
‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানিতে ভুগছে বাংলাদেশের ১২ জেলা। কোথাও ভেঙেছে সড়ক, কোথাও বাঁধ। আবার কোথাও তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও কোথাও পানিয়ে ছুঁয়েছে টিনের চাল। তবে গতকাল বৃষ্টি কমে আসায় মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ভারতের যে অঞ্চল থেকে পানি ঢুকেছে বাংলাদেশে, সেই ত্রিপুরাতেও মানুষ ভালো নেই। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে ২২ জন মারা গেছে। ১৭ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলা জেলায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। আর বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের ৭৭ উপজেলার ৪৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। এতে শিশু, নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ, প্রশাসনের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
লক্ষ্মীপুরে গতকাল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখনো পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ। জেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। গতকাল সকাল থেকে সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় পানিবন্দী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গুণবতী, আলকরা, জগন্নাথ, চিওড়া, বাতিসা, শুভপুর, মুন্সিরহাট, কাশিনগর ও চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকাগুলোতে এখনো বন্যার পানি স্থিতিশীল। এদিকে বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলার ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এই উপজেলার ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদী ও খালগুলোতে। সর্বশেষ গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পুরো কুমিল্লার চিত্র তুলে ধরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে শুকনো খাবারের।
নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৮টি উপজেলায় পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ৭৬ হাজার জন। জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, বন্যার শুরুতে জেলায় ৩৮৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও পরে বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭৬ হাজার ২০০ জন আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী জেলা বিদ্যুৎবিহীন। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলার বাসিন্দারা। এদিকে ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে গিয়ে পানিতে ডুবে লক্ষ্মীপুরের সাইফুল ইসলাম সাগর নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জেলার ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী।
চট্টগ্রামে বন্যার সঙ্গে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে ১৬ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। সেখানে হাজারো মানুষ পানিবন্দী। তবে গতকাল বিকেল থেকে পানি কমা শুরু হয়েছে। পানি কমেছে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলেও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ২ থেকে ৬ ফুট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বাসস জানায়, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতিসহ জেলার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কয়েক জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির অন্যতম ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় এক ফুট পানিতে ডুবে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বুধবার বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ভয়াবহ রূপ নেয় হবিগঞ্জের খোয়াই নদ। তবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভারতের ত্রিপুরায় চাকমা গেট নামে খোয়াই নদের ব্যারাজ বন্ধ করা হয়। এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি কমলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫৭ হাজার ৫৬০ জন।
মৌলভীবাজারে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরে রোদের দেখা মিলেছে। জেলার মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করলেও রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় এখনো ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
সিলেটে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢল না এলে বন্যারও আশঙ্কা নেই।
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকার পানি ধীরগতিতে নামা শুরু করেছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৭ হাজার ১৪৫ জন।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল এবং ভারতের ত্রিপুরা থেকে আসা পানিতে ভুগছে বাংলাদেশের ১২ জেলা। কোথাও ভেঙেছে সড়ক, কোথাও বাঁধ। আবার কোথাও তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, কোথাও কোথাও পানিয়ে ছুঁয়েছে টিনের চাল। তবে গতকাল বৃষ্টি কমে আসায় মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে ভারতের যে অঞ্চল থেকে পানি ঢুকেছে বাংলাদেশে, সেই ত্রিপুরাতেও মানুষ ভালো নেই। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, বন্যায় রাজ্যে ২২ জন মারা গেছে। ১৭ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত হয়েছে। জেলা জেলায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। আর বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দেশের ৭৭ উপজেলার ৪৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্যায়। এতে শিশু, নারীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এলাকাবাসী, পুলিশ, প্রশাসনের বরাত দিয়ে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
লক্ষ্মীপুরে গতকাল বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখনো পানিবন্দী ৭ লাখ মানুষ। জেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। গতকাল সকাল থেকে সদর, রায়পুর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় পানিবন্দী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা গেছে। গতকাল পর্যন্ত জেলায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গেছে ২০ হাজারের বেশি মানুষ।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গুণবতী, আলকরা, জগন্নাথ, চিওড়া, বাতিসা, শুভপুর, মুন্সিরহাট, কাশিনগর ও চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকাগুলোতে এখনো বন্যার পানি স্থিতিশীল। এদিকে বৃষ্টি এবং ভারত থেকে আসা পানিতে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলার ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের বুড়বুড়িয়া অংশে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকেছে। প্রবল বর্ষণের ফলে এই উপজেলার ৬০ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এতে ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও ভারতীয় ঢলে পানি বেড়েছে কুমিল্লার গোমতী নদী ও খালগুলোতে। সর্বশেষ গতকাল বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোমতী নদীর পানি বিপৎসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পুরো কুমিল্লার চিত্র তুলে ধরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, জেলার ১৭টি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৭২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে শুকনো খাবারের।
নোয়াখালীর বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার ৮টি উপজেলায় পানিবন্দী প্রায় ২০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে প্রায় ৭৬ হাজার জন। জেলাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, বন্যার শুরুতে জেলায় ৩৮৮টি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হলেও পরে বন্যা ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মোট ৫০২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৭৬ হাজার ২০০ জন আশ্রয় নিয়েছে।
বন্যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে ফেনী জেলা বিদ্যুৎবিহীন। একই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জেলার বাসিন্দারা। এদিকে ফেনীতে বন্যার্তদের উদ্ধারকাজে গিয়ে পানিতে ডুবে লক্ষ্মীপুরের সাইফুল ইসলাম সাগর নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। জেলার ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী।
চট্টগ্রামে বন্যার সঙ্গে হালদা নদীর বাঁধ ভেঙে ১৬ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলায়। সেখানে হাজারো মানুষ পানিবন্দী। তবে গতকাল বিকেল থেকে পানি কমা শুরু হয়েছে। পানি কমেছে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলেও। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ধসের কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৪৮টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে বিদ্যুতায়িত হয়ে একজন মারা গেছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বন্যার পানিতে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বন্যায় প্লাবিত হয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়েছে খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষাধিক বাসিন্দা। এরই মধ্যে চেঙ্গি, মাইনি ও কাসালং নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ২ থেকে ৬ ফুট অতিক্রম করায় আশপাশের এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সেখানে উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ বিতরণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বাসস জানায়, কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কয়েকটি উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতিসহ জেলার রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কয়েক জায়গায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। জেলার বাঘাইছড়ি, কাউখালী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে লংগদু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির অন্যতম ঝুলন্ত সেতুটি প্রায় এক ফুট পানিতে ডুবে গেছে।
গত বৃহস্পতিবার ও আগের দিন বুধবার বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ভয়াবহ রূপ নেয় হবিগঞ্জের খোয়াই নদ। তবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভারতের ত্রিপুরায় চাকমা গেট নামে খোয়াই নদের ব্যারাজ বন্ধ করা হয়। এরপর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদের পানি কমলেও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৫৭ হাজার ৫৬০ জন।
মৌলভীবাজারে এক সপ্তাহ পর শুক্রবার দুপুরে রোদের দেখা মিলেছে। জেলার মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করলেও রাজনগর, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও সদর উপজেলায় এখনো ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
সিলেটে নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢল না এলে বন্যারও আশঙ্কা নেই।
মৌলভীবাজারে মনু ও ধলাই নদের পানি কমতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকার পানি ধীরগতিতে নামা শুরু করেছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো প্রায় তিন লাখ মানুষ পানিবন্দী। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে ৭ হাজার ১৪৫ জন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।
সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।
নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।
এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
Sardar Ayaz Sadiq, Speaker, National Assembly of Pakistan, will represent Pakistan tomorrow at the funeral of Late Begum Khaleda Zia in Dhaka, Bangladesh. https://t.co/BBV93jK5a7
— Ishaq Dar (@MIshaqDar50) December 30, 2025

‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন কুমিল্লার তিতাস উপজেলার আফজলকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার। তাঁর মতো দেশের পূর্বাঞ্চলে এমন আকস্মিক বন্যা দেখেননি অনেকে।
২৪ আগস্ট ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।
৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।
৭ ঘণ্টা আগে