এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে আটটি বিষয় অনুসরণ করতে এবং ১১টি বিষয় পরিহার করতে বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে ২০১৯ সালের নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না উল্লেখ করে তা প্রতিপালন করতে বলা হয়।
সবশেষ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আবারও সার্কুলার জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে পূর্বের নির্দেশনা প্রতিপালন না করাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো নির্দেশনা অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য মানা বাধ্যতামূলক। তিন দফায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। কেউ যাতে নির্দেশনা অমান্য না করে। কেননা নতুন যারা বিচার বিভাগে এসেছে তাদের হয়তো আগের নির্দেশনার বিষয়টি জানা নেই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০১৯ ও ২০২৩ সালে প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করছেন না। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত। কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন এবং কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর নিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে নানাবিধ বিরূপ মন্তব্য করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা ও বিধিমালার পরিপন্থী এবং অসদাচরণের শামিল।
এই সর্কুলারে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনা ভঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপ্রয়োজনীয় কোনো স্ট্যাটাস–মন্তব্য শেয়ার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর নির্দেশনা অমান্য করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭–এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি–বিধান প্রযোজ্য হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
২০১৯ সালে জারি করা সার্কুলারে যেসব বিষয় পরিহার করতে বলা হয়েছে:
জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো প্রকার তথ্য, মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার; কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো তথ্য বা মন্তব্য; রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য বা মন্তব্য; কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কোনো তথ্য বা মন্তব্য; কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো তথ্য বা মন্তব্য; লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কোনো তথ্য বা মন্তব্য; জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য বা মন্তব্য; কোনো মামলা সংক্রান্তে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি; নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি; সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ ও প্রচার; অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তকরণ (ট্যাগিং), আদান-প্রদান (শেয়ারিং), প্রকাশ ও প্রচার।
যেসব বিষয় অনুসরণ করতে বলা হয়েছে:
প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে; প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে; ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে; অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে তথ্য, স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেওয়া যাবে না; দায়িত্বশীল ও বিচারকসূলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে; মামলার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না; বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহজাহান সাজু বলেন, সমাজের সর্বত্র আইন অমান্য করার প্রবণতা বিরাজমান। বিচারকেরা বিচার করলেও তাঁরা এই সমাজেরই মানুষ। তবে বিচারকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। জনগণের প্রত্যাশা যে, বিচারকেরা হবেন স্বচ্ছ, ক্লিন ইমেজের এবং তাঁরাই সবচেয়ে বেশি আইন মান্য করবেন। আর কোনো বিচারক যদি সুপ্রিম কোর্টের কোনো নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে তাঁকে ওই নির্দেশনা মান্য না করার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকেই দেখতে হবে।
২০২৩ সালের সার্কুলারে বলা হয়, কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, এই মাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তোলা ছবি বা ভিডিও আপলোড করাসহ নিজেদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট শেয়ার বা তাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করছেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য বা শেয়ার করছেন এবং ইউটিউবে বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজ বা ছদ্মনামে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করাসহ অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন অনুষ্ঠানের ছবি আপলোড করছেন। এমন কর্মকাণ্ডে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে আটটি বিষয় অনুসরণ করতে এবং ১১টি বিষয় পরিহার করতে বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে ২০১৯ সালের নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না উল্লেখ করে তা প্রতিপালন করতে বলা হয়।
সবশেষ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে আবারও সার্কুলার জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে পূর্বের নির্দেশনা প্রতিপালন না করাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের যে কোনো নির্দেশনা অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য মানা বাধ্যতামূলক। তিন দফায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। কেউ যাতে নির্দেশনা অমান্য না করে। কেননা নতুন যারা বিচার বিভাগে এসেছে তাদের হয়তো আগের নির্দেশনার বিষয়টি জানা নেই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কতিপয় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০১৯ ও ২০২৩ সালে প্রদত্ত নির্দেশনা প্রতিপালন করছেন না। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, অনভিপ্রেত। কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছেন এবং কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর নিয়োগকারী ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে নানাবিধ বিরূপ মন্তব্য করছেন, যা চাকরি শৃঙ্খলা ও বিধিমালার পরিপন্থী এবং অসদাচরণের শামিল।
এই সর্কুলারে প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগের নির্দেশনাগুলো আবশ্যিকভাবে প্রতিপালন নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্দেশনা ভঙ্গ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরি শৃঙ্খলা পরিপন্থী অপ্রয়োজনীয় কোনো স্ট্যাটাস–মন্তব্য শেয়ার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর নির্দেশনা অমান্য করলে তা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭–এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধি–বিধান প্রযোজ্য হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
২০১৯ সালে জারি করা সার্কুলারে যেসব বিষয় পরিহার করতে বলা হয়েছে:
জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো প্রকার তথ্য, মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ ও প্রচার; কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনো তথ্য বা মন্তব্য; রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা সংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য বা মন্তব্য; কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কোনো তথ্য বা মন্তব্য; কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কোনো তথ্য বা মন্তব্য; লিঙ্গ বৈষম্যমূলক কোনো তথ্য বা মন্তব্য; জনমনে অসন্তোষ ও অপ্রীতিকর মনোভব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো তথ্য বা মন্তব্য; কোনো মামলা সংক্রান্তে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি; নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য বা ব্যক্তিগত অনুভূতি; সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ছবি বা ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ ও প্রচার; অপ্রাসঙ্গিক, অপ্রয়োজনীয়, মানহানিকর এবং নৈতিকতা পরিপন্থী কোনো স্ট্যাটাস, পোস্ট, লিংক, ছবি ইত্যাদিতে অন্যজনকে সংযুক্তকরণ (ট্যাগিং), আদান-প্রদান (শেয়ারিং), প্রকাশ ও প্রচার।
যেসব বিষয় অনুসরণ করতে বলা হয়েছে:
প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে; প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে; ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে; অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে তথ্য, স্ট্যাটাস বা পোস্ট দেওয়া যাবে না; দায়িত্বশীল ও বিচারকসূলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে; মামলার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না; বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকসমূহের প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শাহজাহান সাজু বলেন, সমাজের সর্বত্র আইন অমান্য করার প্রবণতা বিরাজমান। বিচারকেরা বিচার করলেও তাঁরা এই সমাজেরই মানুষ। তবে বিচারকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। জনগণের প্রত্যাশা যে, বিচারকেরা হবেন স্বচ্ছ, ক্লিন ইমেজের এবং তাঁরাই সবচেয়ে বেশি আইন মান্য করবেন। আর কোনো বিচারক যদি সুপ্রিম কোর্টের কোনো নির্দেশনা অমান্য করেন তাহলে তাঁকে ওই নির্দেশনা মান্য না করার জন্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টকেই দেখতে হবে।
২০২৩ সালের সার্কুলারে বলা হয়, কোনো কোনো বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন, এই মাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তোলা ছবি বা ভিডিও আপলোড করাসহ নিজেদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। অন্যের আপলোড করা ছবি, ভিডিও বা কনটেন্ট শেয়ার বা তাতে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করছেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য বা শেয়ার করছেন এবং ইউটিউবে বা অন্য কোনো মাধ্যমে নিজ বা ছদ্মনামে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করাসহ অপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বহীন অনুষ্ঠানের ছবি আপলোড করছেন। এমন কর্মকাণ্ডে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর জেরে প্রথমে বাংলাদেশে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর বাংলাদেশও ভারতে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে। এ ছাড়া ঢাকার অভিযোগ, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘নসিহত’ দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। দিল্লিতে তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এর আগের দিন গত সোমবারও নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব বিষয়ে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিপরীতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্পর্কের অবনতি হওয়া খুব খারাপ লক্ষণ। এটি শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, বরং উদ্বেগজনক। এ রকম চলতে থাকলে দুই দেশে চরমপন্থীদের উত্থান ঘটবে এবং নির্বাচনে তার অশুভ প্রভাব পড়বে। এর ফলে নির্বাচিত সরকার এলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকতে পারে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য নিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এর জবাবে গত সপ্তাহে ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজ দেশকে ‘পারমাণবিক শক্তিধর দেশ’ এবং ‘বাংলাদেশকে শিক্ষা দেওয়া উচিত’ মন্তব্য করে ঢাকাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়।
১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই দিনই বিকেলের দিকে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলের আয়োজন করে ‘জুলাই ঐক্য’। যদিও পুলিশি বাধায় রাজধানীর বাড্ডায় সেই মিছিল আটকে যায়। এই বিক্ষোভ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতকদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এই বিক্ষোভের আগে ওই দিন দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঠিক ওই দিন রাতেই ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি পোশাক কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে ঝুলিয়ে তাঁর লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জেরে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। হুমকি দেওয়া হয় হাইকমিশনারকে। ওই রাতেই খবর আসে, গুলিবিদ্ধ হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভারতীয় উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় চট্টগ্রাম উপহাইকমিশনের কার্যালয়ে। এসব ঘটনার ঠিক আগের দিন গত শনিবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রামেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত।
এদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনের বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর গুজব প্রত্যক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০-২৫ জন তরুণ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।’
রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ চালানো হচ্ছে, ভারত এ কথা বললেও কোনোভাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। দুষ্কৃতকারীদের হাইকমিশনের সীমানার ঠিক বাইরে কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে দীপু দাসকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন হামলা’ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে প্রশ্ন তোলেন, হাইকমিশনের মতো সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা যেতে পারল? তিনি বলেন, বিক্ষোভের ওই ঘটনার পর থেকে নয়াদিল্লিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিবার ঝুঁকি অনুভব করছে। উপদেষ্টা বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে বাংলাদেশ মিশনের অবস্থান খুবই নিরাপদ স্থানে, সেখানে হিন্দু চরমপন্থীরা ওই এলাকার মধ্যে আসতে পারবে কেন? তাহলে তাদের আসতে দেওয়া হয়েছে।’
পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে গত সোমবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দিল্লিতে অন্য কনস্যুলার পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রেখেছে ঢাকা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম শিলিগুড়ি টাইমস জানায়, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এরপর গতকাল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে ভিএইচপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়, ভাঙার চেষ্টা করা হয় ব্যারিকেড। কলকাতার বিক্ষোভে সংহতি জানাতে পরে বিজেপি নেতারাও যোগ দেন।
এদিনই প্রণয় ভার্মাকে তলব করে নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কূটনৈতিক স্থাপনায় এ রকম পরিকল্পিত সহিংসতা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ধরনের ঘটনা শুধু কূটনৈতিক মিশনের কর্মীদের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না; বরং পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার নীতিকেও ক্ষুণ্ন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে প্রবেশ করেন। আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৫ মিনিটের মতো তিনি মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। এ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ও আবাসস্থলের বাইরে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
এরপর গতকাল বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
সার্বিক বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও একটা বললে আমি একটা বলব, এমন প্রতিযোগিতা ঠিক নয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, কীভাবে ওখান থেকে সরে এসে একটা স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা। তাই বলে স্বাভাবিক সম্পর্ক মানেই নতজানু সম্পর্ক নয়।’
আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে সম্পর্কের অবনতি রোধ প্রথম করণীয়। এ জন্য যাঁরা দায়িত্বশীল, তাঁদের দায় অনেক। অপর পক্ষ কী করছে, তার পাল্টা কীভাবে নেওয়া যায়, তা বিবেচনায় না নিয়ে বরং নিজ উদ্যোগে সম্পর্কের অবনতি কীভাবে রোধ করা যায়, তাতে সচেষ্ট হতে হবে।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। এর জেরে প্রথমে বাংলাদেশে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর বাংলাদেশও ভারতে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে। এ ছাড়া ঢাকার অভিযোগ, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘নসিহত’ দেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো বিক্ষোভ করেছে। দিল্লিতে তারা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। এর আগের দিন গত সোমবারও নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এসব বিষয়ে গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিপরীতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সম্পর্কের অবনতি হওয়া খুব খারাপ লক্ষণ। এটি শুধু দুর্ভাগ্যজনক নয়, বরং উদ্বেগজনক। এ রকম চলতে থাকলে দুই দেশে চরমপন্থীদের উত্থান ঘটবে এবং নির্বাচনে তার অশুভ প্রভাব পড়বে। এর ফলে নির্বাচিত সরকার এলেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন অব্যাহত থাকতে পারে।’
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকাণ্ডের পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য নিয়ে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এর জবাবে গত সপ্তাহে ভারতের আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজ দেশকে ‘পারমাণবিক শক্তিধর দেশ’ এবং ‘বাংলাদেশকে শিক্ষা দেওয়া উচিত’ মন্তব্য করে ঢাকাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দেন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ময়মনসিংহের ভালুকায় দীপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়।
১৪ ডিসেম্বর প্রণয় ভার্মাকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানাতে নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ রিয়াজ হামিদউল্লাহকে তলব করে সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই দিনই বিকেলের দিকে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলের আয়োজন করে ‘জুলাই ঐক্য’। যদিও পুলিশি বাধায় রাজধানীর বাড্ডায় সেই মিছিল আটকে যায়। এই বিক্ষোভ থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ভারতে পলাতকদের ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়। এই বিক্ষোভের আগে ওই দিন দুপুরে ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ঠিক ওই দিন রাতেই ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি পোশাক কারখানার কর্মী দীপু চন্দ্র দাসকে কারখানা থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিভাজকের একটি গাছে ঝুলিয়ে তাঁর লাশে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার জেরে নয়াদিল্লিতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। হুমকি দেওয়া হয় হাইকমিশনারকে। ওই রাতেই খবর আসে, গুলিবিদ্ধ হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর পরপরই চট্টগ্রাম ও খুলনায় ভারতীয় উপহাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয় চট্টগ্রাম উপহাইকমিশনের কার্যালয়ে। এসব ঘটনার ঠিক আগের দিন গত শনিবার নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে চট্টগ্রামেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় ভারত।
এদিকে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনের বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর গুজব প্রত্যক্ষ করেছি। বাস্তবতা হলো, ২০-২৫ জন তরুণ বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাসকে হত্যার প্রতিবাদে স্লোগান দিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন।’
রণধীর জয়সওয়ালের বক্তব্যের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর প্রচার’ চালানো হচ্ছে, ভারত এ কথা বললেও কোনোভাবে তা মেনে নেওয়া যায় না। দুষ্কৃতকারীদের হাইকমিশনের সীমানার ঠিক বাইরে কর্মকাণ্ড চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহে দীপু দাসকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন হামলা’ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের ঘটনায় ভারত সরকারের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে প্রশ্ন তোলেন, হাইকমিশনের মতো সুরক্ষিত এলাকায় কীভাবে বিক্ষোভকারীরা যেতে পারল? তিনি বলেন, বিক্ষোভের ওই ঘটনার পর থেকে নয়াদিল্লিতে নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিবার ঝুঁকি অনুভব করছে। উপদেষ্টা বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক এলাকার ভেতরে বাংলাদেশ মিশনের অবস্থান খুবই নিরাপদ স্থানে, সেখানে হিন্দু চরমপন্থীরা ওই এলাকার মধ্যে আসতে পারবে কেন? তাহলে তাদের আসতে দেওয়া হয়েছে।’
পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভের মধ্যে নিরাপত্তার কারণে গত সোমবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন এবং ত্রিপুরার আগরতলায় সহকারী হাইকমিশন ও পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির ভিসা সেন্টার থেকে ভিসা ও কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দিল্লিতে অন্য কনস্যুলার পরিষেবাও আপাতত বন্ধ রেখেছে ঢাকা।
ভারতের সংবাদমাধ্যম শিলিগুড়ি টাইমস জানায়, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠনের সদস্যরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), হিন্দু জাগরণ মঞ্চ ও শিলিগুড়ি মহানগর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এরপর গতকাল নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন ও কলকাতায় উপহাইকমিশনের সামনে ভিএইচপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়, ভাঙার চেষ্টা করা হয় ব্যারিকেড। কলকাতার বিক্ষোভে সংহতি জানাতে পরে বিজেপি নেতারাও যোগ দেন।
এদিনই প্রণয় ভার্মাকে তলব করে নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কূটনৈতিক স্থাপনায় এ রকম পরিকল্পিত সহিংসতা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ ধরনের ঘটনা শুধু কূটনৈতিক মিশনের কর্মীদের নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ফেলে না; বরং পারস্পরিক সম্মান, শান্তি ও সহনশীলতার নীতিকেও ক্ষুণ্ন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রণয় ভার্মা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়ামের দপ্তরে প্রবেশ করেন। আসা-যাওয়া মিলিয়ে ৫ মিনিটের মতো তিনি মন্ত্রণালয়ে ছিলেন। এ নিয়ে ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হলো।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশন প্রাঙ্গণ ও আবাসস্থলের বাইরে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এবং ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্রে উগ্রপন্থী গোষ্ঠীর ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনাকে উদ্বেগজনক বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। ঘটনাগুলোর পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্ত, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন ও সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
এরপর গতকাল বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
সার্বিক বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ও একটা বললে আমি একটা বলব, এমন প্রতিযোগিতা ঠিক নয়। আমাদের চেষ্টা করতে হবে, কীভাবে ওখান থেকে সরে এসে একটা স্বাভাবিক সম্পর্কের দিকে যাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা। তাই বলে স্বাভাবিক সম্পর্ক মানেই নতজানু সম্পর্ক নয়।’
আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মাহফুজুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে সম্পর্কের অবনতি রোধ প্রথম করণীয়। এ জন্য যাঁরা দায়িত্বশীল, তাঁদের দায় অনেক। অপর পক্ষ কী করছে, তার পাল্টা কীভাবে নেওয়া যায়, তা বিবেচনায় না নিয়ে বরং নিজ উদ্যোগে সম্পর্কের অবনতি কীভাবে রোধ করা যায়, তাতে সচেষ্ট হতে হবে।

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে আটটি বিষয় অনুসরণ করতে এবং ১১টি বিষয় পরিহার করতে বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে ২০১৯ সালের নির্দেশনা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘মব’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রখ্যাত তরুণ নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়। একই সময়ে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
আইরিন খান বলেন, ‘এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি। বিচারহীনতা দূর করতে এবং সংবাদমাধ্যম ও শিল্প-সাহিত্যের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতাই এসব ঘটনার পথ তৈরি করেছে।’ শরিফ ওসমান বিন হাদির পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর ঘোষণার পর সাংবাদিক ও শিল্পীদের লক্ষ্য করে সংগঠিত সহিংসতারও তিনি কঠোর নিন্দা জানান।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, জনরোষকে সাংবাদিক ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক—বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন দেশ একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর ও ভিন্নমতের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কয়েক শ সাংবাদিককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অস্পষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় নিবর্তনমূলকভাবে আটক রাখা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আইরিন খান বলেন, সরকার যদি নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ‘মব’ বা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনা করে অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের প্রখ্যাত তরুণ নেতা শরিফ ওসমান বিন হাদির প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যাকাণ্ডের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বিক্ষোভের ধারাবাহিকতায় দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানো হয়। একই সময়ে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপরও হামলার ঘটনা ঘটে।
আইরিন খান বলেন, ‘এই মব আক্রমণগুলো হাওয়া থেকে ঘটেনি। বিচারহীনতা দূর করতে এবং সংবাদমাধ্যম ও শিল্প-সাহিত্যের স্বাধীনতা রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতাই এসব ঘটনার পথ তৈরি করেছে।’ শরিফ ওসমান বিন হাদির পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর ঘোষণার পর সাংবাদিক ও শিল্পীদের লক্ষ্য করে সংগঠিত সহিংসতারও তিনি কঠোর নিন্দা জানান।
জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে বলেন, জনরোষকে সাংবাদিক ও শিল্পীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা অত্যন্ত বিপজ্জনক—বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন দেশ একটি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ফলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, সংখ্যালঘুদের কণ্ঠস্বর ও ভিন্নমতের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে কয়েক শ সাংবাদিককে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অস্পষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনেককে দীর্ঘ সময় নিবর্তনমূলকভাবে আটক রাখা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আইরিন খান বলেন, সরকার যদি নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়, তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই হবে।

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে আটটি বিষয় অনুসরণ করতে এবং ১১টি বিষয় পরিহার করতে বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে ২০১৯ সালের নির্দেশনা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
গানটি গেয়েছেন স্টয়িক ব্লিসখ্যাত কাজী।

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে আটটি বিষয় অনুসরণ করতে এবং ১১টি বিষয় পরিহার করতে বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে ২০১৯ সালের নির্দেশনা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
১০ ঘণ্টা আগে
ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
১০ ঘণ্টা আগেবিবিসি বাংলা

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনারকে তলবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে পাল্টা তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গত ১০ দিনে চার দফায় দুই দেশ একে অন্যের কূটনীতিককে তলব করে নানা ইস্যুতে প্রতিবাদ আর উদ্বেগ জানাল।
মঙ্গলবার টানা চতুর্থ দিনের মতো বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা চলেছে। দিনের শুরুতে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। এ সময় ২০ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও হাইকমিশনারের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ ও হুমকি প্রদান, ২২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বাংলাদেশ ভিসাকেন্দ্রে কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যদের ভাঙচুরের ঘটনায় ভারত সরকারের কাছে গভীর উদ্বেগ জানানো হয়।
এর জের ধরে বিকেলে দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তলব করে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাহকে। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বি শ্যাম তলবের সময় বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে বলেছেন, বাংলাদেশ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ইস্যুতে অযৌক্তিক ও অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। তখন এই অভিযোগ খণ্ডন করে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন ইস্যুতে বাস্তবতার নিরিখে অবস্থান তুলে ধরছে।
গত বছরের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এই ১৬ মাসে একই দিনে সকালে এক দেশের দূতকে তলবের পাল্টায় বিকেলে অন্য দেশের দূতকে তলবের ঘটনা এই প্রথম ঘটেছে।
এদিকে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের সামনে দুপুরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর মিছিলের পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল করেছেন বামপন্থী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। হিন্দুত্ববাদীরা একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও বামপন্থীরা সেই চেষ্টা করেনি।

বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে অনুসরণীয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে আটটি বিষয় অনুসরণ করতে এবং ১১টি বিষয় পরিহার করতে বলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল আবারও সার্কুলার জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে ২০১৯ সালের নির্দেশনা
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে। গত প্রায় দেড় বছরে নানা ঘটনায় সেই টানাপোড়েন বেড়েছে। অতি সম্প্রতি বিভিন্ন ইস্যুতে পাল্টাপাল্টি কূটনৈতিক তলব, রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য, দুই দেশের হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয় এবং ছায়ানট ভবনে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতামত ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত তদন্ত ও বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী...
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে দেশের আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রিলিজ করা হয়েছে ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান।
১০ ঘণ্টা আগে