Ajker Patrika

জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদন

শেখ হাসিনার নির্দেশে নৃশংসতা

  • ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সুপরিকল্পিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন।
  • সরকার চাইলে এসব অভিযোগ নিয়ে আইসিসিতে যেতে পারে।
  • রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১: ৪৩
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্টের হত্যা, নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও তদারকিতে। তাঁর ও অন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা ও তদারকিতে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা, নির্যাতন ও গ্রেপ্তার করে। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে সুপরিকল্পিত ও পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার চাইলে এসব অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যেতে পারে। প্রতিবেদনে রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা, র‍্যাব বিলুপ্ত করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সংস্থার সদর দপ্তর ও অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে গত বছরের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে ১১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়। আহত হয় হাজার হাজার মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশ নির্বিচার গুলির শিকার হয়। নিহতদের ১২ থেকে ১৩ শতাংশ (অন্তত ১৮০ জন) ছিল শিশু। গ্রেপ্তার করা হয় ১১ হাজার ৭০২ জনকে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতায় টিকে থাকতে তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ সুপরিকল্পিত ও পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অনেক ঘটনা ঘটায়। পুলিশ, র‍্যাবসহ নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এতে জড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (আসাদুজ্জামান খান) ও অন্য কর্মকর্তারা একাধিক বড় ধরনের অভিযানের নির্দেশনা দেন ও তদারক করেন। এসব অভিযানে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গুলি করে হত্যা করে। নির্বিচার গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনী পরিকল্পিতভাবে এবং অবৈধভাবে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বা পঙ্গু করার সঙ্গে জড়িত ছিল। এমনকি একেবারে সামনে থেকেও গুলি করা হয়।

জাতিসংঘের এই সংস্থার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই নৃশংস প্রতিক্রিয়া ছিল সাবেক সরকারের একটি পরিকল্পিত ও সমন্বিত কৌশল, যার মাধ্যমে জনতার বিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, বিক্ষোভ দমনের কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জানার মধ্যে, তাঁদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নির্বিচার গ্রেপ্তার, আটক ও ব্যাপক নির্যাতন চালানো হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে এ বিষয়গুলোর আরও ফৌজদারি তদন্ত প্রয়োজন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা এক মাসের তদন্তে ১৪ ধরনের অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই আন্দোলন দমনে বিচারবহির্ভূত হত্যা, প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে নির্বিচার গুলি, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ভীতি প্রদর্শন, চিকিৎসায় বাধা ও মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগের মতো অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। শিশুদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে টার্গেট কিলিং হয়েছে।

ফলকার তুর্ক বলেন, যেসব সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে, তাতে ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও লক্ষ্যভিত্তিক হত্যাকাণ্ডের উদ্বেগজনক চিত্র ফুটে ওঠে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর। এসব কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধের অভিযোগও গঠন করা যেতে পারে। বাংলাদেশ সরকার চাইলে এসব অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) যেতে পারে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ড. ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটনাবলির বিষয়ে একটি তথ্য অনুসন্ধান দল পাঠায়। প্রতিবেদন তৈরিতে সংস্থাটি ১৫৩টি হতাহতের ঘটনার ফরেনসিক বিশ্লেষণ, ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ২৩০টি সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার ৯৫৯টি বক্তব্য ও হাজারো ছবি, ভিডিও, ভয়েস রেকর্ড ও দলিল ব্যবহার করেছে। চট্টগ্রাম, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া, সিলেট ও গাজীপুরেও অনুসন্ধান হয়।

প্রতিবেদনে এসব ঘটনার জন্য শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান, পুলিশ, র‍্যাব, ডিবি, এসবি, সিটিটিসি, গোয়েন্দা সংস্থা, এনটিএমসি ও বিজিবিকে দায়ী করা হয়।

প্রতিবেদনে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের সময় আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ড বিশদভাবে বিশ্লেষণ করা হয়। পুলিশকে উদ্দেশ করে দুই হাত ছড়িয়ে ‘আমাকে গুলি করুন’ বলে তাঁর চিৎকারসহ পুরো ঘটনার ভিডিও ফুটেজ, স্থিরচিত্র ও ভূ-অবস্থান প্রযুক্তি ব্যবহার করে তদন্তকারীরা ওই হত্যাকাণ্ড কীভাবে ঘটেছে, তা সাক্ষ্যপ্রমাণের জন্য পুনর্নির্মাণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবু সাঈদ পুলিশের ইচ্ছাকৃত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভের সামনের সারিতে থাকায় নারীসহ নেতৃত্ব দানকারীদের অনেকে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হন। প্রতিবেদনে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে শারীরিক আক্রমণ ও ধর্ষণের হুমকি রয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করেন, এর লক্ষ্য ছিল নারীদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনের সময় শিশুদেরও হত্যা ও পঙ্গু করেছে। তাদের নির্বিচার গ্রেপ্তার, অমানবিক অবস্থায় আটক ও অত্যাচার করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৮৪১টি হত্যা ও ১৩ হাজার ৫২৯ ব্যক্তির আহত হওয়ার ঘটনা তালিকাভুক্ত করলেও এটি ছিল অসম্পূর্ণ। পুলিশ ও র‍্যাব ১১ হাজার ৭০২ জনকে গ্রেপ্তার করে।

জাতিসংঘ বলছে, নিহত ব্যক্তিদের ৬৬ শতাংশ রাইফেল, ১২ শতাংশ শটগান, ২ শতাংশ পিস্তল ও ২০ শতাংশ অনান্য অস্ত্রের গুলির শিকার হন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধানমন্ডিতে ১২ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী প্রায় ২০০টি ধাতব গুলির কারণে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মারা যায়। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে মা-বাবা বিক্ষোভে নিয়ে যাওয়া ছোট্ট শিশু, পথচারী ও দর্শকও ছিলেন। নারায়ণগঞ্জে ছয় বছরের একটি মেয়েকে বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ দেখার সময় মাথায় গুলি করা হয়।

প্রতিবেদনে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা নেওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর অস্বীকৃতির ঘটনাও তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ, হাসপাতালগুলো থেকে তাঁদের আঙুলের ছাপ নেওয়া হয় এবং চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের ভয় দেখানো হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজও জব্দ করা হয়। এতে স্পষ্ট, আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়া রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহিংসতার মাত্রা কোন পর্যায়ে ছিল যে তা গোপন করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগের কর্মী ও পুলিশের প্রতিশোধমূলক হত্যাকাণ্ড এবং গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর সহিংসতার ঘটনাও উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর তদন্ত ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হিন্দু, আহমদিয়া মুসলিম ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে। এমন ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের অনেকে এখনো দায়মুক্তি ভোগ করছে।

জাতিসংঘ বলছে, সরকারি চাকরিতে কোটার বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তের জেরে ওই বিক্ষোভের সূত্রপাত হলেও এর পেছনে ছিল ধ্বংসাত্মক ও দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি এবং প্রশাসন থেকে সৃষ্ট বিস্তৃত ক্ষোভ, যা অর্থনৈতিক বৈষম্যের সৃষ্টি করেছিল।

ফলকার তুর্ক বলেন, এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি পেছনে ফেলে বাংলাদেশের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম পথ হলো, একটি বিশদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত জুলাই-আগস্টের ভয়াবহ অন্যায়গুলোর সত্য উন্মোচন, নিরাময় ও জবাবদিহির মুখোমুখি করা। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ধারাবাহিকতার প্রতিকার করা। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনো না ঘটে, তা নিশ্চিত করা। তিনি সত্য উন্মোচনে একটি জাতীয় কমিশন (ট্রুথ কমিশন) গঠনের তাগিদ দিয়ে বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে কীভাবে আইনের মুখোমুখি করা যাবে, এ প্রশ্নে ফলকার তুর্ক বলেন, এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের সুযোগ রয়েছে। তিনি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) ও অন্যান্য আদালতে ঘটনাগুলোর বিচারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

প্রতিবেদনে নিরাপত্তা ও বিচার খাতের সংস্কার, নাগরিক ও রাজনৈতিক ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রণীত দমনমূলক আইন ও প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করার পাশাপাশি রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক শাসনব্যবস্থায় বৃহত্তর পরিবর্তন আনাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়।

প্রতিবেদনে জাতিসংঘ সংস্থাটি বেশ কিছু সুপারিশও করেছে। সুপারিশের মধ্যে রয়েছে: রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ না করা; র‍্যাব বিলুপ্ত করা; বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; পুলিশ কমিশন গঠনের মাধ্যমে বাহিনীটির ব্যাপক সংস্কার; পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী ও বিজিবি সদস্যদের আইন লঙ্ঘনের ঘটনার জবাবদিহির জন্য স্বাধীন কমিশন গঠন; বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ করা; পুলিশ, বিজিবি ও আনসারের সামরিকীকরণ বন্ধ করা; বিজিবি ও ডিজিএফআইকে তাদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্বে সীমিত রাখা; গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রোধ করে এমন আইনি বিধান বাতিল করা; এনটিএমসির বেআইনি নজরদারি বন্ধ করা।

এর বাইরে অবৈধ সম্পদ ও অর্থ আটক এবং দেশে ফিরিয়ে আনতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতেও সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করার কথাও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ অনুমোদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানাল বিএনটিটিপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।

তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।

এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর শপথ কাল

বাসস, ঢাকা  
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ফাইল ছবি
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। ফাইল ছবি

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।

২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।

জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার সিরিয়াস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাসস, ঢাকা  
ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে শনিবার ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: বাসস
ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে শনিবার ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: বাসস

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘সুষ্ঠু ভোটের ব্যাপারে সরকার খুবই সিরিয়াস। কারণ মানুষ দীর্ঘদিন তাদের ভোট দিতে পারেনি। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। তাই প্রত্যেক দলের কাজ হচ্ছে, মানুষকে ভোটদানে উৎসাহিত করা।’

আজ শনিবার ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব পায় যেসব কারণে, সেগুলো মধ্যে অন্যতম হচ্ছে–২০০৯ সালের পরে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। তারপরে যেসব নির্বাচন হয়েছে, তাতে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক মানুষ, যাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে বা তার আশপাশে, যারা বিগত বছরগুলোতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক, যাতে মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো ভোট দিতে পারে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘সরকার আপনাদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত সাহায্য করবে না, যতক্ষণ আপনারা না চাইবেন। কেউ যাতে কোনোপ্রকার গণ্ডগোল করতে না পারে। আর যদিওবা করে, তা হলে তাকে কী করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা যায়, সে ব্যাপারে কঠোর অবস্থান রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে বলে দেওয়া হয়েছে, যদি কোনো স্থানে সমস্যা হয়, সেখানে ভোট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যাবেন, বক্তব্য তুলে ধরবেন। তবে কেউ কাউকে আঘাত করবেন না। সবাই শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকুন এবং একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিন।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশে বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে। সেই আন্দোলনে আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়েছে। যে পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে তারা জীবন দিয়েছে, তাদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর সমন্বয় করে আমরা একটি ছোট্ট তালিকা করেছি। পুরোপুরি শতভাগ যে করতে পেরেছি, তা নয়। আমরা চেষ্টা করেছি যতটুকু সম্ভব নিয়ে আসার।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার কোনো দলের পক্ষে না। আপনারা জানেন, কে কোন দলের পক্ষে নির্বাচন করছে। আপনারা আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবেন।’

ভোটের গাড়ি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. শামীম রহমান, পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. বেল্লাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন সোমবার, ঢাকার ৬ জেলায় এ পর্যন্ত সংগ্রহ ৫০৯টি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯: ৫৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আগামী সোমবার। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সারা দেশে কতজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বা জমা দিয়েছেন, তার তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ বিষয়ে কথা হলে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘রোববার সারা দেশ থেকে মনোনয়নপত্র-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার জন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’

ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ঢাকা-১৩ ও ১৫ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, শনিবার পর্যন্ত তাঁর দুই আসন থেকে ২৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর শুধু ঢাকা-১৩ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোহেল রানা নামে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

মো. ইউনুচ আলী আরও জানান, ঢাকার ছয়টি জেলার ৪১টি আসন থেকে ৫০৯ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ১৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খুলনা অঞ্চলের ১০টি জেলার ৩৬টি আসন থেকে শুক্রবার পর্যন্ত ২৫০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১১ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, শনিবার পর্যন্ত তাঁর আসন থেকে ২০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।

বেলায়েত হোসেন আরও জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাঁচটি জেলার ২৩ আসনে শুক্রবার পর্যন্ত ১৯৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণ চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তাসনিম জারাকে দেওয়া টাকা ফেরত চান? উপায় বলে দিলেন জারা নিজেই

এনসিপি থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা তাসনিম জারার

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত