তানিম আহমেদ, ঢাকা

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য বিভিন্ন রকম। তাদের মধ্যে তথ্যের ব্যবধান রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জুলাই মাসের প্রতিবেদনে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮০ নিহত এবং ৫৪২ জন আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির একই মাসের প্রতিবেদনে ৫০৬টি দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৫৬ জন আহত বলা হয়েছে। জুন মাসে বিআরটিএর হিসাবে ৫৫৭ দুর্ঘটনায় ৫৬৬ জন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৬৭১ দুর্ঘটনায় ৭১১ জন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৬৮৯ দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন নিহত হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসেও সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের হিসাবে লক্ষণীয় পার্থক্য দেখা গেছে।
২০২৪ সালের হিসাবে তিন উৎসের তথ্যে পার্থক্য দেখা যায়। বিআরটিএর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৪ সালে সারা দেশে প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ জনের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে সংখ্যাটি ৭ হাজার ২৯৪ এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৮ হাজার ৫৪৩।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনগুলো তৈরি হয় দ্বিতীয় স্তরের (সেকেন্ডারি সোর্স) তথা গণমাধ্যম কিংবা পুলিশের তথ্য নিয়ে। এসব প্রতিবেদনে শুধু ঘটনা ঘটার দিনের তথ্য থাকে; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর উল্লেখ থাকে না। এ কারণে দুর্ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
দেশে কয়েক বছর ধরে সরকারের বিআরটিএ, বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মাস শেষে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। সরকারি সংস্থাটি পুলিশের তথ্য নিয়ে এবং বেসরকারি সংগঠনগুলো গণমাধ্যমের তথ্য ঘেঁটে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। এই তিন সূত্রের দেওয়া গত চার মাসের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্যের তুলনা করলে ‘তথ্য-বিভ্রাট’ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর কারণ হিসেবে তথ্য প্রাপ্তির নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কথায়, গণমাধ্যমগুলোয় মূলত বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর আসে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা কিংবা কম হতাহতের খবর অনেক সময় প্রচারমাধ্যমে আসে না।
বিআরটিএ পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে। আর রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদন তৈরি করে ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্যে গরমিলের কারণে কয়েক বছর আগে থেকে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এর জেরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক প্রতিবেদন দেওয়া শুরু করে বিআরটিএ। তাদের হিসাবে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করায় আমাদের তথ্যে গরমিল দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করছি, সেটা সঠিক নয়। দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার না করে মূল সোর্সের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলে গরমিল হবে না।’
সড়ক দুর্ঘটনার হিসাবে গরমিলের জন্য ‘অবহেলা’ ও ‘চালাকি’ দায়ী বলে মনে করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলা এবং অন্য সংগঠনগুলোর চালাকি আছে। অনেকে তথ্য ঘষামাজা করেন। সরকারি সংস্থাগুলো আন্তরিক হলে প্রতিবেদনে গরমিল হবে না। আমরা দ্বিতীয় স্তরের তথ্য দিয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করি। গরমিল দূর করতে হলে সরকারকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের নির্ভরযোগ্য সংখ্যা না পাওয়ায় বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণমাধ্যমের খবরের ওপর নির্ভর করতে হয়। সব ঘটনার খবর পূর্ণাঙ্গভাবে সব প্রচারমাধ্যমে আসে না; বিশেষ করে হতাহতের সংখ্যা কম হলে বা মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলে। কিছুটা এ কারণেও একেক সংগঠনের দেওয়া তথ্য একেক রকম হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় একটি ডেটাবেস বা তথ্যভান্ডার তৈরি করা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুর্ঘটনার প্রতিকারের জন্য এর কারণ জানতে হবে। এ জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দরকার। মূলত পুলিশের তা করার সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়, পুলিশ দুই পাতার একটি ফরমে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত ৬৭টি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে। কিন্তু বর্তমানে সেটি তেমনভাবে অনুসরণ করা হয় না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক ড. এম শামসুল হক বলেন, পুলিশের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দুর্ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। বিআরটিএর কোনো এখতিয়ার নেই এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার। কারণ, তারা নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। বিআরটিএ স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজটি নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারকে খুশি করার জন্য। তারা সরকারকে কম তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে বাইরের যারা এ নিয়ে কাজ করে, তাদের হেয় করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বছর শেষে কিংবা প্রতি তিন মাস অন্তর দুর্ঘটনার তুলনামূলক চিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশপ্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। আমাদের সেই উইং থাকলেও তা ততটা কার্যকর নয়। আমি চেষ্টা করছি।’
দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করে। সবগুলো মিলিয়ে নিলে সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএ নিজস্ব সোর্স ছাড়া প্রতিবেদন তৈরি করায় পরিসংখ্যানে গরমিল হয়।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে। প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে এটিকে অন্যতম সমস্যা হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য বিভিন্ন রকম। তাদের মধ্যে তথ্যের ব্যবধান রয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জুলাই মাসের প্রতিবেদনে ৪২৭টি দুর্ঘটনায় ৩৮০ নিহত এবং ৫৪২ জন আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে যাত্রী কল্যাণ সমিতির একই মাসের প্রতিবেদনে ৫০৬টি দুর্ঘটনায় ৫২০ জন নিহত এবং ১ হাজার ৩৫৬ জন আহত বলা হয়েছে। জুন মাসে বিআরটিএর হিসাবে ৫৫৭ দুর্ঘটনায় ৫৬৬ জন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৬৭১ দুর্ঘটনায় ৭১১ জন এবং রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে ৬৮৯ দুর্ঘটনায় ৬৯৬ জন নিহত হয়েছে। এপ্রিল ও মে মাসেও সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের হিসাবে লক্ষণীয় পার্থক্য দেখা গেছে।
২০২৪ সালের হিসাবে তিন উৎসের তথ্যে পার্থক্য দেখা যায়। বিআরটিএর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় ২০২৪ সালে সারা দেশে প্রাণহানি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮০ জনের।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে সংখ্যাটি ৭ হাজার ২৯৪ এবং যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসাবে ৮ হাজার ৫৪৩।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাংলাদেশের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদনগুলো তৈরি হয় দ্বিতীয় স্তরের (সেকেন্ডারি সোর্স) তথা গণমাধ্যম কিংবা পুলিশের তথ্য নিয়ে। এসব প্রতিবেদনে শুধু ঘটনা ঘটার দিনের তথ্য থাকে; হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর উল্লেখ থাকে না। এ কারণে দুর্ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।
দেশে কয়েক বছর ধরে সরকারের বিআরটিএ, বেসরকারি সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশন মাস শেষে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। সরকারি সংস্থাটি পুলিশের তথ্য নিয়ে এবং বেসরকারি সংগঠনগুলো গণমাধ্যমের তথ্য ঘেঁটে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। এই তিন সূত্রের দেওয়া গত চার মাসের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের তথ্যের তুলনা করলে ‘তথ্য-বিভ্রাট’ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর কারণ হিসেবে তথ্য প্রাপ্তির নানা সীমাবদ্ধতার কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তাঁদের কথায়, গণমাধ্যমগুলোয় মূলত বড় ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের খবর আসে। ছোটখাটো দুর্ঘটনা কিংবা কম হতাহতের খবর অনেক সময় প্রচারমাধ্যমে আসে না।
বিআরটিএ পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে থাকে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরি করে। আর রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রতিবেদন তৈরি করে ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের তথ্যে গরমিলের কারণে কয়েক বছর আগে থেকে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এর জেরে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মাসিক প্রতিবেদন দেওয়া শুরু করে বিআরটিএ। তাদের হিসাবে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা কম দেখানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করায় আমাদের তথ্যে গরমিল দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করছি, সেটা সঠিক নয়। দ্বিতীয় স্তরের তথ্য ব্যবহার না করে মূল সোর্সের মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করতে পারলে গরমিল হবে না।’
সড়ক দুর্ঘটনার হিসাবে গরমিলের জন্য ‘অবহেলা’ ও ‘চালাকি’ দায়ী বলে মনে করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এখানে সরকারি সংস্থাগুলোর অবহেলা এবং অন্য সংগঠনগুলোর চালাকি আছে। অনেকে তথ্য ঘষামাজা করেন। সরকারি সংস্থাগুলো আন্তরিক হলে প্রতিবেদনে গরমিল হবে না। আমরা দ্বিতীয় স্তরের তথ্য দিয়ে গ্রহণযোগ্য প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করি। গরমিল দূর করতে হলে সরকারকে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।’
পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের নির্ভরযোগ্য সংখ্যা না পাওয়ায় বেসরকারি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে গণমাধ্যমের খবরের ওপর নির্ভর করতে হয়। সব ঘটনার খবর পূর্ণাঙ্গভাবে সব প্রচারমাধ্যমে আসে না; বিশেষ করে হতাহতের সংখ্যা কম হলে বা মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলে। কিছুটা এ কারণেও একেক সংগঠনের দেওয়া তথ্য একেক রকম হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সমস্যার সমাধানে সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় একটি ডেটাবেস বা তথ্যভান্ডার তৈরি করা অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুর্ঘটনার প্রতিকারের জন্য এর কারণ জানতে হবে। এ জন্য তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা দরকার। মূলত পুলিশের তা করার সুযোগ ও সামর্থ্য রয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান, কারণ ও প্রতিকার নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে ১৯৯৮ সালে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তখন বলা হয়, পুলিশ দুই পাতার একটি ফরমে দুর্ঘটনা-সংক্রান্ত ৬৭টি বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করবে। কিন্তু বর্তমানে সেটি তেমনভাবে অনুসরণ করা হয় না।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) পরিচালক ড. এম শামসুল হক বলেন, পুলিশের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দুর্ঘটনার তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। বিআরটিএর কোনো এখতিয়ার নেই এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করার। কারণ, তারা নিজের কাজ ঠিকমতো করতে পারে না। বিআরটিএ স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজটি নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকারকে খুশি করার জন্য। তারা সরকারকে কম তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে বাইরের যারা এ নিয়ে কাজ করে, তাদের হেয় করেছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বছর শেষে কিংবা প্রতি তিন মাস অন্তর দুর্ঘটনার তুলনামূলক চিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশপ্রধান (অতিরিক্ত আইজি) মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা। তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। আমাদের সেই উইং থাকলেও তা ততটা কার্যকর নয়। আমি চেষ্টা করছি।’
দুর্ঘটনার সঠিক পরিসংখ্যান না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করে। সবগুলো মিলিয়ে নিলে সঠিক সংখ্যা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বিআরটিএ নিজস্ব সোর্স ছাড়া প্রতিবেদন তৈরি করায় পরিসংখ্যানে গরমিল হয়।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১০ ঘণ্টা আগেতানিম আহমেদ, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।
লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।
এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।
প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’
সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।
নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’
গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’
গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
৪ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
১০ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

দেশের সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের পরিসংখ্যান সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। প্রতি মাসের হিসাব নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়; কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে একাধিক হিসাব থেকে নিশ্চিতভাবে নিখুঁত তথ্য বের করা যাচ্ছে না। এর ফলে সড়ক দুর্ঘটনার শতভাগ সঠিক তথ্য অন্ধকারে থাকছে...
২৩ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী
৪ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
৮ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগে