রেজা করিম, তানিম আহমেদ ও সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৭টি দলের মতামত কমিশনে জমা পড়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৩০টি দল মতামত জমা দেয়নি। মতামত দেওয়ার জন্য কিছু দল সময় চেয়েছে আর কিছু দলের সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ করছে কমিশন।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মতামত গ্রহণের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি ও তাদের শরিক দলের নেতারা। তবে মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহের কমতি নেই বলে দাবি করেছেন কমিশনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন নেতার সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে কমিশন। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জনপ্রশাসন এবং পুলিশ সংস্কার বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিপরীতে ছক আকারে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এতে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে ১২০টি প্রশ্নের বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সঙ্গে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের হার্ড কপিও পাঠানো হয়। মতামত জানানোর শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি।
গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৭টি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চাওয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত ৭টি রাজনৈতিক দল কমিশনে মতামত দিয়েছে। দলগুলো হচ্ছে—এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, এনডিএম ও আমজনতার দল। বিএনপিসহ ১৬টি দল মতামত দিতে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছে। অন্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন আবারও যোগাযোগ করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দারুণ আগ্রহ দেখাচ্ছে। দলগুলো আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইছে। মতামত দেওয়ার জন্য বড় দলগুলো সময় চেয়েছে, কেউ দুই দিন, কেউ চার দিন। বেশ কিছু দল দিয়ে গেছে (মতামত)।’
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিতে কাজ করছে বিএনপি। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা করেছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। তবে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে মতামত জানানোর বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে সমালোচনা করেছেন একাধিক নেতা। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে খানিকটা হেয় করা হয়েছে বলেও মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু ছকে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে গেলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তাই আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে মতামত জানাব।’
দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ থাকায় এ নিয়ে বৈঠক হচ্ছে না। তিনি সুস্থ হলে শিগগির এ বিষয়ে বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই মতামত চূড়ান্ত করা হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে মতামত জানাতে চায় বিএনপি। এ জন্য কমিশনের কাছে দলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ নিয়েও প্রশ্ন আছে বিএনপিতে। সংলাপ শুধু নিবন্ধিত দল নাকি অনিবন্ধিত দলের সঙ্গেও হবে, এ বিষয়টি স্পষ্ট করা দরকার বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
জামায়াতে ইসলামীও এখনো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয়নি। জানতে চাইলে দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘মতামত আমরা এখনো দিইনি। এ জন্য কয়েক দিন সময় চেয়েছি। যেসব বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে, প্রতিটি বিষয়েই আমরা আমাদের মতামত দেব। যত কমিশন হয়েছে, প্রতিটির বিষয়েই আমাদের মতামত থাকবে।’
আগামী সপ্তাহে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার বিষয়ে মতামত জমা দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘মতামত পাঠানোর জন্য আমরা আরও দু-এক দিন সময় নেব। সংবিধান, নির্বাচন ও জনপ্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
বিএনপির মিত্র জোট ১২ দলীয় জোট মতামত পাঠায়নি এখনো। কমিশনে মতামত দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোট বৈঠক করেছে। সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানতে চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনীহা দেখিয়েছেন জোটের নেতারা।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘টিক চিহ্ন বিষয়টি আমাদের জোটের শরিকেরা ভালো চোখে দেখছেন না। রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে বিষয়টি আমাদের কাছে খুব একটা স্বস্তির মনে হয়নি। জোটের পক্ষ থেকে মতামত জানানোর জন্য আরও সাত দিন সময় চেয়েছি ঐকমত্য কমিশনের কাছে।’
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জোটগতভাবে মতামত দিচ্ছে না বলে জানা গেছে। জোটের দলগুলো পৃথকভাবে তাদের মতামত কমিশনে দেবে বলে জানিয়েছেন জোটভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দল ছকে বাঁধা থাকতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ/না, আংশিক হ্যাঁ/আংশিক না পদ্ধতিতে না দিয়ে আমরা যা বলতে চাই, সেগুলো পাঠাব। আরও কয়েকটা দিন সময় নেব।’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন প্রলম্বিত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান সাইফুল হক।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এ সমস্ত আলোচনা সংলাপের মধ্যে করা দরকার। কারণ এক একটা বক্তব্য আনা হচ্ছে কোন যুক্তিতে, কিসের পরিপ্রেক্ষিতে এটা বুঝলে আমাদের মতামত দিতে সুবিধা হবে। এ জন্য আমরা বলছি আমরা এখন দিতে পারছি না, আরও পরে দেব বলে তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৭টি দলের মতামত কমিশনে জমা পড়েছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ৩০টি দল মতামত জমা দেয়নি। মতামত দেওয়ার জন্য কিছু দল সময় চেয়েছে আর কিছু দলের সঙ্গে নিজে থেকেই যোগাযোগ করছে কমিশন।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মতামত গ্রহণের পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি ও তাদের শরিক দলের নেতারা। তবে মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহের কমতি নেই বলে দাবি করেছেন কমিশনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি ৫৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন নেতার সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে কমিশন। নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জনপ্রশাসন এবং পুলিশ সংস্কার বিষয়ে মতামত চেয়ে ৬ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠায় কমিশন। পাঁচটি সংস্কার কমিশনের ১৬৬টি সুপারিশের বিপরীতে ছক আকারে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। এতে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে ১২০টি প্রশ্নের বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সঙ্গে পাঁচটি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের হার্ড কপিও পাঠানো হয়। মতামত জানানোর শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সাড়া মেলেনি।
গতকাল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৭টি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চাওয়া হলেও গতকাল পর্যন্ত ৭টি রাজনৈতিক দল কমিশনে মতামত দিয়েছে। দলগুলো হচ্ছে—এলডিপি, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, জাকের পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, এনডিএম ও আমজনতার দল। বিএনপিসহ ১৬টি দল মতামত দিতে অতিরিক্ত সময় দেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছে। অন্য দলগুলোর সঙ্গে কমিশন আবারও যোগাযোগ করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার গতকাল বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো দারুণ আগ্রহ দেখাচ্ছে। দলগুলো আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইছে। মতামত দেওয়ার জন্য বড় দলগুলো সময় চেয়েছে, কেউ দুই দিন, কেউ চার দিন। বেশ কিছু দল দিয়ে গেছে (মতামত)।’
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিতে কাজ করছে বিএনপি। গত সোমবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও এ নিয়ে আলোচনা করেছেন দলের নীতিনির্ধারকেরা। তবে ‘টিক চিহ্ন’ দিয়ে মতামত জানানোর বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে সমালোচনা করেছেন একাধিক নেতা। এর মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে খানিকটা হেয় করা হয়েছে বলেও মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শুধু ছকে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানাতে গেলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তাই আমরা বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে মতামত জানাব।’
দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি মহাসচিব অসুস্থ থাকায় এ নিয়ে বৈঠক হচ্ছে না। তিনি সুস্থ হলে শিগগির এ বিষয়ে বৈঠক হবে। সেই বৈঠকেই মতামত চূড়ান্ত করা হবে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আলোকে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করে মতামত জানাতে চায় বিএনপি। এ জন্য কমিশনের কাছে দলের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে।
এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ নিয়েও প্রশ্ন আছে বিএনপিতে। সংলাপ শুধু নিবন্ধিত দল নাকি অনিবন্ধিত দলের সঙ্গেও হবে, এ বিষয়টি স্পষ্ট করা দরকার বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।
জামায়াতে ইসলামীও এখনো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত জমা দেয়নি। জানতে চাইলে দলটির কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘মতামত আমরা এখনো দিইনি। এ জন্য কয়েক দিন সময় চেয়েছি। যেসব বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছে, প্রতিটি বিষয়েই আমরা আমাদের মতামত দেব। যত কমিশন হয়েছে, প্রতিটির বিষয়েই আমাদের মতামত থাকবে।’
আগামী সপ্তাহে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে সংস্কার বিষয়ে মতামত জমা দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, ‘মতামত পাঠানোর জন্য আমরা আরও দু-এক দিন সময় নেব। সংবিধান, নির্বাচন ও জনপ্রশাসনের সংস্কারের বিষয়ে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।’
বিএনপির মিত্র জোট ১২ দলীয় জোট মতামত পাঠায়নি এখনো। কমিশনে মতামত দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জোট বৈঠক করেছে। সেখানে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত জানতে চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনীহা দেখিয়েছেন জোটের নেতারা।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘টিক চিহ্ন বিষয়টি আমাদের জোটের শরিকেরা ভালো চোখে দেখছেন না। রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব হিসেবে বিষয়টি আমাদের কাছে খুব একটা স্বস্তির মনে হয়নি। জোটের পক্ষ থেকে মতামত জানানোর জন্য আরও সাত দিন সময় চেয়েছি ঐকমত্য কমিশনের কাছে।’
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা জোট গণতন্ত্র মঞ্চ জোটগতভাবে মতামত দিচ্ছে না বলে জানা গেছে। জোটের দলগুলো পৃথকভাবে তাদের মতামত কমিশনে দেবে বলে জানিয়েছেন জোটভুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। মতামত দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দল ছকে বাঁধা থাকতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ/না, আংশিক হ্যাঁ/আংশিক না পদ্ধতিতে না দিয়ে আমরা যা বলতে চাই, সেগুলো পাঠাব। আরও কয়েকটা দিন সময় নেব।’ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন প্রলম্বিত হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান সাইফুল হক।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত দেওয়ার আগে নিজেদের মধ্যে আরও আলোচনা করতে চায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘এ সমস্ত আলোচনা সংলাপের মধ্যে করা দরকার। কারণ এক একটা বক্তব্য আনা হচ্ছে কোন যুক্তিতে, কিসের পরিপ্রেক্ষিতে এটা বুঝলে আমাদের মতামত দিতে সুবিধা হবে। এ জন্য আমরা বলছি আমরা এখন দিতে পারছি না, আরও পরে দেব বলে তাদের জানিয়ে দিয়েছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৪ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
১৩ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
২৯ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগেসৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি বলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে নিজে ও নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৩ কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত পরিচালক, ছয়জন যুগ্ম পরিচালক এবং চারজন উপপরিচালক রয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর আর্থিক কর্মকাণ্ডও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন অতিরিক্ত পরিচালক হলেন মো. আজিজুর রহমান, মো. এম এস এক শাহীন ও মোহাম্মদ জহীর উদ্দিন।
অভিযুক্ত যুগ্ম পরিচালকেরা হলেন মো. ইসমাইল হোসেন, জি এম রাসেল রানা, এফ এম আকবর হোসেন, মো. নাজমুল হক, বদরুর আহমেদ ও শেখ শাফিনুল হক।
এ ছাড়া উপপরিচালক পর্যায়ের চার কর্মকর্তা হলেন কামরুল হাসান, আমিনুল হক, শেখ খাইরুল বাসার ও জহরলাল জয়ধর।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব, ব্যাংক লেনদেন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।

জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগগুলোর অনুসন্ধান পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রটি বলছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ, চাঁদাবাজির মাধ্যমে নিজে ও নিজ পরিবারের সদস্যদের নামে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে অর্থ পাচারে অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের প্রাথমিক তথ্যে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ১৩ কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন অতিরিক্ত পরিচালক, ছয়জন যুগ্ম পরিচালক এবং চারজন উপপরিচালক রয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর আর্থিক কর্মকাণ্ডও নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত তিন অতিরিক্ত পরিচালক হলেন মো. আজিজুর রহমান, মো. এম এস এক শাহীন ও মোহাম্মদ জহীর উদ্দিন।
অভিযুক্ত যুগ্ম পরিচালকেরা হলেন মো. ইসমাইল হোসেন, জি এম রাসেল রানা, এফ এম আকবর হোসেন, মো. নাজমুল হক, বদরুর আহমেদ ও শেখ শাফিনুল হক।
এ ছাড়া উপপরিচালক পর্যায়ের চার কর্মকর্তা হলেন কামরুল হাসান, আমিনুল হক, শেখ খাইরুল বাসার ও জহরলাল জয়ধর।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব, ব্যাংক লেনদেন এবং বিদেশে অর্থ পাচারের তথ্যও খতিয়ে দেখা হবে।

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৭টি দলের মতামত কমিশনে জমা পড়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
১৩ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
২৯ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের ওই প্রেস নোটের বিষয়টি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন এটি খুবই সাধারণ ঘটনা, অথচ বাস্তবে তা নয়। আমাদের মিশন কূটনৈতিক এলাকার একেবারে ভেতরে অবস্থিত, কোনোভাবেই প্রান্তিক এলাকায় নয়।’
তিনি বলেন, ভারতের প্রেস নোটে বিষয়টি অতিসরলীকরণ করা হয়েছে, অথচ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কূটনৈতিক অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল, যাদের একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, এমন সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, ‘ওরা (ভারত) বলছে ২০-২৫ জন হতে পারে, কিন্তু সেটাই মূল বিষয় নয়। প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের ২৫ বা ৩০ জন সদস্য একটি সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এলাকার এত ভেতরে প্রবেশ করতে পারল। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের সেখানে পৌঁছানোরই কথা নয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিক্ষোভকারীরা কেবল বাংলাদেশে একজন হিন্দু নাগরিক হত্যার ঘটনায় স্লোগান দেয়নি, বরং অন্যান্য বক্তব্যও দিয়েছে। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো মূলত সঠিক এবং বিভ্রান্তিকর নয়, যেমনটি দাবি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে, এমন কথা শোনা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে আমরা এটাও শুনেছি যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেটি হয়তো বিক্ষোভকারীদের কেউ বলেছিল। কিন্তু আমার মূল প্রশ্ন হলো, প্রথমত তারা কীভাবে এত দূর আসতে পারল এবং কীভাবে সেখানে হুমকি দিতে পারল?’
আন্তর্জাতিক রীতিনীতির কথা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, সাধারণত বিক্ষোভকারীদের আগেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় এবং পুলিশ তাদের দূরত্বে আটকে দেয়। কখনো কখনো কেবল একজন বা দুজন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে, আমরা তা মানতে পারিছি না।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মনে করে এ ঘটনায় স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিধি ও প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে অবহিত করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার প্রতিবাদের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে এবং নিজ নিজ অবস্থান জানাচ্ছে। তবে ভারতের প্রেস নোট প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা এখনো ভারতের ওপর আস্থা রাখে যে তারা যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে উপস্থিতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি শুধু স্লোগানের বিষয় নয়।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার মিশন প্রাঙ্গণেই বসবাস করেন এবং সে সময় সেখানে মাত্র দুইজন নিরাপত্তাকর্মী থাকায় তারা হুমকির মুখে পড়েছেন।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এসব বক্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানই প্রতিফলিত করে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে একজন নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং একাধিক গ্রেপ্তারও হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা পুরো অঞ্চলেই ঘটে এবং প্রতিটি দেশেরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ সে দায়িত্ব পালন করছে এবং অন্যদেরও একইভাবে কাজ করা উচিত।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ‘অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র সেনা’র ব্যানারে একদল উগ্র হিন্দু কর্মী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাউসের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে।

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন আজ বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারতের ওই প্রেস নোটের বিষয়টি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন এটি খুবই সাধারণ ঘটনা, অথচ বাস্তবে তা নয়। আমাদের মিশন কূটনৈতিক এলাকার একেবারে ভেতরে অবস্থিত, কোনোভাবেই প্রান্তিক এলাকায় নয়।’
তিনি বলেন, ভারতের প্রেস নোটে বিষয়টি অতিসরলীকরণ করা হয়েছে, অথচ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশন একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত কূটনৈতিক অঞ্চলের গভীরে অবস্থিত।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল, যাদের একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের সদস্য হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে, এমন সংবেদনশীল এলাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হলো। তিনি বলেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে অনুমতি ছাড়া সেখানে পৌঁছানো সম্ভব হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, ‘ওরা (ভারত) বলছে ২০-২৫ জন হতে পারে, কিন্তু সেটাই মূল বিষয় নয়। প্রশ্ন হলো, কীভাবে একটি উগ্র হিন্দু সংগঠনের ২৫ বা ৩০ জন সদস্য একটি সংবেদনশীল ও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এলাকার এত ভেতরে প্রবেশ করতে পারল। স্বাভাবিক অবস্থায় তাদের সেখানে পৌঁছানোরই কথা নয়।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিক্ষোভকারীরা কেবল বাংলাদেশে একজন হিন্দু নাগরিক হত্যার ঘটনায় স্লোগান দেয়নি, বরং অন্যান্য বক্তব্যও দিয়েছে। তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো মূলত সঠিক এবং বিভ্রান্তিকর নয়, যেমনটি দাবি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে, এমন কথা শোনা গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে হত্যার হুমকির কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, তবে আমরা এটাও শুনেছি যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেটি হয়তো বিক্ষোভকারীদের কেউ বলেছিল। কিন্তু আমার মূল প্রশ্ন হলো, প্রথমত তারা কীভাবে এত দূর আসতে পারল এবং কীভাবে সেখানে হুমকি দিতে পারল?’
আন্তর্জাতিক রীতিনীতির কথা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, সাধারণত বিক্ষোভকারীদের আগেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয় এবং পুলিশ তাদের দূরত্বে আটকে দেয়। কখনো কখনো কেবল একজন বা দুজন প্রতিনিধিকে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘এখানে যা ঘটেছে, আমরা তা মানতে পারিছি না।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ মনে করে এ ঘটনায় স্বাভাবিক নিরাপত্তা বিধি ও প্রটোকল যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে অবহিত করেছে এবং আশা প্রকাশ করেছে, ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি আর সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না।
ঢাকার প্রতিবাদের ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উভয় পক্ষ কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে এবং নিজ নিজ অবস্থান জানাচ্ছে। তবে ভারতের প্রেস নোট প্রকাশের পর বাংলাদেশ প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা এখনো ভারতের ওপর আস্থা রাখে যে তারা যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে উপস্থিতি সীমিত করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি শুধু স্লোগানের বিষয় নয়।’ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, হাইকমিশনার ও তাঁর পরিবার মিশন প্রাঙ্গণেই বসবাস করেন এবং সে সময় সেখানে মাত্র দুইজন নিরাপত্তাকর্মী থাকায় তারা হুমকির মুখে পড়েছেন।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক মিশন ও কর্মীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব। বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এসব বক্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানই প্রতিফলিত করে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশে একজন নাগরিকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে এবং একাধিক গ্রেপ্তারও হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা পুরো অঞ্চলেই ঘটে এবং প্রতিটি দেশেরই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। বাংলাদেশ সে দায়িত্ব পালন করছে এবং অন্যদেরও একইভাবে কাজ করা উচিত।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ‘অখণ্ড হিন্দু রাষ্ট্র সেনা’র ব্যানারে একদল উগ্র হিন্দু কর্মী দিল্লিতে বাংলাদেশ হাউসের প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করে।

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৭টি দলের মতামত কমিশনে জমা পড়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৪ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
২৯ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকার আমলেই সংবাদপত্র শিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫/১৬ বছর বিগত স্বৈরাচারী সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’
বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনও আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহতি রেখেছি। তাতে কোনও প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকাদ্দমার ভয়–এমন ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিলেন। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না–সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামীতে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরো অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’
দেশে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সবসময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি এবং দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না–আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে, আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের সম্ভাবনা, গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এজন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সবসময় এটা বলে এসেছি। আমি সবসময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে–সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’
আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরো কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’
তিনি বলেন, যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারাদেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনোরকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন–এটাই একমাত্র সমাধান।’
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে কোনো সরকারের আমলে গণমাধ্যম পুরোপরি স্বাধীনতা ভোগ করতে পারেনি দাবি করে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছেন, বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে গণমাধ্যমকে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।
রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মতিউর রহমান বলেন, ‘সংবাদপত্রের সঙ্গে আমাদের অভিজ্ঞতায় বিগত ৫০ বছরে আসলে কোনো সরকার আমলেই সংবাদপত্র শিল্প খুব ভালো থাকতে পারেনি। নানা কারণে নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেছে। তার মধ্যে পার্থক্য করলে বলতে হয়, বিগত ১৫/১৬ বছর বিগত স্বৈরাচারী সরকার আমলে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন, চাপ, ভয়-ভীতির মধ্যে দিয়ে সংবাদপত্রকে যেতে হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। বিএনপির শাসন আমলে আমরা পুরোপুরি স্বস্তিতে ছিলাম, তা না। আমি যদি পার্থক্য করি দুই সরকারের মধ্যে, তাহলে বিএনপির সময়ে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অধিকতর স্বস্তিদায়ক অবস্থায় ছিল।’
প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের ৫০ বছরের ইতিহাসে সামরিক-বেসামরিক সব সরকারের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন সময় ছিল বিগত ১৫ বছর। শুধু প্রথম আলোর ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই।’
বিগত ১৫ বছরে প্রথম আলোর মালিকানা বদলে দেওয়া, সম্পাদক বদলে দেওয়া, শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
মতিউর রহমান বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬—এই সময়ে বিএনপি কতগুলো বড় ভুল করেছে। আমরা সেগুলো কঠোরভাবে লিখেছি। এখনও আমি এই লেখাগুলোর পক্ষেই থাকব। সেগুলো নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তর্ক হয়েছে, আবার হাসিমুখে চা খেয়ে ফিরেও এসেছি। পরবর্তীতে আমাদের সেই কথাগুলো অব্যাহতি রেখেছি। তাতে কোনও প্রকাশ্যে আক্রমণ, জেলের ভয়, মামলা-মোকাদ্দমার ভয়–এমন ঘটনা ঘটেনি।’
তিনি বলেন, ‘নানা সমালোচনা, তর্ক-বিতর্কের মধ্যেও বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে ধৈর্য ছিল। তাদের সহ্যশক্তি ছিল এবং তারা আমাদের পত্রিকার সমালোচনাগুলো মেনে নিয়েছিলেন। সংশোধন করতে পেরেছিলেন কি না–সেটা অনেক লম্বা আলোচনার বিষয়। আগামীতে যদি বিএনপি বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে, আমরা তাদের মধ্যে আরো অধিক সহ্যশক্তি, সমালোচনা সহ্য করার শক্তি, মেনে নেওয়ার মানসিকতা দেখব বলে আশা রাখি।’
দেশে একটা রাজনৈতিক শূন্যতা চলছে উল্লেখ করে প্রথম আলোর সম্পাদক বলেন, ‘এটা একটা বিপজ্জনক অবস্থা। বিএনপির জন্যও কিছুটা কঠিন অবস্থা। আমি সবসময় ভাবতাম বা এখনো মনে করি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান যদি আরেকটু আগে—বেশ একটু আগে দেশে আসতে পারতেন, তাহলে এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি এবং দেশের মধ্যে একটা ভালো, সুবিধাজনক অবস্থা তৈরি হতে পারত।’
বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যে নির্বাচনের তালিকা, প্রার্থী তালিকা করেছেন, এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল উৎসাহ তেমন একটা নেই। কিছু কিছু জায়গায় এটা আপনাদের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কি না–আমি বলতে পারব না। কিন্তু এসব বিষয় হয়তো আপনারা একটু ভেবে দেখতে পারেন।’
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমরা সবাই আপনাদের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এই সংকটময় সময়ে, আমাদের জন্য যখন একটা বড় দুর্যোগ, তখন আপনারা সবাই দল-মত নির্বিশেষে সব ধরনের পত্রিকা, সব সাংবাদিক, সব ইউনিয়ন, সব প্রেসক্লাব আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। এটা একটা বড় বিষয়। আমি মনে করি, এই প্রকাশটাও আমাদের সংবাদপত্র বা ভবিষ্যৎ সংবাদপত্রের সম্ভাবনা, গণতন্ত্রের সম্ভাবনা নিয়ে খুব ভালো একটা ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এটা রক্ষা করতে পারলে আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। আর এজন্যই নির্বাচন চাই। নির্বাচন হোক সুষ্ঠু। আমি সবসময় এটা বলে এসেছি। আমি সবসময় বলতাম, যত কিছুই হোক না কেন, নির্বাচন হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকে সন্দেহ করত, প্রশ্ন করত। আমি তাদের বলতাম, আমি কোনো কিছুই সন্দেহ করি না। কিন্তু এখন আমার মনের মধ্যে একটু প্রশ্ন জাগছে–সময়টা যাচ্ছে, আগামী দিনগুলো কেমন যাবে, আগামী দুইটা মাস কেমন চলবে। বিগত কয়েকদিনের ঘটনাগুলোর প্রভাব কতটুকু হবে, এই নির্বাচন কতটুকু ভালো হতে পারবে—এই প্রশ্ন আমার মধ্যে জেগেছে।’
আগামী দিনগুলো অনেক কঠিন হবে জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘আগামী যে সরকার আসবে, তাদের জন্য সময়টা হবে আরো কঠিন। আমার মনে হয়, বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন।’
তিনি বলেন, যে শক্তির উত্থান ঘটেছে, যে ধরনের বক্তব্য তারা দিচ্ছে, যে ধরনের কার্যক্রম তারা করছে এবং যে ধরনের কর্মকাণ্ড হয়েছে, যেভাবে সারাদেশে একটা মবতন্ত্র তৈরি হয়েছে, যুক্তি-তর্কের বাইরে গিয়ে এবং কোনোরকম চিন্তা-চেতনার বাইরে গিয়ে এবং বাংলাদেশের যে ভিত্তিমূল, যার পক্ষে বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন–এটাই একমাত্র সমাধান।’
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৭টি দলের মতামত কমিশনে জমা পড়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৪ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
১৩ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’
মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’
সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে ২০ ডিসেম্বর (শনিবার) একদল বিক্ষোভকারীর জমায়েত নিয়ে বাংলাদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচারণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেন।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ঘটনা নিয়ে আমরা বাংলাদেশি কিছু গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা লক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে প্রায় ২০-২৫ জন যুবক জড়ো হয়েছিল। ওই যুবকেরা ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে স্লোগান দিচ্ছিলেন এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছিলেন।’
মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা হাইকমিশনের নিরাপত্তাবেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করেনি বা কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করেনি।’
সেখানে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে।
বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল আরও উল্লেখ করেন, ‘ভারত বাংলাদেশে চলমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে। আমাদের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে। আমরা দিপু চন্দ্র দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছি।’
তিনি আবারও বলেন, ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী ভারতের মাটিতে অবস্থিত সব বিদেশি মিশন ও কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ‘নয়াদিল্লি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের গেটে উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার মো. ফয়সাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে পৌনে ৯টা নাগাদ তিনটি গাড়িতে করে কিছু লোক এসে বাংলাদেশ ভবনের গেটে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। তারা বাংলা ও হিন্দি মিলিয়ে কিছু কথাবার্তা বলেছে—হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে হবে; হাইকমিশনারকে ধরো। পরে তারা মেইন গেটের সামনে এসে কিছুক্ষণ চিৎকার করে। ওরা চিৎকার করে চলে গেছে—এতটুকুই আমি জানি।’

সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে মতামত প্রাপ্তির প্রত্যাশা করা হলেও এ দিন বিকেল পর্যন্ত মাত্র ৭টি দলের মতামত কমিশনে জমা পড়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৫
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) ১৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ, চাঁদাবাজি, অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও তাঁদের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
৪ মিনিট আগে
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে সংঘটিত কথিত বিক্ষোভ নিয়ে ভারতের প্রকাশিত একটি প্রেস নোট দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কূটনৈতিকভাবে অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে পারল, তা নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ঘাটতির প্রশ্ন তুলেছে ঢাকা।
১৩ মিনিট আগে
মতিউর রহমান বলেন, বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, যদি তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে একটা জাতীয় ঐক্য সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এত বিরোধ, এত বিভেদ, এত সংকট নিয়ে কোনো দেশ এগুতে পারে না। কোনো সমাজ টিকতে পারে না।
২৯ মিনিট আগে