শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’
কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন। যুবকেরা চলে যাওয়ার পর ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘কয়েক দিন ধরে তারা মালিককে খুঁজছে। বলছে, মোল্লা মাসুদ তাদের পাঠাইছে। মাসে মাসে চাঁদা চায়। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদের কথা বলেছে।’
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল মোল্লা মাসুদের নাম। গত ৫ আগস্টের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তির পর তিনি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুরুতে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হলেও পরে সমঝোতা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, শুধু মোল্লা মাসুদই নন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্তত ২৭ জন সন্ত্রাসী জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের কিলার আব্বাস ওরফে আব্বাস আলী, শাহাদত হোসেন, মুক্তার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগের সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিজেদের হারানো ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’ আবার নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় হয়েছে।
সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আরও অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আগের ‘সেভেন স্টার’ ও ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের মতো জোটও করতে চাইছে।
অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকায় অপরাধ করে কোনো সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না। তাদের সঙ্গে অন্যদের জোটও গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রিও ফ্যাশনসহ বৃহত্তর মিরপুরের একাধিক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজ্জব হোসেনের হাতে। তিনি মাসোহারা দিতেন সন্ত্রাসীদের। কিন্তু ৫ আগস্টের পর ঝুট ব্যবসা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হলে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন ও মুক্তারের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের গ্রুপের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ২ জানুয়ারি মিরপুর ৭ নম্বর সেকশনের রিও ফ্যাশন ও রি ডিজাইন লিমিটেডের ঝুট নামানো নিয়ে শাহাদত, মুক্তার এবং যুবদল নেতা মিরাজের নেতৃত্বে রূপনগর থানা যুবদলের সদস্যসচিব হাদিউল ইসলাম রাজীব, পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াদের গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার প্রধান ফটকে এক পক্ষের ছোড়া ককটেলে আহত হন স্টোরকিপার। আজকের পত্রিকার হাতে আসা এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলার পর লোকজন প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছে। পরে জনতা একজনকে আটক করে রূপনগর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
রিও ফ্যাশনের মালিক হাকিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুটগুলো কারখানা থেকে বেশ দূরে ফেলা হতো। আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিয়ে যেতেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা ভাগ চাওয়ায় তা ককটেল বিস্ফোরণ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, মিরাজ এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্থানীয় কয়েকজন নেতা বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজিসহ দখলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজ্জাদুল মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাম্মেল হক গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুটি গ্রুপ চিহ্নিত হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে পান্থপথের পিদিম ট্রেড নামের আসবাব বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না পেয়ে ক্যাশ থেকে ২০ হাজার টাকা লুটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন কলাবাগান থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তিনি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটি চক্র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় চক্রটি।
নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মার্কেটের দুই ব্যবসায়ীকে ১০ জানুয়ারি কোপানোর নেপথ্যেও ছিল মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় নাম এসেছে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের। মামলায়ও এ দুজনের নাম রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে ইমন ও পিচ্চি হেলালের দ্বন্দ্ব। তারা যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে রেখে মাঠে নেমেছে।
প্রায় দুই দশক পর কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের নামে কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, ভাসানটেক, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজের ও মালপত্র সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে তার সহযোগীরা। নির্মাণকাজ, তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ঠিকাদারি, ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনের সংযোগ দিতেও চাঁদা দিতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকলেও মোহাম্মদপুরে পিচ্চি হেলালের সহযোগীরা সক্রিয় ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আবারও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন কয়েকবার মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র বলছে, ইমন বাইরে আসার পর তার সহযোগীরা হাজারীবাগ ও আশপাশের এলাকায় অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডিবির পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের ধরন বদলেছে। আগে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এককভাবে কাজ করত; এখন দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জোট বেঁধে চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে নেমেছে তারা।
অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, জামিনে বের হওয়া সন্ত্রাসীরা আবার পুরোনো অপরাধের নেটওয়ার্ক সচল করছে কি না, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে এই দুর্বল পুলিশি ব্যবস্থার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আদালতের মাধ্যমে যেসব সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’
কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন। যুবকেরা চলে যাওয়ার পর ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘কয়েক দিন ধরে তারা মালিককে খুঁজছে। বলছে, মোল্লা মাসুদ তাদের পাঠাইছে। মাসে মাসে চাঁদা চায়। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদের কথা বলেছে।’
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল মোল্লা মাসুদের নাম। গত ৫ আগস্টের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তির পর তিনি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুরুতে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হলেও পরে সমঝোতা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, শুধু মোল্লা মাসুদই নন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্তত ২৭ জন সন্ত্রাসী জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের কিলার আব্বাস ওরফে আব্বাস আলী, শাহাদত হোসেন, মুক্তার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগের সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিজেদের হারানো ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’ আবার নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় হয়েছে।
সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আরও অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আগের ‘সেভেন স্টার’ ও ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের মতো জোটও করতে চাইছে।
অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকায় অপরাধ করে কোনো সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না। তাদের সঙ্গে অন্যদের জোটও গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রিও ফ্যাশনসহ বৃহত্তর মিরপুরের একাধিক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজ্জব হোসেনের হাতে। তিনি মাসোহারা দিতেন সন্ত্রাসীদের। কিন্তু ৫ আগস্টের পর ঝুট ব্যবসা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হলে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন ও মুক্তারের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের গ্রুপের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ২ জানুয়ারি মিরপুর ৭ নম্বর সেকশনের রিও ফ্যাশন ও রি ডিজাইন লিমিটেডের ঝুট নামানো নিয়ে শাহাদত, মুক্তার এবং যুবদল নেতা মিরাজের নেতৃত্বে রূপনগর থানা যুবদলের সদস্যসচিব হাদিউল ইসলাম রাজীব, পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াদের গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার প্রধান ফটকে এক পক্ষের ছোড়া ককটেলে আহত হন স্টোরকিপার। আজকের পত্রিকার হাতে আসা এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলার পর লোকজন প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছে। পরে জনতা একজনকে আটক করে রূপনগর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
রিও ফ্যাশনের মালিক হাকিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুটগুলো কারখানা থেকে বেশ দূরে ফেলা হতো। আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিয়ে যেতেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা ভাগ চাওয়ায় তা ককটেল বিস্ফোরণ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, মিরাজ এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্থানীয় কয়েকজন নেতা বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজিসহ দখলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজ্জাদুল মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাম্মেল হক গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুটি গ্রুপ চিহ্নিত হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে পান্থপথের পিদিম ট্রেড নামের আসবাব বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না পেয়ে ক্যাশ থেকে ২০ হাজার টাকা লুটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন কলাবাগান থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তিনি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটি চক্র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় চক্রটি।
নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মার্কেটের দুই ব্যবসায়ীকে ১০ জানুয়ারি কোপানোর নেপথ্যেও ছিল মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় নাম এসেছে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের। মামলায়ও এ দুজনের নাম রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে ইমন ও পিচ্চি হেলালের দ্বন্দ্ব। তারা যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে রেখে মাঠে নেমেছে।
প্রায় দুই দশক পর কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের নামে কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, ভাসানটেক, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজের ও মালপত্র সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে তার সহযোগীরা। নির্মাণকাজ, তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ঠিকাদারি, ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনের সংযোগ দিতেও চাঁদা দিতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকলেও মোহাম্মদপুরে পিচ্চি হেলালের সহযোগীরা সক্রিয় ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আবারও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন কয়েকবার মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র বলছে, ইমন বাইরে আসার পর তার সহযোগীরা হাজারীবাগ ও আশপাশের এলাকায় অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডিবির পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের ধরন বদলেছে। আগে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এককভাবে কাজ করত; এখন দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জোট বেঁধে চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে নেমেছে তারা।
অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, জামিনে বের হওয়া সন্ত্রাসীরা আবার পুরোনো অপরাধের নেটওয়ার্ক সচল করছে কি না, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে এই দুর্বল পুলিশি ব্যবস্থার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আদালতের মাধ্যমে যেসব সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’
কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন। যুবকেরা চলে যাওয়ার পর ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘কয়েক দিন ধরে তারা মালিককে খুঁজছে। বলছে, মোল্লা মাসুদ তাদের পাঠাইছে। মাসে মাসে চাঁদা চায়। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদের কথা বলেছে।’
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল মোল্লা মাসুদের নাম। গত ৫ আগস্টের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তির পর তিনি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুরুতে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হলেও পরে সমঝোতা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, শুধু মোল্লা মাসুদই নন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্তত ২৭ জন সন্ত্রাসী জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের কিলার আব্বাস ওরফে আব্বাস আলী, শাহাদত হোসেন, মুক্তার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগের সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিজেদের হারানো ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’ আবার নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় হয়েছে।
সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আরও অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আগের ‘সেভেন স্টার’ ও ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের মতো জোটও করতে চাইছে।
অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকায় অপরাধ করে কোনো সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না। তাদের সঙ্গে অন্যদের জোটও গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রিও ফ্যাশনসহ বৃহত্তর মিরপুরের একাধিক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজ্জব হোসেনের হাতে। তিনি মাসোহারা দিতেন সন্ত্রাসীদের। কিন্তু ৫ আগস্টের পর ঝুট ব্যবসা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হলে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন ও মুক্তারের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের গ্রুপের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ২ জানুয়ারি মিরপুর ৭ নম্বর সেকশনের রিও ফ্যাশন ও রি ডিজাইন লিমিটেডের ঝুট নামানো নিয়ে শাহাদত, মুক্তার এবং যুবদল নেতা মিরাজের নেতৃত্বে রূপনগর থানা যুবদলের সদস্যসচিব হাদিউল ইসলাম রাজীব, পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াদের গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার প্রধান ফটকে এক পক্ষের ছোড়া ককটেলে আহত হন স্টোরকিপার। আজকের পত্রিকার হাতে আসা এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলার পর লোকজন প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছে। পরে জনতা একজনকে আটক করে রূপনগর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
রিও ফ্যাশনের মালিক হাকিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুটগুলো কারখানা থেকে বেশ দূরে ফেলা হতো। আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিয়ে যেতেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা ভাগ চাওয়ায় তা ককটেল বিস্ফোরণ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, মিরাজ এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্থানীয় কয়েকজন নেতা বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজিসহ দখলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজ্জাদুল মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাম্মেল হক গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুটি গ্রুপ চিহ্নিত হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে পান্থপথের পিদিম ট্রেড নামের আসবাব বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না পেয়ে ক্যাশ থেকে ২০ হাজার টাকা লুটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন কলাবাগান থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তিনি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটি চক্র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় চক্রটি।
নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মার্কেটের দুই ব্যবসায়ীকে ১০ জানুয়ারি কোপানোর নেপথ্যেও ছিল মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় নাম এসেছে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের। মামলায়ও এ দুজনের নাম রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে ইমন ও পিচ্চি হেলালের দ্বন্দ্ব। তারা যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে রেখে মাঠে নেমেছে।
প্রায় দুই দশক পর কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের নামে কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, ভাসানটেক, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজের ও মালপত্র সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে তার সহযোগীরা। নির্মাণকাজ, তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ঠিকাদারি, ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনের সংযোগ দিতেও চাঁদা দিতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকলেও মোহাম্মদপুরে পিচ্চি হেলালের সহযোগীরা সক্রিয় ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আবারও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন কয়েকবার মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র বলছে, ইমন বাইরে আসার পর তার সহযোগীরা হাজারীবাগ ও আশপাশের এলাকায় অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডিবির পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের ধরন বদলেছে। আগে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এককভাবে কাজ করত; এখন দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জোট বেঁধে চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে নেমেছে তারা।
অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, জামিনে বের হওয়া সন্ত্রাসীরা আবার পুরোনো অপরাধের নেটওয়ার্ক সচল করছে কি না, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে এই দুর্বল পুলিশি ব্যবস্থার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আদালতের মাধ্যমে যেসব সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’
কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন। যুবকেরা চলে যাওয়ার পর ম্যানেজারের কাছে জানতে চাইলে বললেন, ‘কয়েক দিন ধরে তারা মালিককে খুঁজছে। বলছে, মোল্লা মাসুদ তাদের পাঠাইছে। মাসে মাসে চাঁদা চায়। খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদের কথা বলেছে।’
২০০১ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় ছিল মোল্লা মাসুদের নাম। গত ৫ আগস্টের পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে, মুক্তির পর তিনি ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শুরুতে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ হলেও পরে সমঝোতা হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের সূত্র বলেছে, শুধু মোল্লা মাসুদই নন, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানীর অন্তত ২৭ জন সন্ত্রাসী জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরপুরের কিলার আব্বাস ওরফে আব্বাস আলী, শাহাদত হোসেন, মুক্তার, শেখ মোহাম্মদ আসলাম ওরফে সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগের সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন, খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু। কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিজেদের হারানো ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’ আবার নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্রিয় হয়েছে।
সূত্র বলেছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অনেকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আরও অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা এবং সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে এসব তথ্য মিলেছে। জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে আগের ‘সেভেন স্টার’ ও ‘ফাইভ স্টার’ গ্রুপের মতো জোটও করতে চাইছে।
অবশ্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঢাকায় অপরাধ করে কোনো সন্ত্রাসী ছাড় পাবে না। তাদের সঙ্গে অন্যদের জোটও গড়ে তুলতে দেওয়া হবে না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রিও ফ্যাশনসহ বৃহত্তর মিরপুরের একাধিক তৈরি পোশাক কারখানার ঝুটের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজ্জব হোসেনের হাতে। তিনি মাসোহারা দিতেন সন্ত্রাসীদের। কিন্তু ৫ আগস্টের পর ঝুট ব্যবসা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হলে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন ও মুক্তারের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব সাজ্জাদুল মিরাজের গ্রুপের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে ২ জানুয়ারি মিরপুর ৭ নম্বর সেকশনের রিও ফ্যাশন ও রি ডিজাইন লিমিটেডের ঝুট নামানো নিয়ে শাহাদত, মুক্তার এবং যুবদল নেতা মিরাজের নেতৃত্বে রূপনগর থানা যুবদলের সদস্যসচিব হাদিউল ইসলাম রাজীব, পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াদের গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কারখানার প্রধান ফটকে এক পক্ষের ছোড়া ককটেলে আহত হন স্টোরকিপার। আজকের পত্রিকার হাতে আসা এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, হামলার পর লোকজন প্রাণভয়ে ছোটাছুটি করছে। পরে জনতা একজনকে আটক করে রূপনগর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়।
রিও ফ্যাশনের মালিক হাকিম শেখ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুটগুলো কারখানা থেকে বেশ দূরে ফেলা হতো। আগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিয়ে যেতেন। সম্প্রতি সন্ত্রাসীরা ভাগ চাওয়ায় তা ককটেল বিস্ফোরণ পর্যন্ত গড়িয়েছে।
ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, মিরাজ এবং শীর্ষ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্থানীয় কয়েকজন নেতা বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজিসহ দখলের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাজ্জাদুল মিরাজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোকাম্মেল হক গত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখানে দুটি গ্রুপ চিহ্নিত হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
এদিকে পান্থপথের পিদিম ট্রেড নামের আসবাব বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং চাঁদা না পেয়ে ক্যাশ থেকে ২০ হাজার টাকা লুটে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন কলাবাগান থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তিনি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটি চক্র বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তাঁকে হেয় করার চেষ্টা করছে। চাঁদাবাজির অভিযোগ করে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চায় চক্রটি।
নিউ এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে মার্কেটের দুই ব্যবসায়ীকে ১০ জানুয়ারি কোপানোর নেপথ্যেও ছিল মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় নাম এসেছে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন ও ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলালের। মামলায়ও এ দুজনের নাম রয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে ইমন ও পিচ্চি হেলালের দ্বন্দ্ব। তারা যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ আগস্ট কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে রেখে মাঠে নেমেছে।
প্রায় দুই দশক পর কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী কিলার আব্বাসের নামে কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, ভাসানটেক, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন উন্নয়নকাজের ও মালপত্র সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছে তার সহযোগীরা। নির্মাণকাজ, তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ঠিকাদারি, ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনের সংযোগ দিতেও চাঁদা দিতে হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকলেও মোহাম্মদপুরে পিচ্চি হেলালের সহযোগীরা সক্রিয় ছিল। মুক্তি পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আবারও চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে স্থানীয় লোকজন কয়েকবার মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র বলছে, ইমন বাইরে আসার পর তার সহযোগীরা হাজারীবাগ ও আশপাশের এলাকায় অপরাধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
ডিবির পদস্থ এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, অপরাধের ধরন বদলেছে। আগে শীর্ষ সন্ত্রাসীরা এককভাবে কাজ করত; এখন দেখা যাচ্ছে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জোট বেঁধে চাঁদাবাজি-দখলবাজিতে নেমেছে তারা।
অপরাধ নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, জামিনে বের হওয়া সন্ত্রাসীরা আবার পুরোনো অপরাধের নেটওয়ার্ক সচল করছে কি না, সে বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তা না হলে এই দুর্বল পুলিশি ব্যবস্থার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আদালতের মাধ্যমে যেসব সন্ত্রাসী ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে।
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তা না হলে দুর্নীতির একটি উৎস বন্ধ করলে দ্রুতই আরেকটি উৎস চালু হয়ে যায়।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’। উদ্বোধনী অধিবেশনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘দেশে যদি একটি অশুভ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তাহলে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার দিয়ে তার সমাধান হবে না।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ভারতে ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ হলেও আমাদের দেশে শুধু ঘুষ নেওয়াকে অপরাধ বলে মনে করা হয়, দেওয়াটাকে নয়।’
উন্নয়ন সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু গণতান্ত্রিক দেশেই নয়, চীন–ভিয়েতনামের মতো দেশেও হয়েছে। কেননা, এসব দেশে জবাবদিহির একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উদারনীতিকরণের সফলতা মূল্যবোধ ও আস্থার ওপর নির্ভর করে।’
জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বর্তমান সময়ের একটি প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘এখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছাত্রদের পরীক্ষা বন্ধ করে ও তাদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। অথচ আমাদের সময় শিক্ষকেরা বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এটাই হলো দায়িত্ববোধ।’
সামাজিক আচরণবিধি, মূল্যবোধ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।’
আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগের অনেক প্রকল্প পরিচালক চলে গেছেন; কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই নতুন প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না।’
বর্তমান মেয়াদের আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সে সময় (আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো কাজ করতে বললেই তা হয়ে যেত। সচিব ছিলেন আকবর আলি খান ও সা’দত হুসাইন। কিন্তু এখন বললেই কাজ হয় না; কোথায় সমস্যা আছে, তা নিজেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে হয়।’
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুই দিনের গবেষণা সম্মেলনে প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যুব বেকারত্ব, দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসবে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চারটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল।

রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে। তা না হলে দুর্নীতির একটি উৎস বন্ধ করলে দ্রুতই আরেকটি উৎস চালু হয়ে যায়।
আজ রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সরকারি গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
এ বছরের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’। উদ্বোধনী অধিবেশনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নবিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
তিনি তাঁর প্রবন্ধে বলেন, ‘দেশে যদি একটি অশুভ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে, তাহলে শুধু প্রশাসনিক সংস্কার দিয়ে তার সমাধান হবে না।’ তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, ‘ভারতে ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া দুটোই অপরাধ হলেও আমাদের দেশে শুধু ঘুষ নেওয়াকে অপরাধ বলে মনে করা হয়, দেওয়াটাকে নয়।’
উন্নয়ন সম্পর্কে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন শুধু গণতান্ত্রিক দেশেই নয়, চীন–ভিয়েতনামের মতো দেশেও হয়েছে। কেননা, এসব দেশে জবাবদিহির একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘উদারনীতিকরণের সফলতা মূল্যবোধ ও আস্থার ওপর নির্ভর করে।’
জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ববোধের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বর্তমান সময়ের একটি প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, ‘এখনকার প্রাথমিক শিক্ষকেরা ছাত্রদের পরীক্ষা বন্ধ করে ও তাদের জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। অথচ আমাদের সময় শিক্ষকেরা বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এটাই হলো দায়িত্ববোধ।’
সামাজিক আচরণবিধি, মূল্যবোধ ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামাজিক মূল্যবোধ তৈরি করা নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।’
আলোচনা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ দেশের প্রশাসনিক বাস্তবতার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আগের অনেক প্রকল্প পরিচালক চলে গেছেন; কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাই নতুন প্রকল্প পরিচালক পাওয়া যাচ্ছে না।’
বর্তমান মেয়াদের আগেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সে সময় (আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার) কোনো কাজ করতে বললেই তা হয়ে যেত। সচিব ছিলেন আকবর আলি খান ও সা’দত হুসাইন। কিন্তু এখন বললেই কাজ হয় না; কোথায় সমস্যা আছে, তা নিজেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে হয়।’
সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন বিআইডিএসের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ কে এম এনামুল হক। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দুই দিনের গবেষণা সম্মেলনে প্রায় অর্ধশতাধিক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে। এর মাধ্যমে যুব বেকারত্ব, দারিদ্র্য বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্য খাতে নানা সংকটের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনায় উঠে আসবে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনের পর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে চারটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এ সাত্তার মন্ডল।

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’ কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।
আজ রোববার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘এ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
তফসিল ঘোষণার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগেই বলেছিলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই সপ্তাহ হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। সংশোধিত সময়সূচি অনুসারে, এবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

এর মাধ্যমে দেশের বৃহৎ এই নির্বাচনের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন হলো। এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইসি সব প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।
আজ রোববার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘এ সপ্তাহের মধ্যে যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
তফসিল ঘোষণার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা প্রসঙ্গে সানাউল্লাহ আরও বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগেই বলেছিলেন, ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই সপ্তাহ হচ্ছে ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। এ সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে। সংশোধিত সময়সূচি অনুসারে, এবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

এর মাধ্যমে দেশের বৃহৎ এই নির্বাচনের প্রস্তুতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্পন্ন হলো। এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ইসি সব প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন।

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’ কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে।
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৭১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৩৬২ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজার ১০৯ জন।
বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার নিবন্ধন করেছেন। দেশভিত্তিক নিবন্ধনের পরিসংখ্যান নিচে দেওয়া হলো:
সৌদি আরব: ৫১ হাজার ৫৭২ জন
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯ হাজার ৫৭৮ জন
কাতার: ১৩ হাজার ৮৯ জন
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১২ হাজার ৪৯২ জন
মালয়েশিয়া: ১২ হাজার ১১৬ জন
সিঙ্গাপুর: ১২ হাজার ১০৬ জন
যুক্তরাজ্য: ১১ হাজার ১৯৬ জন
দক্ষিণ কোরিয়া: ৯ হাজার ৫১০ জন
কানাডা: ৯ হাজার ২৬৯ জন
ওমান: ৮ হাজার ৭০৭ জন
অস্ট্রেলিয়া: ৭ হাজার ৯২৩ জন
ইতালি: ৭ হাজার ৬০৭ জন
জাপান: ৬ হাজার ৯৬৯ জন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে। আগে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় থাকলেও, এখন তা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি)-এর ব্যাপারে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন সারা বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকেই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।’
প্রবাসী ভোটার ছাড়াও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করেন।
পোস্টাল ব্যালট পেপার সঠিক সময়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে সঠিক ঠিকানা প্রদানের উপর গুরুত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি এক বার্তায় জানায়, পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে অ্যাপে নিবন্ধনের সময় প্রবাসী ভোটারকে তাঁর অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও দিতে হবে। সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান করা ছাড়া পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারগণের কাছে পাঠানো সম্ভব হবে না।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যে দেশ থেকে ভোট দেবেন, সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd) ভিজিট করতে বলা হয়েছে। তবে ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে এখন পর্যন্ত মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৭১ জন প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৩ হাজার ৩৬২ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজার ১০৯ জন।
বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার নিবন্ধন করেছেন। দেশভিত্তিক নিবন্ধনের পরিসংখ্যান নিচে দেওয়া হলো:
সৌদি আরব: ৫১ হাজার ৫৭২ জন
যুক্তরাষ্ট্র: ১৯ হাজার ৫৭৮ জন
কাতার: ১৩ হাজার ৮৯ জন
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ১২ হাজার ৪৯২ জন
মালয়েশিয়া: ১২ হাজার ১১৬ জন
সিঙ্গাপুর: ১২ হাজার ১০৬ জন
যুক্তরাজ্য: ১১ হাজার ১৯৬ জন
দক্ষিণ কোরিয়া: ৯ হাজার ৫১০ জন
কানাডা: ৯ হাজার ২৬৯ জন
ওমান: ৮ হাজার ৭০৭ জন
অস্ট্রেলিয়া: ৭ হাজার ৯২৩ জন
ইতালি: ৭ হাজার ৬০৭ জন
জাপান: ৬ হাজার ৯৬৯ জন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে। আগে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় থাকলেও, এখন তা ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত বিশ্বের সব দেশের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আউট অব কান্ট্রি ভোটিং (ওসিভি)-এর ব্যাপারে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত করা হয়েছে। এখন সারা বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকেই আমাদের অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।’
প্রবাসী ভোটার ছাড়াও ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, নিজ ভোটার এলাকার বাইরে অবস্থানরত সরকারি চাকরিজীবী এবং আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোট দিতে তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। আউট অব কান্ট্রি ভোটিং সিস্টেম অ্যান্ড ইমপ্লিমেন্টেশন (ওসিভি-এসডিআই) প্রকল্পের ‘টিম লিডার’ সালীম আহমাদ খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৮ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ উদ্বোধন করেন।
পোস্টাল ব্যালট পেপার সঠিক সময়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিতে সঠিক ঠিকানা প্রদানের উপর গুরুত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি এক বার্তায় জানায়, পোস্টাল ব্যালট পেতে হলে অ্যাপে নিবন্ধনের সময় প্রবাসী ভোটারকে তাঁর অবস্থানকালীন দেশের প্রচলিত নিয়মানুযায়ী সঠিক ঠিকানা দিতে হবে। প্রয়োজনে কর্মস্থল বা পরিচিতজনের ঠিকানাও দিতে হবে। সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা প্রদান করা ছাড়া পোস্টাল ব্যালট পেপার ভোটারগণের কাছে পাঠানো সম্ভব হবে না।
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে প্রবাসী ভোটারকে অবশ্যই যে দেশ থেকে ভোট দেবেন, সে দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে। নিবন্ধনের জন্য গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। বিস্তারিত জানতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট (www.ecs.gov.bd) ভিজিট করতে বলা হয়েছে। তবে ইন্টারনেট ভিপিএন ব্যবহার না করার ব্যাপারে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন।

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’ কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে।
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।
১ ঘণ্টা আগে
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

রাজধানীর ফার্মগেটে একটি রেস্তোরাঁয় ঝড়ের গতিতে ১০-১২ জন যুবক ঢুকে পড়লেন। একজন ম্যানেজারকে বললেন, ‘তোরে না কইছি ভাই পাঠাইছে, আজকের মধ্যেই ব্যবস্থা কর। নইলে ঢাকা ছাড়।’ কয়েক দিন আগে রাত ৯টার দিকে হুমকি দেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক সেখানে খাবার খাচ্ছিলেন...
১৯ জানুয়ারি ২০২৫
রাজনৈতিক চাহিদা থাকলে এবং সদিচ্ছা না থাকলে কেবল বিধিবিধান দিয়ে অবৈধ আয় বা দুর্নীতি বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি মনে করেন, অবৈধ আয় কমাতে হলে দিনের শেষে তা রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে।
৪ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে এবার ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসি।
১ ঘণ্টা আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ভোট দেওয়ার জন্য ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধনের সংখ্যা ২ লাখ ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পোস্টাল ভোটিং আপডেট থেকে এই তথ্য
১ ঘণ্টা আগে