আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে সমস্যা হয়। কোনো বড় শহরেই যথেষ্ট জলাশয় ও হাইড্রেন্ট নেই। রয়েছে সরঞ্জামের সংকটও।
ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক আর অগ্নিকাণ্ড, সড়ক দুর্ঘটনার মতো দুর্ঘটনা হোক তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধার, ত্রাণ, রক্তদানের মতো কাজে হাত দিতে হয় স্থানীয় সাধারণ মানুষকেই। সাধারণ মানুষের অদক্ষতা ও পেশাদার বাহিনীর দেরিতে পৌঁছানোর কারণে অনেক সময়ই প্রাণহানি ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয় না।
সেই সঙ্গে রয়েছে উৎসুক জনতা। সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট মনিটাইজেশন আসার পর এই প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে। বিপদগ্রস্ত মানুষের মুখের সামনে মোবাইল ক্যামেরা ধরে ফুটেজ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি লেগে যায়। এতেও উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সামলানোর মতো যথেষ্ট সংখ্যক প্রশিক্ষিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে মোতায়েন করাও সম্ভব হয় না।
সম্প্রতি মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিতেও আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি। বাংলাদেশে কেন যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই এমন বিশৃঙ্খলা দেখতে হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই প্রশ্ন অনেকে তুলেছেন। অথচ ‘হাডসনের মিরাকল’-এর মতো ঘটনাগুলোর দিকে যদি তাকাই, যেখানে সুসংগঠিত প্রস্তুতি ও দায়িত্বশীলতা কীভাবে বিপর্যয়কে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারে তার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
‘হাডসনের মিরাকল’: প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত
২০০৯ সালে নিউইয়র্কের লা গারডিয়া বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই একটি এয়ারবাস এ৩২০-এর দুটি ইঞ্জিন পাখির আঘাতে বিকল হয়ে যায়। ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন সালি সুলেনবার্গার নিউইয়র্কের হাডসন নদীর বরফশীতল পানিতে বিমানটি সফলভাবে অবতরণ করান। অবিশ্বাস্যভাবে, বিমানের প্রতিটি যাত্রী ও ক্রু বেঁচে যান। এই ঘটনাকে অনেকে অলৌকিক বললেও, পাইলট সালি নিজেই ব্যাখ্যা করেছিলেন যে এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা ছিল না, বরং ছিল ‘দশকের পর দশক ধরে চলে আসা প্রস্তুতির ফলাফল’।

সালি ব্যাখ্যা করেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট জেফ্রি স্কাইলস প্রায় কোনো কথা না বলেই তাঁদের নিজ নিজ কাজ সুচারুভাবে করেছেন। কারণ তাঁরা একে অপরের দায়িত্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। ইঞ্জিন বিকল হওয়া বা পানিতে অবতরণের জন্য তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট চেকলিস্ট ছিল, তাঁরা ঠিক সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার তাৎক্ষণিকভাবে জরুরি রুট নির্দেশ করে। যখন ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বা ‘এভাকুয়েট’-এর মতো নির্দেশনা দেওয়া হয়, তখন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টরা নিজেদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞানের ওপর নির্ভর করে দ্রুত কেবিন প্রস্তুত করেন এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনেন। এমনকি নদীর ওপর নামার বিষয়টিও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝে নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পরিবর্তন করেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, উদ্ধারকারী ফেরি বোট চালকেরা প্রতি মাসেই প্রশিক্ষণ নেন। বছরে একবার সিমুলেটর দিয়ে উদ্ধার অভিযান অনুশীলন করেন তাঁরা। বিমানটি হাডসন নদীতে অবতরণের প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান তাঁরা। ফায়ারবোট, পুলিশ হেলিকপ্টার এবং শহরের হাসপাতালগুলো—সবাই প্রস্তুত ছিল। এমনকি অফ-ডিউটি চিকিৎসক, নার্সদেরও ডেকে আনা হয়েছিল। সালি জোর দিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর কো-পাইলট কেবল তাঁদের কাজ করেছেন। কিন্তু ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, ১৫০ জন যাত্রী, উদ্ধারকারী বোট এবং জল ও স্থল উভয় জায়গার ফার্স্ট রেসপন্ডাররা সবাই তাঁদের নির্ধারিত কাজ নিখুঁতভাবে করেছেন। এই সম্মিলিত ও নিখুঁত প্রস্তুতির ফলাফলই ছিল ‘মিরাকল’।
মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনা
‘হাডসনের মিরাকল’-এর এই চিত্র, আর বাংলাদেশের মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনাটি মিলিয়ে দেখুন, আলাদা এক বাস্তবতা উঠে এসেছে। সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান স্কুল ভবনের ওপর আছড়ে পড়ে। এফোঁড়-ওফোঁড় করে যায় ভবন। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন ধরে যায়। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জীবন ও ভবিষ্যৎ এক মুহূর্তে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।
এর পরের ঘটনাপ্রবাহ কেমন ছিল—উদ্ধারে অনেক সময় লেগেছে। আগুন আধপোড়া শিশু-কিশোরদের পাঁজাকোলা করে উদ্ধার করতে দেখা গেছে। সেখানে জরুরি চিকিৎসার কোনো সুব্যবস্থা ছিল না। যদিও পরে ফায়ার সার্ভিস অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে, সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও করেছিল। শত শত উৎসুক জনতা উদ্ধারে হাত না লাগিয়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃতদেহ গুম করার গুজব ছড়িয়েছে, এআই দিয়ে তৈরি অনেক ছবি ছড়ানো হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে শোডাউন করেছেন। চিকিৎসকের কোনো পরামর্শ ও আহ্বান ছাড়াই রক্তদাতাদের ভিড়ও সমস্যা তৈরি করেছে। হাসপাতালেও উৎসুক জনতা ভিড় দেখা গেছে। অথচ এই ধরনের দুর্ঘটনায় আহত ও দগ্ধদের নিবিড় ও তাৎক্ষণিক চিকিৎসা জরুরি। অব্যবস্থাপনার কারণে সামান্য দেরিও একজনের জীবন কেড়ে নিতে পারে।
দুর্ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। কিন্তু আসল প্রশ্ন হলো—দুর্ঘটনার পর সমাজ ও রাষ্ট্র কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়। কিছু দেশ প্রস্তুত থাকে, যাতে প্রাণহানি কমানো যায়, আর কিছু দেশে বিশৃঙ্খলা, অব্যবস্থা আর দায়িত্বহীনতার কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়।
পাইলট সালি বলেছিলেন, ‘১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে হাডসনে বিমান নামানোর পরেও কোনো প্রাণহানি না হওয়া কোনো অলৌকিকতা ছিল না। এটা ছিল সিস্টেম, বছরের পর বছর ট্রেনিং, প্রস্তুতি আর দায়িত্বশীলতার ফলাফল।’

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

দেশে আকস্মিক কোনো দুর্যোগ বা দুর্ঘটনা ঘটলেই একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিশেষ করে ঢাকার মতো জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় এই বিশৃঙ্খলা বেশি দৃশ্যমান হয়। যানজট ও প্রশস্ত রাস্তা না থাকার কারণে প্রায়ই ফায়ার সার্ভিসের দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়। অনেক যুদ্ধ করে পৌঁছানোর পর পানি উৎস পেতে
২২ জুলাই ২০২৫
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৪ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে