Ajker Patrika

বিচ্ছিন্ন মানুষ পাচ্ছে না ত্রাণ

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০১: ৩৮
বিচ্ছিন্ন মানুষ পাচ্ছে না ত্রাণ

‘পরিবার নিয়ে সড়কের ওপরে আছি। ঘরবাড়ি সব শেষ। অনেকে ত্রাণ নিয়ে আসে, ত্রাণ পাচ্ছি। কিন্তু এলাকার ভেতরে আমার বোন-ভাগনিরা আছে। তাদের কাছে কেউই যায় না ত্রাণ দিতে।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙায় সড়কে আশ্রয় নেওয়া বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মতিন মিয়া।

মতিন মিয়ার মতো অনেকে অভিযোগ করেছেন, প্রত্যন্ত এলাকার অনেক পানিবন্দী মানুষের কাছেই গতকাল পর্যন্ত কোনো সহায়তা পৌঁছায়নি; বিশেষ করে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, নৌকার সংকটে ত্রাণ দিতে আসা লোকজন প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে পারছেন না। সড়কের পাশে যাদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মধ্যেই বারবার ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও লক্ষ্মীপুরে অবনতি ঘটেছে। কুমিল্লায় গোমতীর পর এবার ভেঙেছে সালদা নদীর বাঁধ। এদিকে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। এই অবস্থায় কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট ৬ ইঞ্চি করে আজ সকালে খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। সিলেট অঞ্চলেও ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। পানি কমছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে।

কুমিল্লায় ভেঙেছে আরেক বাঁধ
কুমিল্লায় গত দুদিনে বৃষ্টি হয়নি। তবে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। গোমতীর ভাঙনে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থাও। এদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দৌলতপুরে শুক্রবার রাতে পানির চাপে ভেঙেছে সালদা নদীর বাঁধ। এতে আরও ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর আগে বুড়িচংয়ের বুড়বুড়িয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙে গোমতীর বাঁধ। সব মিলিয়ে পুরো কুমিল্লায় এখন ১০ লাখের মতো মানুষ পানিবন্দী। বিদ্যুৎ না থাকায় ও খাদ্যসংকটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেক স্থানে নেই মোবাইল নেটওয়ার্কও।

পানিবন্দী এসব মানুষের কাছে ত্রাণসহায়তা দিতে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু নৌকা কিংবা স্পিডবোট না থাকায় সেই ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না প্রত্যন্ত এলাকায়। এই অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে অনেক পরিবারের। ব্রাহ্মণপাড়ার বাগড়া এলাকার বাসিন্দা মুসলেম মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। সবাই বাঁধ ভাঙা দেখতে আসে, কোনো সহযোহিতা করে না। অসহায় অবস্থায় আছি।’

বুড়িচংয়ে ত্রাণ দিতে আসা কুমিল্লার একটি ক্লাবের সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গ্রামের ভেতরে অনেক লোক আটকা আছে। নৌকা না থাকায় অনেকে সেখানে যেতে পারছেন না। আমরা চেষ্টা করছি। সবাইকে অনুরোধ করব কষ্ট করে হলেও গ্রামের ভেতরের মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’

বুড়িচং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবু বলেন, নৌকার সংকটের কারণে ত্রাণ দিতে আসা মানুষ ভেতরে যেতে পারছে না। সড়কের পাশে একই জায়গায় বারবার ত্রাণ দিয়ে চলে যাচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। বুড়িচংয়ের অবস্থান এমন জায়গায়, সেখানে সহজে নৌকা আনা-নেওয়া কঠিন। তারপরও আমরা নৌকা আনার চেষ্টা করছি।’ এ ছাড়া সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের লোকজন মাঠে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

মাঝরাতে সড়কে ডাকাতির চেষ্টা
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লালপোল এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত আটকা পড়েছে কয়েক হাজার যানবাহন। নষ্ট হচ্ছে কাঁচা পণ্য। সময়মতো বন্দরের পৌঁছাতে পারছে না রপ্তানি পণ্য।

এর মধ্যেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শুক্রবার রাতে যানবাহনগুলোয় ডাকাত-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় যানবাহনের চালকেরা একযোগে হর্ন বাজাতে শুরু করেন। এই শব্দে মহাসড়কের আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় বিভিন্ন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আরও লোকজন জমা করা হয়। এরপর লাঠি হাতে রাতভর মহাসড়কে যানবাহন পাহারা দেন স্থানীয়রা।

সুমন মিয়া নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর থেকে আমরা মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকায় আটকা পড়ি। রাত গভীর হলে ডাকাত দল হানা দেয়। এ সময় আমাদের হর্নের শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদের রক্ষা করেন। রাতভর স্থানীয় যুবকেরা লাঠি নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা দেন।’

চট্টগ্রামমুখী শিশু খাদ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম বলেন, ‘দুই দিন ধরে সড়কে কয়েক হাজার গাড়ি আটকা রয়েছে। কবে ছুটতে পারব জানি না।’ তিনি বলেন, ‘খাবারের কোনো সংকট নাই। সড়কের পাশে একদল যুবক আমাদের নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করে যাচ্ছেন।’

ফেনীর লালপোল থেকে ফিরে আসা যুবক সাকিব মিয়াজী বলেন, ‘লালপোলে মহাসড়কের ওপর দিয়ে হাঁটুপানি। পানির স্রোত সোনাগাজীর দিকে যাচ্ছে।’

এদিকে ফেনীর প্রত্যন্ত এলাকায়ও ত্রাণসহায়তা পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তীব্র স্রোতের কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্র বলেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘লালপোল এলাকা দিয়ে মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে স্রোত বইছে। এ কারণে যানবাহন চলতে পারছে না।

নোয়াখালীতে উন্নতি, লক্ষ্মীপুরে অবনতি
নোয়াখালীতে সেনবাগ বাদে সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় গতকাল বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে সেনবাগের তিনটি ইউনিয়নে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষ পানিবন্দী। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বানভাসি মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী অনেক সংগঠন। তবে এই জেলায়ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে ত্রাণসহায়তা পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে সোনাইমুড়ীতে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় ব্যাপক খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নলকূপগুলোর পানি অনেকে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ছাড়া বা বিশুদ্ধ না করে পান করতে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা স্বীকার করেন, সময়মতো মানুষের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছাতে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে।

সুবর্ণচরের কাজল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী হোসনেআরা বেগম বলেন, ‘শুধু পানি আর পানি। ৩০ বছরে এমন পানি দেখি নাই। উঠানে কোমরপানি। ঘরেও পানি। খাটের ওপর চটের বস্তা দিয়ে চুলা রেখে কোনোমতে রান্না চলছে। আশপাশের সবার একই অবস্থা। ঘরে টাকা নাই, বাজারও দূরে। কীভাবে সংসার চলবে জানি না। পানি না কমলে কাল থেকে না খেয়ে থাকতে হবে। নদীপারের মানুষের কী অবস্থা, আল্লাহ জানে।’

এদিকে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, নোয়াখালীর বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা শুকনো খাবার, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৬৫-৭০ টাকার মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডার ১৪৫০-১৫৫০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। এসব বিষয়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক কাউসার মিঞা বলেন, তাঁরা কাজ করছেন। তবে বন্যার কারণে বাজারে যাওয়া যাচ্ছে না।

লক্ষ্মীপুরে শুক্রবারের চেয়ে বন্যার পানি আরও ২-৩ ফুট বেড়েছে। ৫টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও উপকূলের ৪০টি এলাকায় পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ। শুক্রবার বিকেল থেকে জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণসহায়তা নিয়ে এগিয়ে এলেও তা অপ্রতুল। বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগবালাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়ায়ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

চট্টগ্রামে কমলেও পার্বত্যে পানি বাড়ছে
দুদিন পর চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলা থেকে পানি সরেছে। এখানে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন বিদ্যুতায়িত হয়ে এবং একজন আতঙ্কে মারা গেছেন। চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফটিকছড়ি। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও পুকুর, ডুবেছে ফসলের মাঠ। মুরগি ও গবাদিপশুর খামারগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। তলিয়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ি। এমনকি ঝুলন্ত সেতুটিও ডুবেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধটির ১৬টি স্পিলওয়ের গেট আজ সকালে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি অপসারিত হবে বাঁধ থেকে। এ ছাড়া বর্তমানে ৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি অপসারণ করা হচ্ছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রুষা চাকমা (১১) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বন্যার পানিতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দীঘিনালায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া বন্যার্ত ৩০০ মানুষের মধ্যে গতকাল শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

পানি কমছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকা কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় পানি কমছে। তবে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। হবিগঞ্জের সব কটি নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার নিচে নেমেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ব্যালটের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এসপিরা

  • দেশের নবজন্মে ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন এসপিরা: প্রধান উপদেষ্টা
  • সবাইকে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহিত করতে আইজিপির পরামর্শ।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১: ০৫
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ তেজগাঁওয়ে তাঁর কার্যালয়ে জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন। ছবি: পিআইডি

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।

বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’

এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’

অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’

পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিএনপির আপত্তি তোলা দুই অধ্যাদেশে উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।

সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’

বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।

পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।

কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।

আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জিয়া পরিবারের আর কেউ ভিভিআইপি সুবিধা পাবে না: রিজওয়ানা হাসান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫২
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।  ফাইল ছবি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। ফাইল ছবি

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পোস্টাল ভোট গণনায় সংশোধনী ও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ অনুমোদন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।

এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।

উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত