শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

ঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন। আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা তাঁদেরকে দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষদের অনেকে মনে করছেন, পুলিশকে সহায়তাকারী কর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিলে তার অপপ্রয়োগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই ক্ষমতার জোরে তাঁরা যে সাধারণ মানুষকে আটক করে হয়রানি করবেন না, তার নিশ্চয়তা নেই। আটক-বাণিজ্যের অভিযোগ একসময় পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল।
ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের জনবলসংকটের কথা তুলে ধরে ঈদের আগে বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পুলিশের ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, ডিএমপির আইনবলে অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগের ক্ষমতা তাঁর আছে। সেই মোতাবেক তিনি তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
ডিএমপির সূত্র বলেছে, অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যদের নির্বাচন করা হবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আগে থেকেই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা কর্মীদের মধ্য থেকে। তাঁরা শুধু নির্দিষ্ট এলাকায় পুলিশি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাঁদের কার্যক্রম তদারকি করবেন বিট পুলিশের কর্মকর্তারা। এক মাসের জন্য এ দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫ রমজান থেকে এই ফোর্স মাঠে নামতে পারে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক দেশেই সাহায্যকারী পুলিশ ফোর্স রয়েছে। তবে তাদের নির্বাচনের পর নিজের প্রতিরক্ষা কৌশল, টহল কৌশল, ফৌজদারি আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষা দিতে হয় তাঁদের। কিন্তু ঢাকা মহানগরে অক্সিলারি ফোর্স নিয়োগ হচ্ছে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও পেশাদারত্বের জ্ঞান ছাড়াই।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘অক্সিলারি ফোর্স নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, রাজধানীবাসী এতে উপকৃত হবেন।’
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান চালালেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। এর মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শপিং মল ও মার্কেট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে, যা পুলিশের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জনবলসংকটের কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্যকারী ফোর্স নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ২ লাখ ৩০ হাজারে কিছু বেশি সদস্য রয়েছেন। ডিএমপি পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট, যেখানে রয়েছেন ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডিএমপিতে ব্যাপক রদবদল করা হয়। ঢাকার বাইরে থেকে আনা হয় বেশির ভাগ সদস্যকে।
অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যদের আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা মনে করছেন, শুরুতেই অপেশাদার ও অপরীক্ষিত এই সদস্যদের আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হলে মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারেন। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাত আজীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়া, পরিকল্পনাহীনভাবে এমন ফোর্স নিয়োগ তেমন কাজে আসবে না। যেখানে পেশাদার পুলিশ বাহিনী অতীতে মানুষকে অনেক হয়রানি করেছে, সেখানে অপেশাদার সদস্যরা তা করবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
শাহবাগে মোতালেব নামের এক পথচারী বলেন, সাহায্যকারী ফোর্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের উচিত পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে এনে তাদের কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা। তা না করে এই ফোর্স নিয়োগ নতুন একটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
অক্সিলারি ফোর্সকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টিকে পুলিশ সদস্যরাও সঠিক বলে মনে করছেন না। ডিএমপির রমনা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী উপপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নতুন হলেও পুলিশ বাহিনীর সদস্য। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে গিয়েও আমাদের ভুল হয়, সাধারণ মানুষ সমালোচনা করে। অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরা যা করবে, সব দায় পুলিশ বাহিনীর ওপর পড়বে। বিষয়টি কতটা যৌক্তিক, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আবার ভাবতে পারেন।’
বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মোহাম্মদ নুরুল হুদাও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকমতো যাচাই-বাছাই না করে লোক নিয়োগ দিলে এর অপব্যবহারও হতে পারে। কাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

ঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন। আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা তাঁদেরকে দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষদের অনেকে মনে করছেন, পুলিশকে সহায়তাকারী কর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দিলে তার অপপ্রয়োগের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই ক্ষমতার জোরে তাঁরা যে সাধারণ মানুষকে আটক করে হয়রানি করবেন না, তার নিশ্চয়তা নেই। আটক-বাণিজ্যের অভিযোগ একসময় পুলিশের বিরুদ্ধে ছিল।
ডিএমপির কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গত শনিবার সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের জনবলসংকটের কথা তুলে ধরে ঈদের আগে বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পুলিশের ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, ডিএমপির আইনবলে অক্সিলারি পুলিশ ফোর্স নিয়োগের ক্ষমতা তাঁর আছে। সেই মোতাবেক তিনি তাঁদের নিয়োগ দিচ্ছেন। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন।
ডিএমপির সূত্র বলেছে, অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যদের নির্বাচন করা হবে সংশ্লিষ্ট এলাকায় আগে থেকেই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা কর্মীদের মধ্য থেকে। তাঁরা শুধু নির্দিষ্ট এলাকায় পুলিশি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন এবং তাঁদের কার্যক্রম তদারকি করবেন বিট পুলিশের কর্মকর্তারা। এক মাসের জন্য এ দায়িত্ব পালনের জন্য তাঁদের জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পুলিশের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫ রমজান থেকে এই ফোর্স মাঠে নামতে পারে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অনেক দেশেই সাহায্যকারী পুলিশ ফোর্স রয়েছে। তবে তাদের নির্বাচনের পর নিজের প্রতিরক্ষা কৌশল, টহল কৌশল, ফৌজদারি আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষা দিতে হয় তাঁদের। কিন্তু ঢাকা মহানগরে অক্সিলারি ফোর্স নিয়োগ হচ্ছে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ও পেশাদারত্বের জ্ঞান ছাড়াই।
জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, ‘অক্সিলারি ফোর্স নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি, রাজধানীবাসী এতে উপকৃত হবেন।’
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান চালালেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। এর মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর শপিং মল ও মার্কেট গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকছে, যা পুলিশের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই জনবলসংকটের কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাহায্যকারী ফোর্স নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে ২ লাখ ৩০ হাজারে কিছু বেশি সদস্য রয়েছেন। ডিএমপি পুলিশের সবচেয়ে বড় ইউনিট, যেখানে রয়েছেন ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্য। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ডিএমপিতে ব্যাপক রদবদল করা হয়। ঢাকার বাইরে থেকে আনা হয় বেশির ভাগ সদস্যকে।
অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যদের আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। তাঁরা মনে করছেন, শুরুতেই অপেশাদার ও অপরীক্ষিত এই সদস্যদের আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়া হলে মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারেন। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের সামনে বেসরকারি চাকরিজীবী রিফাত আজীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়া, পরিকল্পনাহীনভাবে এমন ফোর্স নিয়োগ তেমন কাজে আসবে না। যেখানে পেশাদার পুলিশ বাহিনী অতীতে মানুষকে অনেক হয়রানি করেছে, সেখানে অপেশাদার সদস্যরা তা করবে না, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই।
শাহবাগে মোতালেব নামের এক পথচারী বলেন, সাহায্যকারী ফোর্স নিয়োগের সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে পুলিশ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। সরকারের উচিত পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে এনে তাদের কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা। তা না করে এই ফোর্স নিয়োগ নতুন একটি সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
অক্সিলারি ফোর্সকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টিকে পুলিশ সদস্যরাও সঠিক বলে মনে করছেন না। ডিএমপির রমনা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী উপপরিদর্শক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নতুন হলেও পুলিশ বাহিনীর সদস্য। আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে গিয়েও আমাদের ভুল হয়, সাধারণ মানুষ সমালোচনা করে। অক্সিলারি ফোর্সের সদস্যরা যা করবে, সব দায় পুলিশ বাহিনীর ওপর পড়বে। বিষয়টি কতটা যৌক্তিক, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আবার ভাবতে পারেন।’
বিষয়টি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মোহাম্মদ নুরুল হুদাও। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকমতো যাচাই-বাছাই না করে লোক নিয়োগ দিলে এর অপব্যবহারও হতে পারে। কাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, সেটা ভালোভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

ঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
১০ মার্চ ২০২৫
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে এখন পর্যন্ত ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন ভোটার নিবন্ধন করেছেন। ভোটারদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিবন্ধিত ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৮০ হাজার ৪২৪ জন এবং নারী ১ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩৭ জন।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে। ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরা এই নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া আইনি হেফাজতে (কারাগারে) থাকা ভোটাররাও পোস্টাল ভোটের এই সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রবাসী ভোটারদের পরিসংখ্যান
প্রবাসী ভোটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিবন্ধন করেছেন সৌদি আরব থেকে, যার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ১২ জন। এরপর কাতারে ৬৮ হাজার ৬৬৮, মালয়েশিয়ায় ৬৩ হাজার ৮৩, ওমানে ৫০ হাজার ৩৯ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩১ হাজার ৫৫৫ জন ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। গত ১৮ নভেম্বর থেকে চালু হওয়া এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের ১৪৮টি দেশের প্রবাসীরা নিবন্ধনের সুযোগ পাচ্ছেন।
দেশের অভ্যন্তরে নিবন্ধন
দেশের ভেতরে ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ভোট’ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৮৪ জন। জেলাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কুমিল্লা, যার সংখ্যা ৮৮ হাজার ৬৮২ জন। এরপর ঢাকায় ৮২ হাজার ১৮৫ ও চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৫৮৯ জন। আসনভিত্তিক হিসেবে ফেনী-৩ আসনে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধন করেছেন। এরপর চট্টগ্রাম-১৫ আসনে ১১ হাজার ৫৮৯ জন ও নোয়াখালী-১ আসনে ১১ হাজার ৪৭৬ জন নিবন্ধন করেছেন।
ব্যালট প্রেরণ কার্যক্রম
প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন বিষয়ক ‘ওসিভি-এসডিআই’ প্রকল্পের টিম লিডার সালীম আহমাদ খান বাসসকে নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৫ জন প্রবাসী ভোটারের ঠিকানায় পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার এক দিনেই পাঠানো হয়েছে ২৭ হাজার ৪৪২টি ব্যালট।
নির্বাচন কমিশন জানায়, নিবন্ধনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের অবশ্যই সংশ্লিষ্ট দেশের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে হবে।

ঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
১০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ মিনিট আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
২ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
আজ বুধবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে দুই দেশের শীর্ষ এই প্রতিনিধির মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। খালেদা জিয়ার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে তাঁরা উভয়েই ঢাকায় অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক মহল গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর জানাজায় অংশ নিতে একাধিক দেশের প্রতিনিধিরা ঢাকায় এসেছেন।

ঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
১০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর...
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

২০২৫ সাল জুড়ে ‘মব সন্ত্রাস’ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো ধরনের প্রমাণ, তদন্ত বা আইনিপ্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, সন্দেহ, গুজব সৃষ্টি করে মানুষকে মারধর ও হত্যা করা হয়েছে। ‘তওহীদি জনতা’র নামে বেআইনিভাবে মব তৈরি করে শিল্প-সংস্কৃতি কেন্দ্র ভাঙচুর, বাউল সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, এমনকি কবর থেকে তুলে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিরুদ্ধ মতের মানুষকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিষ্ক্রিয়তা এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার ক্ষেত্রে উদাসীনতার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে, যা দেশে আইনের শাসনের জন্য চূড়ান্ত হুমকিস্বরূপ এবং সমাজে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে। আজ বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মব সন্ত্রাসে কমপক্ষে ১৯৭ জন নিহত হয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১২৮ জন।
আসকের বিশ্লেষণে দেখা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে কমপক্ষে ২৯৩ জন নাগরিক মব সন্ত্রাসের শিকার হয়ে নিহত হয়েছে। মবের শিকার হয়ে ২০২৫ সালে ঢাকা জেলায় সর্বাধিক ২৭, গাজীপুরে ১৭, নারায়ণগঞ্জে ১১ জন নির্মমভাবে নিহত হয়েছে। ২০২৫ সালের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে গণপিটুনির সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মাসের থেকে বেশি ঘটেছে। এই সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরাও গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন, যদিও অধিকাংশ ভুক্তভোগী ছিলেন দল-মত নিরপেক্ষ সাধারণ নাগরিক।
আসকের তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কমপক্ষে ৩৮ জন ব্যক্তি বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছে। এ সব ঘটনা সংঘটিত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে, নির্যাতনে, কথিত ‘গুলিতে’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে। ২০২৫ সালে কমপক্ষে ১০৭ জন ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে ৬৯ জন হাজতি এবং কয়েদি ৩৮ জন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে অন্তত ৪০১টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার ৭৪৪ জন আহত এবং ১০২ জন নিহত হয়েছে। সহিংসতার এই চিত্র কেবল প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার সংঘাতে সীমাবদ্ধ নয়; বরং দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তিও সহিংসতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনি নিপীড়নের ঘটনা একটি উদ্বেগজনক ধারায় পৌঁছেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্তত ৩৮১ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতন, হয়রানি বা হুমকির শিকার হয়েছেন অন্তত ২৩ জন সাংবাদিক। প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন ২০ জন। প্রকাশিত সংবাদ বা মতামতকে কেন্দ্র করে মামলার সম্মুখীন হয়েছেন কমপক্ষে ১২৩ জন সাংবাদিক। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সরাসরি হামলার শিকার হয়েছেন ১১৮ জন সাংবাদিক। এ সময়কালে দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যার শিকার হয়েছেন ৩ জন সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রহস্যজনকভাবে ৪ জন সাংবাদিকের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে।
আসকের তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর কমপক্ষে ৪২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলাসমূহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৩টি বাড়িঘর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ৩৬টি বসত ঘরে। এ ছাড়া ৪টি মন্দিরে হামলা, ৬৪টি প্রতিমা ভাঙচুর, ৯টি জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় নিহত হয়েছে ১ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ বছর দেশে ২১৭ জন নারী স্বামীর মাধ্যমে হত্যার শিকার হয়েছেন এবং ৬৩ জন নারীকে স্বামীর পরিবারের সদস্যরা হত্যা করেছে। নিজের পরিবারের সদস্যদের হাতেও ৫১ জন নারী প্রাণ হারিয়েছেন। পারিবারিক সহিংসতা থেকে মুক্তির পথ খুঁজে না পেয়ে অন্তত ১৬৮ জন নারী আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ধর্ষণের ৭৪৯টি ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৬৯টি ছিল একক ধর্ষণ এবং ১৮০টি দলবদ্ধ ধর্ষণ। ধর্ষণের পর অন্তত ৩৬ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, ৭ জন নারী আত্মহত্যা করেছেন এবং ধর্ষণের চেষ্টার পর প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৬ জন নারী।
আসকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অন্তত ৪১০ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণের পর হত্যা, শারীরিক নির্যাতন, অপহরণ, আত্মহত্যা এবং বিস্ফোরণে মৃত্যু।
আসক মনে করে, দেশে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি জনগণের মধ্যে আশা ও প্রত্যাশা সৃষ্টি হলেও বাস্তব পর্যায়ে বৈষম্য, নিপীড়ন ও দমন-পীড়নের চিত্রে আশানুরূপ ইতিবাচক পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। বরং কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে বলে লক্ষ্য করা গেছে।

ঈদের আগে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শপিং মল ও আবাসিক এলাকার নিরাপত্তায় পুলিশের সহযোগী হিসেবে প্রায় এক হাজার বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে ‘অক্সিলারি ফোর্স’ হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। তাঁরা সম্মানী পাবেন এবং পুলিশের মতো আটক ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
১০ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
১৪ মিনিট আগে
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানান, পূর্বঘোষিত সময়সীমা আজ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রবাস ও দেশের অভ্যন্তরের ভোটারদের বিশেষ অনুরোধে নিবন্ধনের সময় আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন অনুষ্ঠানের আগে ঢাকায় কুশল বিনিময় করেছেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর।
২ ঘণ্টা আগে