নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। নেতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার কারণে সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়ন আখ্যান ও স্থানীয় ভাবনা উপ-আঞ্চলিক পরামর্শ সভার সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো।
তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পরামর্শ সভায় ৫০০ সক্রিয় নাগরিক সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণটি তৈরি করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়টি আরও বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। তাঁদের পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।’ তবে বাংলাদেশ রুগ্ণ না হলেও এর পুষ্টির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক কারণে উন্নয়নের সুষম বণ্টন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন ড. দেবপ্রিয়। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন তবে উন্নয়নকে কখনো মানবাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী, দরিদ্র মানুষদের প্রতি জাতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহ কম। তাঁদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা শহরের গণমাধ্যমে আসে না। গরিব মানুষ হেডলাইনে আসে না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ধনীদের কথা আসে। কিন্তু এই অনগ্রসর মানুষের কথা কম আসে।’
গত এক দশকের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, গড় শিক্ষার হার, রপ্তানি আয় সবই বেড়েছে। তবে এই উন্নয়ের ভিত্তি কতটা মজবুত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ, আদিবাসী মানুষ, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার মানুষ, বিশেষ ভৌগোলিক এলাকার মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবীদের কাছে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। এসব মানুষদের যাতে আমরা যাতে ভুলে না যাই এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে তাদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হয় সে জন্য এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণার ফলাফল সরকার গ্রহণ করতে পারে। যোগ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এই গবেষণা থেকে ছয়টি বার্তা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয়।
প্রথমত, শোভন কর্ম সংস্থানের ঘাটতি। বিশেষ করে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্টিফিকেটধারী যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এমনও তথ্য পাওয়া গেছে যে, দলিত শ্রেণির জন্য চাকরির যে কোটা সেখানেও ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা এই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে, উগ্রবাদে জড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। পুরুষতান্ত্রিকতা ও সাইবার সিকিউরিটির অভাবে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আইনের শাসনের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তৃতীয় বার্তায় ড. দেবপ্রিয় বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বন্যা, ভূমিধস, বায়ুদূষণ, পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে।
চতুর্থত, সরকারি সেবা পদ্ধতি বা রাষ্ট্রীয় সেবার মান ও সেবা দান ক্ষমতার কমেছে।
পঞ্চম বার্তায় বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কমার কথা বলেছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বড় সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা তার এখনো সমাধান হয়নি।
ষষ্ঠ বার্তায় তিনি বলেন, সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ কথা বলেতে ভয় পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ৫টি খাত বিশেষ করে শিক্ষা খাতে শিক্ষার মান কমা, আর্থিক সংগতির অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যাশিশুদের ঝরে পড়া, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধ না থাকা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ও সামগ্রিক বরাদ্দ দুটোই এত কম যে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না, রাস্তার নিরাপত্তা কম, দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের সুরক্ষা কম। খেলার মাঠের অভাব ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভাবে উগ্রবাদের বিস্তার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন খুবই অন্যায় হয়েছে, এর কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়ন নৈতিক হতে হবে। পিছিয়ে পড়া এসব প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে অর্থনৈতিক একটা বড় শক্তিকে আমরা হারিয়ে ফেলব। তাতে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি। এদের উন্নয়ন করা গেলে নতুন চাহিদা ও বাজার তৈরি হবে। অর্থনৈতিক লেনদেনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে সবারই লাভ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুশাসন এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের চাওয়া। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই গবেষণায় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, সিপিডির সহযোগী গবেষক ফাবিয়া বুশরা খান অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হিকস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ওয়াটার এআইডি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পভার্টি-এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ঘাসফুল ও কাপেং ফাউন্ডেশন।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। নেতিবাচক রাজনৈতিক চর্চার কারণে সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আরও তীব্র করে তুলেছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘জাতীয় উন্নয়ন আখ্যান ও স্থানীয় ভাবনা উপ-আঞ্চলিক পরামর্শ সভার সার-সংক্ষেপ উপস্থাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় এসিডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগের সম্মানীয় ফেলো।
তিনি জানান, মাঠপর্যায়ে এ বছরের জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রংপুর, খুলনা, টাঙ্গাইল, সিলেট, ঠাকুরগাঁও, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামে পরামর্শ সভায় ৫০০ সক্রিয় নাগরিক সরাসরি আলোচনায় অংশ নেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণটি তৈরি করা হয়েছে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বৈষম্যের বিষয়টি আরও বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে। তাঁদের পক্ষে কথা বলার লোক কমে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়ে গেছে।’ তবে বাংলাদেশ রুগ্ণ না হলেও এর পুষ্টির অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈশ্বিক কারণে উন্নয়নের সুষম বণ্টন আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন ড. দেবপ্রিয়। দেশের উন্নয়ন প্রয়োজন তবে উন্নয়নকে কখনো মানবাধিকারের বিকল্প হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী, দরিদ্র মানুষদের প্রতি জাতীয় গণমাধ্যমের আগ্রহ কম। তাঁদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা শহরের গণমাধ্যমে আসে না। গরিব মানুষ হেডলাইনে আসে না। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ধনীদের কথা আসে। কিন্তু এই অনগ্রসর মানুষের কথা কম আসে।’
গত এক দশকের অর্থনীতির সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় জাতীয় আয়, প্রবৃদ্ধি, গড় আয়ু, গড় শিক্ষার হার, রপ্তানি আয় সবই বেড়েছে। তবে এই উন্নয়ের ভিত্তি কতটা মজবুত সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করেছি। তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ, আদিবাসী মানুষ, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার মানুষ, বিশেষ ভৌগোলিক এলাকার মানুষ, কৃষক, মৎস্যজীবীদের কাছে উন্নয়ন ঠিকমতো পৌঁছাচ্ছে না। এসব মানুষদের যাতে আমরা যাতে ভুলে না যাই এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে এবং উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যাতে তাদের বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রাখা হয় সে জন্য এই গবেষণা কার্যক্রম। এই গবেষণার ফলাফল সরকার গ্রহণ করতে পারে। যোগ করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এই গবেষণা থেকে ছয়টি বার্তা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ড. দেবপ্রিয়।
প্রথমত, শোভন কর্ম সংস্থানের ঘাটতি। বিশেষ করে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েছে এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সার্টিফিকেটধারী যুব সমাজ তৈরি হচ্ছে, কিন্তু কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে উন্নয়ন হচ্ছে তাতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির কারণে উন্নয়নের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এমনও তথ্য পাওয়া গেছে যে, দলিত শ্রেণির জন্য চাকরির যে কোটা সেখানেও ৮ লাখ টাকা ঘুষ না দিলে চাকরি হয় না। কর্মসংস্থানের বাইরে থাকা এই যুবসমাজ মাদকাসক্ত হচ্ছে, উগ্রবাদে জড়াচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। পুরুষতান্ত্রিকতা ও সাইবার সিকিউরিটির অভাবে নারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আইনের শাসনের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
তৃতীয় বার্তায় ড. দেবপ্রিয় বলেন, পরিবেশ দূষণ এখন জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বন্যা, ভূমিধস, বায়ুদূষণ, পানিতে লবণাক্ততা বেড়েছে।
চতুর্থত, সরকারি সেবা পদ্ধতি বা রাষ্ট্রীয় সেবার মান ও সেবা দান ক্ষমতার কমেছে।
পঞ্চম বার্তায় বহুত্ববাদী সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ কমার কথা বলেছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নানাভাবে হয়রানির শিকার ও নির্যাতিত হচ্ছে। পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসীদের বড় সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা তার এখনো সমাধান হয়নি।
ষষ্ঠ বার্তায় তিনি বলেন, সব জায়গায় একটি ভীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় সবক্ষেত্রেই এই ভীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মানুষ কথা বলেতে ভয় পাচ্ছে।
এ ছাড়া আরও ৫টি খাত বিশেষ করে শিক্ষা খাতে শিক্ষার মান কমা, আর্থিক সংগতির অভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে কন্যাশিশুদের ঝরে পড়া, স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে হাসপাতাল থাকলেও ডাক্তার ও ওষুধ না থাকা, সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মাথাপিছু ও সামগ্রিক বরাদ্দ দুটোই এত কম যে তা দিয়ে মানুষের প্রয়োজন মিটছে না, রাস্তার নিরাপত্তা কম, দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু তাদের সুরক্ষা কম। খেলার মাঠের অভাব ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের অভাবে উগ্রবাদের বিস্তার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন খুবই অন্যায় হয়েছে, এর কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আরও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
এ সময় সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘উন্নয়ন নৈতিক হতে হবে। পিছিয়ে পড়া এসব প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে যদি আমরা কাজ না করি তাহলে অর্থনৈতিক একটা বড় শক্তিকে আমরা হারিয়ে ফেলব। তাতে আমাদের সামগ্রিক ক্ষতি। এদের উন্নয়ন করা গেলে নতুন চাহিদা ও বাজার তৈরি হবে। অর্থনৈতিক লেনদেনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এতে সবারই লাভ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্য দূর করতে রাজনৈতিক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, সুশাসন এখন দ্বিতীয় প্রজন্মের চাওয়া। জনগণের কাছে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।’
এই গবেষণায় সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, সিপিডির সহযোগী গবেষক ফাবিয়া বুশরা খান অংশ নেন। সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল হিকস বাংলাদেশ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ওয়াটার এআইডি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশন্স ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাংলাদেশ, এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম পভার্টি-এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন, বাংলাদেশ ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম, ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, ঘাসফুল ও কাপেং ফাউন্ডেশন।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২০ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২১ ঘণ্টা আগেআবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে তিন মাসের জ্বালানি মজুত থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আর ১৩ থেকে ২০ দিনের জ্বালানি তেলের মজুত রয়েছে। যদিও বিপিসির দাবি, দেশে জ্বালানি-সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা নেই।
বিপিসির মজুত প্রতিবেদনে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডিজেল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৭ টন মজুত রয়েছে। এর মধ্যে দেশের ২৪টি ডিপোর ট্যাংকে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮২৯ টন মজুত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইটার জাহাজসহ ট্রানজিটে রয়েছে ৪৯ হাজার ৬৬৮ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১৬ হাজার ৬০১ টন ডিজেল সারা দেশে বিক্রি করা হয়েছে। সে হিসাবে দেখা যায়, বর্তমানে বিপিসির কাছে ২০ দিনের ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে বিপিসি বিভিন্ন ডিপোতে পেট্রল মজুত আছে ২২ হাজার ১১৪ টন। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৬১৮ টন পেট্রল বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে পেট্রল ১৩ দিনের মজুত আছে।
বিপিসির ২৩ ডিসেম্বরের স্টক প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে মোট ২৮ হাজার ২৭০ টন অকটেন মজুত রয়েছে। ২২ ডিসেম্বর বিপিসির বিক্রয় প্রতিবেদনে দেখা যায়, এদিন ১ হাজার ৮৮৫ টন অকটেন বিক্রি করা হয়েছে। এই হিসাবে বিপিসির কাছে ১৫ দিনের অকটেন মজুত আছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিপিসির পরিচালক এ কে এম আজাদুর রহমান জানান, সারা দেশে ২৫ দিনের অকটেন ও পেট্রল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ডিজেল ৩৫ দিনের মজুত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। দেশে ডিজেলের মজুত কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুমে সব জায়গায় বিদ্যুতের ব্যবহার হচ্ছে। তাই ডিজেলের চাহিদা কম।
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৫ হাজার ৬৯৫ টন অকটেন মজুত রয়েছে। আর পেট্রল মজুত রয়েছে ৪ হাজার ২৯৫ টন। সারা দেশের ১৭টি ডিপোতে ৯২ হাজার ৮৯৫ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। একইভাবে সরকারি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, সারা দেশে ১৭টি ডিপোতে ৮০ হাজার ২১৩ টন ডিজেল মজুত রয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৯১৪ টন পেট্রল এবং ৪ হাজার ১৮৭ টন অকটেন মজুত রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ২৩ ডিসেম্বরের মজুত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফতুল্লা, রাজশাহী, হরিয়ান, চিলমারী ডিপোতে কোনো জ্বালানি তেল নাই। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের নাটোর ডিপোতে ৩০ টন, রংপুর ডিপোতে ৫৭ টন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিপোতে ২ টন ডিজেল রয়েছে।
নাম না প্রকাশে সরকারি তেল বিপণনকারী এক কর্মকর্তা জানান, বিপিসির আমদানি করা জ্বালানি তেলের মজুত আশঙ্কাজনকভাবে কম রয়েছে। ডিজেলের মজুত একবারেই কম। তাঁর মতে ১৩ থেকে ১৫ দিনের জ্বালানি মজুত রয়েছে বর্তমানে।
পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক আসিফ মালিক বলেন, দেশে পর্যাপ্ত জ্বালানি মজুত রয়েছে। সংকটের কোনো আশঙ্কা নেই। নিয়মিতভাবে জ্বালানি তেলের জাহাজ আসা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান।
তবে গাজীপুর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুল মোমিন বলেন, দেশে ধান উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে বড় মৌসুম হচ্ছে বর্তমান বোরো মৌসুম। এ সময় প্রায় ৫২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়। এই মৌসুমে জ্বালানি-সংকট হলে সেটা দেশের খাদ্য উৎপাদনে ছেদ পড়বে।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২০ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
পুলিশের তথ্য ও প্রাথমিক তদন্ত থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, ঘটনাটি মোটেই সাম্প্রদায়িক হামলা নয়। এটি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত সহিংস পরিস্থিতির থেকে সৃষ্ট ঘটনা। নিহত ব্যক্তি শীর্ষ সন্ত্রাসী অমৃত মন্ডল ওরফে সম্রাট চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে এলাকায় উপস্থিত হন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রাণ হারান। তিনি ইতিপূর্বে ২০২৩ সালে রুজুকৃত হত্যা, চাঁদাবাজির মামলাসহ একাধিক গুরুতর মামলার আসামি ছিলেন। এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সম্রাটের সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি পাইপগানসহ আটক করে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সরকার কঠোর নিন্দা জানায়। সরকার সুস্পষ্টভাবে জানাতে চায়, যেকোনো ধরনের আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এ ঘটনায় যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, একটি মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে সামনে এনে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ধরনের অপপ্রচার সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে।
সরকারসংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে।
আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার যেকোনো অপচেষ্টা সরকার কঠোরহস্তে দমন করবে।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২০ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা তাঁকে (তারেক রহমান) স্বাগত জানাই। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দলের নেতা এবং আমি বলব তাঁর বাংলাদেশে আসা খুবই একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে তো সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। উনি আসলে সেটা পূরণ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে আমাদের একটা বড় ইলেকশন, আমরা একটা ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে (গণতান্ত্রিক উত্তরণে) আছি। আমরা আশা করছি, আমাদের এই ট্রানজিশনটা আরও স্মুথ হবে।’
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘তাঁর নিরাপত্তা তো তাঁর পার্টি দেখছেন, তবে তাঁরা আমাদের কাছে যেই ধরনের সহযোগিতা চাচ্ছেন, আমরা সব সহযোগিতাই করছি।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে আসে। সিলেটে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে তাঁর বাসটি সংবর্ধনাস্থলে আসে। কিছুক্ষণ আগে তিনি মঞ্চে অবস্থান নিয়ে তিনি বক্তব্য শুরু করেন।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎস বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের বিশিষ্ট ব্যক্তি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে তিনি এই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন বলে বঙ্গভবনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সেখানে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি দেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়সহ বিশ্ববাসীর প্রতি বড় দিনের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে এ দেশের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চিরকাল অটুট ও অক্ষুণ্ন রাখার আহ্বান জানান তিনি।

গত এক দশকে দেশের মাথাপিছু আয় ও জীবন মান বেড়েছে, দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এর ভেতরে চোরাবালি আছে। কারণ দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী এখনো পেছনে পড়ে রয়েছে। বৈষম্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণি দুর্বল হয়ে গেছে।
০১ ডিসেম্বর ২০২২
বোরো ধানের মৌসুমে দেশে জ্বালানি মজুতে টান পড়েছে। বর্তমান ডিজেলের মজুত একেবারেই তলানিতে রয়েছে। সরকারি তেল বিপণনকারী তিনটি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েলে মজুত প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় গত বুধবার রাতে সংঘটিত একটি দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
১১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আগমনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে যান শফিকুল আলম।
২০ ঘণ্টা আগে