Ajker Patrika

দলগুলো আন্তরিক হলে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলতে পারে: ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০৩
দলগুলো আন্তরিক হলে কাঙ্ক্ষিত 
ফল মিলতে পারে: ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করার মাধ্যমে আমরা একটি ঐতিহাসিক এবং সাংবিধানিক যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংবিধানিক যাত্রায় যে একটি টেকটোনিক পরিবর্তন এসেছে, তার স্বীকৃতি রয়েছে এই আদেশে। এখন আমাদের সামনে একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ রয়েছে, যা জুলাই সনদের সংস্কার বাস্তবায়নের পথ দেখাবে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।

রাজনৈতিক দলগুলো যদি অর্থবহ সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতিতে আন্তরিক হয়, তাহলে এই আদেশ কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের পথ হতে পারে। যদি আদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত গণভোটের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে আমরা বৃহৎ আকারের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের আশা করতেই পারি। এ সংস্কারগুলো ক্ষমতার বৃহত্তর প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য আনবে এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করবে বলে আশা করি।

জুলাই বিপ্লবের ফলে প্রকাশিত জনগণের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই আদেশটি জারি করা হয়েছে। এই আদেশটি যে আইনসংগত এবং বৈধ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিছু আইন বিশেষজ্ঞ ১৯৭২ সালের সংবিধানের টেক্সট থেকে ক্ষমতার উৎস খুঁজছেন। এটি একটি বড় ভুল। ১৯৭২-এর সংবিধানের টেক্সটের বাইরেও যে সাংবিধানিক প্রথা এবং বিধিবিধান বিদ্যমান, তা আমলে নিতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অন্তর্বর্তী সরকারের পরামর্শে জারি করা হয়েছে। অতএব, এই আদেশটি আইনসংগত এবং বৈধ।

যদি এই আদেশের অধীনে গণভোট এবং নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করতে বাধ্য থাকবে। এই পরিষদের ক্ষমতার উৎসই হবে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের বিধানাবলি। আদেশ দ্বারা সৃষ্টি হওয়ায় পরিষদকে আদেশের শর্তাবলি মেনে চলতে হবে।

তবে আমি মনে করি না, সংবিধান সংস্কার পরিষদকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সংস্কারগুলো কার্যকর করতে বাধ্য করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া সম্ভব হবে। তা সত্ত্বেও, যদি গণভোটের ফলাফল ইতিবাচক হয়, তাহলে পরিষদ অবশ্যই সনদ সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য একটি নৈতিক এবং রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে থাকবে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ একটি আইনি দলিল, যা জনগণের সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগে প্রণীত হয়েছে, ফলে এটি আইনগতভাবে বাধ্যকর একটি দলিল হিসেবে বিবেচিত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা—জনসংখ্যার তীব্র সংকটে ইউক্রেন

বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

ভোটের মাঠে: টাঙ্গাইলে নির্বাচনী উত্তাপ

গোপালগঞ্জে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ছাত্রীর আত্মহত্যা

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রওনা হবে শুক্রবার দুপুরে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ