Ajker Patrika

ট্রাইব্যুনালে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জেড আই খান পান্না। ফাইল ছবি
জেড আই খান পান্না। ফাইল ছবি

ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ তলব করলে হাজির হয়ে শুনানির একপর্যায়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চান। সে সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শেখ হাসিনার পক্ষে আইনি লড়াই না চালানোর বিষয়টি অবহিত করেন।

গুম-নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আসামি হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। আজ বুধবার এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য ছিল। অন্যান্য আসামির আইনজীবীর উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, তিনি (পান্না) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, তাঁর মক্কেলের এই ট্রাইব্যুনালের প্রতি আস্থা নেই। এ সময় ট্রাইব্যুনাল রেজিস্ট্রারের কাছে দেওয়া চিঠি হাজির করতে নির্দেশ দেন।

ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আইন-টাইন জানেন না কিছু? তিনি তো নিয়োগপ্রাপ্ত। তাঁকে তো ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে। তাঁকে ফোন করেন এখনই আসতে। ফোনে না পাওয়া গেলে লোক পাঠান ডেকে আনতে।’

চিফ প্রসিকিউটর আবারও শুনানি শুরু করার ১০–১২ মিনিট পর হুইলচেয়ারে করে ট্রাইব্যুনালে হাজির হন জেড আই খান পান্না। ট্রাইব্যুনাল পান্নার সুস্থতার বিষয়ে জানতে চেয়ে বলেন, ‘আপনি শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ চেয়ে অনুমতি পেয়েছেন, কিন্তু আসেননি। আপনার অনুপস্থিতিতে শুনানি করতে হয়েছে। নিয়ম হচ্ছে, উপস্থিতিতে শুনানি করতে হয়।’ জবাবে পান্না বলেন, ‘আমি শারীরিকভাবে আনফিট। আমাকে মৌখিকভাবে অনুমতি দিয়েছিলেন। এ মামলায় না দাঁড়ানোর জন্য আমি রেজিস্ট্রারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি।’

ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি সিনিয়র আইনজীবী। মৌখিক কোনো বিষয় না। আপনি নিজেই আগ্রহ দেখিয়েছেন আইনজীবী হওয়ার জন্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আদেশ দিয়েছি। রেজিস্ট্রার তো এর অংশ না। আপনি না থাকতে চাইলে ট্রাইব্যুনালে এসে বলবেন। আপনি ভিডিওবার্তায় ট্রাইব্যুনাল নিয়ে মন্তব্য করেছেন। আপনি বলেছেন, আপনার ক্লায়েন্ট এই আদালত মানেন না। এ জন্য আপনি আসবেন না। এটা আপনি বলতে পারেন? আসামি আসবে না, আপনারাও আসবেন না। যাঁদের দেব, তাঁদের নিয়োগ নিয়ে কথা বলবেন। যাঁকে নিয়োগ দিয়েছিলাম, তিনিও তো সিনিয়র আইনজীবী।’

এরপর জেড আই খান পান্না বলেন, ‘আমি আনকনডিশনাল অ্যাপোলজি চাচ্ছি।’ ট্রাইব্যুনাল ফের জানতে চান, তিনি এ মামলায় লড়বেন কি না। জবাবে আইনজীবী পান্না বলেন, ‘না।’

ট্রাইব্যুনাল পান্নার উদ্দেশে বলেন, ‘আমরা আশা করব, আপনার কাছ থেকে সহায়তা পাব। আপনি এমন কিছু বলবেন না, যাতে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়।’

পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনকেই গুম-নির্যাতনের মামলায়ও নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ