
ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের চলতি মাসের এই ঘটনা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলাগুলোর একটি।
গ্রামের বাসিন্দা স্বপ্না ঘোষ বলেন, ‘আমরা নিরাপদ বোধ করছি না।’ মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঘোষ (৫৫) জানান, আক্রমণকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে মন্দিরের টিনের চাল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলে। নইলে মন্দিরটা ছাই হয়ে যেত।’
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে হিন্দুরা প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের দিনগুলোতে হিন্দুদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব হামলার অনেকগুলোই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে। অর্থাৎ, এসব হিন্দুদের কেউ কেউ শেখ হাসিনার শাসনকে সমর্থন করেছে বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ইসলামি কট্টরপন্থীরা মুসলিম সুফি মাজারগুলোর ওপরও চালিয়েছে।
রতন ঘোষ বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষ বা গ্রামের কেউ—ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে—এমন সাম্প্রদায়িক হামলা কখনো দেখেনি। এই ঘটনাগুলো সম্প্রীতি এবং বিশ্বাস ভেঙে দেয়।’
এর আগে, ৫ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ভারতে চলে যান। সেখানে তাঁকে তাঁর পুরোনো মিত্র—বিশেষ করে দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার—আতিথ্য দিচ্ছে। এই বিষয়টি বাংলাদেশিদের ক্ষুব্ধ করেছে। বাংলাদেশিরা চায়, শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
অধিকারকর্মী আবু আহমেদ ফাইজুল কবির বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ নতুন কিছু নয় এবং এসব সহিংসতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া উচিত। হাসিনার আমলে হিন্দুরা তাঁর শাসনের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিল। এর অর্থ হলো—তার বিরোধীরা তাদের পক্ষপাতদুষ্ট অনুগত হিসেবে দেখেছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত এক দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে, এমন একটি বছরও পাবেন না যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়নি।’
চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আইন ও সালিস কেন্দ্র হিন্দুদের লক্ষ্য করে ১১৮টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ ৬৩টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় দুজন নিহতও হয়েছেন। গত নভেম্বর মাসে সাতটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
তবে চলতি বছরের ১১ মাসে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর ২২টি হামলা এবং ৪৩টি ভাঙচুরের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৪ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় একজন নিহত, ২ নারী ধর্ষিত, ২৫৫ জন আহত এবং ২৪৭টি মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে সাতজন নিহত হয়।
চন্দন সাহা (৫৯) নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পরিস্থিতি হয়তো আগের চেয়ে খারাপ হয়নি, কিন্তু কোনো অগ্রগতিও হয়নি। রাজনৈতিক শাসকেরা বারবার সংখ্যালঘুদের দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
শেখ হাসিনার পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থার বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ করেছে। ঢাকা এ মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশ বিরোধী ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারণা’ চালানোর অভিযানের অভিযোগ করেছে। তবে ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ধর্মীয় সম্প্রীতির জায়গা আগের তুলনায় নড়বড়ে হয়ে গেছে। নভেম্বরে হিন্দু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট অশান্তি এই নড়বড়ে আবহাওয়ার পালে আরও জোরে হাওয়া দিয়েছে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হন।
এদিকে, শেখ হাসিনার আমলে দমন-পীড়নের শিকার হওয়া বাংলাদেশি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। মুসলিম সুফি ও মরমি বাউল সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও—যাদের ইসলামি কট্টরপন্থীরা অপছন্দ করে—হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করা সৈয়দ তারিক নামে একজন বলেন, ‘ধ্বংসযজ্ঞের একটি ঢেউ বয়ে চলছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন এটি যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ দেশ প্রতিষ্ঠা করতে যেখানে সব ধর্ম সহাবস্থান করবে, রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়মিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশের হিন্দু আইনজীবীদের সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুমন রায় বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দলগুলো একক ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা আমাদের সব সময় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, হিন্দুরা অতীতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়ের আমলেই হুমকির মুখে পড়েছে।
সুমন রায় বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করলে হুমকি পেয়েছি, আর বিএনপি আমাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ নেওয়ার জন্য দোষারোপ করেছে। এই চক্রটি শেষ হওয়া দরকার।’

ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসক শেখ হাসিনার পতনের চলতি মাসের এই ঘটনা দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের স্থাপনা লক্ষ্য করে চালানো হামলাগুলোর একটি।
গ্রামের বাসিন্দা স্বপ্না ঘোষ বলেন, ‘আমরা নিরাপদ বোধ করছি না।’ মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঘোষ (৫৫) জানান, আক্রমণকারীরা সিসিটিভি ক্যামেরা এড়িয়ে মন্দিরের টিনের চাল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে আগুন দেখতে পেয়ে দ্রুত তা নিভিয়ে ফেলে। নইলে মন্দিরটা ছাই হয়ে যেত।’
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে হিন্দুরা প্রায় ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরের দিনগুলোতে হিন্দুদের ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব হামলার অনেকগুলোই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে। অর্থাৎ, এসব হিন্দুদের কেউ কেউ শেখ হাসিনার শাসনকে সমর্থন করেছে বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ইসলামি কট্টরপন্থীরা মুসলিম সুফি মাজারগুলোর ওপরও চালিয়েছে।
রতন ঘোষ বলেন, ‘আমার পূর্বপুরুষ বা গ্রামের কেউ—ধর্মবিশ্বাস নির্বিশেষে—এমন সাম্প্রদায়িক হামলা কখনো দেখেনি। এই ঘটনাগুলো সম্প্রীতি এবং বিশ্বাস ভেঙে দেয়।’
এর আগে, ৫ আগস্ট ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা ভারতে চলে যান। সেখানে তাঁকে তাঁর পুরোনো মিত্র—বিশেষ করে দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার—আতিথ্য দিচ্ছে। এই বিষয়টি বাংলাদেশিদের ক্ষুব্ধ করেছে। বাংলাদেশিরা চায়, শেখ হাসিনাকে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
অধিকারকর্মী আবু আহমেদ ফাইজুল কবির বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে আক্রমণ নতুন কিছু নয় এবং এসব সহিংসতার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নেওয়া উচিত। হাসিনার আমলে হিন্দুরা তাঁর শাসনের কাছে সুরক্ষা চেয়েছিল। এর অর্থ হলো—তার বিরোধীরা তাদের পক্ষপাতদুষ্ট অনুগত হিসেবে দেখেছে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গত এক দশকের তথ্য বিশ্লেষণ করলে, এমন একটি বছরও পাবেন না যেখানে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়নি।’
চলতি বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত আইন ও সালিস কেন্দ্র হিন্দুদের লক্ষ্য করে ১১৮টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে। আগস্ট মাসে সর্বোচ্চ ৬৩টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় দুজন নিহতও হয়েছেন। গত নভেম্বর মাসে সাতটি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
তবে চলতি বছরের ১১ মাসে যে পরিমাণ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর অর্থাৎ, ২০২৩ সালে সংখ্যালঘুদের ওপর ২২টি হামলা এবং ৪৩টি ভাঙচুরের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছিল। ২০১৪ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় একজন নিহত, ২ নারী ধর্ষিত, ২৫৫ জন আহত এবং ২৪৭টি মন্দিরে আক্রমণ চালানো হয়েছিল। ২০১৬ সালে সাতজন নিহত হয়।
চন্দন সাহা (৫৯) নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘পরিস্থিতি হয়তো আগের চেয়ে খারাপ হয়নি, কিন্তু কোনো অগ্রগতিও হয়নি। রাজনৈতিক শাসকেরা বারবার সংখ্যালঘুদের দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
শেখ হাসিনার পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের হিন্দুদের অবস্থার বিষয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগ করেছে। ঢাকা এ মাসে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাংলাদেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েনের আহ্বানের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশ বিরোধী ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারণা’ চালানোর অভিযানের অভিযোগ করেছে। তবে ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ধর্মীয় সম্প্রীতির জায়গা আগের তুলনায় নড়বড়ে হয়ে গেছে। নভেম্বরে হিন্দু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের কারণে সৃষ্ট অশান্তি এই নড়বড়ে আবহাওয়ার পালে আরও জোরে হাওয়া দিয়েছে। এই ঘটনায় রাষ্ট্রপক্ষের এক আইনজীবী নিহত হন।
এদিকে, শেখ হাসিনার আমলে দমন-পীড়নের শিকার হওয়া বাংলাদেশি ইসলামি গোষ্ঠীগুলোও মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে। মুসলিম সুফি ও মরমি বাউল সম্প্রদায়ের সদস্যদেরও—যাদের ইসলামি কট্টরপন্থীরা অপছন্দ করে—হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসব সহিংসতার ঘটনা নথিভুক্ত করা সৈয়দ তারিক নামে একজন বলেন, ‘ধ্বংসযজ্ঞের একটি ঢেউ বয়ে চলছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সমালোচকেরা বলছেন এটি যথেষ্ট নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ দেশ প্রতিষ্ঠা করতে যেখানে সব ধর্ম সহাবস্থান করবে, রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়মিত ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে।’
বাংলাদেশের হিন্দু আইনজীবীদের সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সুমন রায় বলেছেন, ‘সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক দলগুলো একক ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে। তারা আমাদের সব সময় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, হিন্দুরা অতীতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি উভয়ের আমলেই হুমকির মুখে পড়েছে।
সুমন রায় বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করলে হুমকি পেয়েছি, আর বিএনপি আমাদের আওয়ামী লীগের পক্ষ নেওয়ার জন্য দোষারোপ করেছে। এই চক্রটি শেষ হওয়া দরকার।’

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৩ মিনিট আগে
জানাজায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। ফলে আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না, তা জানা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে (এএইচসিআই) সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম আইভিএসি বা আইভ্যাকে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম আজ রোববার অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তবেই ভিসা সেন্টার পুনরায় খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে (এএইচসিআই) সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম আইভিএসি বা আইভ্যাকে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম আজ রোববার অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তবেই ভিসা সেন্টার পুনরায় খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে।

ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
জানাজায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। ফলে আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না, তা জানা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত বাংলাদেশি ছয় সেনা সদস্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সোয়া ৯টার পর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত ৬ শান্তিরক্ষী হলেন—নাটোরের বাসিন্দা করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের বাসিন্দা সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মণ্ডল, রাজবাড়ীর বাসিন্দা সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার বাসিন্দা লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
জানাজার আগে নিহত সেনাসদস্যদের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনানো হয়। পাশাপাশি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
জানাজায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার পর নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে ছয় সেনাসদস্যের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে তাঁদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হন। আহত হন আরও ৯ জন শান্তিরক্ষী। এরা হলেন—কুষ্টিয়ার বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের বাসিন্দা সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার বাসিন্দা করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার বাসিন্দা ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের বাসিন্দা সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের বাসিন্দা সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের বাসিন্দা সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর বাসিন্দা সৈনিক মো. মানাজির আহসান।
গতকাল শনিবার সকালে ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয়।

দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত বাংলাদেশি ছয় সেনা সদস্যের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সোয়া ৯টার পর ঢাকা সেনানিবাসের কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁদের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত ৬ শান্তিরক্ষী হলেন—নাটোরের বাসিন্দা করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের বাসিন্দা সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মণ্ডল, রাজবাড়ীর বাসিন্দা সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার বাসিন্দা লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
জানাজার আগে নিহত সেনাসদস্যদের জীবন বৃত্তান্ত পড়ে শোনানো হয়। পাশাপাশি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
জানাজায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নিহত শান্তিরক্ষীদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার পর নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহে রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে কফিনে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে ছয় সেনাসদস্যের মরদেহ হেলিকপ্টারে করে তাঁদের নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়।
গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হন। আহত হন আরও ৯ জন শান্তিরক্ষী। এরা হলেন—কুষ্টিয়ার বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের বাসিন্দা সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার বাসিন্দা করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার বাসিন্দা ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের বাসিন্দা সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের বাসিন্দা সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের বাসিন্দা সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর বাসিন্দা সৈনিক মো. মানাজির আহসান।
গতকাল শনিবার সকালে ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হয়।

ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৩ মিনিট আগে
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। ফলে আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না, তা জানা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১২ ঘণ্টা আগেমানবতাবিরোধী অপরাধ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই) গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের দিন নির্ধারণ রয়েছে আজ রোববার।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। ফলে আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না, তা জানা যাবে।
এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট আসামি ১৭ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এই মামলায় পলাতক অন্য আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম।
১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের হয়ে লড়েন তাবারক হোসেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান খানসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম, তিনজনের পক্ষে সুজাদ মিয়া ও শেখ হাসিনার হয়ে লড়েন আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
প্রত্যেকেই শুনানিতে আলাদা আলাদা কারণ (গ্রাউন্ড) এনে নিজেদের মক্কেলের অব্যাহতি চেয়েছেন। তবে প্রসিকিউশনের পক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
৩ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে টিএফআই সেলের বীভৎসতা তুলে ধরার পাশাপাশি গুমের অন্ধকার পেরিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এক নতুন বাংলাদেশ উদিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গুম হওয়া ব্যক্তিদের ভাগ্য দুভাবে নির্ধারণ হতো বলেও উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ভাগ্য ভালো হলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হতো। দ্বিতীয়ত সাত-আট বছর গুম রাখার পর ফেলে রাখা হতো অজানা কোনো স্থানে।
চলতি বছরের ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা ১০ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় তাঁদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন আদালত। ৮ অক্টোবর এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই) গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশের দিন নির্ধারণ রয়েছে আজ রোববার।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। ফলে আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না, তা জানা যাবে।
এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ মোট আসামি ১৭ জন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তা হলেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।
শেখ হাসিনা ছাড়াও এই মামলায় পলাতক অন্য আসামিরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম।
১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের হয়ে লড়েন তাবারক হোসেন। এ ছাড়া আসাদুজ্জামান খানসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম, তিনজনের পক্ষে সুজাদ মিয়া ও শেখ হাসিনার হয়ে লড়েন আইনজীবী মো. আমির হোসেন।
প্রত্যেকেই শুনানিতে আলাদা আলাদা কারণ (গ্রাউন্ড) এনে নিজেদের মক্কেলের অব্যাহতি চেয়েছেন। তবে প্রসিকিউশনের পক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আবেদন করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
৩ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের ওপর শুনানি শেষ করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে টিএফআই সেলের বীভৎসতা তুলে ধরার পাশাপাশি গুমের অন্ধকার পেরিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর পর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এক নতুন বাংলাদেশ উদিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। গুম হওয়া ব্যক্তিদের ভাগ্য দুভাবে নির্ধারণ হতো বলেও উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ভাগ্য ভালো হলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হতো। দ্বিতীয়ত সাত-আট বছর গুম রাখার পর ফেলে রাখা হতো অজানা কোনো স্থানে।
চলতি বছরের ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা ১০ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে নির্ধারিত তারিখে হাজির না হওয়ায় তাঁদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেন আদালত। ৮ অক্টোবর এই মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৭ জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৩ মিনিট আগে
জানাজায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চ
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। আততায়ীর হাতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হয়। অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁকে বিদায় জানান সতীর্থ, অনুসারী ও শুভানুধ্যায়ীরা। ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুরাগী ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। মিছিল-সমাবেশে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করতেন তিনি। কিন্তু ‘রণক্লান্ত’ হওয়ার আগেই ঘাতকের গুলিতে অকালে নিভে গেল তাঁর প্রাণপ্রদীপ। হাদির বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। প্রসঙ্গত, নজরুলপ্রীতির সূত্রে হাদির পরিবার চেয়েছিল তাঁর শেষ শয্যা হোক কবির সমাধির পাশে।
হাদির জানাজায় অংশ নিতে গতকাল বেলা ১১টার পর থেকেই মানুষ জড়ো হতে থাকেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনের মাঠে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংলগ্ন সংসদ ভবনের ১১ ও ১২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেন মানুষ। নিরাপত্তার জন্য ছিল দুই স্তরের তল্লাশি। নিরাপত্তার কারণে মাঠের চারপাশে দেওয়া হয়েছিল বাঁশের ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেডের সামনেই মরদেহ রাখা হয়েছিল।
জানাজার নির্ধারিত সময় বেলা ২টা হলেও দুপুর সাড়ে ১২টার পরই মাঠ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, প্রয়োজনে পেছনের মাঠে জানাজা পড়া যাবে। জানাজার মাঠ ছাড়িয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশের মূল সড়কেও ছিল মানুষের সারি। পরে পেছনের মাঠের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে অবস্থান নেন মানুষ। দেড়টার দিকে আসা লোকজন ভেতরে ঢুকতে না পেরে অবস্থান নেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। তবে জনারণ্য ছাড়িয়ে যায় খামারবাড়ির মোড় হয়ে বিজয় সরণির দিকেও। মাঠেই জোহরের নামাজ পড়েন অনেকে।
প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জানাজায় উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, মো. তৌহিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ফারুক ই আজম, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শেখ বশিরউদ্দীন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান প্রমুখ। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ দলগুলোর আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনও জানাজায় অংশ নেন। পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আল সিয়ামের সঙ্গে একাধিক কূটনীতিককে জানাজায় অংশ নিতে দেখা গেছে। আরও শরিক হয়েছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার, সম্প্রতি পদত্যাগকারী দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোটরসাইকেল আরোহী আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা ওঠানামা করছিল। বৃহস্পতিবার আরেক দফা অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যুবরণ করেন হাদি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আসে।
হাদির মরদেহ শুক্রবার রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। দাফনের আগে গতকাল সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
বক্তব্যে দ্রুত বিচারের দাবি
বেলা ২টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় উপস্থিত জনতার স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। হাদির জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন রাখা হয় মঞ্চে। এরপর জানাজায় অংশ নিতে উপস্থিত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হাদির জীবনী তুলে ধরেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ইনকিলাব মঞ্চর পক্ষ থেকে সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে হবে। যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এরপর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাদির অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
পরে জানাজা পড়ান শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজা শেষে হাদির কফিন নিয়ে সবাই রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে। বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ এলাকায় পৌঁছায় কফিন। তার অদূরেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণ। সেখানে হাদির কবরের বন্দোবস্ত আগেই করে রাখা হয়েছিল। সব প্রক্রিয়া শেষে সেই কবরে শায়িত করা হয় হাদিকে। পরে মোনাজাত করেন বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
দাফন শেষে ইনকিলাব মঞ্চ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। তাঁদের উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক এখানে থাকব। কিন্তু আপনাদের একটু রেস্ট (বিশ্রাম) দিতে চাই। আপনারা আজকের জন্য বাসায় যান। আগামীকাল বিকেল সোয়া ৫টার মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না আসে, আমরা আবার এখানে আসব। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছাড় দেব না।’
জাবেরের এ কথার পর অনেকেই শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান। সড়ক দিয়ে ধীরে কিছু কিছু গাড়ি চলতে শুরু করে। তবে অনেক নেতা-কর্মী শাহবাগে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন।

চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যদীপ্ত প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান বিন হাদি বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে চিরঘুমে শায়িত হয়েছেন। সামাজিক-রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইনকিলাব মঞ্চ’-এর মুখপাত্র হাদি আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ ও প্রথাগত রাজনীতির নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। আততায়ীর হাতে তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন তোলে।
গতকাল শনিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হয়। অশ্রুসিক্ত চোখে তাঁকে বিদায় জানান সতীর্থ, অনুসারী ও শুভানুধ্যায়ীরা। ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুরাগী ছিলেন শরিফ ওসমান হাদি। মিছিল-সমাবেশে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করতেন তিনি। কিন্তু ‘রণক্লান্ত’ হওয়ার আগেই ঘাতকের গুলিতে অকালে নিভে গেল তাঁর প্রাণপ্রদীপ। হাদির বয়স হয়েছিল ৩২ বছর। প্রসঙ্গত, নজরুলপ্রীতির সূত্রে হাদির পরিবার চেয়েছিল তাঁর শেষ শয্যা হোক কবির সমাধির পাশে।
হাদির জানাজায় অংশ নিতে গতকাল বেলা ১১টার পর থেকেই মানুষ জড়ো হতে থাকেন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার সামনের মাঠে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংলগ্ন সংসদ ভবনের ১১ ও ১২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করেন মানুষ। নিরাপত্তার জন্য ছিল দুই স্তরের তল্লাশি। নিরাপত্তার কারণে মাঠের চারপাশে দেওয়া হয়েছিল বাঁশের ব্যারিকেড। এই ব্যারিকেডের সামনেই মরদেহ রাখা হয়েছিল।
জানাজার নির্ধারিত সময় বেলা ২টা হলেও দুপুর সাড়ে ১২টার পরই মাঠ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় মাইকে ঘোষণা করা হয়, প্রয়োজনে পেছনের মাঠে জানাজা পড়া যাবে। জানাজার মাঠ ছাড়িয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশের মূল সড়কেও ছিল মানুষের সারি। পরে পেছনের মাঠের অধিকাংশ জায়গাজুড়ে অবস্থান নেন মানুষ। দেড়টার দিকে আসা লোকজন ভেতরে ঢুকতে না পেরে অবস্থান নেন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। তবে জনারণ্য ছাড়িয়ে যায় খামারবাড়ির মোড় হয়ে বিজয় সরণির দিকেও। মাঠেই জোহরের নামাজ পড়েন অনেকে।
প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জানাজায় উপস্থিত উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, মো. তৌহিদ হোসেন, আদিলুর রহমান খান, আলী ইমাম মজুমদার, ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, ফারুক ই আজম, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শেখ বশিরউদ্দীন, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ সহকারী অধ্যাপক আলী রীয়াজ, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান প্রমুখ। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে জানাজায় অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ দলগুলোর আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনও জানাজায় অংশ নেন। পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আল সিয়ামের সঙ্গে একাধিক কূটনীতিককে জানাজায় অংশ নিতে দেখা গেছে। আরও শরিক হয়েছিলেন রাষ্ট্রচিন্তক ও কবি ফরহাদ মজহার, সম্প্রতি পদত্যাগকারী দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
জানাজায় আরও অংশ নেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদসহ কয়েকজন ছাত্রনেতা।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মোটরসাইকেল আরোহী আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাঁকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা ওঠানামা করছিল। বৃহস্পতিবার আরেক দফা অস্ত্রোপচারের পর মৃত্যুবরণ করেন হাদি। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আসে।
হাদির মরদেহ শুক্রবার রাতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছিল। দাফনের আগে গতকাল সকালে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে তাঁর মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
বক্তব্যে দ্রুত বিচারের দাবি
বেলা ২টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় পৌঁছায়। এ সময় উপস্থিত জনতার স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। হাদির জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিন রাখা হয় মঞ্চে। এরপর জানাজায় অংশ নিতে উপস্থিত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় হাদির জীবনী তুলে ধরেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ইনকিলাব মঞ্চর পক্ষ থেকে সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা জানাতে হবে। যদি তাঁরা জানাতে না পারেন, তবে তাঁদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
এরপর বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। হাদির অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
পরে জানাজা পড়ান শরিফ ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজা শেষে হাদির কফিন নিয়ে সবাই রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে। বেলা ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ এলাকায় পৌঁছায় কফিন। তার অদূরেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি প্রাঙ্গণ। সেখানে হাদির কবরের বন্দোবস্ত আগেই করে রাখা হয়েছিল। সব প্রক্রিয়া শেষে সেই কবরে শায়িত করা হয় হাদিকে। পরে মোনাজাত করেন বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
দাফন শেষে ইনকিলাব মঞ্চ ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষ শাহবাগ মোড়ে জড়ো হন। তাঁদের উদ্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক এখানে থাকব। কিন্তু আপনাদের একটু রেস্ট (বিশ্রাম) দিতে চাই। আপনারা আজকের জন্য বাসায় যান। আগামীকাল বিকেল সোয়া ৫টার মধ্যে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কোনো জবাব না আসে, আমরা আবার এখানে আসব। অনেক ছাড় দিয়েছি, আর ছাড় দেব না।’
জাবেরের এ কথার পর অনেকেই শাহবাগ মোড় ছেড়ে যান। সড়ক দিয়ে ধীরে কিছু কিছু গাড়ি চলতে শুরু করে। তবে অনেক নেতা-কর্মী শাহবাগে অবস্থান করে স্লোগান দিতে থাকেন।

ঢাকার ঠিক বাইরে অবস্থিত একটি গ্রাম ধউর। গত ৭ ডিসেম্বর গ্রামের ৫০ বছরের পুরোনো লক্ষ্মী দেবীর মন্দিরে প্রবেশ করে প্রতিমাগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে রাজধানীর বাইরের এই ছোট মন্দিরটিতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পূজা-অর্চনা করে আসছেন হিন্দুরা। গত আগস্টে ছাত্র-জনতার...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদনকেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৩ মিনিট আগে
জানাজায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনসহ সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৬ মিনিট আগে
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেবেন। ফলে আসামিদের বিচার শুরু হবে কি না, তা জানা যাবে।
১ ঘণ্টা আগে