Ajker Patrika

গণতন্ত্র আছে ও অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে এটিই বড় গুজব: নূরুল কবীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৯: ০৯
গণতন্ত্র আছে ও অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে এটিই বড় গুজব: নূরুল কবীর

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে বলে সরকার যে দাবি করছে, সেটাকেই সবচেয়ে বড় গুজব হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীর।

আজ শনিবার বেলা ২টায় ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘সংশয় ও চক্রান্ত: ভুল তথ্য ও গুজবের বিপদসমূহ’ শীর্ষক অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের প্রথম দিনে আজ ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। 

নূরুল কবীর বলেন, ‘ভুল তথ্য ও গুজব দুটি আলাদা বিষয়। ভুল তথ্য অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক না-ও হতে পারে। তবে গুজব পুরোটাই নেতিবাচক। তথ্য সব সময় তথ্য হিসেবেই থাকবে। যেটা সামাজিক, জাতীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন কিছুর মাধ্যমে পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে ভুল তথ্য সব সময় খারাপ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয় না। যেখানে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাব থাকতে পারে। ভুল হতেই পারে। সেটা বিপজ্জনক, তবে সব ক্ষেত্রে ক্ষতিকর নয়। তবে গুজব কোনোভাবেই ইতিবাচক নয়। যেটি তৈরি করা হয়, ছড়ানো হয়, একটা নির্দিষ্ট প্রোপাগান্ডা আকারে বিস্তার ঘটানো হয়।’ 

নূরুল কবীর বলেন, ‘যদি বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বলা হয়, তাহলে এই সময় সবচেয়ে বড় গুজব ছিল ইরাকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এটা কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবেই করা হয়েছিল এবং ছড়ানো হয়েছিল। যারা করেছিল তারা জানত এখানে ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা থাকবে। এটার ফলাফল সেখানে অনেক মানুষ মারা গেছে।’ 
 
দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি দেশের প্রেক্ষাপটে গুজবের কথা বলা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সরকার যেটি বলছে দেশে গণতন্ত্র আছে ও যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে—এটিই সবচেয়ে বড় গুজব। কারণ, বাংলাদেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সরকার আছে সেটি গণতান্ত্রিক সরকার নয়। কারণ, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের সঠিকভাবে নির্বাচন হয়নি। ভোটার তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেনি। যদি ভোটার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে না পারে ও সেখানে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন না হয়, তাহলে মানুষের কাছে সেটির কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। এটি গণতন্ত্র হতে পারে না। সে জন্য এটি গুজব।’ 
 
নিউ এজের সম্পাদক বলেন, ‘সরকার যে উন্নয়নের কথা বলছে, অর্থনৈতিকভাবে সেটিও একটি বড় গুজব। কারণ, আপনি বড় বড় অবকাঠামো দেখবেন, তবে যখন মধ্যরাতে যাবেন তখন দেখবেন সেখানে গৃহহীন মানুষেরা ঘুমিয়ে আছে। তাই অসম উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের ফলে অনেকে অপুষ্টিতে আছে, বাল্যবিবাহ হচ্ছে।’ 

এই অধিবেশনে জার্মানির জেনিথ ম্যাগাজিনের সম্পাদক লিও উইগার বলেন, ‘গুজব একটি ভয়ংকর জিনিস। আমরা সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া পরিচালিত গুজব দেখেছি।’ 

চায়নার ফুডান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুইহং চাই বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখন ভুল তথ্য ও গুজব প্রসারে একটি ভূমিকা পালন করছে।’ 

বেলা সাড়ে ১১টার অধিবেশনে নাগরিক সমাজ, এনজিও ও বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বলা হয়, স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর থেকে বিশ্বব্যাপী নাগরিক সমাজের বিস্তৃতির ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলো (এনজিও), সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন (সিএসও) এবং থিংক ট্যাংকগুলোর বিস্তার ঘটেছে, যা অরাষ্ট্রীয় অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আবির্ভূত হচ্ছে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের মানবিক, চিকিৎসা, শিক্ষামূলক এবং অন্যান্য ত্রাণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত। এই সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী সংঘাত পরিচালনা ও সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

অধিবেশনে আলোচনা করা হয় কীভাবে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিশ্ব সুশীল সমাজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে। 

এই অধিবেশনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা কোন নাগরিক সমাজের কথা বলছি। যে নাগরিক সমাজ বৈশ্বিক মানবতায় বিশ্বাস করে, গণতান্ত্রিক দায়িত্বে বিশ্বাস করে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি বিশ্বাস আছে—মূলত এই তিনটি বিষয় যার মধ্যে আছে তাদের নিয়ে। এমন আরও অনেক কিছু থাকতে পারে। তাহলে আমি বলব তারা এখন হুমকির মুখে আছে। গত এক বছরে বে অব বেঙ্গল অঞ্চল এবং ইউরোপ, আমেরিকার, ল্যাটিন আমেরিকায়—এসব নাগরিক সমাজের মানুষের এখন প্রস্থান ঘটেছে।’ 

তিনি বলেন, যখন গণতন্ত্র ও অন্যান্য ভারসাম্যের বিষয় আসে তখন এসব নাগরিক সমাজের মানুষেরা খুবই কম প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে। এটার কারণ তারা নিজেরা নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মূলত তারা কি সেটি করার অনুমতি পাচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়। যখন করোনা-পরবর্তী সময়ে এসব নাগরিক সমাজের সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল তখন দেখা গেল তাদের ভূমিকা খুবই সীমিত। সেই জায়গাটা কমে গেছে তাদের জন্য। 

এর আগের অধিবেশনে জি-২০-এর পরে দক্ষিণ অঞ্চলের উঠতি অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। 

সকাল সাড়ে ৯টায় গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে শুরু হয় বে অব বেঙ্গল সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্লাব মাদ্রিদের সদস্য মওসা মারা, সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান এবং সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অতিথিরা। 

জিল্লুর রহমান বলেন, বর্তমান সময় খুবই জটিল। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের কারণে দেশ বিভক্ত হচ্ছে। এটা খুবই ভয়ের যে শান্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনো আশা ও সুযোগ আছে। 

জিল্লুর রহমান আরও বলেন, গতবারের সম্মেলনে তাঁদের অনেক খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। নিজেদের সরকারই তাঁদের প্রশ্ন করেছে। তাই এবার সিজিএস সুযোগ নিয়েছে প্রমাণ করার জন্য। এটি বিশ্বের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। 

উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে মওসা মারা বলেন, পৃথিবীতে এখন জোটবদ্ধতা কমে যাচ্ছে। এর কারণে আন্তর্জাতিক সমস্যাগুলো সমাধানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিছু কিছু দেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে; যারা অন্য দেশগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এর মধ্যে অন্যতম চীন ও আমেরিকা। তারা নিজেদের মতো করে বিভিন্নভাবে অন্য দেশগুলোকে তাদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

মওসা মারা বলেন, এখন পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে গণতন্ত্র এটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বিভিন্ন সময় উত্তেজনার তৈরি হচ্ছে। মৌলবাদ ছড়িয়ে যাচ্ছে। 

মওসা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আরও একটি সমস্যার তৈরি করেছে। দুঃখের বিষয় এই যুদ্ধ শেষ হবে না। অন্যদিকে ইউরোপ নামে মহাদেশে কিছু দেশ আছে যারা ধনী, কিন্তু তারা একত্রিত নয়। বিভিন্নভাবে সমস্যা তৈরি করছে নিজেদের মধ্যে। 

সিজিএসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসেফিকের দেশগুলো যেসব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সেগুলো এই সম্মেলনে দৃষ্টিগোচর করা হবে। মূলত ভারতীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বিভিন্ন অধিবেশনে। 

আয়োজকদের তথ্যমতে, এটি সিজিএসের দ্বিতীয় সম্মেলন। এবারের সম্মেলনে দেশীয় রাজনৈতিক ও বিরোধী দলের কোনো বক্তা থাকবেন না। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। বিশ্বের ৭৫টি দেশের গবেষক, শিক্ষক, লেখক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন পেশার ২০০ জন গুরুত্বপূর্ণ বক্তা উপস্থিত থাকবেন। তিন দিনে সম্মেলনে ৫০টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আলোচ্য বিষয় ইন্দো-প্যাসেফিক ইস্যু ও ভূরাজনীতি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩: ১৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৫
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি’ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র গ্রহণ না করতে ব্যাংকের চিঠি

খালেদা জিয়াকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা

‘ক্ষমতার মোহে আল্লাহর আরশ কাঁপানোর মতো বেপরোয়া হলেন’

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত