আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও মাইলেজসহ পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ (সোমবার) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুধু পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পই নয়, অনেক জায়গায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর–বেনাপোল রেলপথে ৪ ঘণ্টার মতো। প্রতিটি সেকশনে পথ কমবে অর্ধেকের বেশি। ফলে এই পথের এক একজোড়া ট্রেনকে দুইবার চালানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হবে না।’
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
এদিকে চালক সংকটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারা দেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।
রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ট্রেন চালক, সহ–চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই–তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
রেলওয়ে মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তাঁরা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত ৩০ অক্টোবর রানিং স্টাফরা এক বৈঠকে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের অংশ হলেও ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তখন সভায় রেলপথ সচিব আবদুল বাকী বলেন, তাঁদের এ দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে রানিং স্টাফরা ৩০ দিনের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ১ ডিসেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না। আর কর্মী সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ১৬০ বছরের প্রচলিত নিয়ম হঠাৎ বন্ধ করা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বহুবার সময় দিয়েছি এবং আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছি।
রানিং স্টাফরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে রেলওয়ের কার্যক্রমে আরও দীর্ঘ অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রেলের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বপ্রথম এ ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবছি আমরা।

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও মাইলেজসহ পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ (সোমবার) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুধু পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পই নয়, অনেক জায়গায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর–বেনাপোল রেলপথে ৪ ঘণ্টার মতো। প্রতিটি সেকশনে পথ কমবে অর্ধেকের বেশি। ফলে এই পথের এক একজোড়া ট্রেনকে দুইবার চালানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হবে না।’
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
এদিকে চালক সংকটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারা দেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।
রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ট্রেন চালক, সহ–চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই–তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
রেলওয়ে মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তাঁরা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত ৩০ অক্টোবর রানিং স্টাফরা এক বৈঠকে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের অংশ হলেও ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তখন সভায় রেলপথ সচিব আবদুল বাকী বলেন, তাঁদের এ দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে রানিং স্টাফরা ৩০ দিনের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ১ ডিসেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না। আর কর্মী সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ১৬০ বছরের প্রচলিত নিয়ম হঠাৎ বন্ধ করা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বহুবার সময় দিয়েছি এবং আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছি।
রানিং স্টাফরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে রেলওয়ের কার্যক্রমে আরও দীর্ঘ অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রেলের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বপ্রথম এ ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবছি আমরা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও মাইলেজসহ পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ (সোমবার) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুধু পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পই নয়, অনেক জায়গায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর–বেনাপোল রেলপথে ৪ ঘণ্টার মতো। প্রতিটি সেকশনে পথ কমবে অর্ধেকের বেশি। ফলে এই পথের এক একজোড়া ট্রেনকে দুইবার চালানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হবে না।’
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
এদিকে চালক সংকটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারা দেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।
রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ট্রেন চালক, সহ–চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই–তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
রেলওয়ে মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তাঁরা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত ৩০ অক্টোবর রানিং স্টাফরা এক বৈঠকে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের অংশ হলেও ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তখন সভায় রেলপথ সচিব আবদুল বাকী বলেন, তাঁদের এ দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে রানিং স্টাফরা ৩০ দিনের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ১ ডিসেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না। আর কর্মী সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ১৬০ বছরের প্রচলিত নিয়ম হঠাৎ বন্ধ করা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বহুবার সময় দিয়েছি এবং আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছি।
রানিং স্টাফরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে রেলওয়ের কার্যক্রমে আরও দীর্ঘ অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রেলের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বপ্রথম এ ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবছি আমরা।

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ ও মাইলেজসহ পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে সব আয়োজন সম্পন্ন করেও আজ (সোমবার) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু করতে পারছে না বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শুধু পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পই নয়, অনেক জায়গায় শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর–বেনাপোল রেলপথে ৪ ঘণ্টার মতো। প্রতিটি সেকশনে পথ কমবে অর্ধেকের বেশি। ফলে এই পথের এক একজোড়া ট্রেনকে দুইবার চালানোর কথাও ভাবছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক ও পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক আফজাল হোসেন গতকাল রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হবে না।’
আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের একটা ক্রাইসিস চলছে। মাইলেজ অ্যালাউন্সের জন্য রানিং স্টাফরা আন্দোলনে গেছে। তাদের আন্দোলনের জন্য আমাদের ট্রেন চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু কিছু ট্রেন চলাচলে বিলম্ব হচ্ছে, কিছু কিছু ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এটার সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পুরো রুটে ট্রেন চালাতে পারছি না। এটার জন্য দেন–দরবার করা হচ্ছে। তবে অবশ্যই ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে।’
এদিকে চালক সংকটে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন চলছে না, এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এই ঘটনায় রোববার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১০টি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে এবং ঢাকা থেকে সিলেট, জয়দেবপুর ও দেওয়ানগঞ্জগামী মোট ৩টি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এমন ঘটনায়, আজও সারা দেশের ট্রেন যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল রোববার বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান রেলওয়ে মহাপরিচালকে এক চিঠিতে কর্মবিরতির কথা জানান।
রেলওয়ের ১৮৩২ সালের আইন অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ট্রেন চালক, সহ–চালক, পরিচালক ও টিকিট চেকারদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। দৈনিক কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টা হলেও রানিং স্টাফদের গড়ে ১৫–১৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এজন্য তাঁদের দেওয়া হয় বিশেষ আর্থিক সুবিধা, যাকে রেলওয়ের ভাষায় বলা হয় মাইলেজ। মাইলেজ রানিং স্টাফদের বেতনেরই অংশ।
মাইলেজের হিসাব হলো, প্রতি ১০০ কিলোমিটার ট্রেন চালালে রানিং স্টাফরা মূল বেতনের এক দিনের বেসিকের সমপরিমাণ টাকা অতিরিক্ত পাবেন। ৮ ঘণ্টায় এক দিনের কর্মদিবস ধরলে রানিং স্টাফদের প্রতি মাসে কাজ দাঁড়ায় আড়াই বা দুই–তিন মাসের সমপরিমাণ। তাঁদের বেতনও সেভাবেই দেওয়া হয়। এ ছাড়া মূল বেতনের হিসাবে অবসরকালীন ভাতা যা হয় সেটির সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ৭৫ শতাংশ টাকা বেশি দিয়ে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে রানিং স্টাফদের সেই সুবিধা বাতিল করা হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছে।
রেলওয়ে মহাপরিচালককে লেখা চিঠিতে মো. মজিবুর রহমান বলেন, পার্ট অব পে রানিং অ্যালাউন্সের ওপর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অসম্মতি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিল না হলে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে ১ ডিসেম্বর থেকে রানিং স্টাফরা ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত ডিউটি করবেন না। তাঁরা আন্ডার রেস্টে (বিশ্রামকালীন) ডিউটি করবেন না। এ সময় রেলের লোকোমাস্টার (এলএম), সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) ও সাব লোকোমাস্টার (এসএলএম) কর্মবিরতিতে যাবেন।
সহকারী লোকোমাস্টার (এএলএম) নিয়োগপত্রের দুটি ধারা বাতিল করে একই গ্রেডে কর্মরত রেলওয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বেতন কাঠামো ও আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দাবিও জানানো হয়েছে এ চিঠিতে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে, গত ৩০ অক্টোবর রানিং স্টাফরা এক বৈঠকে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে রানিং অ্যালাউন্স পেনশন ও আনুতোষিক হিসাবের অংশ হলেও ২০২১ সালের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা কমানো হয়। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে এ সুবিধা পুরোপুরি বন্ধ করা হয়।
তখন সভায় রেলপথ সচিব আবদুল বাকী বলেন, তাঁদের এ দাবির বিষয়ে ইতিমধ্যে অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং বিষয়টি উপদেষ্টা, রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী ৩০ দিনের (৩০ নভেম্বর) মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
পরে রানিং স্টাফরা ৩০ দিনের জন্য তাঁদের আন্দোলন স্থগিত রাখেন। ৩০ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তাঁরা ১ ডিসেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক দায়িত্ব পালন করছেন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন না। আর কর্মী সংকট থাকায় বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে।
রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, ১৬০ বছরের প্রচলিত নিয়ম হঠাৎ বন্ধ করা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা বহুবার সময় দিয়েছি এবং আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু এবার আর পেছানোর সুযোগ নেই। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার দাবি করছি।
রানিং স্টাফরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো পূরণ না হলে রেলওয়ের কার্যক্রমে আরও দীর্ঘ অচলাবস্থার মুখে পড়তে পারে।
রেলের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, এ নিয়ে রেলওয়েকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। আমি মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সর্বপ্রথম এ ইস্যুটি সমাধান করতে হচ্ছে। রানিং স্টাফদের দাবি দাওয়া কীভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে ভাবছি আমরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্যের মরদেহ রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।
এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আজ শনিবার নিহতদের মরদেহ দেশে পৌঁছায় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম বিমানবন্দরে শান্তিরক্ষীদের মৃতদেহ গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক প্রতিনিধি, আবেইতে মোতায়েনরত জাতিসংঘ মিশন ইউনিসফার ফোর্স কমান্ডারের প্রতিনিধি, চিফ কমিউনিটি লিয়াজোঁ অফিসারসহ অন্যরা।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের মরদেহ নেওয়ার সময় সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন এবং সব সামরিক ব্যক্তি শাহাদাতবরণকারীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে স্যালুট দেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
সুদানের আবেই এলাকায় ১৩ ডিসেম্বর ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হওয়ার পাশাপাশি নয়জন আহত হন; যাঁদের মধ্যে আটজন কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে সবাই শঙ্কামুক্ত রয়েছেন বলে জানায় আইএসপিআর।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়। হাদির মরদেহ কবরে শায়িত করা হয় ৩টা ২০মিনিটের দিকে। সমাধিস্থলে নিয়ে আসা হয় ৩ টা ২ মিনিটে। দাফন শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো মানুষের অংশগ্রহণে হাদির জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান। তাঁর মরদেহ গতকাল সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। রাখা হয় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মর্গে। শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান ও সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার বীর উত্তম ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তাঁর কৌশলগত সিদ্ধান্ত, সাংগঠনিক দক্ষতা ও অটল দেশপ্রেম স্বাধীনতার সংগ্রামকে আরও সুসংহত করেছিল।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার পর এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনী গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন এবং দেশের প্রথম বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে এই বাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রাখেন।
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার রণাঙ্গনের একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে গ্রন্থ রচনা করে পতিত ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ব্যাপক রোষানলে পড়েন। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরাই ছিল পতিত শাসনের দৃষ্টিতে তাঁর অপরাধ।
ড. ইউনূস বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন একজন দৃঢ়চেতা মুক্তিযোদ্ধা, সৎ ও সাহসী এবং আদর্শনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক। তাঁর কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে একজন বীর সন্তানকে হারাল দেশ। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন, সহযোদ্ধা ও গুণগ্রাহীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লাখো জনতার অংশগ্রহণে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ওসমান হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক।
শহীদ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবেগঘন বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছ এবং বাংলাদেশ যত দিন থাকবে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘আজকে পথে ঢেউয়ের মতো লোক আসছে, সারা বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি—তুমি যা বলে গেছ, আমরা যেন তা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা শুধু আমরা নয়, পুরুষানুক্রমে বাংলাদেশের সব মানুষ পূরণ করবে। তোমার মানবপ্রেম, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মেলামেশা এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আমরা প্রাণে গ্রহণ করছি।’
জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। হাদিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ঢলে সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও ভার্চ্যুয়ালি এই মুহূর্তের খবরাখবর রাখছেন বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী জানাজা দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আড়াইটায় শুরু হয়। জানাজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ১০০০টি বডি ওর্ন ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে পুরো এলাকা সুরক্ষিত রাখা হয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু ছাড়াই অংশগ্রহণ করেন এবং সংসদ ভবন এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধির পাশে ওসমান হাদিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মারা যান ওসমান হাদি। তাঁর মৃত্যুতে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের পুরো ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। গত নভেম্বর থেকেই উদ্বোধনের জন্য ২ ডিসেম্বরের কথা বলা হয়েছিল। এই রেলপথে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী হয়ে যশোর–খুলনা রেলপথে যাতায়াতের দূরত্বের সময় কমবে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মতো এবং যশোর...
০২ ডিসেম্বর ২০২৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে নিহতদের মরদেহ নিজ নিজ ঠিকানায় হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে যথাযথ সামরিক মর্যাদায় দাফন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল ৪ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে বেলা ৩টা ২ মিনিটে হাদির মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে পৌঁছায়।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, এ কে খন্দকার ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় সৈনিক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সাহসিকতা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বগুণের পরিচয় দিয়ে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১ ঘণ্টা আগে