নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ ও নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। টিআইবি বলেছে, আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সংসদ সদস্যদের অনেকের দলটির নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিশেষ করে আইনি সীমার বাইরে মোট বাড়তি আট শ একরের বেশি জমি বিধিবহির্ভূতভাবে মালিকানাধীন রয়েছে। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি বলছে, অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের সদস্যের প্রায় ৮৫ শতাংশই কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। এক শ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন সংসদ সদস্য সংখ্যা ১৫। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের অস্থাবর সম্পদের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। সবশেষ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গড় অস্থাবর সম্পদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় সর্বশেষ ২০২৪ সালে বৃদ্ধির হারও প্রায় একই (৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ)। আবার, বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন এমন ১১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫২ শতাংশ সংসদ সদস্য।
নতুন সংসদ সদস্যদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী, যা সবশেষ চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ। নবম জাতীয় সংসদে ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দশম জাতীয় সংসদে ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে ৬১ শতাংশ সংসদ সদস্যই ছিলেন ব্যবসায়ী। অন্যদিকে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ছিল ১৮ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের আইন (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট, ২০২৩) একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষিজমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অকৃষিজমিসহ যা ১০০ বিঘা পর্যন্ত যেতে পারে) বেঁধে দিলেও আইনি সীমার বাইরে জমি আছে ১৩ জন সংসদ সদস্যের কাছে। সম্মিলিতভাবে এই ১৩ জন সংসদ সদস্যের আইনি সীমার বাইরে বাড়তি জমি রয়েছে ৮০০ একর (৩ বিঘায় ১ একর বিবেচনায়)। সংসদ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক, হলফনামায় তাঁর প্রদর্শিত জমির পরিমাণ ৩৮০ দশমিক ৭৫ একর।
বিধিবহির্ভূতভাবে অর্জিত এই সম্পদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ২০২৪ নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত অঙ্গীকারের যথার্থতার দৃষ্টান্ত হিসেবে সংসদ সদস্যদের অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে, আইনি সীমার বাইরে মোট বাড়তি ৮০০ একরের বেশি জমি বিধিবহির্ভূতভাবে সংসদ সদস্যদের অনেকের মালিকানাধীন রয়েছে, তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানাই আমরা।’

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ ও নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। টিআইবি বলেছে, আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের সংসদ সদস্যদের অনেকের দলটির নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিশেষ করে আইনি সীমার বাইরে মোট বাড়তি আট শ একরের বেশি জমি বিধিবহির্ভূতভাবে মালিকানাধীন রয়েছে। সেগুলো বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
হলফনামা বিশ্লেষণ করে টিআইবি বলছে, অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে দ্বাদশ সংসদের সদস্যের প্রায় ৮৫ শতাংশই কোটিপতি (অস্থাবর সম্পদ মূল্যের ভিত্তিতে)। এক শ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে এমন সংসদ সদস্য সংখ্যা ১৫। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের অস্থাবর সম্পদের সম্মিলিত মূল্য প্রায় ২২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। সবশেষ চারটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গড় অস্থাবর সম্পদের তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, দশম সংসদের তুলনায় একাদশ সংসদের সম্পদ বেড়েছে ৭৫ শতাংশের বেশি। ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় সর্বশেষ ২০২৪ সালে বৃদ্ধির হারও প্রায় একই (৭০ দশমিক ৪১ শতাংশ)। আবার, বছরে এক কোটি বা তার বেশি টাকা আয় করেন এমন ১১২ জন সংসদ সদস্য রয়েছেন এবারের সংসদে, যা পুরো সংসদের প্রায় ৩৮ শতাংশ। আর ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা আয় করেন ৫২ শতাংশ সংসদ সদস্য।
নতুন সংসদ সদস্যদের ৬৫ শতাংশই ব্যবসায়ী, যা সবশেষ চারটি সংসদের মধ্যে সর্বোচ্চ। নবম জাতীয় সংসদে ৫৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ, দশম জাতীয় সংসদে ৫৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং একাদশ জাতীয় সংসদে ৬১ শতাংশ সংসদ সদস্যই ছিলেন ব্যবসায়ী। অন্যদিকে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ব্যবসায়ীর হার ছিল ১৮ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের আইন (ল্যান্ড রিফর্ম অ্যাক্ট, ২০২৩) একজন ব্যক্তির ভূমির মালিকানার সর্বোচ্চ সীমা (কৃষিজমির ক্ষেত্রে ৬০ বিঘা এবং অকৃষিজমিসহ যা ১০০ বিঘা পর্যন্ত যেতে পারে) বেঁধে দিলেও আইনি সীমার বাইরে জমি আছে ১৩ জন সংসদ সদস্যের কাছে। সম্মিলিতভাবে এই ১৩ জন সংসদ সদস্যের আইনি সীমার বাইরে বাড়তি জমি রয়েছে ৮০০ একর (৩ বিঘায় ১ একর বিবেচনায়)। সংসদ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমির মালিক, হলফনামায় তাঁর প্রদর্শিত জমির পরিমাণ ৩৮০ দশমিক ৭৫ একর।
বিধিবহির্ভূতভাবে অর্জিত এই সম্পদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের ২০২৪ নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত অঙ্গীকারের যথার্থতার দৃষ্টান্ত হিসেবে সংসদ সদস্যদের অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে, আইনি সীমার বাইরে মোট বাড়তি ৮০০ একরের বেশি জমি বিধিবহির্ভূতভাবে সংসদ সদস্যদের অনেকের মালিকানাধীন রয়েছে, তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করে ভূমিহীনদের মাঝে বিতরণের আহ্বান জানাই আমরা।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৯ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’
ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ ও নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
১১ জানুয়ারি ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত হবে।
আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইনে যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক বা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে। ভোটার নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বিষয়টি আগামীকাল কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।
সচিব আরও জানান, তাঁরা ঢাকা-১৭ আসনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছেন।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘উনারা আগেই অনলাইনে ফরম পূরণ করেছেন। এখন আমাদের কাছে এসে শুধু বায়োমেট্রিক দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।’
ডিজি এনআইডি বলেন, ‘সব তথ্য আপলোড করার পর সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্ভারে সার্চ করে দেখবে যে সেটা কারও সঙ্গে ম্যাচ করে কি না। ম্যাচ না করলে ৫ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এনআইডি নম্বর জেনারেট হবে। যেহেতু এখন ভোটার হওয়ার জন্য চাপ কম। তাই আশা করি, এটি দ্রুতই হয়ে যাবে।’

শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মা ডা. জুবাইদা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন জাইমা রহমান। সেখান থেকে তাঁরা বের হয়ে যান পৌনে ১টার দিকে। পরে বেলা ১টার দিকে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে আসেন তারেক রহমান। কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১টা ২০ মিনিটের দিকে ইটিআই ভবন ত্যাগ করেন তিনি।
ইসি সূত্র জানায়, দেশে প্রথমবার ২০০৭-০৮ সালে যখন ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হয়; তারেক রহমান জেল, হাসপাতাল ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ায় সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারেননি। তবে ছবিসহ ভোটার তালিকা করার আগে তিনি দেশের ভোটার ছিলেন। ২০০৬ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বগুড়া-৭ আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্রও তুলে ছিলেন। ছবিসহ তালিকা প্রকাশের পর আগের সব ভোটার তালিকা বাতিল করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন তারেক রহমান।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সপরিবার দেশে ফেরেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপি থেকে আগেই জানানো হয়েছিল, ২৭ ডিসেম্বর ভোটার হবেন তারেক রহমান। ইতিমধ্যে তারেক রহমানকে দলটির পক্ষ থেকে বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ ও নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
১১ জানুয়ারি ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৯ মিনিট আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।
পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।
কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’
কী কারণে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।
তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।
রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’
প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।
সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ ও নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
১১ জানুয়ারি ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৯ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
১ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
৪ ঘণ্টা আগেপ্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’
বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।
বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিশ্লেষণ ও নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের কারও অবৈধ আয় ও সম্পদ থাকলে তা যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় বাজেয়াপ্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
১১ জানুয়ারি ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
৯ মিনিট আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান নির্বাচন কমিশনে (ইসি) গিয়ে ভোটার হওয়ার নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চূড়ান্ত
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে