Ajker Patrika

দ্বিতীয় ধাপের ভোটে যাঁরা চেয়ারম্যান হলেন

আপডেট : ২৩ মে ২০২৪, ০১: ২৫
দ্বিতীয় ধাপের ভোটে যাঁরা চেয়ারম্যান হলেন

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট হয়েছে গত মঙ্গলবার। এই ধাপে ভোটারেরা ভোট দিয়েছেন ১৫৬ উপজেলায়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন চারজন। এর বাইরে দুটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে গতকাল বুধবার পর্যন্ত ফলাফল ঘোষণা হয়নি।

বাকি ১৫০ উপজেলার মধ্যে ১৩৭ উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের নাম জানিয়েছেন আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিরা।

ঢাকা
ঢাকার সাভারে মঞ্জুরুল আলম রাজীব (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়)। ধামরাইয়ে আবদুল লতিফ। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মো. মোক্তার হোসেন ও মুকসুদপুরে মো. কাবির মিয়া। মানিকগঞ্জের ঘিওরে মাহাবুবুর রহমান জনি, দৌলতপুরে এস এম শফিকুল ইসলাম ও শিবালয়ে আবদুর রহিম খান। রাজবাড়ী সদরে এস এম নওয়াব আলী, গোয়ালন্দে মোস্তফা মুন্সি ও বালিয়াকান্দিতে এহছানুল হাকিম সাধন। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় সাইফুল ইসলাম স্বপন, সোনারগাঁয়ে মাহফুজুর রহমান কালাম ও রূপগঞ্জে হাবিবুর রহমান। মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে বিএম শোয়েব ও টঙ্গীবাড়িতে মো. আরিফুল ইসলাম হালদার ও মাদারীপুরের কালকিনিতে তৌফিকুজ্জামান শাহিন। শরীয়তপুর সদরে কামরুজ্জামান আকন্দ উজ্জল ও জাজিরায় মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজি। ফরিদপুরে নগরকান্দায় কাজী শাহ জামান বাবুল ও সালথায় মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর। টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মো. আরিফ হোসেন, কালিহাতীতে শামীম আল মনসুর ওরফে আজাদ সিদ্দিকী ও ভুঞাপুরে নার্গিস বেগম। নরসিংদীর বেলাবতে মোহাম্মদ সমসের জামান ভুইয়া রিটন ও মনোহরদীতে নজরুল মজিদ মাহমুদ। 

বরিশাল
বরিশালের হিজলায় আলতাফ মাহমুদ দিপু ও মুলাদীতে জহিরউদ্দিন খসরু। ভোলা সদরে মো. ইউনুছ, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও দৌলতখানে মঞ্জুর আলম খান। পটুয়াখালীর গলাচিপায় ওয়ানী মার্জিয়া নিতু, বাউফলে মো. মোশারেফ হোসেন খান ও দশমিনায় মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার। রগুনা সদরে মো. আরিফ হোসেন মোল্লা ও বেতাগীতে মো. খলিলুর রহমান খান। পিরোজপুরের কাউখালীতে আবু সাঈদ মনু মিঞা ও নেছারাবাদে আব্দুল হক।

রাজশাহী
রাজশাহীর পুঠিয়ায় আবদুস সামাদ মোল্লা, বাগমারায় জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও দুর্গাপুরে শরিফুজ্জামান শরিফ। পাবনার চাটমোহরে মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, ভাঙ্গুড়ায় গোলাম হাসনাইন রাসেল ও ফরিদপুরে খলিলুর রহমান সরকার। নাটোরের লালপুরে শামীম আহমেদ সাগর। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সৈয়দ নজরুল ইসলাম। জয়পুরহাট সদরে হাসানুজ্জামান মিঠু ও পাঁচবিবিতে সাবেকুন নাহার। বগুড়ার আদমদীঘিতে সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, দুপচাঁচিয়ায় আহম্মেদুর রহমান বিপ্লব ও কাহালুতে আল হাসিবুল হাসান কবিরাজ সুরুজ। নওগাঁর সাপাহারে মো. শাহ্জাহান হোসেন, পোরশায় শাহ্ মনজুর মোরশেদ ও নিয়ামতপুরে ফরিদ আহম্মেদ। 

রংপুর
কুড়িগ্রাম সদরে মো. মনজুরুল ইসলাম রতন, উলিপুরে মো. সাজাদুর রহমান তালুকদার ওরফে সাজু তালুকদার ও রাজারহাটে জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দ্দী। গাইবান্ধা সদরে মো. আমিনুর জামান রিংকু, পলাশবাড়ীতে মো. মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ ও গোবিন্দগঞ্জে মো. শাকিল আলম বুলবুল। 
রংপুরের পীরগঞ্জে নুর মোহাম্মদ মন্ডল ও মিঠাপুকুরে মো. কামরুজ্জামান চেয়ারম্যান। ঠাকুরগাঁও সদরে মোশারুল ইসলাম সরকার ও রাণীশংকৈলে আহম্মদ হোসেন বিপ্লব। নীলফামারীর জলঢাকায় আনছার আলী মিন্টু ও সৈয়দপুরে রিয়াদ সরকার রানা। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও আদিতমারীতে ফারুক ইমরুল কায়েস। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মো. রশিদুল ইসলাম রশিদ। পঞ্চগড়ের বোদায় মো. ফারুক আলম ও দেবীগঞ্জে মদনমোহন রায়। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে মো. আফছার আলী, কাহারোলে একেএম ফারুক, বীরগঞ্জে আবু হুসাইন বিপু ও বিরলে একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু। 

ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ সদরে আবু সাইদ, মুক্তাগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ ও গৌরীপুরে সোমনাথ সাহা। শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে হাজী মোশারফ হোসেন, নকলায় এ কে এম মাহবুবুল আলম। জামালপুরের বকশীগঞ্জে নজরুল ইসলাম সাত্তার ও দেওয়ানগঞ্জে আবুল কালাম আজাদ। নেত্রকোনা সদরে মারুফ হাসান খান অভ্র, বারহাট্টায় কাজী শাখাওয়াত হোসেন ও পূর্বধলায় ফয়জুর সিরাজ জুয়েল। 

সিলেট
সিলেটের গোয়াইনঘাটে শাহ আলম স্বপন, জৈন্তাপুরে এম লিয়াকত আলী ও কোম্পানীগঞ্জে মো. মজির উদ্দিন। 
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু এবং বাহুবলে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন। কিশোরগঞ্জের নিকলীতে মোকারিম, অষ্টগ্রামে এ এফ মাশুক নাজিম, কটিয়াদীতে মাইনুজ্জামান অপু। 

চট্টগ্রাম
কক্সবাজারের চকরিয়ায় ফজলুল করিম, ঈদগাঁওয়ে আবু তালেব এবং পেকুয়ায় সাফায়েত আজিজ রাজু। কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আব্দুল হাই বাবলু এবং বরুড়ায় হামিদ লতিফ ভুইয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়ায় মো. মনির হোসেন। চাঁদপুর সদরে হুমায়ুন কবির, শাহরাস্তিতে মকবুল হোসেন পাটোয়ারি এবং হাজীগঞ্জে হেলাল উদ্দিন। নোয়াখালীর চাটখিলে জাহাঙ্গীর কবির এবং সেনবাগে সাইফুল আলম। লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইমতিয়াজ আরাফাত এবং রায়পুরে মামুনুর রশিদ। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখর বিশ্বাস, হাটহাজারীতে ইউনুস গনি চৌধুরী এবং ফটিকছড়িতে নাজিম উদ্দিন। খাগড়াছড়ি সদরে দিদারুল আলম, দীঘিনালায় ধর্মজ্যোতি চাকমা এবং পানছড়িতে চন্দ্রদেব চাকমা। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে নাসির উদ্দিন, বিলাইছড়িতে বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা এবং রাজস্থলীতে উবাছ মারমা। বান্দরবানের লামায় মোস্তফা জামান ও নাইক্ষ্যংছড়িতে তোফাইল আহমদ। 

খুলনা 
খুলনার ফুলতলায় শেখ আকরাম হোসেন, দিঘলিয়ায় মারুফুল ইসলাম ও তেরখাদায় আবুল হাসান শেখ। মেহেরপুরের গাংনীতে এম এ খালেক। চুয়াডাঙ্গা সদরে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গায় কে এম মনজিলুর রহমান। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মোস্তফা আরিফ রেজা মন্নু, হরিণাকুন্ডুতে সাইফুল ইসলাম টিপু। যশোরের চৌগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম হাবিবুর রহমান, ঝিকরগাছায় মনিরুল ইসলাম ও শার্শায় সোহারব হোসেন। বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ ওয়াহিদুজ্জামান বাবু ও চিতলমারীতে আবু জাফর মো. আলমগীর হোসেন। নড়াইল সদরে আজিজুর রহমান ভুইয়া, লোহাগড়ায় এ কে এম ফয়জুল হক। সাতক্ষীরার তালায় ঘোষ সনৎ কুমার, দেবহাটায় আল ফেরদাউস ও আশাশুনিতে এ বি এম মোস্তাকিম। মাগুরার শালিখায় শ্যামল কুমার দে ও মহম্মদপুরে আ. মান্নান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলাকারীরা শনাক্ত, জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৫
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ ও ‘দ্য ডেইলি স্টার’ কার্যালয়ে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে যারা আগুন দিয়েছে, আমি গোয়েন্দা রিপোর্ট থেকে জানতে পেরেছি যে, তাদের কিছু ছবি ও পরিচয় আমরা ইতিমধ্যে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’

উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন, কোনো প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেওয়া বা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা কখনোই কাম্য নয়। সরকার এ ধরনের অন্যায় ও গর্হিত কাজ বন্ধ করতে এবং অপরাধীদের শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর।

গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করে। হামলাকারীরা কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। পরে কার্যালয় দুটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

এই ভয়াবহ হামলার ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সাংবাদিক নেতা ও বিশিষ্ট নাগরিকেরা। তাঁরা বলছেন, এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করার একটি জঘন্য প্রচেষ্টা।

ছায়ানট ভবনে হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান কেউ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা এটাকে অন্যায় ও গর্হিত কাজ বলে বিবেচনা করি।’

এ ছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকায় পোশাককর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেন ধর্ম উপদেষ্টা। উপদেষ্টা বলেন, সরকার কোনোভাবেই কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না। প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-সচিবসহ ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়ে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দেন।

অন্য যাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, সাবেক উপ-সচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম এবং সিএনএস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।

দুদকের সহকারী পরিচালক তানজিল হাসান ১৭ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে মেঘনা-গোমতী সেতুতে ২০১৬ সালে নীতিমালা উপেক্ষা করে ‘কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড’কে (সিএনএস) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। টাকার অঙ্কে কাজের মূল্য নির্ধারণ না করে বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মোট ৪৮৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা বিল তুলেছে। দুদক বলছে, এ প্রক্রিয়ায় সরকারের প্রায় ৩০৯ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় দুদক ১২ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি তদন্তাধীন। তদন্তকালে দুদক জানতে পেরেছে, এ মামলার আসামিরা যেকোনো সময় দেশত্যাগ করতে পারেন। তাঁরা দেশত্যাগ করলে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে বিধায় তাঁদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ থেকে ভারতে চলে যান। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য আবেদনের সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪৬
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট পর্যবেক্ষণের জন্য দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগ্রহী সংস্থাগুলো ২৯ ডিসেম্বর (সোমবার) অফিস চলাকালীন সময় পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে।

আজ রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যবেক্ষক মোতায়েনের আবেদন করার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন পর্যবেক্ষক সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র ও গাড়ির স্টিকার নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরবরাহ করা হবে। অন্যদিকে, স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য এই পরিচয়পত্র ও স্টিকার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেওয়া হবে।

পরিচয়পত্র সংগ্রহের সময় অনুমোদিত পর্যবেক্ষকের এইচএসসি বা সমমানের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও নির্ধারিত ফরম (EO-2 ও EO-3) পূরণ করে জমা দিতে হবে।

পর্যবেক্ষক নীতিমালা-২০২৫ এবং প্রয়োজনীয় অঙ্গীকারনামা ও অন্যান্য ফরম নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) পাওয়া যাবে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৮১টি পর্যবেক্ষক সংস্থা রয়েছে, যারা এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতেই পর্যবেক্ষকদের এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

টিএফআই সেলে গুম: হাসিনাসহ সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পেছাল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ০৩
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের শাসনামলে টিএফআই সেলে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে আদেশ ২৩ ডিসেম্বর। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হামিদুল মিসবাহ ও সাতজনের পক্ষে ছিলেন তাবারক হোসেন। পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী এম হাসান ইমাম ও পলাতক তিন সেনা কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুজাদ মিয়া।

এর আগে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে আজ সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে মনসুরুল হক চৌধুরী এই মামলায় শুনানি করতে সময় আবেদন করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল তাঁকে শুনানি করতে আগামীকাল এবং আদেশের জন্য ২৩ ডিসেম্বর দিন ঠিক করে দেন।

এই মামলায় ১৭ আসামির মধ্যে রোববার শুনানির সময় ১০ সেনা কর্মকর্তা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব আলম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খায়রুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল এবং সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।

এই মামলায় পলাতক রয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনার সাবেক প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন, র‍্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন।

এর আগে র‍্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) মাধ্যমে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গত ৮ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেয় প্রসিকিউশন। পরে ওই দিনই তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৪ জনকে গুম করে নির্যাতনের ঘটনায় চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

‘আমি তো মামলা করি না, ডাইরেক্ট ওয়ারেন্ট করাই’

ভালুকায় কারখানার শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

আজকের রাশিফল: ফুচকায় ঝাল কম দিতে বলুন, বড় অঙ্কের টাকা হাতে আসার সম্ভাবনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত