Ajker Patrika

তিস্তা প্রকল্পে চীনের চেয়ে ভারতকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন শেখ হাসিনা

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪, ১৪: ২০
তিস্তা প্রকল্পে চীনের চেয়ে ভারতকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, তিনি ‘তিস্তা প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ভারতকে প্রাধান্য দেবেন। গত রোববার সন্ধ্যায় চীন সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিস্তা প্রকল্পসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান শেখ হাসিনা। তিনি এমন এক সময়ে এ কথা বললেন, যখন চীন আন্তসীমান্ত নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছে। তবে শেখ হাসিনার এই বক্তব্য নিশ্চিত নয়াদিল্লিকে খুশি করবে। 

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প একটি দীর্ঘস্থায়ী ইস্যু। তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। চীন একটি প্রস্তাব দিয়েছে এবং একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করেছে। ভারতও প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতও একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালাবে এবং তারপর আমরা আমাদের জন্য যুক্তিযুক্ত কোনো একটি পক্ষকে মেনে নেব।’ 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘তবে আমি এই প্রকল্পের জন্য ভারতকে অগ্রাধিকার দেব...ভারত তিস্তার পানি আটকে রেখেছে। আমরা যদি (তিস্তার পানির একটি অংশ) পেতে চাই, তাহলে ভারতের উচিত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা...এটিই কূটনীতি। এ বিষয়ে কোনো লুকোচুরি নেই—এটি খুবই সহজ ও পরিষ্কার।’ 

শেখ হাসিনার চীন সফরের সময় বেইজিংয়ের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লির কূটনৈতিক মহল গভীর দৃষ্টি রেখেছিল। ভারতের সিকিম থেকে পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই নদী নিয়ে আলোচনার এজেন্ডা শেখ হাসিনার সফরসূচিতে ছিল না, তার পরও কূটনৈতিক সংলাপে এই ইস্যু ছিল কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘এটা ক্রমবর্ধমানভাবে দেখা যাচ্ছে যে, ভারতের তিস্তা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং এটি উভয় দেশের জন্যই একটি উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করবে।’ 

শেখ হাসিনার চীন সফরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের একাধিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশকে বেইজিংয়ের তরফ থেকে ২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে দেশের অবকাঠামো তৈরিতে চীনা সহযোগিতার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। তবে এর আগে গত জুন মাসে শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তার জন্য একটি সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে নয়াদিল্লির আগ্রহের কথা জানান। তারপর থেকেই চার বছর আগে প্রথমবারের মতো চীন প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পানি-কূটনীতির অন্যতম মূল দরকষাকষির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। 

বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি চীনের প্রস্তাবটি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো নির্দেশ দেওয়ার কয়েক দিন পরেই মোদির প্রস্তাব আসে। তাঁর এই মন্তব্য এটি অনুমান করা যায় যে, তিনি হয়তো এই প্রকল্প চীনকে দেওয়ার কথা ভাবছেন। তবে শেখ হাসিনার চীন সফরের আগে তিনটি কারণে কূটনৈতিক মহল এই সম্ভাবনাকে বাদ দিয়েছিল। 

প্রথমত, এটি ভারতের পানি-কূটনীতির ব্যর্থতার ইঙ্গিত দেবে। দ্বিতীয়ত, এটি (শিলিগুড়ি) চিকেনস নেকের (পশ্চিমবঙ্গের সরু এই ভূখণ্ডটি উত্তর-পূর্বকে ভারতের দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করে) ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে চীনা উপস্থিতি সৃষ্টি করবে। তৃতীয়ত, চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে এই অঞ্চলের পানিপ্রবাহের সংবেদনশীল তথ্যের সুবিধা থাকবে। 

তবে শেখ হাসিনার সর্বশেষ মন্তব্য তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তির বিকল্প খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকা নয়াদিল্লির টান টান স্নায়ুচাপকে প্রশমিত করবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাধার কারণে ২০১১ সাল থেকে এই চুক্তি আটকে আছে। তবে শেখ হাসিনার মন্তব্য তাঁর ভারত সফরের সময় তিনি এবং মোদি যে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন, সেটির বিষয়বস্তুর ওপরই জোর আরোপ করবে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘... আমরা একটি পারস্পরিক সম্মত সময়সীমার মধ্যে ভারতীয় সহায়তায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করব।’ 

নয়াদিল্লির একটি সূত্র বলছে, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরে’ শব্দবন্ধ দুটিই এই বিবৃতির মূলভাব ধারণ করে। সূত্রটি বলছে, ‘পানি বণ্টনের বিপরীতে—যার জন্য কেন্দ্র সরকারের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্মতি প্রয়োজন—ভারত সরকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবাধে প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পারবে।’ 

সূত্র জানিয়েছে, ভারত এরই মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এই প্রকল্পে তিস্তা থেকে ধরলা (ভারতের দিকে যা জলঢাকা নামে পরিচিত) এবং ব্রহ্মপুত্র থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেছে, ‘ভারত রংপুরে একটি সহকারী হাইকমিশন খুলছে। এই বিভাগ হয়েই তিস্তা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মনে হচ্ছে, এই হাইকমিশন প্রকল্প বাস্তবায়ন তদারকি করতে ব্যবহার করা হবে। ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা স্থল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে এরই মধ্যে একাধিকবার রংপুর সফর করেছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্পিকার ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৮
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠেয় জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি ও কূটনীতিকেরা। আজ বুধবার সকাল থেকেই বিদেশি অতিথিরা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে পা রেখেছেন।

আজ বুধবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে পাকিস্তান সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে ঢাকায় পা রাখেন দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের প্রেস কাউন্সিলর ফাসিহ উল্লাহ খান জানান, বিমানবন্দরে স্পিকারকে স্বাগত জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বিমানবন্দরের মুখপাত্র ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, স্পিকারকে বহনকারী ফ্লাইটটি নির্ধারিত সময়েই অবতরণ করে।

এর কিছুক্ষণ আগে, বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তাঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। ভারতের পক্ষ থেকে এই উচ্চপর্যায়ের জানাজায় অংশগ্রহণকে দক্ষিণ এশিয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ভুটান সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছান দেশটির পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী লিয়নপো ডি. এন. ধুংগেল। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এস এম সামাদ জানান, বিমানবন্দরে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা স্বাগত জানান।

আজ দুপুর ২টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই জানাজায় অংশ নিতে ইতিমধ্যে দেশি-বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধারণ মানুষের সমাগম শুরু হয়েছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা জানাজায় উপস্থিত থেকে কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের এই রাষ্ট্রীয় জানাজাকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘খালেদা জিয়াকে এভাবে বিদায় দিতে হবে ভাবিনি’

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রিত্বের ভার বহন করেছিলেন তিনবার। গণতন্ত্রের আন্দোলনে ছিলেন আপোসহীন নেত্রী। তাঁর শেষ বিদায়ে আজ দেশ শোকাহত। আর শোক ধারণ করে হাজারো মানুষের ভিড় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। যেখানে আজ বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর আনুমানিক বেলা ২টার দিকে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা।

সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। ছবি: আজকের পত্রিকা

জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই সংসদ ভবন এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদেরও। কেউ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না, কেউ নীরবে বসে আছেন মন ভার করে। পুরো এলাকা জুড়ে শোক আর নীরবতার আবহ।

লালবাগ থেকে আসা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমরা আজ একজন রাজনৈতিক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। দোয়া করি, তারেক রহমান যেন দেশের হাল ধরতে পারেন।’

সংসদ-এলাকা

সাভার থেকে আসা দুই বন্ধু স্বপন শেখ ও মো. রিয়াজ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে এই মুহূর্তে এভাবে বিদায় দিতে হবে, ভাবিনি। তিনি জীবনে এত ত্যাগ করেছেন, অথচ কিছুই সঙ্গে নিয়ে যেতে পারলেন না। তাঁর একমাত্র প্রাপ্তি—বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা।’

বগুড়া থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা মনোয়ার হোসেন মামুন বলেন, ‘এ দেশ যাঁরা শাসন করেছেন, তাঁদের সবার গায়েই কোনো না কোনো কলঙ্ক আছে। কেবল বেগম খালেদা জিয়ার কোনো কলঙ্ক নেই। তিনি ক্ষমতার লোভ করেননি। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পাশেই ছিলেন। ”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শেখ হাসিনা তিলে তিলে এমন একজন মানুষকে মেরে ফেলেছে। এর বিচার জনসম্মুখে হতে হবে—যে সরকারই আসুক।’

জানাজা শেষে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শহিদ রাষ্ট্রপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে। এ সময় পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা, বিদেশি কূটনীতিক এবং বিএনপি মনোনীত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।

দাফনকাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যক্তিবর্গ ছাড়া অন্য কারও প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। দাফনকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেরেবাংলা নগরের জিয়া উদ্যান এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার পরিবর্তে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পশ্চিম প্রান্তে কফিন রাখা হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরের মাঠ, বাইরের অংশ এবং পুরো মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জুড়েই জানাজার আয়োজন করা হয়েছে। জানাজাকে ঘিরে নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় দপ্তর যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। জনসাধারণের অংশগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে আশপাশের সড়কগুলোতেও অবস্থানের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ২৪
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।

তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে জানিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

তিনি কী কারণে পদত্যাগ করেছেন সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় নির্বাহী ক্ষমতা অনুশীলনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে নিয়োগ পান সায়েদুর রহমান। একই সঙ্গে তাঁকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ক্ষমতা অর্পণ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু, সংসদ ভবন এলাকা লোকারণ্য

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৪
খালেদা জিয়ার জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু, সংসদ ভবন এলাকা লোকারণ্য
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত