নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল না। তিনি থানায় চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি লোকজনের হইচই শুনে নিচে নেমে আসেন। নিচে এসে থানার মেইন গেটের বাম দিকে একটি ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পান। তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি নীল রঙের একটি ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন।
রাশেদুল আরও জানান, ওই সময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাত। তিনি পাশের একটি ভবন থেকে পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে বন্ধুর বাসায় চলে যান। পরে জানতে পারেন, লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা অব্যাহত রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেরায় আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ, আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সিডিতে কোনো তথ্য নেই। এটা আমার তদন্তের বিষয় নয়।’
এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, আইসিটি রুল অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা লিখিত প্রতিবেদনের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে এই প্রশ্ন ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়ে আইনজীবীকে বলেন, ‘পুলিশ যে বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছে, মামলা হয়েছে? মামলা করেন। মামলা হোক। আপনি আর্গুমেন্টে (যুক্তি-তর্ক) বলবেন, শুধু ছাত্রদের মারা হয়নি, ছাত্ররাও মেরেছে।’
আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন—এটি সত্য নয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল না। তিনি থানায় চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি লোকজনের হইচই শুনে নিচে নেমে আসেন। নিচে এসে থানার মেইন গেটের বাম দিকে একটি ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পান। তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি নীল রঙের একটি ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন।
রাশেদুল আরও জানান, ওই সময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাত। তিনি পাশের একটি ভবন থেকে পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে বন্ধুর বাসায় চলে যান। পরে জানতে পারেন, লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা অব্যাহত রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেরায় আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ, আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সিডিতে কোনো তথ্য নেই। এটা আমার তদন্তের বিষয় নয়।’
এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, আইসিটি রুল অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা লিখিত প্রতিবেদনের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে এই প্রশ্ন ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়ে আইনজীবীকে বলেন, ‘পুলিশ যে বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছে, মামলা হয়েছে? মামলা করেন। মামলা হোক। আপনি আর্গুমেন্টে (যুক্তি-তর্ক) বলবেন, শুধু ছাত্রদের মারা হয়নি, ছাত্ররাও মেরেছে।’
আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন—এটি সত্য নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল না। তিনি থানায় চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি লোকজনের হইচই শুনে নিচে নেমে আসেন। নিচে এসে থানার মেইন গেটের বাম দিকে একটি ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পান। তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি নীল রঙের একটি ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন।
রাশেদুল আরও জানান, ওই সময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাত। তিনি পাশের একটি ভবন থেকে পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে বন্ধুর বাসায় চলে যান। পরে জানতে পারেন, লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা অব্যাহত রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেরায় আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ, আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সিডিতে কোনো তথ্য নেই। এটা আমার তদন্তের বিষয় নয়।’
এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, আইসিটি রুল অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা লিখিত প্রতিবেদনের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে এই প্রশ্ন ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়ে আইনজীবীকে বলেন, ‘পুলিশ যে বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছে, মামলা হয়েছে? মামলা করেন। মামলা হোক। আপনি আর্গুমেন্টে (যুক্তি-তর্ক) বলবেন, শুধু ছাত্রদের মারা হয়নি, ছাত্ররাও মেরেছে।’
আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন—এটি সত্য নয়।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
রাশেদুল ইসলাম জানান, তিনি গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওই দিন তাঁর ডিউটি ছিল না। তিনি থানায় চতুর্থ তলায় অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি লোকজনের হইচই শুনে নিচে নেমে আসেন। নিচে এসে থানার মেইন গেটের বাম দিকে একটি ভ্যানের ওপর লাশের স্তূপ দেখতে পান। তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে তিনি নীল রঙের একটি ব্যানার দিয়ে লাশ ঢেকে দেন।
রাশেদুল আরও জানান, ওই সময় ওসি সায়েদের সঙ্গে ছিলেন ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান, ওসি (অপারেশন) নির্মল কুমার দাস, এএসআই বিশ্বজিৎ, কনস্টেবল মুকুল চোকদার ও ডিবি ইন্সপেক্টর আরাফাত। তিনি পাশের একটি ভবন থেকে পাঞ্জাবি ও টুপি নিয়ে বন্ধুর বাসায় চলে যান। পরে জানতে পারেন, লাশগুলো পুলিশ ভ্যানে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরের জেরা অব্যাহত রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ। তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এ মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এরই মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জেরায় আইনজীবী আমির হোসেন সাক্ষীর উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালে সিরাজগঞ্জ, আশুলিয়া ও যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ হত্যার ঘটনা ঘটেছে, আপনি এ বিষয়ে তদন্ত করেছেন?’ জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব বিষয়ে আমার সিডিতে কোনো তথ্য নেই। এটা আমার তদন্তের বিষয় নয়।’
এ সময় প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম আপত্তি জানিয়ে বলেন, আইসিটি রুল অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা লিখিত প্রতিবেদনের বাইরে প্রশ্ন করা যাবে না। তবে এই প্রশ্ন ট্রাইব্যুনাল আমলে না নিয়ে আইনজীবীকে বলেন, ‘পুলিশ যে বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছে, মামলা হয়েছে? মামলা করেন। মামলা হোক। আপনি আর্গুমেন্টে (যুক্তি-তর্ক) বলবেন, শুধু ছাত্রদের মারা হয়নি, ছাত্ররাও মেরেছে।’
আইনজীবী তদন্ত কর্মকর্তাকে বলেন, জুলাই আন্দোলনের বিষয়টি দীর্ঘদিনের অবৈধ পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের অংশ। জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন—এটি সত্য নয়।

তাসনিম জারা বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দেশনা আছে যে,১৩ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। তো সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলাম। যদি সুযোগ পাই, আশা করছি এনসিপি থেকে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
২৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে, যে বিষয়ে আপনাদের একটু সহযোগিতা দরকার। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো।’
২৮ মিনিট আগে
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকা-৯ আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
ঢাকার বেশির ভাগ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঢাকা-৯ আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। বেশ কিছু দিন ধরে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। বিএনপির ফাঁকা রাখা আসনে তাসনিম জারা মনোনয়নপত্র কেনায় সেই গুঞ্জনের পালে হাওয়া লাগল বলে মনে করছেন অনেকে।
ঢাকা-৯ আসন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১,২, ৩,৪, ৫,৬, ৭,৭১, ৭২,৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড তথা সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা ও মান্ডা থানা নিয়ে গঠিত। আসনটিতে বিএনপি এখনো প্রার্থী না দিলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিয়েছে। এই আসনে জামায়াতের প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী কবির আহমদ।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর নিজের প্রার্থিতা নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দেশনা আছে যে, ১৩ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। তো সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলাম। যদি সুযোগ পাই, আশা করছি এনসিপি থেকে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
গত ৬ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে এনসিপি। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম বিক্রি চলবে। মনোনয়ন ফরমের দাম ১০ হাজার টাকা। তবে জুলাই আহত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ২ হাজার টাকা দিয়ে এই ফরম সংগ্রহ করতে পারবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির ফাঁকা রাখা ঢাকা-৯ আসনের মনোনয়নপত্র কিনেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন তিনি।
ঢাকার বেশির ভাগ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলেও ঢাকা-৯ আসন ফাঁকা রেখেছে বিএনপি। বেশ কিছু দিন ধরে বিএনপির সঙ্গে এনসিপির আসন সমঝোতার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। বিএনপির ফাঁকা রাখা আসনে তাসনিম জারা মনোনয়নপত্র কেনায় সেই গুঞ্জনের পালে হাওয়া লাগল বলে মনে করছেন অনেকে।
ঢাকা-৯ আসন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১,২, ৩,৪, ৫,৬, ৭,৭১, ৭২,৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড তথা সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা ও মান্ডা থানা নিয়ে গঠিত। আসনটিতে বিএনপি এখনো প্রার্থী না দিলেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দিয়েছে। এই আসনে জামায়াতের প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থী কবির আহমদ।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর নিজের প্রার্থিতা নিয়ে তাসনিম জারা বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দেশনা আছে যে, ১৩ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। তো সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলাম। যদি সুযোগ পাই, আশা করছি এনসিপি থেকে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
গত ৬ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে এনসিপি। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ফরম বিক্রি চলবে। মনোনয়ন ফরমের দাম ১০ হাজার টাকা। তবে জুলাই আহত ও নিম্ন আয়ের মানুষ ২ হাজার টাকা দিয়ে এই ফরম সংগ্রহ করতে পারবে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
০৮ অক্টোবর ২০২৫
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে, যে বিষয়ে আপনাদের একটু সহযোগিতা দরকার। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো।’
২৮ মিনিট আগে
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১২ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১৩ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ওই দিন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে ঘোষণা করা হবে, ১৩ নভেম্বর সেই তারিখ জানাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ জন্য ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘১৩ নভেম্বরের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কোনো আশঙ্কা এখানে নেই।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে, যে বিষয়ে আপনাদের একটু সহযোগিতা দরকার। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো।’
সন্ত্রাসীরা যাতে সহজে জামিন না পায়, সরকার সে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা অনেক সময় বলেন, সন্ত্রাসীরা খুব তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যায়। সহজে যাতে জামিন না পায় এ জন্য আমরা তাদেরও অনুরোধ করব, যারা জামিন দেয়, তারা যাতে সন্ত্রাসীদের জামিন না দেয়।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১৩ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ওই দিন দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সচিবালয়ে আজ মঙ্গলবার আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায় কবে ঘোষণা করা হবে, ১৩ নভেম্বর সেই তারিখ জানাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ জন্য ১৩ নভেম্বর ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘১৩ নভেম্বরের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্ত অবস্থান নিয়েছে। তারা শক্ত অবস্থানে থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। কোনো আশঙ্কা এখানে নেই।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে, যে বিষয়ে আপনাদের একটু সহযোগিতা দরকার। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো।’
সন্ত্রাসীরা যাতে সহজে জামিন না পায়, সরকার সে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। আপনারা অনেক সময় বলেন, সন্ত্রাসীরা খুব তাড়াতাড়ি জামিন পেয়ে যায়। সহজে যাতে জামিন না পায় এ জন্য আমরা তাদেরও অনুরোধ করব, যারা জামিন দেয়, তারা যাতে সন্ত্রাসীদের জামিন না দেয়।’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
০৮ অক্টোবর ২০২৫
তাসনিম জারা বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দেশনা আছে যে,১৩ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। তো সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলাম। যদি সুযোগ পাই, আশা করছি এনসিপি থেকে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
২৬ মিনিট আগে
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য গত ২৭ আগস্ট করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
এরপর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর। গত ২২,২৩, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এবং ২, ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে আপিলের ধারাবাহিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি ও রুল প্রদানের পর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল দায়ের করেন।
আপিল বিভাগে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ৩ জুলাই এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর একই আবেদন দাখিল করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এর পর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও গত বছর একটি আবেদন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য গত ২৭ আগস্ট করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
এরপর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর বিষয়ে আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ২১ অক্টোবর। গত ২২,২৩, ২৮ ও ২৯ অক্টোবর এবং ২, ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে আপিলের ধারাবাহিক শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি ও রুল প্রদানের পর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল দায়ের করেন।
আপিল বিভাগে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ৩ জুলাই এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
এ ছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর একই আবেদন দাখিল করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। এর পর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে নওগাঁর রাণীনগরের নারায়ণপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও গত বছর একটি আবেদন করেন।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
০৮ অক্টোবর ২০২৫
তাসনিম জারা বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দেশনা আছে যে,১৩ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। তো সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলাম। যদি সুযোগ পাই, আশা করছি এনসিপি থেকে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
২৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে, যে বিষয়ে আপনাদের একটু সহযোগিতা দরকার। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো।’
২৮ মিনিট আগে
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ।
১২ ঘণ্টা আগেনির্বাচনের নিরাপত্তা
রাসেল মাহমুদ, ঢাকা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। বাহিনীর বিরাট একটি অংশকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে বিশেষ করে ‘মব’ ঠেকানোর কৌশলও শিখছেন তাঁরা।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছিলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নির্বাচনে সহিংসতাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’ এ সময় প্রশিক্ষণের বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত যুগোপযোগী, আধুনিক। অডিও-ভিডিও ধারণ, ‘মব’ নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন, নির্বাচনী বিধিবিধান —সবকিছুই প্রশিক্ষণে থাকছে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পুলিশ সদস্যদের পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য গত জুনে মডিউল তৈরি করে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেয় পুলিশ। মডিউলে নির্বাচনের চার ধাপ—তফসিল ঘোষণার আগের সময়, তফসিল ঘোষণার পরের সময়, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইনবিধি অবহিতকরণ, জনতার ভিড় বা ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, চার ধাপে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তাঁরা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে গিয়ে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনটি ধাপের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর থেকে চতুর্থ ধাপে সারা দেশে ১৩০টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে একযোগে এ প্রশিক্ষণ চলছে। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও মানসিক প্রস্তুতি বাড়াতে প্রশিক্ষণে রাখা হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ছোট ফিল্ম ও তথ্যবহুল বুকলেট। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এই ধাপে মাঠপর্যায়ের সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ পাবেন। চার ধাপে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নেবে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ নেওয়া একাধিক পুলিশ সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, জনতার বিক্ষোভ বা ‘মব’ সামাল দেওয়ার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি বা কৌশল গ্রহণের ওপর প্রশিক্ষণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পুলিশের দায়িত্ব ও ক্ষমতা কতটুকু, তা প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে ‘মব’ ও সহিংসতা ঠেকাতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে। ফলে উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগেই তা প্রশমিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য সহিংস এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে আগেই স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব কী, আইন অনুযায়ী কী করতে পারবে—এসব বিষয় প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে। তাঁরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং ‘মব’ সৃষ্টি হলে আইন অনুযায়ী যে প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণের বিধান আছে, সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সহযোগিতা নেবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশে ২ লাখ ৩ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দেড় লাখ সদস্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটেও তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। মাঠপর্যায়ে উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দুই থেকে চারজন পুলিশ সদস্য থাকবেন।
আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, ‘গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশিক্ষণে তাঁরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। কিছু নতুন সদস্য রয়েছেন। প্রশিক্ষণে কোন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সে বিষয়ে ক্লাসের মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) শাহাদাত হোসাইন বলেন, এবারের নির্বাচনের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাই আগে থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখা থেকে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের বাজেটের পর তা সমন্বয় করা হতে পারে। পুলিশ সদস্যরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, প্রশিক্ষণে সে বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে এক পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে। এই ভোটে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ যেমন আগের থেকে ভিন্ন, তেমনি ভোটের নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জেও রয়েছে ভিন্নমাত্রা। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করা তাই পুলিশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেসব মাথায় রেখেই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। বাহিনীর বিরাট একটি অংশকে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। এর মধ্যে বিশেষ করে ‘মব’ ঠেকানোর কৌশলও শিখছেন তাঁরা।
গত সেপ্টেম্বরে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) বাহারুল আলম বলেছিলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবারই প্রথম বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নির্বাচনে সহিংসতাও আমরা মোকাবিলা করতে পারব।’ এ সময় প্রশিক্ষণের বিষয়ে অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ বলেন, প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত যুগোপযোগী, আধুনিক। অডিও-ভিডিও ধারণ, ‘মব’ নিয়ন্ত্রণের অনুশীলন, নির্বাচনী বিধিবিধান —সবকিছুই প্রশিক্ষণে থাকছে।’
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৪৩ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৫০ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে। নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে পুলিশ সদস্যদের পেশাদারি ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য গত জুনে মডিউল তৈরি করে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নেয় পুলিশ। মডিউলে নির্বাচনের চার ধাপ—তফসিল ঘোষণার আগের সময়, তফসিল ঘোষণার পরের সময়, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণে নির্বাচনী আইনবিধি অবহিতকরণ, জনতার ভিড় বা ‘মব’ নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার, অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, চার ধাপে পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম ধাপে ১৫০ জন মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থেকে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তারা এ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং তাঁরা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে গিয়ে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তিনটি ধাপের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। গত ৫ অক্টোবর থেকে চতুর্থ ধাপে সারা দেশে ১৩০টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে একযোগে এ প্রশিক্ষণ চলছে। পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও মানসিক প্রস্তুতি বাড়াতে প্রশিক্ষণে রাখা হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট, ছোট ফিল্ম ও তথ্যবহুল বুকলেট। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এ প্রশিক্ষণ শেষ হবে। এই ধাপে মাঠপর্যায়ের সবচেয়ে বেশি পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ পাবেন। চার ধাপে প্রায় দেড় লাখ পুলিশ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ নেবে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮ হাজার ১৩৪ জন পুলিশ সদস্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণ নেওয়া একাধিক পুলিশ সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া, জনতার বিক্ষোভ বা ‘মব’ সামাল দেওয়ার জন্য উপস্থিত বুদ্ধি বা কৌশল গ্রহণের ওপর প্রশিক্ষণে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী পুলিশের দায়িত্ব ও ক্ষমতা কতটুকু, তা প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে ‘মব’ ও সহিংসতা ঠেকাতে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখতে। ফলে উত্তেজনা শুরু হওয়ার আগেই তা প্রশমিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি সম্ভাব্য সহিংস এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে আগেই স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েনের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচনের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে পুলিশের দায়িত্ব কী, আইন অনুযায়ী কী করতে পারবে—এসব বিষয় প্রশিক্ষণে শেখানো হচ্ছে। তাঁরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন এবং ‘মব’ সৃষ্টি হলে আইন অনুযায়ী যে প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণের বিধান আছে, সেভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন। প্রয়োজনে স্ট্রাইকিং ফোর্সের সহযোগিতা নেবেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র থাকবে। এসব কেন্দ্রে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশে ২ লাখ ৩ হাজার সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দেড় লাখ সদস্য আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটেও তাঁদের প্রশিক্ষণ চলছে। মাঠপর্যায়ে উপপরিদর্শক (এসআই), সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে দুই থেকে চারজন পুলিশ সদস্য থাকবেন।
আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ সদস্যরাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তাঁদের অধিকাংশই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক উপপরিদর্শক (এসআই) বলেন, ‘গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশই গত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশিক্ষণে তাঁরা অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। কিছু নতুন সদস্য রয়েছেন। প্রশিক্ষণে কোন পরিস্থিতিতে কী করণীয়, সে বিষয়ে ক্লাসের মাধ্যমে শেখানো হচ্ছে।’
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) শাহাদাত হোসাইন বলেন, এবারের নির্বাচনের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। তাই আগে থেকে পুলিশ সদস্যদের প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ সদর দপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখা থেকে অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের বাজেটের পর তা সমন্বয় করা হতে পারে। পুলিশ সদস্যরা যেন আইনের সীমার মধ্যে থেকে শান্তভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, প্রশিক্ষণে সে বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় পাঁচ মরদেহ ও জীবিত একজনকে পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জবানবন্দি দেন তিনি।
০৮ অক্টোবর ২০২৫
তাসনিম জারা বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য নির্দেশনা আছে যে,১৩ তারিখের মধ্যে মনোনয়ন আবেদন ফরম জমা দিতে হবে। তো সেই প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলাম। যদি সুযোগ পাই, আশা করছি এনসিপি থেকে আমরা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
২৬ মিনিট আগে
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এখানে বড় ধরনের আলোচনা হয়েছে, যে বিষয়ে আপনাদের একটু সহযোগিতা দরকার। সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো।’
২৮ মিনিট আগে
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান।
২ ঘণ্টা আগে