তাসনিম মহসিন, ঢাকা

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এই সময়ে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলো এ সংকট সমাধানের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নতুন রূপ নেওয়ায় বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সেখানে মানবিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক সংকটও অনুমান করেছিল জাতিসংঘ। কারণ, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা আগে কখনোই এত সুযোগ-সুবিধা দেখেনি, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আসছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সেখানে প্রচুর অর্থ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলো। ফলে শুরুতে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাবার ও স্থান ভাগাভাগি করে নিলেও দিন দিন সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যা থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা শুরু করেছে জাতিসংঘ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আবারও কক্সবাজারে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে ১০ লাখ রোহিঙ্গার স্থান করে দেওয়ায় সেখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হতে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। শুরুতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দিতে চাপ ছিল। এখন আর সেই চাপ নেই। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে।
আমেনা মোহসিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। উল্টো চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট নিরসনে তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের উপস্থিতিতে কয়েকবার প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করলেও সেটি সফল হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়নি। আর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর আর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো ধরে রাখাকে বাংলাদেশের সফলতা বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যখন তৈরি হয় তখন সেখানে গণতন্ত্র ছিল। এখন সেখানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন দেরি করে দিচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা বেশ জোরে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা বিষয়টিতে বিব্রত। তবে আমরা তাদের উৎসাহ দিই এটি সমাধানে আরও ভালো কাজ করার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, দ্বিপক্ষীয় নয়। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে এ ক্ষেত্রে যা করেছে, এর থেকে বেশি কিছু করার ছিল না।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোকে বোঝাতে হবে। কারণ, মিয়ানমার স্থিতিশীল না হলে সেখানে দেশগুলোর বিনিয়োগও নিরাপদ নয়। আর মিয়ানমার স্থিতিশীল হওয়া শুরু করবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিসি এবং আইসিজেতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। এখান থেকে একটা রায় পাওয়া গেলে প্রত্যাবাসনে একটি গতি আসবে।’ এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তার মাধ্যমেও প্রত্যাবাসনে গতি আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে। এই সময়ে জাতিসংঘসহ শক্তিধর দেশগুলো এ সংকট সমাধানের তেমন কোনো উদ্যোগ নেয়নি বা মিয়ানমারের ওপর কোনো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ফলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পরিবর্তে দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট নতুন রূপ নেওয়ায় বাংলাদেশসহ এই অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যারা নিয়মিত কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায় নানা অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
রোহিঙ্গা সংকট শুরুর পর সেখানে মানবিক সংকটের পাশাপাশি সামাজিক সংকটও অনুমান করেছিল জাতিসংঘ। কারণ, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বাসিন্দারা আগে কখনোই এত সুযোগ-সুবিধা দেখেনি, যা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য আসছে। রোহিঙ্গারা আসার পর সেখানে প্রচুর অর্থ ও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলো। ফলে শুরুতে স্থানীয় লোকজন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে খাবার ও স্থান ভাগাভাগি করে নিলেও দিন দিন সেখানকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যা থেকে স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বেশ কিছু সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে সেখানে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য অর্থ বরাদ্দ করা শুরু করেছে জাতিসংঘ।
এ ছাড়া ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গারা। দেশের বেশ কিছু স্থান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে আবারও কক্সবাজারে ক্যাম্পে ফেরত পাঠিয়েছে। আর সেই সঙ্গে রোহিঙ্গারা অবৈধ উপায়ে বাংলাদেশি পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়াতে ১০ লাখ রোহিঙ্গার স্থান করে দেওয়ায় সেখানকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে, যা পূরণ হতে কয়েক দশক লেগে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন।
এরই মধ্যে বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছেই। শুরুতে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী মর্যাদা দিতে চাপ ছিল। এখন আর সেই চাপ নেই। তবে জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশন অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ রয়েছে।
এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে।
আমেনা মোহসিন, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
বাংলাদেশের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়লেও এ বিষয়ে মিয়ানমারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারেনি জাতিসংঘ ও বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। উল্টো চীন ও রাশিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পক্ষ নিয়েছে।
২০১৭ সালে রোহিঙ্গা সংকট তৈরি হওয়ার পর দ্বিপক্ষীয়ভাবে সংকট নিরসনে তড়িঘড়ি করে প্রত্যাবাসন-সংক্রান্ত ত্রুটিপূর্ণ চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তি অনুযায়ী চীনের উপস্থিতিতে কয়েকবার প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করলেও সেটি সফল হয়নি। এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়নি। আর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে নেয়। এরপর আর মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকি চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকটিতেও সাড়া দেয়নি মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এখনো ধরে রাখাকে বাংলাদেশের সফলতা বলে মনে করছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা যখন তৈরি হয় তখন সেখানে গণতন্ত্র ছিল। এখন সেখানে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রত্যাবাসন দেরি করে দিচ্ছে। আমরা অপেক্ষা করব।’
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের ব্যর্থতার কথা বেশ জোরে বললেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তারা বিষয়টিতে বিব্রত। তবে আমরা তাদের উৎসাহ দিই এটি সমাধানে আরও ভালো কাজ করার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আমেনা মোহসিন মনে করেন, সমস্যাটি আন্তর্জাতিক, দ্বিপক্ষীয় নয়। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে চীন, রাশিয়া ও ভারতের অবস্থান প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমারের বর্তমান অবস্থা তো রয়েছে। বাংলাদেশ শুরুতে এ ক্ষেত্রে যা করেছে, এর থেকে বেশি কিছু করার ছিল না।’
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার কথা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের চীন, জাপান, রাশিয়া ও ভারতের মতো দেশগুলোকে বোঝাতে হবে। কারণ, মিয়ানমার স্থিতিশীল না হলে সেখানে দেশগুলোর বিনিয়োগও নিরাপদ নয়। আর মিয়ানমার স্থিতিশীল হওয়া শুরু করবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের মধ্য দিয়ে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিসি এবং আইসিজেতে এ বিষয়ে মামলা চলছে। এখান থেকে একটা রায় পাওয়া গেলে প্রত্যাবাসনে একটি গতি আসবে।’ এ ছাড়াও আরও বিভিন্ন উপাদান রয়েছে তার মাধ্যমেও প্রত্যাবাসনে গতি আসতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৪ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘গতকাল থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য আমার মনটা খুব বিষণ্ন হয়ে আছে। অনেক বছর ধরে তিনি আমার অন্যতম রাজনৈতিক আদর্শ। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি কতটা কষ্ট সহ্য করেছেন। কীভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক নিজের সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের মতো।’
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে আজ বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন শেষে ফেসবুকে রাত ৮টার দিকে শফিকুল আলম এই পোস্ট দেন।
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার জন্য তাঁরা দুজনেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁরা খুব কমই মেজাজ হারাতেন। অহংকার তাঁদের ছুঁতে পারতো না বললেই চলে। কঠিন সময়ে তাঁরা অত্যন্ত যত্ন এবং সংযমের সাথে জনগণকে পথ দেখিয়েছেন।’
বিএনপির মহাসচিবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে শফিকুল আলম আরও লেখেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন আর সেই চেনা মহাসচিব নেই, যিনি একসময় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়াতেন। খালেদা জিয়া যখন তাঁকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, তখন তিনি বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতা ছিলেন এবং তাঁর সেন্টার-লেফট আদর্শিক ঝোঁকের জন্য পরিচিত ছিলেন। তবুও সংকটের মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে দক্ষ কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত ও অটল রেখেছিলেন। কিন্তু জুলাই মাস যখন এলো, তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায় ছিলেন এবং মির্জা ফখরুল নিজেও তাঁর শরীরের শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এ এক যুগের অবসান।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘গতকাল থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য আমার মনটা খুব বিষণ্ন হয়ে আছে। অনেক বছর ধরে তিনি আমার অন্যতম রাজনৈতিক আদর্শ। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি কতটা কষ্ট সহ্য করেছেন। কীভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক নিজের সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের মতো।’
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে আজ বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন শেষে ফেসবুকে রাত ৮টার দিকে শফিকুল আলম এই পোস্ট দেন।
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার জন্য তাঁরা দুজনেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁরা খুব কমই মেজাজ হারাতেন। অহংকার তাঁদের ছুঁতে পারতো না বললেই চলে। কঠিন সময়ে তাঁরা অত্যন্ত যত্ন এবং সংযমের সাথে জনগণকে পথ দেখিয়েছেন।’
বিএনপির মহাসচিবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে শফিকুল আলম আরও লেখেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন আর সেই চেনা মহাসচিব নেই, যিনি একসময় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়াতেন। খালেদা জিয়া যখন তাঁকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, তখন তিনি বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতা ছিলেন এবং তাঁর সেন্টার-লেফট আদর্শিক ঝোঁকের জন্য পরিচিত ছিলেন। তবুও সংকটের মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে দক্ষ কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত ও অটল রেখেছিলেন। কিন্তু জুলাই মাস যখন এলো, তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায় ছিলেন এবং মির্জা ফখরুল নিজেও তাঁর শরীরের শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এ এক যুগের অবসান।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৪ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৪ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে কেউ কোনো আশার আলো দেখাতে পারছে না। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে গত চার বছরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে।
২৬ আগস্ট ২০২১
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৪ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে