Ajker Patrika

জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন

শেখ হাসিনার নির্দেশে নৃশংসতা

  • ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সুপরিকল্পিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন।
  • সরকার চাইলে এসব অভিযোগ নিয়ে আইসিসিতে যেতে পারে।
  • রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১: ৪৩
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের হত্যা, নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তদারকিতে। তাঁর ও অন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা ও তদারকিতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করে। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সুপরিকল্পিত ও পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে এসব অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যেতে পারে। প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র‍্যাব বিলুপ্ত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থার সদর দপ্তর ও অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। আহত হয় হাজার হাজার মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশ নির্বিচার গুলির শিকার হয়। নিহতদের ১২ থেকে ১৩ শতাংশ (অন্তত ১৮০ জন) ছিল শিশু। গ্রেপ্তার করা হয় ১১ হাজার ৭০২ জনকে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিত ও পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটায়। পুলিশ, র‍্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতে জড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (আসাদুজ্জামান খান) ও অন্য কর্মকর্তারা একাধিক বড় ধরনের অভিযানের নির্দেশনা দেন ও তদারক করেন। এসব অভিযানে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করে। নির্বিচার গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এবং অবৈধভাবে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বা পঙ্গু করার সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি একেবারে সামনে থেকেও গুলি করা হয়।

জাতিসংঘের এই সংস্থার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশল, যার মাধ্যমে জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, বিক্ষোভ দমনের কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জানার মধ্যে, তাঁদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক ও ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে এ বিষয়গুলোর আরও ফৌজদারি তদন্ত প্রয়োজন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এক মাসের তদন্তে ১৪ ধরনের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই আন্দোলন দমনে বিচারবহির্ভূত হত্যা, প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে নির্বিচার গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ভীতি প্রদর্শন, চিকিৎসায় বাধা ও মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। শিশুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে টার্গেট কিলিং হয়েছে।

ফলকার তুর্ক বলেন, যেসব সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে, তাতে ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে ওঠে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর। এসব কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগও গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশ সরকার চাইলে এসব অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) যেতে পারে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলির বিষয়ে একটি তথ্য অনুসন্ধান দল পাঠায়। প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি ১৫৩টি হতাহতের ঘটনার ফরেনসিক বিশ্লেষণ, ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ২৩০টি সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার ৯৫৯টি বক্তব্য ও হাজারো ছবি, ভিডিও, ভয়েস রেকর্ড ও দলিল ব্যবহার করেছে। চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, সিলেট ও গাজীপুরেও অনুসন্ধান হয়।

প্রতিবেদনে এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, এসবি, সিটিটিসি, গোয়েন্দা সংস্থা, এনটিএমসি ও বিজিবিকে দায়ী করা হয়।

প্রতিবেদনে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সময় আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। পুলিশকে উদ্দেশ করে দুই হাত ছড়িয়ে ‘আমাকে গুলি করুন’ বলে তাঁর চিৎকারসহ পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র ও ভূ-অবস্থান প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারীরা ওই হত্যাকাণ্ড কীভাবে ঘটেছে, তা সাক্ষ্যপ্রমাণের জন্য পুনর্নির্মাণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু সাঈদ পুলিশের ইচ্ছাকৃত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের সামনের সারিতে থাকায় নারীসহ নেতৃত্ব দানকারীদের অনেকে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হন। প্রতিবেদনে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে শারীরিক আক্রমণ ও ধর্ষণের হুমকি রয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করেন, এর লক্ষ্য ছিল নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনের সময় শিশুদেরও হত্যা ও পঙ্গু করেছে। তাদের নির্বিচার গ্রেপ্তার, অমানবিক অবস্থায় আটক ও অত্যাচার করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৮৪১টি হত্যা ও ১৩ হাজার ৫২৯ ব্যক্তির আহত হওয়ার ঘটনা তালিকাভুক্ত করলেও এটি ছিল অসম্পূর্ণ। পুলিশ ও র‍্যাব ১১ হাজার ৭০২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

জাতিসংঘ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের ৬৬ শতাংশ রাইফেল, ১২ শতাংশ শটগান, ২ শতাংশ পিস্তল ও ২০ শতাংশ অনান্য অস্ত্রের গুলির শিকার হন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধানমন্ডিতে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী প্রায় ২০০টি ধাতব গুলির কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মারা যায়। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে মা-বাবা বিক্ষোভে নিয়ে যাওয়া ছোট্ট শিশু, পথচারী ও দর্শকও ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে ছয় বছরের একটি মেয়েকে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দেখার সময় মাথায় গুলি করা হয়।

প্রতিবেদনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নেওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অস্বীকৃতির ঘটনাও তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ, হাসপাতালগুলো থেকে তাঁদের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় এবং চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের ভয় দেখানো হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও জব্দ করা হয়। এতে স্পষ্ট, আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহিংসতার মাত্রা কোন পর্যায়ে ছিল যে তা গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশের প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। এমন ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অনেকে এখনো দায়মুক্তি ভোগ করছে।

জাতিসংঘ বলছে, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের জেরে ওই বিক্ষোভের সূত্রপাত হলেও এর পেছনে ছিল ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং প্রশাসন থেকে সৃষ্ট বিস্তৃত ক্ষোভ, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি করেছিল।

ফলকার তুর্ক বলেন, এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি পেছনে ফেলে বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম পথ হলো, একটি বিশদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত জুলাই-আগস্টের ভয়াবহ অন্যায়গুলোর সত্য উন্মোচন, নিরাময় ও জবাবদিহির মুখোমুখি করা। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতার প্রতিকার করা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনো না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। তিনি সত্য উন্মোচনে একটি জাতীয় কমিশন (ট্রুথ কমিশন) গঠনের তাগিদ দিয়ে বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে কীভাবে আইনের মুখোমুখি করা যাবে, এ প্রশ্নে ফলকার তুর্ক বলেন, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ও অন্যান্য আদালতে ঘটনাগুলোর বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রতিবেদনে নিরাপত্তা ও বিচার খাতের সংস্কার, নাগরিক ও রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রণীত দমনমূলক আইন ও প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থায় বৃহত্তর পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ সংস্থাটি বেশ কিছু সুপারিশও করেছে। সুপারিশের মধ্যে রয়েছে: রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা; র‍্যাব বিলুপ্ত করা; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; পুলিশ কমিশন গঠনের মাধ্যমে বাহিনীটির ব্যাপক সংস্কার; পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের আইন লঙ্ঘনের ঘটনার জবাবদিহির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন; বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ করা; পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সামরিকীকরণ বন্ধ করা; বিজিবি ও ডিজিএফআইকে তাদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্বে সীমিত রাখা; গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ করে এমন আইনি বিধান বাতিল করা; এনটিএমসির বেআইনি নজরদারি বন্ধ করা।

এর বাইরে অবৈধ সম্পদ ও অর্থ আটক এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গণভোটের প্রচার: পরিবর্তনের চাবি আপনারই হাতে

  • ১১টি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে লিফলেটে।
  • বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে সব পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না।
  • গণভোটের বিষয়ে সরকার, ইসি, মন্ত্রণালয় প্রচার চালাবে।
তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ১৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১০টি ভোটের গাড়ি চালু করা হয়েছে। ভোটারদের সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ভোট পর্যন্ত দেশের সব জেলা-উপজেলায় ঘুরবে এসব গাড়ি। এ ছাড়া ভোটের গান প্রচারের পাশাপাশি উঠান বৈঠকও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। এর ধারাবাহিকতায় ‘দেশের চাবি আপনার হাতে’ স্লোগান নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

লিফলেটে ‘আপনি কি এমন বাংলাদেশ চান, যেখানে...’—এই জিজ্ঞাসার বিপরীতে ১১টি সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, সরকারি দল ইচ্ছেমতো সংবিধান সংশোধন করতে পারবে না; সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণভোটের বিধান চালু হবে; বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার এবং গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটিসমূহের সভাপতি নির্বাচিত হবে; কেউ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না; সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়বে; ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য পার্লামেন্টে একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে; দেশের বিচারব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কাজ করবে; আপনার মৌলিক অধিকারের সংখ্যা (যেমন অবাধে ইন্টারনেট সেবাপ্রাপ্তির অধিকার) বাড়বে; দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীকে রাষ্ট্রপতি ইচ্ছেমতো ক্ষমা করতে পারবেন না; রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য থাকবে।

লিফলেটে বলা হয়েছে, ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে ওপরের সবকিছু পাবেন। ‘না’ ভোট দিলে কিছুই পাবেন না। মনে রাখবেন, পরিবর্তনের চাবি এবার আপনারই হাতে।

এ ছাড়া গণভোটের বিষয়ে প্রচারের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘গণভোট বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ সেল খোলা হয়েছে। প্রচার কার্যক্রমের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (উপদেষ্টা পদমর্যাদা) অধ্যাপক আলী রীয়াজকে। সেলের উদ্যোগে লোগো ও লিফলেট তৈরি করা হয়েছে, যা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা গেছে, লিফলেট দু-এক দিনের মধ্যে বিলি শুরু করবে সরকার। তারা পর্যায়ক্রমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার শুরু করবে। গণভোট নিয়ে দুটি ওয়েবসাইট খোলা হয়েছে। যেখানে গণভোটের বিষয়ে সব ধরনের তথ্য দেওয়া থাকবে।

প্রচারের মাধ্যমে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে পৌঁছানো সরকারের লক্ষ্য বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গণভোট একটি ঐতিহাসিক সুযোগ দেশের মানুষের জন্য। অতীতে যেভাবে গণভোট হয়েছে, তা থেকে এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ অতীতের গণভোটের ক্ষেত্রে দেখা গেছে গৃহীত সিদ্ধান্ত। যেমন দ্বাদশ সংশোধনীর ক্ষেত্রে। কিংবা এমন পরিস্থিতিতে হয়েছে, মানুষের পছন্দের জায়গা ছিল না। এই গণভোট হচ্ছে মানুষের পছন্দের সুযোগ। আশা করি, মানুষ সে সুযোগ ব্যবহার করবে।’

সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদের বিষয়ে গণভোটের বিষয়ে সারা দেশে প্রচারের লক্ষ্যে ২২ ডিসেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করেছে ১০টি ভোটের গাড়ি—সুপার ক্যারাভান। এসব গাড়ি দেশের ৬৪ জেলা ও ৩০০টি উপজেলায় ঘুরে বেড়াবে। তারা মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে নির্বাচন ও গণভোট সম্পর্কে তথ্য পৌঁছে দেবে, ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করবে এবং গণতন্ত্রের বার্তা ছড়িয়ে দেবে। সেখানে বিভিন্ন ভিডিও চিত্র দেখানো হবে।

নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০টি ভিডিও তৈরি করা হবে। যেখানে আটটি বিভাগের জন্য আটটি গান তৈরি করা হয়েছে। গত বুধবার ঢাকা বিভাগের জন‍্য নির্মিত গান রিলিজ করা হয়। গেয়েছেন স্টোইক ব্লিসখ‍্যাত কাজী। পর্যায়ক্রমে বাকি সাতটি বিভাগের জন্য নির্মিত গানও রিলিজ করা হবে। গানের কথায় এক দিন দুই ভোট, সংসদ-গণভোট আওয়াজ ওঠায়, জবাবদিহি, সংস্কার, পরিবর্তন চাইলে গণভোট দেওয়ার কথা বলা আছে। গত সরকারের আমলের বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গানের কথায় সব জেলার নাম বলা হয়েছে। যেখানে দেশের মালিক জনগণকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সর্বশেষ মানুষের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আসুন দেশের মালিকানা বুঝে নিন।’

গণভোট নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি, ধর্ম মন্ত্রণালয়সহ ১৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রচার কার্যক্রম করবে সরকার। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের নিয়ে সরকার বৈঠক করেছে। এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তথ্যচিত্র, শর্ট ভিডিও। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে জারি-সারি গান, অঞ্চলভিত্তিক গান তৈরি করা হয়েছে—যা হাট-বাজারে প্রচার করা হবে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পর্যায়ে ফোকাল ব্যক্তি নির্ধারণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের জন্য একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে প্রচার হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এনজিও ব্যুরোর উদ্যোগেও প্রচার করা হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ধর্মগুরুদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ধর্মগুরুদের নিজ নিজ ধর্মীয় স্থানের গণভোটের বিষয়ে মানুষকে বার্তা দিতে বলা হবে। সেখানে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে কী সংস্কার হবে, ‘না’ ভোট দিলে কী হবে—তা বলতে বলা হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগেও গণভোটে নিয়ে প্রচার করা হবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘গণভোটের প্রচার করার জন্য আমাদের অফিসগুলোকে ফেস্টুন দেব। এ ছাড়া লিফলেট বিলি করব। তবে মূল কাজ করছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আমরা আমাদের ভোট ব্যবস্থাপনায় যেটুকু দরকার, সেটুকু করব।’

গণভোট ও জুলাই সনদের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও প্রচার করবে বলে আশা সরকারের।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র নিলেন ৩১৪৪ জন, আগামীকালই দাখিলের শেষ সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ৪৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।

এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।

এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।

এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আগামী মঙ্গলবার অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৩
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। ছবি: প্রেস উইং

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।

পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।

হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

মাকে দেখতে মাঝরাতে হাসপাতালে তারেক রহমান

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র মাহফুজ আলম, এনসিপির পক্ষে মনোনয়নপত্র নিলেন বড় ভাই মাহবুব

আত্মসমর্পণ করে দুই মামলায় জামিন পেলেন এনসিপির আখতার

এনসিপির নির্বাচনকালীন কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ালেন নুসরাত তাবাসসুম

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত