সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

কর্মী, শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের জন্য বিদেশের ভিসা পাওয়া দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসগুলোয় জমা হওয়া ভিসার অধিকাংশ আবেদন নাকচ হচ্ছে। এ ছাড়া আগে সাধারণত সহজে ও দ্রুত পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত এমন কিছু দেশেও এ ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে। বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা সামনের দিনগুলোয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভিসার আবেদন নাকচ হওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও দূতাবাসের কড়াকড়ির কথা বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তব কারণ ভিন্ন। অধিকাংশ দেশের ভিসা না পাওয়া এবং ভিসা নবায়ন না হওয়ার জন্য আবেদনকারীরা নিজেরাই দায়ী। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য ভারত একটি বিশেষ ব্যতিক্রম। দেশটি গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া অন্যদের ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তা এখনো বহাল আছে।
ঢাকায় বিদেশি কয়েকটি দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাস ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাজার হাজার নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দেশে অবৈধভাবে থেকে যাওয়ার প্রবণতা সাধারণভাবে অন্যদের ভিসা পাওয়ার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া জাল কাগজপত্র জমা দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না দেওয়া এবং মারাত্মক ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে ভিসা আবেদন নাকচ হয়। এর বাইরে দূতাবাসে ভিসা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে না পারা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে না জড়ানো এবং ভিসার মেয়াদ শেষে ফিরে আসার নিশ্চয়তা না দিতে পারার কারণেও ভিসা আবেদন নাকচ হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, নেতিবাচক এই দিকগুলো আগেও ছিল, তবে এখন অনেক বেড়ে গেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল ১৬৫টি দেশে তাদের ৩ হাজার ৯৩৬টি অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ভিসার আবেদন গ্রহণের কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ২০টি এবং ভারতে ৮০টি দূতাবাসের হয়ে ভিসাপ্রার্থীদের সেবা দেয়। বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে গত বুধবার ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ ও ভারতীয় কার্যক্রমের প্রধান সান্ত্বনা ভট্টাচার্যের কথা হয়।
সান্ত্বনা ভট্টাচার্য জানান, দূতাবাসগুলো আবেদন বিবেচনার পর খামে ভরে পাসপোর্ট ফেরত দেয় বলে ঠিক কত ভিসার আবেদন নাকচ হয়, তা বলা কঠিন। তবে তাঁর অনুমান, বিভিন্ন কারণে অন্তত ৬০ ভাগ আবেদন নাকচ হয়। ভিএফএস ২০২৪ সালে বাংলাদেশে বিভিন্ন দূতাবাসের হয়ে প্রায় ১২ লাখ ভিসার আবেদন প্রসেস করেছে বলে জানান সান্ত্বনা।
ভিএফএসের স্থানীয় প্রধান বলেন, করোনা সংক্রমণের সময় ভিসা ইস্যু কমে যাওয়ার পর মাঝখানে কিছুটা বেড়েছিল। এখন বিভিন্ন কারণে ভিসা পাওয়া আবার কমছে।
কী কী কারণে ভিসার আবেদন নাকচ হয়, এমন প্রশ্নে সান্ত্বনা ভট্টাচার্য বলেন, ভিসাপ্রার্থীদের একটি বড় অংশ আবেদনের প্রক্রিয়া নিজে সম্পন্ন করেন না। অর্থের বিনিময়ে আবেদন করতে গিয়ে বিভিন্ন পেশাদার এজেন্টের সহায়তা নেন। অসাধু এজেন্টরা টাকা নিয়ে ভিসাপ্রার্থীদের জানিয়ে বা না জানিয়ে আবেদনপত্র নিজেদের ইচ্ছেমতো পূরণ করেন। নিজেরাই কাগজপত্র তৈরি করে দেন। দূতাবাসগুলো যাচাই করে অনেক আবেদনকারীর কাগজপত্র জাল ও তথ্যে ভুল দেখতে পায়।
ইংরেজি-প্রধান দেশে কাজ করতে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবে, এমন অনেক ভিসাপ্রার্থী সাক্ষাৎকারে সাধারণ ইংরেজিতেও কথা বলতে পারেন না। এমনকি, কিছু আবেদনকারী দোভাষীর কাছে বাংলাতেও নিজের তথ্য জানাতে বা প্রশ্নের জবাব ঠিকমতো দিতে পারে না।
ভিএফএস প্রধান আরও জানান, বিদেশে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে অনেক নারী লম্বা সময়ের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ চান। কিন্তু সাক্ষাৎকারে ভিসা অফিসার জানতে চাইলে অনেক আবেদনকারী স্বামীর নামও বলতে পারেন না। এতে ভিসা অফিসারের সন্দেহ হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে হয়তো বৈধভাবে অবস্থানরত কাউকে স্বামী হিসেবে দেখিয়ে ভিসা চাওয়া হয়েছে। এর পেছনে মানব পাচারের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে যে শুধু ঢাকায় কথা হচ্ছে, তা নয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বিদেশ সফরের সময় অনেক দেশ এ বিষয়গুলো তুলেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশটির একজন মন্ত্রী ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জাল কাগজপত্র পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরব আমিরাত বহুদিন বন্ধ রাখার পর গত ৮ মার্চ আবার বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া শুরু করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে গত ১০ মে থেকে আবার ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
গত জুনে আমিরাত সরকারের একজন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সুহাইল সায়িদ আল খালিল ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার দিকগুলো আবার তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকীর কাছে। লুৎফে সিদ্দিকী গত ১৭ জুন এক পোস্টে বলেন, আমিরাতে ভিসা ও অবস্থানের নিয়মকানুন ভাঙার ২৫ শতাংশের বেশি ঘটনা ঘটিয়ে থাকে বাংলাদেশিরা। অথচ সরকারি হিসাবে আমিরাতে কাজসহ বিভিন্ন কারণে থাকা বিদেশিদের মাত্র আট শতাংশ বাংলাদেশের নাগরিক।
একজন কূটনীতিক বলেন, শিক্ষাগত, বৈবাহিক ও অন্যান্য কাগজপত্র সত্যায়নের বিষয়গুলো অনলাইনে যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ এপোস্টিল কনভেনশনে যুক্ত হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে চালুর মাস তিনেকের মধ্যেই এপোস্টিলের নকল বারকোডসহ কাগজপত্র আমিরাতে ধরা পড়েছে। আমিরাত শুধু নারী কর্মীদের ভিসা দেওয়া চালু রাখার সময় নারীর নাম দিয়ে পুরুষ প্রার্থীর ভিসা চাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।
বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মিশনগুলো ভিসার আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি থাকলে আগে তুলনামূলকভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত। এখন এমন চিঠি থাকার পরও সম্প্রতি উচ্চপদস্থ কয়েক কর্মকর্তার ভিসার আবেদন নাকচ হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি একাধিক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, প্রত্যেকের ভিসা আবেদন খুঁটিয়ে দেখা হয়। আবেদনকারীকে বিস্তৃত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসবিরোধী ডেটাবেইসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার কাজ। আবেদনকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী ধরনের পোস্ট দেন তা-ও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে।
জার্মানি যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসার সাক্ষাৎকারের জন্য সময় পেতেই এখন দেড় থেকে দুই বছর লেগে যাচ্ছে।
ভিসার ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ির সুযোগ নিতে তৎপর রয়েছে দালালচক্র। এই চক্রের অনেকেই সহজে ভিসার মিথ্যা নিশ্চয়তা দিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচারণা চালায়। বহু ভিসাপ্রার্থী তাদের ফাঁদে পা দেন।
ভিসা আবেদনপত্র তৈরির ক্ষেত্রে অন্যের ওপর নির্ভরতা এড়িয়ে চলার তাগিদ দিয়ে ভারত, সুইডেন ও ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দূতাবাস বলছে, আবেদনের সঙ্গে দেওয়া কাগজপত্রের পুরো দায়দায়িত্ব আবেদনকারীর। নিরাপদ থাকতে হলে আবেদনপত্রের ওপর ভিসাপ্রার্থীর নিজের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার।
অতি সম্প্রতি উগ্রপন্থা ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৫ বাংলাদেশি আটক হওয়ার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
দেশের একজন কূটনীতিক বলেছেন, ঘটনাস্থল মালয়েশিয়ায় হলেও অন্য দেশগুলোও বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। জঙ্গিবাদসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের ভিসা পাওয়া আরও কঠিন হতে পারে।
নাগরিকদের বিদেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভিসা দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের সার্বভৌম এখতিয়ার। এ ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কিছু করার নেই। তারপরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দূতাবাসগুলোকে নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়ে থাকে।
ভিএফএস গ্লোবাল কর্মকর্তা সান্ত্বনা ভট্টাচার্য মনে করেন, ভিসা পাওয়ার ভোগান্তি এড়াতে লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। ভারতে প্রবাসী ভারতীয় কল্যাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমন সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও উচিত সচেতনতা তৈরির জন্য জোরালো কর্মসূচি নেওয়া।

কর্মী, শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের জন্য বিদেশের ভিসা পাওয়া দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসগুলোয় জমা হওয়া ভিসার অধিকাংশ আবেদন নাকচ হচ্ছে। এ ছাড়া আগে সাধারণত সহজে ও দ্রুত পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত এমন কিছু দেশেও এ ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে। বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা সামনের দিনগুলোয় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভিসার আবেদন নাকচ হওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণভাবে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার ও দূতাবাসের কড়াকড়ির কথা বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তব কারণ ভিন্ন। অধিকাংশ দেশের ভিসা না পাওয়া এবং ভিসা নবায়ন না হওয়ার জন্য আবেদনকারীরা নিজেরাই দায়ী। এর মধ্যে বাংলাদেশিদের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্য ভারত একটি বিশেষ ব্যতিক্রম। দেশটি গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর গুরুতর অসুস্থ রোগী ছাড়া অন্যদের ভিসার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তা এখনো বহাল আছে।
ঢাকায় বিদেশি কয়েকটি দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাস ও বেসরকারি পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের হাজার হাজার নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট দেশে অবৈধভাবে থেকে যাওয়ার প্রবণতা সাধারণভাবে অন্যদের ভিসা পাওয়ার জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। এ ছাড়া জাল কাগজপত্র জমা দেওয়া, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না দেওয়া এবং মারাত্মক ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে ভিসা আবেদন নাকচ হয়। এর বাইরে দূতাবাসে ভিসা কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে না পারা, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে না জড়ানো এবং ভিসার মেয়াদ শেষে ফিরে আসার নিশ্চয়তা না দিতে পারার কারণেও ভিসা আবেদন নাকচ হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, নেতিবাচক এই দিকগুলো আগেও ছিল, তবে এখন অনেক বেড়ে গেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিএফএস গ্লোবাল ১৬৫টি দেশে তাদের ৩ হাজার ৯৩৬টি অফিসের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ভিসার আবেদন গ্রহণের কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ২০টি এবং ভারতে ৮০টি দূতাবাসের হয়ে ভিসাপ্রার্থীদের সেবা দেয়। বাংলাদেশিদের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার বিষয় নিয়ে আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে গত বুধবার ভিএফএস গ্লোবালের বাংলাদেশ ও ভারতীয় কার্যক্রমের প্রধান সান্ত্বনা ভট্টাচার্যের কথা হয়।
সান্ত্বনা ভট্টাচার্য জানান, দূতাবাসগুলো আবেদন বিবেচনার পর খামে ভরে পাসপোর্ট ফেরত দেয় বলে ঠিক কত ভিসার আবেদন নাকচ হয়, তা বলা কঠিন। তবে তাঁর অনুমান, বিভিন্ন কারণে অন্তত ৬০ ভাগ আবেদন নাকচ হয়। ভিএফএস ২০২৪ সালে বাংলাদেশে বিভিন্ন দূতাবাসের হয়ে প্রায় ১২ লাখ ভিসার আবেদন প্রসেস করেছে বলে জানান সান্ত্বনা।
ভিএফএসের স্থানীয় প্রধান বলেন, করোনা সংক্রমণের সময় ভিসা ইস্যু কমে যাওয়ার পর মাঝখানে কিছুটা বেড়েছিল। এখন বিভিন্ন কারণে ভিসা পাওয়া আবার কমছে।
কী কী কারণে ভিসার আবেদন নাকচ হয়, এমন প্রশ্নে সান্ত্বনা ভট্টাচার্য বলেন, ভিসাপ্রার্থীদের একটি বড় অংশ আবেদনের প্রক্রিয়া নিজে সম্পন্ন করেন না। অর্থের বিনিময়ে আবেদন করতে গিয়ে বিভিন্ন পেশাদার এজেন্টের সহায়তা নেন। অসাধু এজেন্টরা টাকা নিয়ে ভিসাপ্রার্থীদের জানিয়ে বা না জানিয়ে আবেদনপত্র নিজেদের ইচ্ছেমতো পূরণ করেন। নিজেরাই কাগজপত্র তৈরি করে দেন। দূতাবাসগুলো যাচাই করে অনেক আবেদনকারীর কাগজপত্র জাল ও তথ্যে ভুল দেখতে পায়।
ইংরেজি-প্রধান দেশে কাজ করতে অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবে, এমন অনেক ভিসাপ্রার্থী সাক্ষাৎকারে সাধারণ ইংরেজিতেও কথা বলতে পারেন না। এমনকি, কিছু আবেদনকারী দোভাষীর কাছে বাংলাতেও নিজের তথ্য জানাতে বা প্রশ্নের জবাব ঠিকমতো দিতে পারে না।
ভিএফএস প্রধান আরও জানান, বিদেশে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে অনেক নারী লম্বা সময়ের জন্য ‘ফ্যামিলি ভিসা’ চান। কিন্তু সাক্ষাৎকারে ভিসা অফিসার জানতে চাইলে অনেক আবেদনকারী স্বামীর নামও বলতে পারেন না। এতে ভিসা অফিসারের সন্দেহ হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে হয়তো বৈধভাবে অবস্থানরত কাউকে স্বামী হিসেবে দেখিয়ে ভিসা চাওয়া হয়েছে। এর পেছনে মানব পাচারের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে যে শুধু ঢাকায় কথা হচ্ছে, তা নয়। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের কর্তাব্যক্তিদের বিদেশ সফরের সময় অনেক দেশ এ বিষয়গুলো তুলেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের সময় প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশটির একজন মন্ত্রী ভিসার আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জাল কাগজপত্র পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।
আরব আমিরাত বহুদিন বন্ধ রাখার পর গত ৮ মার্চ আবার বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া শুরু করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে গত ১০ মে থেকে আবার ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে।
গত জুনে আমিরাত সরকারের একজন কর্মকর্তা মেজর জেনারেল সুহাইল সায়িদ আল খালিল ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধার দিকগুলো আবার তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ সহকারী লুৎফে সিদ্দিকীর কাছে। লুৎফে সিদ্দিকী গত ১৭ জুন এক পোস্টে বলেন, আমিরাতে ভিসা ও অবস্থানের নিয়মকানুন ভাঙার ২৫ শতাংশের বেশি ঘটনা ঘটিয়ে থাকে বাংলাদেশিরা। অথচ সরকারি হিসাবে আমিরাতে কাজসহ বিভিন্ন কারণে থাকা বিদেশিদের মাত্র আট শতাংশ বাংলাদেশের নাগরিক।
একজন কূটনীতিক বলেন, শিক্ষাগত, বৈবাহিক ও অন্যান্য কাগজপত্র সত্যায়নের বিষয়গুলো অনলাইনে যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ এপোস্টিল কনভেনশনে যুক্ত হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে চালুর মাস তিনেকের মধ্যেই এপোস্টিলের নকল বারকোডসহ কাগজপত্র আমিরাতে ধরা পড়েছে। আমিরাত শুধু নারী কর্মীদের ভিসা দেওয়া চালু রাখার সময় নারীর নাম দিয়ে পুরুষ প্রার্থীর ভিসা চাওয়ার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে।
বিদ্যমান বাস্তবতার আলোকে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মিশনগুলো ভিসার আবেদন যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি বাড়িয়েছে। সরকারি সফরের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি থাকলে আগে তুলনামূলকভাবে সহজে ভিসা পাওয়া যেত। এখন এমন চিঠি থাকার পরও সম্প্রতি উচ্চপদস্থ কয়েক কর্মকর্তার ভিসার আবেদন নাকচ হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি একাধিক ফেসবুক পোস্টে বলেছে, প্রত্যেকের ভিসা আবেদন খুঁটিয়ে দেখা হয়। আবেদনকারীকে বিস্তৃত নিরাপত্তা যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও সন্ত্রাসবিরোধী ডেটাবেইসের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার কাজ। আবেদনকারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী ধরনের পোস্ট দেন তা-ও খতিয়ে দেখার কথা বলা হয়েছে।
জার্মানি যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ভিসার সাক্ষাৎকারের জন্য সময় পেতেই এখন দেড় থেকে দুই বছর লেগে যাচ্ছে।
ভিসার ক্ষেত্রে ব্যাপক কড়াকড়ির সুযোগ নিতে তৎপর রয়েছে দালালচক্র। এই চক্রের অনেকেই সহজে ভিসার মিথ্যা নিশ্চয়তা দিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রচারণা চালায়। বহু ভিসাপ্রার্থী তাদের ফাঁদে পা দেন।
ভিসা আবেদনপত্র তৈরির ক্ষেত্রে অন্যের ওপর নির্ভরতা এড়িয়ে চলার তাগিদ দিয়ে ভারত, সুইডেন ও ডেনমার্কসহ বিভিন্ন দূতাবাস বলছে, আবেদনের সঙ্গে দেওয়া কাগজপত্রের পুরো দায়দায়িত্ব আবেদনকারীর। নিরাপদ থাকতে হলে আবেদনপত্রের ওপর ভিসাপ্রার্থীর নিজের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকা দরকার।
অতি সম্প্রতি উগ্রপন্থা ও জঙ্গিসংশ্লিষ্টতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৫ বাংলাদেশি আটক হওয়ার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
দেশের একজন কূটনীতিক বলেছেন, ঘটনাস্থল মালয়েশিয়ায় হলেও অন্য দেশগুলোও বিষয়টির ওপর নজর রাখছে। জঙ্গিবাদসংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের ভিসা পাওয়া আরও কঠিন হতে পারে।
নাগরিকদের বিদেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভিসা দেওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দেশের সার্বভৌম এখতিয়ার। এ ক্ষেত্রে সরকারের তেমন কিছু করার নেই। তারপরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দূতাবাসগুলোকে নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়ে থাকে।
ভিএফএস গ্লোবাল কর্মকর্তা সান্ত্বনা ভট্টাচার্য মনে করেন, ভিসা পাওয়ার ভোগান্তি এড়াতে লোকজনের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। ভারতে প্রবাসী ভারতীয় কল্যাণ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এমন সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারেরও উচিত সচেতনতা তৈরির জন্য জোরালো কর্মসূচি নেওয়া।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

কর্মী, শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের জন্য বিদেশের ভিসা পাওয়া দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসগুলোয় জমা হওয়া ভিসার অধিকাংশ আবেদন নাকচ হচ্ছে। এ ছাড়া আগে সাধারণত সহজে ও দ্রুত পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত এমন কিছু দেশেও এ ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে।
১২ জুলাই ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

কর্মী, শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের জন্য বিদেশের ভিসা পাওয়া দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসগুলোয় জমা হওয়া ভিসার অধিকাংশ আবেদন নাকচ হচ্ছে। এ ছাড়া আগে সাধারণত সহজে ও দ্রুত পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত এমন কিছু দেশেও এ ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে।
১২ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

কর্মী, শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের জন্য বিদেশের ভিসা পাওয়া দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসগুলোয় জমা হওয়া ভিসার অধিকাংশ আবেদন নাকচ হচ্ছে। এ ছাড়া আগে সাধারণত সহজে ও দ্রুত পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত এমন কিছু দেশেও এ ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে।
১২ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

কর্মী, শিক্ষার্থী ও সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব ক্ষেত্রের পেশাজীবীদের জন্য বিদেশের ভিসা পাওয়া দিনে দিনে জটিল হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসগুলোয় জমা হওয়া ভিসার অধিকাংশ আবেদন নাকচ হচ্ছে। এ ছাড়া আগে সাধারণত সহজে ও দ্রুত পর্যটন ভিসা পাওয়া যেত এমন কিছু দেশেও এ ক্ষেত্রে বেশি সময় লাগছে।
১২ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১২ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৬ ঘণ্টা আগে