Ajker Patrika

বিচ্ছিন্ন মানুষ পাচ্ছে না ত্রাণ

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৪, ০১: ৩৮
বিচ্ছিন্ন মানুষ পাচ্ছে না ত্রাণ

‘পরিবার নিয়ে সড়কের ওপরে আছি। ঘরবাড়ি সব শেষ। অনেকে ত্রাণ নিয়ে আসে, ত্রাণ পাচ্ছি। কিন্তু এলাকার ভেতরে আমার বোন-ভাগনিরা আছে। তাদের কাছে কেউই যায় না ত্রাণ দিতে।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙায় সড়কে আশ্রয় নেওয়া বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা মতিন মিয়া।

মতিন মিয়ার মতো অনেকে অভিযোগ করেছেন, প্রত্যন্ত এলাকার অনেক পানিবন্দী মানুষের কাছেই গতকাল পর্যন্ত কোনো সহায়তা পৌঁছায়নি; বিশেষ করে ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, নৌকার সংকটে ত্রাণ দিতে আসা লোকজন প্রত্যন্ত এলাকায় যেতে পারছেন না। সড়কের পাশে যাদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের মধ্যেই বারবার ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে ফেনী ও নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও লক্ষ্মীপুরে অবনতি ঘটেছে। কুমিল্লায় গোমতীর পর এবার ভেঙেছে সালদা নদীর বাঁধ। এদিকে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। এই অবস্থায় কাপ্তাইয়ে জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৬টি স্পিলওয়ের গেট ৬ ইঞ্চি করে আজ সকালে খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। সিলেট অঞ্চলেও ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। পানি কমছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে।

কুমিল্লায় ভেঙেছে আরেক বাঁধ
কুমিল্লায় গত দুদিনে বৃষ্টি হয়নি। তবে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে গোমতীর পানি বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। গোমতীর ভাঙনে পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগব্যবস্থাও। এদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার দৌলতপুরে শুক্রবার রাতে পানির চাপে ভেঙেছে সালদা নদীর বাঁধ। এতে আরও ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর আগে বুড়িচংয়ের বুড়বুড়িয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ভাঙে গোমতীর বাঁধ। সব মিলিয়ে পুরো কুমিল্লায় এখন ১০ লাখের মতো মানুষ পানিবন্দী। বিদ্যুৎ না থাকায় ও খাদ্যসংকটে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেক স্থানে নেই মোবাইল নেটওয়ার্কও।

পানিবন্দী এসব মানুষের কাছে ত্রাণসহায়তা দিতে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিপর্যায়ে অনেকে এগিয়ে এসেছেন। কিন্তু নৌকা কিংবা স্পিডবোট না থাকায় সেই ত্রাণ পৌঁছাচ্ছে না প্রত্যন্ত এলাকায়। এই অবস্থায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটছে অনেক পরিবারের। ব্রাহ্মণপাড়ার বাগড়া এলাকার বাসিন্দা মুসলেম মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকায় সালদা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। সবাই বাঁধ ভাঙা দেখতে আসে, কোনো সহযোহিতা করে না। অসহায় অবস্থায় আছি।’

বুড়িচংয়ে ত্রাণ দিতে আসা কুমিল্লার একটি ক্লাবের সদস্য মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘গ্রামের ভেতরে অনেক লোক আটকা আছে। নৌকা না থাকায় অনেকে সেখানে যেতে পারছেন না। আমরা চেষ্টা করছি। সবাইকে অনুরোধ করব কষ্ট করে হলেও গ্রামের ভেতরের মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য।’

বুড়িচং উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক বাবু বলেন, নৌকার সংকটের কারণে ত্রাণ দিতে আসা মানুষ ভেতরে যেতে পারছে না। সড়কের পাশে একই জায়গায় বারবার ত্রাণ দিয়ে চলে যাচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবেদ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের সরকারি ত্রাণ কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। বুড়িচংয়ের অবস্থান এমন জায়গায়, সেখানে সহজে নৌকা আনা-নেওয়া কঠিন। তারপরও আমরা নৌকা আনার চেষ্টা করছি।’ এ ছাড়া সেনাবাহিনী, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের লোকজন মাঠে কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

মাঝরাতে সড়কে ডাকাতির চেষ্টা
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেনীর লালপোল এলাকায় তীব্র স্রোতের কারণে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামের মিরসরাই পর্যন্ত আটকা পড়েছে কয়েক হাজার যানবাহন। নষ্ট হচ্ছে কাঁচা পণ্য। সময়মতো বন্দরের পৌঁছাতে পারছে না রপ্তানি পণ্য।

এর মধ্যেই কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে শুক্রবার রাতে যানবাহনগুলোয় ডাকাত-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় যানবাহনের চালকেরা একযোগে হর্ন বাজাতে শুরু করেন। এই শব্দে মহাসড়কের আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। পরে স্থানীয় বিভিন্ন মাইকে ঘোষণা দিয়ে আরও লোকজন জমা করা হয়। এরপর লাঠি হাতে রাতভর মহাসড়কে যানবাহন পাহারা দেন স্থানীয়রা।

সুমন মিয়া নামের এক ট্রাকচালক বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর থেকে আমরা মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা এলাকায় আটকা পড়ি। রাত গভীর হলে ডাকাত দল হানা দেয়। এ সময় আমাদের হর্নের শব্দ শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদের রক্ষা করেন। রাতভর স্থানীয় যুবকেরা লাঠি নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা দেন।’

চট্টগ্রামমুখী শিশু খাদ্যবাহী ট্রাকচালক শাহ আলম বলেন, ‘দুই দিন ধরে সড়কে কয়েক হাজার গাড়ি আটকা রয়েছে। কবে ছুটতে পারব জানি না।’ তিনি বলেন, ‘খাবারের কোনো সংকট নাই। সড়কের পাশে একদল যুবক আমাদের নিয়মিত খাদ্য সরবরাহ করে যাচ্ছেন।’

ফেনীর লালপোল থেকে ফিরে আসা যুবক সাকিব মিয়াজী বলেন, ‘লালপোলে মহাসড়কের ওপর দিয়ে হাঁটুপানি। পানির স্রোত সোনাগাজীর দিকে যাচ্ছে।’

এদিকে ফেনীর প্রত্যন্ত এলাকায়ও ত্রাণসহায়তা পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তীব্র স্রোতের কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্র বলেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, ‘লালপোল এলাকা দিয়ে মহাসড়কের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে স্রোত বইছে। এ কারণে যানবাহন চলতে পারছে না।

নোয়াখালীতে উন্নতি, লক্ষ্মীপুরে অবনতি
নোয়াখালীতে সেনবাগ বাদে সদর, কবিরহাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুবর্ণচর, বেগমগঞ্জ, চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় গতকাল বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে সেনবাগের তিনটি ইউনিয়নে পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। এই জেলায় প্রায় ২১ লাখ মানুষ পানিবন্দী। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বানভাসি মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী অনেক সংগঠন। তবে এই জেলায়ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কাছে ত্রাণসহায়তা পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল দুপুরে সোনাইমুড়ীতে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় ব্যাপক খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। নলকূপগুলোর পানি অনেকে বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ছাড়া বা বিশুদ্ধ না করে পান করতে বাধ্য হচ্ছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা স্বীকার করেন, সময়মতো মানুষের কাছে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছাতে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে।

সুবর্ণচরের কাজল মার্কেট এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী হোসনেআরা বেগম বলেন, ‘শুধু পানি আর পানি। ৩০ বছরে এমন পানি দেখি নাই। উঠানে কোমরপানি। ঘরেও পানি। খাটের ওপর চটের বস্তা দিয়ে চুলা রেখে কোনোমতে রান্না চলছে। আশপাশের সবার একই অবস্থা। ঘরে টাকা নাই, বাজারও দূরে। কীভাবে সংসার চলবে জানি না। পানি না কমলে কাল থেকে না খেয়ে থাকতে হবে। নদীপারের মানুষের কী অবস্থা, আল্লাহ জানে।’

এদিকে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, নোয়াখালীর বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা শুকনো খাবার, গ্যাস সিলিন্ডারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৬৫-৭০ টাকার মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকায়। প্রতিটি গ্যাস সিলিন্ডার ১৪৫০-১৫৫০ টাকার পরিবর্তে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকা হচ্ছে। এসব বিষয়ে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা জেলা প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক কাউসার মিঞা বলেন, তাঁরা কাজ করছেন। তবে বন্যার কারণে বাজারে যাওয়া যাচ্ছে না।

লক্ষ্মীপুরে শুক্রবারের চেয়ে বন্যার পানি আরও ২-৩ ফুট বেড়েছে। ৫টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও উপকূলের ৪০টি এলাকায় পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ। শুক্রবার বিকেল থেকে জেলার অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠন ত্রাণসহায়তা নিয়ে এগিয়ে এলেও তা অপ্রতুল। বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত নানা রোগবালাই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, আখাউড়ায়ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

চট্টগ্রামে কমলেও পার্বত্যে পানি বাড়ছে
দুদিন পর চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলা থেকে পানি সরেছে। এখানে গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্যায় পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন বিদ্যুতায়িত হয়ে এবং একজন আতঙ্কে মারা গেছেন। চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফটিকছড়ি। ভেসে গেছে মাছের ঘের ও পুকুর, ডুবেছে ফসলের মাঠ। মুরগি ও গবাদিপশুর খামারগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই। তলিয়ে গেছে শত শত ঘরবাড়ি। এমনকি ঝুলন্ত সেতুটিও ডুবেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের বাঁধটির ১৬টি স্পিলওয়ের গেট আজ সকালে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি অপসারিত হবে বাঁধ থেকে। এ ছাড়া বর্তমানে ৫টি বিদ্যুৎ উৎপাদন ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি অপসারণ করা হচ্ছে। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় রুষা চাকমা (১১) নামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বন্যার পানিতে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দীঘিনালায় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া বন্যার্ত ৩০০ মানুষের মধ্যে গতকাল শুকনো খাবার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

পানি কমছে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে
মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির ধীরগতিতে উন্নতি হচ্ছে। বন্যাকবলিত এলাকা কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় পানি কমছে। তবে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। হবিগঞ্জের সব কটি নদ-নদীর পানিও বিপৎসীমার নিচে নেমেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যত বড় অপরাধীই হোক, পিটিয়ে মারা গ্রহণযোগ্য নয়: ধর্ম উপদেষ্টা

রংপুর প্রতিনিধি
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোমবার রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাশকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘যত বড় অপরাধীই হোক, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

আজ সোমবার সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের জেলা কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন ধর্ম উপদেষ্টা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসান, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার, প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাসসহ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মকর্তারা।

ময়মনসিংহে দিপু হত্যাকাণ্ড এবং রাজবাড়ীর পাংশায় সংঘটিত পৃথক ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘ময়মনসিংহে দিপু হত্যার ঘটনায় আমরা প্রথম দিন থেকেই দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমরা কোনো দিন চাই না এই কিলিং আউটসাইড দি জুডিশিয়ারি—ইট ইজ নট অ্যাক্সেপ্টেবল টু আস। ইন এনি সারকামস্ট্যান্স উই কান্ট অ্যালাও মব জাস্টিস। তাহলে তো দেশ থাকবে না, সরকার থাকবে না, অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থাকবে না; আইন যদি আমি করি, বিচার যদি আমি করি।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেউ যদি ধর্ম অবমাননা করে থাকে—করতে পারে, ফেসবুক ওপেন প্ল্যাটফর্ম, করে—তার জন্য আমাদের তো নির্ধারিত আইন আছে। সরকার আছে, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিজ আছে, জাস্টিস আছে, তার বিচার হবে যদি সে করে থাকে। কিন্তু এটার একটা অজুহাত তুলে কোনো মানুষকে পিটিয়ে মারা এবং তাকে পুড়িয়ে ফেলা—এটা জঘন্যতম কাজ। এটার নিন্দা জানাই।’

দিপু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আমাদের গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে আমাদের মাননীয় শিল্প উপদেষ্টাকে দিপুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। এই মানুষটাও দরিদ্র। তো ক্যাবিনেটেও আমরা এটা আলোচনা করেছি—দিপুর পরিবারের সমস্ত খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।’

রাজবাড়ীর পাংশার ঘটনায় সাম্প্রদায়িক কোনো যোগ নেই উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে তিনি ঘটনাটির প্রকৃত চিত্র জানতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি অমিত নামে পরিচিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ডাকাতির সময় গুলি ছোড়ার ঘটনায় স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।’

তবে এ প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা পিটিয়ে মারার সংস্কৃতি থেকে সরে আসতে চাই। যত বড় অপরাধী হোক, আমাদের তো আইন আছে, ল মাস্ট টেক ইটস ওউন কোর্স। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সে ডাকাত হলেও তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না থাকলে, এভাবে হলে তো আপনারে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনকে পিটিয়ে মারবে, আরেকজনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেবে। এই যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া অথবা পিটিয়ে মারা—আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা রুল অব ল, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’

আগুন দেওয়া, পিটিয়ে হত্যা—এই সহিংস সংস্কৃতি পরিহার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই সরকারের লক্ষ্য বলে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে নমিনেশন পেপার সাবমিটের লাস্ট ডেট। জাতি একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা, উৎসবমুখর পরিবেশে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যারাই ম্যান্ডেট পেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসবেন, আমরা তাদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় ফিরে যাব। এটা আমাদের কমিটমেন্ট। আমরা এভাবে এগোচ্ছি এবং ইলেকশন মাস্ট বি হেল্ড ফেয়ার, ফ্রি, ইমপারশিয়াল অ্যান্ড ইনক্লুসিভ হবে। এটাই আমরা সমস্ত রিটার্নিং অফিসারদের, ল এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি যারা আছেন তাদের আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

আজ ‎সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‎

এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কুয়াশায় গাড়ি চালানো নিরাপদ করতে বিআরটিএর নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।

বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—

১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।

২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।

৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‎সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসীরা যেন পালাতে না পারে, সতর্ক থাকার নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

‎সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ‎

আজ ‎সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ‎

বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন ‎স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’

বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

‎স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’

একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

‎‎চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি। ‎

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।

‎‎অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এনসিপির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করলেন মওলানা ভাসানীর নাতি

আজকের রাশিফল: অন্যের নামে সঙ্গীকে ডেকে হুলুস্থুল বাধাবেন, হঠাৎ অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা

‘জেবু’কে নিয়ে মানুষের কৌতূহল দেখে অবাক জাইমা, দীর্ঘ পোস্টে লিখলেন অনুভূতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত