Ajker Patrika

আদানির বিদ্যুৎ ও ঢাকা সফর: এত রাখঢাক কেন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ২২: ৫৪
আদানির বিদ্যুৎ ও ঢাকা সফর: এত রাখঢাক কেন প্রশ্ন বিশেষজ্ঞদের

ভারতের গোড্ডায় আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। তথ্য গোপন করে কয়লার অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যেই অনেকটা নীরবে গত ৬ এপ্রিল থেকে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু—সবকিছুতেই চলছে লুকোচুরি। সর্বশেষ আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়েও ছিল রাখঢাক।

সরকার এবং আদানির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ কেনা শুরু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে গৌতম আদানি ঢাকা সফর করেছেন। 

গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় বাংলাদেশে এসে বেলা ১টায় বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া গৌতম আদানির এই তিন ঘণ্টার সফর নিয়েও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির ব্যক্তিগত বিমানে উড়ে এসে এই ঝটিকা সফর প্রকাশ পায় গতকাল বেলা ১টা ৪০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে তাঁর করা এক টুইটে। মূলত এরপরই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। এর আগে তাঁর সাক্ষাতের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি কোনো পক্ষই।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মতে, আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকারের মধ্যে একধরনের অস্বস্তি আছে। একই সঙ্গে আছে স্বচ্ছতার অভাব। এ জন্য আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বড় ঘটনা যেমন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু এবং আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বাংলাদেশ সফর নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে আছেন সরকারি লোকজন। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নজর রাখা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্বালানি-বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে মারাত্মক স্বচ্ছতার অভাব আছে। না থাকলে কেন সরকার সবকিছু গোপন করতে চাইবে। বাংলাদেশের জন্য বানানো বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে, সেটা আমাদের জানতে হয় ভারতের সংবাদমাধ্যম মারফত। এটা তো সরকারের পক্ষ থেকে ঢাকঢোল পিটিয়ে বলার কথা। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যা হচ্ছে, এটা খুবই দুঃখজনক। যদি লুকানোর কোনো কিছুই না থাকে তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে এগুলো ফলাও করে বলা উচিত।’ 

ড. ইজাজ হোসেন আরও বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনের শুরু হয়ে গেল, তবুও আমরা এখনো জানি না প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য কী পরিমাণ টাকা দিতে হচ্ছে। যেহেতু বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে, একই সঙ্গে এখন দিতে হবে ক্যাপাসিটি পেমেন্টও। বছরে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট কত দিতে হবে—সেটাও স্পষ্ট না।’

চলতি বছরের ৬ এপ্রিল অনেকটা নীরবেই আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিটে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর খবর প্রকাশ পায় বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে লেখা আদানির একটি চিঠির সূত্রে। তখন বিদ্যুৎ বিভাগ প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর বিষয়টি অস্বীকার করেছিল। 

একই ঘটনা ৮০০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিটের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর ব্যাপারেও ঘটেছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে লেখা চিঠিতে আদানি গ্রুপ দাবি করে, গত ২৫ জুন রাত ১২টায় বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা হয়েছে। বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে আদানির দেওয়া চিঠি ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর কথা স্বীকার করে। 

দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসার খবরে বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ আদানির শেয়ারের দাম বেড়ে যায় ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ম. তামিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে এখন বেশ কিছু কারিগরি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার আগে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করা দরকার ছিল; সেগুলো করা হয়নি। যার জন্য দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রায় কোনো না কোনো ইউনিট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারিগরি ত্রুটির কারণে। সরকারের তরফে এ নিয়ে একটা অস্বস্তি আছে। এ জন্য আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ঘিরে বেশ লুকোচুরি দেখতে পাচ্ছি।’ 

ম. তামিম আরও বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারফরমেন্স টেস্টিং এবং হস্তান্তর প্রক্রিয়ার কোনো চিত্র কোনো পক্ষ থেকেই আমাদের সামনে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে যে বিভিন্ন সমস্যা আছে, সেটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু নিয়ে লুকোচুরির কোনো কারণ আমি দেখি না। কিন্তু এরপরও কেন হচ্ছে বুঝতে পারছি না।’

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আসা বিদ্যুৎ সরকারের পক্ষ থেকে কেনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে এত কিছু হয়ে গেল, কিন্তু পিডিবির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোনো বিবৃতি আসেনি। 

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানিগৌতম আদানি ও প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতে ঝটিকা সফর করে গেলেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

প্রতিমন্ত্রীর দাবি, গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাচ্ছেন অনেক দিন ধরেই। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সময় করতে পারছিলেন না । তিনিই এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে এই সাক্ষাতের সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং বিদ্যুৎসচিব মো. হাবিবুর রহমান বা বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না। 

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গৌতম আদানির ব্যক্তিগত বিমানটি অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় যান সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। জানা যায়, প্রায় আধা ঘণ্টা গৌতম আদানি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অবস্থান করেন। বেলা ১১টার পর বিমানবন্দরের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ত্যাগ করেন গৌতম আদানি। 

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র এখন আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট মতো বিদ্যুৎ নিচ্ছি।’ 

তবে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, দুই দিন ধরে আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৬০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি বিদ্যুৎ আমদানি করছে। মাঝখানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে কয়েক ঘণ্টা ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়েছিল। যদিও বর্তমানে উৎপাদনে থাকা গোড্ডায় আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিটের সক্ষমতা মোট ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট।

আদানি থেকে কম দামে, টেকসই ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে—এ কথা বলে সরকার ২০১৭ সালে আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুসারে, আদানি গ্রুপের কোম্পানি আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।

তবে উৎপাদন শুরুর আগেই এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আমদানি করা কয়লার দাম বেশি দাবি করে আদানি গ্রুপ। কয়লার দাম নিয়ে পিডিবি আদানির সঙ্গে আলোচনা শুরু করলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, পায়রা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দামের চেয়ে তাঁদের কয়লার দাম বেশি হবে না। 

জানা যায়, আদানি গ্রুপ এখন পর্যন্ত তিন মাসের বিল জমা দিয়েছে। তবে পিডিবি এখনো কোনো বিল পরিশোধ করেনি।

উল্লেখ্য, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণার ফলে আদানির গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি প্রথম পাঁচ বছর শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর পরবর্তী পাঁচ বছর তারা পাবে ৫০ শতাংশ শুল্ক ছাড়।

কিন্তু শুল্ক ছাড়ের বিষয়টি বাংলাদেশকে জানায়নি আদানি। তারা কয়লার দাম দেশে অবস্থিত রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের চেয়ে প্রায় ২০০ ডলার বেশি নির্ধারণ করে। আদানি গ্রুপ মার্চের শুরুর দিকে প্রতি টন কয়লার দাম ৪০০ ডলার নির্ধারণ করে বিপিডিবির কাছে চাহিদাপত্র পাঠায়। ওই সময় বিপিডিবি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা কেনার দরপ্রস্তাব আহ্বান করে। তাতে প্রতি টনের দাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৩২ ডলার।

কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি যে শুল্ক-করে ছাড় পাচ্ছে সেটির সুফল বিপিডিবি কেন পাবে না—তা নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বাংলাদেশে। বিপিডিবির এক সূত্র জানিয়েছে, কয়লার দাম পুনর্নির্ধারণ ও শুল্ক-কর ছাড়ের বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।

উল্লেখ্য, আদানি গ্রুপের গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আগামী ২৫ বছর ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই ছবি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তখন তাঁকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই ছবি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তখন তাঁকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।

গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৩
ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।

একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুমের মামলায় হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৪
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত
শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম করে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২১ ডিসেম্বর।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই দিন ধার্য করেন।

মামলার ১৭ আসামির মধ্যে আজ শুনানির সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন ১০ সেনা কর্মকর্তা।

তাঁরা হলেন—র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল ও সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ এবং সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিনজনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

আসামিদের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষা-বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন পলাতক রয়েছেন।

র‍্যাবের টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন।

পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জন ব্যক্তিকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিকেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইসি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ০৩
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার বিকেল ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন ইসির সিনিয়র সচিব।

আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইজিপি, বিজিবির প্রধান, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, ডিএমপি কমিশনার, এনটিএমসির সঙ্গে আমরা আজ বৈঠকে বসব।’

এর আগে গতকাল শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব, ইসির নিজস্ব তিন রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ মাঠপর্যায়ের সব অফিস ও কর্মকর্তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

গত শুক্রবার বেলা ২টা ২০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলির ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন অফিস এবং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে এই বৈঠকের আয়োজন করছে ইসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

হাদিকে হত্যাচেষ্টায় জড়িত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক সন্দেহে একজন আটক

হাদির মস্তিষ্কের অবস্থা ‘খুবই খারাপ’, এখনো আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

সুদানে নিহত ও আহত শান্তিরক্ষীদের পরিচয় জানাল আইএসপিআর

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত