মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুরু করতে পারছে না। এ জন্য সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন কিছুদিন আগেই বলেছেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য তাঁদের কাছে অনেক আবেদন আসছে। তিনি তখন বলেন, আইন সংশোধন না করলে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে না।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ইসিতে আবেদন আসতে শুরু করে। বেশির ভাগ আবেদন করা হয়েছে ২০০১ সালের সীমায় ফেরানোর জন্য। কারণ, ওই বছর কমবেশি ১৫০ আসনের সীমানা কাটাছেঁড়া করা হয়েছে। আসন বিলুপ্তির ঘটনাও ঘটেছে তখন। ঢাকা-১ আসন থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জ সংসদীয় আসন (ঢাকা-১ ও ২) পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে বলা হয়েছে, ২০০১ সালের নির্বাচনেও দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগকে ‘সুবিধা দিতে’ আসন দুটিকে এক করে ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দোহার উপজেলা এবং ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ আসন করা হয়। এতে এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধার কমিটির আবেদনে আগের মতো দোহার উপজেলা নিয়ে ঢাকা-১ ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা-২ আসন করার দাবি জানানো হয়।
ফরিদপুরের সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে ফরিদপুর-৪ পুরোনো সংসদীয় আসনটির সীমানা পুনর্বহালের দাবিতেও ইসিতে আবেদন করা হয়েছে। ‘সদরপুর-চরভদ্রাসন সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪) পুনরুদ্ধার কমিটি’ এই আবেদন করে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (শুধু ১৯৭৯ সাল ছাড়া) প্রতিটি সংসদীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসন ছিল সদরপুর ও চরভদ্রাসন নিয়ে। তবে ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা উপেক্ষা করে শুধু জনসংখ্যাকে গুরুত্ব দিয়ে এর সঙ্গে ভাঙ্গা উপজেলা যুক্ত করা হয়।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘৬০টি সংসদীয় আসন থেকে ৪০০-এর মতো আবেদন এসেছে। আমরা এগুলো পর্যালোচনা করছি।’
অন্য যেসব সংসদীয় আসন থেকে রদবদলের আবেদন এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে—ঢাকা-১, ২, ৭, ১২, ১৬ ও ১৯; নারায়ণগঞ্জ-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; গাজীপুর-৩; মানিকগঞ্জ-২ ও ৩; কিশোরগঞ্জ-২; সিরাজগঞ্জ-২ ও ৫; গাইবান্ধা-৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ ও ৪; ফেনী-২ ও ৩; নোয়াখালী-১ ও ২; কুমিল্লা-১, ২, ৬, ৯ ও ১০; চট্টগ্রাম-৩, ৪, ৭ ও ৮; সিলেট-৩; চাঁদপুর-১, ২, ৩, ৪ ও ৫; ফরিদপুর-৪; রাজবাড়ী-১, ২ ও ৩; শরীয়তপুর-২; যশোর-২; ঝালকাঠি-২; বরগুনা-১ ও ২; পিরোজপুর-১ ও ২ ইত্যাদি।
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিদ্যমান আইনি জটিলতা দূর করতে সংশোধিত খসড়া আইন তৈরি করা হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত হয়ে যাওয়ায়’ ২০২১ সালে পাস হওয়া আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয় কমিশন। গত ২৭ জানুয়ারি ইসির আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটির বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদন করা হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
ইসি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারায় সংশোধনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মূল সংশোধনটি হচ্ছে ৮(৩) ধারায় উপধারা (১)-এর স্থলে উপধারা (২) করা। বিগত কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন ৮(৩) উপধারায় সংশোধনীর মাধ্যমে সীমানায় বড় ধরনের রদবদলের পথ বন্ধ করেছিল। অর্থাৎ এর ফলে ইসি চাইলেও সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারত না।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ইসির প্রস্তাবিত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ খসড়ার বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ জানান, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সংসদীয় আসনের বিদ্যমান সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনেও সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, বিদ্যমান আইনে সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ঘনবসতিপূর্ণ শহর এলাকায় সংসদীয় আসন বৃদ্ধি পেয়েছে; আবার যেসব এলাকায় জনবসতি কম, সেখানে আসনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনের ৪, ৬ ও ৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কমিটির সভায় ইসির অতিরিক্ত সচিব সীমানা নির্ধারণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমে গতি আনতে সংশ্লিষ্টদের আইন সংশোধনের প্রস্তাবে সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করেন। তিনি এ সময় উল্লেখ করেন, এ পর্যন্ত ‘জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১’-এর বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়নি। সভায় আলোচনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেশ কিছু পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল জুনের মধ্যে আসন বিন্যাস শেষ করতে পারব। এটার জন্য আইনে কিছু সংশোধনসহ প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তার চূড়ান্ত কপি আমরা এখনো হাতে পাইনি। এটি সংশোধন হলে আসন পুনর্বিন্যাস করতে পারব। আর না হলে এখন যেভাবে আছে, সেভাবেই নির্বাচন করতে হবে।’

সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে এই মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করতে আবেদন করেছেন জাসদ সভাপতি ইনু।
২১ মিনিট আগে
বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা উদ্বোধনের সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নির্ধারণ করা হয়, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি ইসতেরাহা ও হলরুম ভাড়া করে, পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ কিংবা ব্যক্তিগত বাসাবাড়িতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছিল। একই সঙ্গে দলবদ্ধভাবে প্রচার-প্রচারণা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরাধমূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে সৌদি কর্তৃপক্ষ কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটক করে।
দূতাবাস জানায়, সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, দলবদ্ধ প্রচারণা কিংবা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এসব কর্মকাণ্ড স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং এতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এমতাবস্থায় সৌদি আরবে অবস্থানরত সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন, রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরাধমূলক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
একই সঙ্গে সৌদি আরবের প্রচলিত আইনকানুন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে দূতাবাস বলেছে, আইন মেনে চলাই প্রবাসীদের নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করার অন্যতম শর্ত।

সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্প্রতি ইসতেরাহা ও হলরুম ভাড়া করে, পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁ কিংবা ব্যক্তিগত বাসাবাড়িতে বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছিল। একই সঙ্গে দলবদ্ধভাবে প্রচার-প্রচারণা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরাধমূলক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগে সৌদি কর্তৃপক্ষ কয়েকজন বাংলাদেশিকে আটক করে।
দূতাবাস জানায়, সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ, দলবদ্ধ প্রচারণা কিংবা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এসব কর্মকাণ্ড স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং এতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এমতাবস্থায় সৌদি আরবে অবস্থানরত সব প্রবাসী বাংলাদেশিকে সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন, রাজনৈতিক প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরাধমূলক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
একই সঙ্গে সৌদি আরবের প্রচলিত আইনকানুন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে দূতাবাস বলেছে, আইন মেনে চলাই প্রবাসীদের নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিত করার অন্যতম শর্ত।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে এই মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করতে আবেদন করেছেন জাসদ সভাপতি ইনু।
২১ মিনিট আগে
বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা উদ্বোধনের সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নির্ধারণ করা হয়, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে এই মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করতে আবেদন করেছেন জাসদ সভাপতি ইনু।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এই আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।
এর আগে ১ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর, সুনির্দিষ্ট আটটি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। সেদিনই শুনানি শেষে ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। জানা গেছে, ইনুর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণে ২০ জন সাক্ষীর তালিকা দিয়েছে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া নথি হিসেবে তিনটি অডিও ও ছয়টি ভিডিও দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৬ আগস্ট ইনু আটক হন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইনু। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ায় নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে এই মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করতে আবেদন করেছেন জাসদ সভাপতি ইনু।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এই আবেদন করেন।
এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ।
এর আগে ১ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রসিকিউশনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। গত ২৫ সেপ্টেম্বর, সুনির্দিষ্ট আটটি অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। সেদিনই শুনানি শেষে ইনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। জানা গেছে, ইনুর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ প্রমাণে ২০ জন সাক্ষীর তালিকা দিয়েছে প্রসিকিউশন। এ ছাড়া নথি হিসেবে তিনটি অডিও ও ছয়টি ভিডিও দেওয়া হয়।
গত বছরের ২৬ আগস্ট ইনু আটক হন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইনু। তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ায় নিজ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা উদ্বোধনের সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নির্ধারণ করা হয়, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে
‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রমজানের কারণে প্রথমে এগিয়ে আনা এবং পরে স্থগিত করা অমর একুশে বইমেলার নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, আসছে বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এ মেলা, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বইমেলার তারিখ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা উদ্বোধনের সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নির্ধারণ করা হয়, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রকাশক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা।
জাতীয় নির্বাচন ও রমজান বিবেচনায় নিয়ে বইমেলার সময় এগিয়ে এনে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলা একাডেমি। পরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিত করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রমজানের কারণে প্রথমে এগিয়ে আনা এবং পরে স্থগিত করা অমর একুশে বইমেলার নতুন দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, আসছে বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এ মেলা, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে আজ বুধবার বিকেলে বইমেলার তারিখ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা উদ্বোধনের সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নির্ধারণ করা হয়, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, প্রকাশক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা।
জাতীয় নির্বাচন ও রমজান বিবেচনায় নিয়ে বইমেলার সময় এগিয়ে এনে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলা একাডেমি। পরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে স্থগিত করা হয়।

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে এই মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করতে আবেদন করেছেন জাসদ সভাপতি ইনু।
২১ মিনিট আগে
‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ জানে, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয়। ভারতের উপদেশের দরকার নেই।
গত রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এ প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ যে বক্তব্য তাদের এসেছে, তাতে কিছু নসিহত করা হয়েছে আমাদের। আমি মনে করি না যে, এটার কোনো প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে, এটা নিয়ে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না। আমরা, এই সরকার, ডে ওয়ান থেকে স্পষ্টভাবে বলে আসছে যে, আমরা একটা অত্যন্ত উচ্চমানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই—মানুষ যেন গিয়ে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ, যা গত ১৫ বছর ছিল না। এখন ভারত আমাদের এটা নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে—এটা আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি।’
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই কারণে যে, তারা জানে যে এর আগে ১৫ বছর ধরে যে সরকার ছিল, যে সরকারের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল, তখন কিন্তু এই যে নির্বাচনগুলো প্রহসনমূলক হয়েছে, তখন তারা একটু শব্দ উচ্চারণ করেনি। এখন সামনে একটা ভালো নির্বাচনের দিকে আমরা যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের নসিহত করার তো কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা জানি, আমরা কী করব। আমরা একটা ভালো নির্বাচন করব, যেটাতে মানুষ ভোট দিতে পারবে এবং তারা যাদের ভোট দেবে, তারাই নির্বাচিত হবে। যেটা এর আগে গত ১৫ বছরে ঘটেনি। তো এই জিনিসটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘হ্যাঁ, এই ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা তাদের হাইকমিশনারকে ডেকেছি, এ ব্যাপারে আমরা যা কিছু বলেছি, তারা গ্রহণ করেনি। তাদের কিছু দ্বিমত আছে এই বিষয়ে। একইভাবে আমাদের হাইকমিশনারকেও তারা ডেকেছে। এটা খুব অপ্রত্যাশিত না, এটা ঘটে। একজনকে ডাকা, আরেকজনকে ডাকা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে, আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে। তবে সম্পর্কের এই টানাপোড়েন মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:

‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ভারতের ‘নসিহত’ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ বুধবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ কথা বলেন। তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশ জানে, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হয়। ভারতের উপদেশের দরকার নেই।
গত রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা আশা করি, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনসহ অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।’
এ প্রসঙ্গ টেনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ যে বক্তব্য তাদের এসেছে, তাতে কিছু নসিহত করা হয়েছে আমাদের। আমি মনে করি না যে, এটার কোনো প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশে নির্বাচন কেমন হবে, এটা নিয়ে আমরা আমাদের প্রতিবেশীদের উপদেশ চাই না। আমরা, এই সরকার, ডে ওয়ান থেকে স্পষ্টভাবে বলে আসছে যে, আমরা একটা অত্যন্ত উচ্চমানের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই—মানুষ যেন গিয়ে ভোট দিতে পারে সেই পরিবেশ, যা গত ১৫ বছর ছিল না। এখন ভারত আমাদের এটা নিয়ে উপদেশ দিচ্ছে—এটা আমি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য মনে করি।’
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এই কারণে যে, তারা জানে যে এর আগে ১৫ বছর ধরে যে সরকার ছিল, যে সরকারের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক ছিল, তখন কিন্তু এই যে নির্বাচনগুলো প্রহসনমূলক হয়েছে, তখন তারা একটু শব্দ উচ্চারণ করেনি। এখন সামনে একটা ভালো নির্বাচনের দিকে আমরা যাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের নসিহত করার তো কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা জানি, আমরা কী করব। আমরা একটা ভালো নির্বাচন করব, যেটাতে মানুষ ভোট দিতে পারবে এবং তারা যাদের ভোট দেবে, তারাই নির্বাচিত হবে। যেটা এর আগে গত ১৫ বছরে ঘটেনি। তো এই জিনিসটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘হ্যাঁ, এই ইস্যু নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা তাদের হাইকমিশনারকে ডেকেছি, এ ব্যাপারে আমরা যা কিছু বলেছি, তারা গ্রহণ করেনি। তাদের কিছু দ্বিমত আছে এই বিষয়ে। একইভাবে আমাদের হাইকমিশনারকেও তারা ডেকেছে। এটা খুব অপ্রত্যাশিত না, এটা ঘটে। একজনকে ডাকা, আরেকজনকে ডাকা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, এই বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াই ভালো যে, আসলে এই সরকারের শুরু থেকে আজ পর্যন্ত (সম্পর্কে) টানাপোড়েন তো আছেই ভারতের সঙ্গে। তবে সম্পর্কের এই টানাপোড়েন মেনে নিয়েই বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তবে আমরা চাইলেই যে হবে, এমন কোনো কথা নেই। দুই পক্ষ থেকেই সম্পর্ককে এগোনোর চেষ্টা করতে হবে।’
আরও পড়ুন:

আগামী ডিসেম্বরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম প্রায় শেষ। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে আগস্টের মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে চায় কমিশন। আরও কিছু বিষয় প্রক্রিয়াধীন। তবে আইন সংশোধন না হওয়ায় ইসি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ সীমানা...
০৩ এপ্রিল ২০২৫
সৌদি আরবের বিভিন্ন এলাকায় বিনা অনুমতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ ঘটনায় সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
৯ মিনিট আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে এই মামলার বিচার সরাসরি সম্প্রচার করতে আবেদন করেছেন জাসদ সভাপতি ইনু।
২১ মিনিট আগে
বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬-এর তারিখ নির্ধারণ-সংক্রান্ত এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বইমেলা উদ্বোধনের সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় নির্ধারণ করা হয়, চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত।
১ ঘণ্টা আগে