নিরাপত্তা উপদেষ্টার প্রেস ব্রিফিং
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মি যদি জাতিগত নিধন চালিয়ে যায়, জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করে, আমরা কেন সাহায্য করব? ...প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি বলেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে কোনো সহায়তা যাবে না, এটাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি ‘চ্যানেল’ খোলার বিষয় নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রেস ব্রিফিং করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের চাপে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না, আজকের পত্রিকার এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টার দাবি, তাড়াহুড়ার কোনো বিষয় নেই। রোহিঙ্গাদের টেকসই ব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো ও তারা যাতে গেলে আবার চলে না আসে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এটা হতে হলে রাখাইনে প্রশাসন ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের আনুপাতিক উপস্থিতি দরকার হবে। তিনি বলেন, কেউ সরকারকে কোনো চাপ দেয়নি। আরাকান আর্মি অরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হওয়ায় জাতিসংঘকে মাঝে রেখে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ যারা অংশীজন আছে, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সব পক্ষের সম্মতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু নির্ণীত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই লিখিত (চূড়ান্ত) হবে না।
ড. খলিলুর রহমানের দাবি, জাতিসংঘ রাখাইনে নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থে ত্রাণ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা থেকে রাখাইনে সহায়তার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। যেহেতু রাখাইনে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘের অনুরোধে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ত্রাণ যেতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ‘করিডর’ স্থাপনের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না। করিডরের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মতভেদের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিল দাবি করেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমরা একেবারে এক সমতলে। ...এখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া সাগরপথে কিংবা অন্য কোনো রুটে সুযোগ থাকলে, জাতিসংঘ সেসব রুটে রাখাইনে ত্রাণ নিতে চাইলে সরকার সহযোগিতা দেবে।
ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। অন্যদিকে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাবে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার ও ওষুধ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের আরও অনেকের বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আরাকান আর্মিকে জানিয়েছে যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক তৈরি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সহায়তা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই চ্যানেলে মাদক ও অস্ত্র আনা-নেওয়া হয় কি না, তার ওপর নজর রাখা হবে।
উপদেষ্টার ধারণা, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি আছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশের নিউজ পোর্টাল থেকে ‘করিডর’ এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ প্রচারণা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রক্সি যুদ্ধ হলে চীন ও মিয়ানমারের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারা কিছু বলছে না। কিন্তু অন্য একটি দেশ থেকে অপপ্রচার চলছে।
২০১৭ সাল থেকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তারা মনে করে, ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্যে ঝামেলা আছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে নিরসন করা হবে।
দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার ও রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোনো আন্তসংযোগ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে রোহিঙ্গাদের কেউ এনআইডি ও পাসপোর্ট নিয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয় না।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে আজকের পত্রিকার এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মি যদি জাতিগত নিধন চালিয়ে যায়, জাতিবিদ্বেষী রাষ্ট্র তৈরির চেষ্টা করে, আমরা কেন সাহায্য করব? ...প্রশ্নই ওঠে না।’ তিনি বলেন, আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘাত চলতে থাকলেও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে কোনো সহায়তা যাবে না, এটাও পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে রাখাইনে মানবিক সহায়তার জন্য একটি ‘চ্যানেল’ খোলার বিষয় নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই প্রেস ব্রিফিং করলেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের চাপে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার তাড়াহুড়া করছে কি না, আজকের পত্রিকার এই প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টার দাবি, তাড়াহুড়ার কোনো বিষয় নেই। রোহিঙ্গাদের টেকসই ব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো ও তারা যাতে গেলে আবার চলে না আসে, সে জন্য এ ব্যবস্থা। এটা হতে হলে রাখাইনে প্রশাসন ও নিরাপত্তাব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের আনুপাতিক উপস্থিতি দরকার হবে। তিনি বলেন, কেউ সরকারকে কোনো চাপ দেয়নি। আরাকান আর্মি অরাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ হওয়ায় জাতিসংঘকে মাঝে রেখে যুক্তরাষ্ট্র-চীনসহ যারা অংশীজন আছে, তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে। সব পক্ষের সম্মতিতে যতক্ষণ পর্যন্ত না সবকিছু নির্ণীত হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কিছুই লিখিত (চূড়ান্ত) হবে না।
ড. খলিলুর রহমানের দাবি, জাতিসংঘ রাখাইনে নিজস্ব সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে নিজেদের অর্থে ত্রাণ পৌঁছাবে। বাংলাদেশে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা থেকে রাখাইনে সহায়তার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। যেহেতু রাখাইনে অন্যান্য সরবরাহ রুট দিয়ে সাহায্য পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না, তাই জাতিসংঘের অনুরোধে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ত্রাণ যেতে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
রাখাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ‘করিডর’ স্থাপনের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, করিডর নিয়ে সরকারের সঙ্গে কারও কোনো কথা হয়নি, কারও সঙ্গে কথা হবে না। করিডরের ধারণা ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, এটি সাধারণত জরুরি পরিস্থিতিতে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাখাইন থেকে কাউকে সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকার ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে মতভেদের কথা শোনা যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিল দাবি করেন, ‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে মতপার্থক্য নেই। সেনাপ্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে আমরা একেবারে এক সমতলে। ...এখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই।’
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ছাড়া সাগরপথে কিংবা অন্য কোনো রুটে সুযোগ থাকলে, জাতিসংঘ সেসব রুটে রাখাইনে ত্রাণ নিতে চাইলে সরকার সহযোগিতা দেবে।
ইউএনডিপির একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে এখন ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রে আছে। অন্যদিকে খাবার ও ওষুধের ব্যাপক অভাবে রাখাইনে ভয়াবহ মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার ও ওষুধ না পেয়ে রোহিঙ্গাদের আরও অনেকের বাংলাদেশে চলে আসার আশঙ্কা আছে। তিনি বলেন, জাতিসংঘ আরাকান আর্মিকে জানিয়েছে যে রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধক তৈরি করা যাবে না। কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। এ সহায়তা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এই চ্যানেলে মাদক ও অস্ত্র আনা-নেওয়া হয় কি না, তার ওপর নজর রাখা হবে।
উপদেষ্টার ধারণা, আরাকান আর্মি রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে নীতিগতভাবে রাজি আছে। রাখাইনে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো গেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হবে। তখন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিবেশী দেশের নিউজ পোর্টাল থেকে ‘করিডর’ এবং জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ প্রচারণা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রক্সি যুদ্ধ হলে চীন ও মিয়ানমারের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি আছে। তারা কিছু বলছে না। কিন্তু অন্য একটি দেশ থেকে অপপ্রচার চলছে।
২০১৭ সাল থেকে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা যাচাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে দেওয়া হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, তাদের মধ্যে আড়াই লাখ রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই সম্পন্ন হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। তারা মনে করে, ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। বাকি ৭০ হাজার রোহিঙ্গার ছবি ও কিছু তথ্যে ঝামেলা আছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে নিরসন করা হবে।
দেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যভান্ডার ও রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোনো আন্তসংযোগ নেই উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এ কারণে রোহিঙ্গাদের কেউ এনআইডি ও পাসপোর্ট নিয়েছে কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয় না।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহিতা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহিতা এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপোযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় এগিয়ে এনে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল বেলা দুইটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নামাজে জানাজা বেলা আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
শহিদ ওসমান হাদির নামাজে জানাজায় যারা অংশ নিতে আসবেন তারা কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ছায়ানট ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের প্রতি সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার পর ওসমান হাদির মর্মান্তিক মৃত্যুকে উপলক্ষ করে একজোট লোক ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালায় এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা ছয়তলা ভবনের সব সিসি ক্যামেরাসহ অধিকাংশ কক্ষ, প্রক্ষালণ কক্ষ এবং বহু বাদ্যযন্ত্র, মিলনায়তন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে। সার্ভারসহ ছায়ানটের কিছু বাদ্যযন্ত্র ও আসবাবপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে। অন্তত সাতটি ল্যাপটপসহ গোটা চারেক ফোন ও কিছু হার্ডডিস্ক লুট করেছে। তাদের ভাঙচুরে বৈদ্যুতিক সংযোগ ও সরঞ্জামও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাচ্ছি।
‘ছায়ানট একটি স্বেচ্ছাসেবী ও স্বনির্ভর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। ছায়ানট কোনো সরকার, বিদেশি সংস্থা বা করপোরেট অনুদান নেয় না। সুতরাং, ছায়ানট আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে এই ক্ষতি পূরণ করবে এবং সংগীত ও শিশুদের সাধারণ শিক্ষায় এই সাময়িক বিঘ্নের দ্রুত প্রতিকার করতে বদ্ধপরিকর।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ছায়ানটের কাজের ক্ষেত্র রাজনীতি নয়, সংগীত-সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করে ছায়ানট। ছায়ানট সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের সমাজ গড়তে প্রয়াসী। আমরা ওসমান হাদির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত। কিন্তু ওই সূত্র ধরে ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে কেন হামলা সংঘটিত হলো, তা মোটেই বোধগম্য নয়। হয়তো পরিস্থিতির সুযোগ গ্রহণ করেছে সংস্কৃতিচর্চার বিরোধী গোষ্ঠী।’
সংগীতশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি আরও বলে, ছায়ানট এই উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ অনানুষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিদেশে সমাদৃত। বাংলা গানের চর্চা বিস্তৃতির পাশাপাশি স্বাধীনতা-সংগ্রামে ছায়ানটের ভূমিকাও সারা বিশ্বে স্বীকৃত। তাই ছায়ানট-সংস্কৃতি ভবনে এই নিন্দনীয় হামলা মাতৃভূমি সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিতে পারে বিশ্বে।
দেশ ও বিদেশ থেকে যে অগণিত শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁদের উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা জানিয়েছেন, তাঁদের সবার কাছে ছায়ানট কৃতজ্ঞ।
বাঙালির আবহমান সংগীতসংস্কৃতির সাধনা ও প্রসারে ছায়ানট তার স্থির প্রত্যয় যাত্রায় অবিচল থাকবে।

মিয়ানমারের রাখাইনে সশস্ত্র সংঘাত চলতে থাকলে এবং আরাকান আর্মি জাতিগত নিধন অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে সেখানে মানবিক সহায়তা যেতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকার রাজি হবে না। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান গতকাল বুধবার এসব কথা জানিয়েছেন।
২২ মে ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৪ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির জানাজার সময় পিছিয়ে আগামীকাল শনিবার বেলা দুইটায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ৭টা ২০ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে