম্ভাবনা আছে, কিন্তু সেটা পাওয়া যাবে কি না—এ ব্যাপারে প্রচুর সন্দেহ আছে। কারণ, ভারত তার নিজের স্বার্থ ষোলোআনা মেনটেন করতে চায়। আমরা কি আমাদের স্বার্থ রাজনৈতিক মহলে তুলে ধরতে পেরেছি। তারা এ ব্যাপারে সোচ্চার নন। তারা ভারতের কাছে কাঁচা মরিচের জন্য, পেঁয়াজের জন্য আবেদন করেন। পানির জন্য আবেদন করেন কি?’ 

ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘ফারাক্কার কারণে আমাদের যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিল। কাজেই ফারাক্কার কারণে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তার কোনো ডেটা আমাদের কাছে নেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যেহেতু মাঠেঘাটে যাই। বলতে পারি, অন্তত ১০০ নদী মারা গিয়েছে ফারাক্কার কারণে। লবণপানি বহু আগেই সুন্দরবন ছাড়িয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলে এসে পড়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনায় যে পরিমাণ পানি লাগবে তা তো ফারাক্কা থেকে প্রবাহিতই হয় না। কাজেই আগামীতে গঙ্গা বেসিনে পানি ব্যবস্থাপনা কীভাবে হবে, তা নিয়ে বাংলাদেশ যে আলোচনা করছে—তা আমি যথেষ্ট বলে মনে করি না।’

ভারত কীভাবে বাংলাদেশ থেকে ন্যায্য পানি থেকে ঠকাচ্ছে তা প্রমাণ করতে একটি গবেষণাপত্র তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়ার ভূতত্ত্ব ও পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক ড. খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পানি ডিপ্লোমেসিটাকে ডিপ্লোমেসির কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে হবে। সব ডিপ্লোমেসি হবে পানিকে কেন্দ্র করে। ভারত যদি পানি না দেয়, ট্রানজিটসহ অন্য সবকিছু বন্ধ রাখা হবে। ভারত বাংলাদেশকে নাখোশ করে ঠিক থাকতে পারবে—এটা কখনোই সঠিক না।’ 

সমাপনী বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রিয়াজ। তিনি বলেন, ‘একটা রাষ্ট্র গঠনের দুটো ভিত্তি থাকে। একটা হচ্ছে ম্যাটেরিয়াল বেসিস, আরেকটা হচ্ছে ইনস্টিটিউশনাল বেসিস। ইনস্টিটিউশনাল বেসিস হচ্ছে গভর্নেন্স। এই যে পার্লামেন্ট থাকে ইত্যাদি। ম্যাটেরিয়াল বেসিস তৈরি হয় তার রিসোর্স থেকে। বাংলাদেশের রিসোর্সের জায়গা হচ্ছে তার নদী, তার পানি। এটা যদি আপনি শুকিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করে ফেলতে পারবেন। এটা সম্ভব। শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। গোটা উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি কী আমরা জানি। বাংলাদেশের যে ন্যায্য অধিকার সেটা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে বাংলাদেশের যে ম্যাটেরিয়াল বেসিস সেটা পরিবেশগতভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাতে বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট তৈরি হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৭
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৭
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৬
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত