আজকের পত্রিকা ডেস্ক

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে।
‘ন্যারেটিভস অব হোপ: মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড দ্য পারসুইট অব পিস’-শীর্ষক অধিবেশনে পাকিস্তানের ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের পরিচালক সোহাইল মাহমুদ বলেন, ‘পাকিস্তানে গণমাধ্যমে সেখানকার সমাজের স্পন্দন তুলে ধরে। আমাদের দেশেও সন্ধ্যায় টকশো হয়। সেখানে রাজনৈতিক মতামত, নীতিনির্ধারণীসহ নানা বিষয়ে বিতর্ক চলে। মানুষ এগুলোতে সম্পৃক্ত হতে পারে। গণমাধ্যম স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে।’
প্যানেল আলোচনাকালে ভারতের রিপাবলিক বাংলা টিভি চ্যানেলের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সেখানকার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবজ্যোতি চন্দ বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, সব বিষয়েই চ্যানেলটির এপ্রোচ লাউড। আমি ওই চ্যানেলে গিয়েছিলাম আলোচনায়। আমি বলেছি, প্লিজ আস্তে কথা বলুন। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার ক্ষেত্রেই তারা এমন। আমি বলবো, এটা উপেক্ষা করুন। ভারত বড় দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথমেই উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সুতরাং এখানে অন্য কিছু ভাবার কারণ নেই।’
এই অধিবেশনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন পোল্যান্ডের সাংবাদিক ডেভিড প্যাট্রিশিয়ান। আলোচনায় আরও অংশ নেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাভিন মুরশিদ, কানাডার রিশিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অর্জুন সিং কাদিয়ান প্রমুখ।
‘ডিফেন্ডিং দ্য ডিফেন্ডার্স: সলিউশন্স ফর এ সেফার ওয়ার্ল্ড ফর হিউম্যান রাইটস এডভোকেটস’ শীর্ষক অধিবেশনে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার রক্ষার মতো বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু অনেক দেশের সরকার এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায় না। জেলে বন্দী হওয়া, গুম হওয়া, অপরাধী বানানো, অনলাইনে হয়রানির শিকার হওয়ার মতো নানা ধরনের আতংকের মধ্য দিয়ে মানবাধিকার কর্মীদের যেতে হয়। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে এর প্রত্যেকটিই ঘটেছে।
ভারতের মান্ত্রা ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা সান্থিয়ে ম্যারিয়েট ডি’সুজা বলেন, গণতন্ত্র থাকা মানেই তা নিঁখুত নয়। বিশেষ করে এশিয়াতে। মানবাধিকারের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন প্রয়োজন। মানুষ কীভাবে এটাকে দেখতে চায়, কীভাবে গ্রহণ করতে চায়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
চাকমা সার্কেল প্রধানের উপদেষ্টা রানী ইয়ান ইয়ান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমও মানবাধিকারকর্মীদের পাশে থাকে না। গণমাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী, অসভ্য বিচ্ছন্নতাবাদী হিসেবে দেখানো হয়। এভাবে প্রচার করতে থাকলে মানবাধিকারকর্মীদের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না। তবুও নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলে যেতে হবে। নিজেদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে।’
এই অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সিজিএসের (সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ) জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী আপন জহির।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজের (সিজিএস) আয়োজনে তিন দিনের আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সংলাপের শেষ দিন আজ। তিন দিনব্যাপী এই সংলাপে বিশ্বের ৮০টি দেশের লেখক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে।
‘ন্যারেটিভস অব হোপ: মিডিয়া, সিভিল সোসাইটি অ্যান্ড দ্য পারসুইট অব পিস’-শীর্ষক অধিবেশনে পাকিস্তানের ইন্সটিটিউট অব স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের পরিচালক সোহাইল মাহমুদ বলেন, ‘পাকিস্তানে গণমাধ্যমে সেখানকার সমাজের স্পন্দন তুলে ধরে। আমাদের দেশেও সন্ধ্যায় টকশো হয়। সেখানে রাজনৈতিক মতামত, নীতিনির্ধারণীসহ নানা বিষয়ে বিতর্ক চলে। মানুষ এগুলোতে সম্পৃক্ত হতে পারে। গণমাধ্যম স্বাধীন হওয়ার ক্ষেত্রে সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে।’
প্যানেল আলোচনাকালে ভারতের রিপাবলিক বাংলা টিভি চ্যানেলের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সেখানকার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দেবজ্যোতি চন্দ বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, সব বিষয়েই চ্যানেলটির এপ্রোচ লাউড। আমি ওই চ্যানেলে গিয়েছিলাম আলোচনায়। আমি বলেছি, প্লিজ আস্তে কথা বলুন। শুধু বাংলাদেশ নয়, সবার ক্ষেত্রেই তারা এমন। আমি বলবো, এটা উপেক্ষা করুন। ভারত বড় দেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদি প্রথমেই উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সুতরাং এখানে অন্য কিছু ভাবার কারণ নেই।’
এই অধিবেশনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন পোল্যান্ডের সাংবাদিক ডেভিড প্যাট্রিশিয়ান। আলোচনায় আরও অংশ নেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাভিন মুরশিদ, কানাডার রিশিহুড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক অর্জুন সিং কাদিয়ান প্রমুখ।
‘ডিফেন্ডিং দ্য ডিফেন্ডার্স: সলিউশন্স ফর এ সেফার ওয়ার্ল্ড ফর হিউম্যান রাইটস এডভোকেটস’ শীর্ষক অধিবেশনে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিশ্ব সংস্থার মানবাধিকার রক্ষার মতো বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু অনেক দেশের সরকার এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চায় না। জেলে বন্দী হওয়া, গুম হওয়া, অপরাধী বানানো, অনলাইনে হয়রানির শিকার হওয়ার মতো নানা ধরনের আতংকের মধ্য দিয়ে মানবাধিকার কর্মীদের যেতে হয়। বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে এর প্রত্যেকটিই ঘটেছে।
ভারতের মান্ত্রা ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের প্রতিষ্ঠাতা সান্থিয়ে ম্যারিয়েট ডি’সুজা বলেন, গণতন্ত্র থাকা মানেই তা নিঁখুত নয়। বিশেষ করে এশিয়াতে। মানবাধিকারের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলন প্রয়োজন। মানুষ কীভাবে এটাকে দেখতে চায়, কীভাবে গ্রহণ করতে চায়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।
চাকমা সার্কেল প্রধানের উপদেষ্টা রানী ইয়ান ইয়ান বলেন, অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমও মানবাধিকারকর্মীদের পাশে থাকে না। গণমাধ্যমে তাদের সন্ত্রাসী, অসভ্য বিচ্ছন্নতাবাদী হিসেবে দেখানো হয়। এভাবে প্রচার করতে থাকলে মানবাধিকারকর্মীদের বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কেউ থাকে না। তবুও নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলে যেতে হবে। নিজেদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে।’
এই অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সিজিএসের (সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ) জ্যেষ্ঠ গবেষণা সহযোগী আপন জহির।
সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্ট্যাডিজের (সিজিএস) আয়োজনে তিন দিনের আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সংলাপের শেষ দিন আজ। তিন দিনব্যাপী এই সংলাপে বিশ্বের ৮০টি দেশের লেখক, গবেষক, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলা, শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজা ও দাফনস্থলে কোনো ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য উপস্থিতদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন অনুষ্ঠানে সাধারণ জনগণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজা ও দাফনস্থলে কোনো ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য উপস্থিতদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে...
১৮ নভেম্বর ২০২৪
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে।
এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির শিরোনাম করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৮০ বছর বয়সে মারা গেলেন।’
কাতারি সম্প্রচার মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন, বয়স হয়েছিল ৮০ বছর’।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের শিরোনামে বলা হয়েছে, দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপির শিরোনাম— ‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন।’
আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের শিরোনাম— ‘খালেদা জিয়া, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেলেন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের শিরোনাম করা হয়েছে— ‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ একই শিরোনাম করা হয়েছে।
আর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম— খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, ৮০ বয়সে প্রয়াণ।
এছাড়া ভারতীয় ও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোতেও খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে।
এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির শিরোনাম করা হয়েছে ‘বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৮০ বছর বয়সে মারা গেলেন।’
কাতারি সম্প্রচার মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মারা গেছেন, বয়স হয়েছিল ৮০ বছর’।
হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের শিরোনামে বলা হয়েছে, দীর্ঘ রোগভোগের পর মারা গেলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে শিরোনাম করা হয়েছে, ‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা এপির শিরোনাম— ‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন।’
আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের শিরোনাম— ‘খালেদা জিয়া, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেলেন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্টের শিরোনাম করা হয়েছে— ‘খালেদা জিয়া, সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী ও হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছরের বয়সে মারা গেছেন।’
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ একই শিরোনাম করা হয়েছে।
আর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম— খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, ৮০ বয়সে প্রয়াণ।
এছাড়া ভারতীয় ও পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলোতেও খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে...
১৮ নভেম্বর ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নির্ধারণে আয়োজিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।
ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ও কাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল এক দিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবই খোলা হবে।
সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’
স্মৃতিচারণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ উনার সাথে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এ সময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই তথ্য জানিয়েছেন বলে জানান উপদেষ্টা। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি নির্ধারণে আয়োজিত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে বিশেষ আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন মির্জা ফখরুল।
ব্রিফিংয়ে আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের জন্য রাষ্ট্রীয় শোক ও কাল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
সভায় শুরুতেই খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন মোনাজাত পরিচালনা করেন।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে আগামীকাল থেকে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও আগামীকাল এক দিনের সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়, যা পাঠ করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং তথ্য উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান।
রাষ্ট্রীয় শোকের তিন দিন দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। একই সঙ্গে আগামীকাল দেশের প্রতিটি মসজিদে খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়েও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকবই খোলা হবে।
সভায় বিশেষ আমন্ত্রণে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাসহ সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা ও এর সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তাঁকে শহীদ রাষ্ট্রপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের পাশে দাফন করা হবে।
সভায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দাফন ও জানাজা সম্পর্কিত বিষয়ে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে গভীর শোকের সময় আমরা সবাই সমবেত হয়েছি। পুরো জাতি বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া করছিল, যাতে তিনি আমাদের সাথে আরও অনেক বছর থাকেন। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। জাতির পক্ষ থেকে আমরা তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। তাঁর দাফন ও জানাজার বিষয়ে যা যা কিছু প্রয়োজন সব ধরনের সহায়তা সরকার করবে।’
স্মৃতিচারণা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সর্বশেষ উনার সাথে দেখা হয়েছিল ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। সেদিন তিনি খুব উৎফুল্ল ছিলেন। আমার সাথে অনেকক্ষণ গল্প করেছেন। আমার, আমার স্ত্রীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি নিজে অসুস্থ ছিলেন, কিন্তু সবার সুস্থতা নিয়ে তাঁর উদ্বেগ ছিল। তিনি আমাদের সাথে ছিলেন। জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ থাকতেই হবে, এ সময় তাঁর উপস্থিতি আমাদের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। তার চলে যাওয়া জাতির বিরাট ক্ষতি।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে...
১৮ নভেম্বর ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।
দলীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তাঁর রক্তচাপ কমে যায় এবং শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হয়। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি পরপারে পাড়ি জমান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে বন্দিদশায়। পাঁচবার কারাবরণ করা এই নেত্রীর জেলজীবন ছিল আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৯৮২ সালে রাজনীতিতে আসার পর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। এই সময়ে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে এবং ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর—এই তিন দফায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও সেসব ক্ষেত্রে তাঁকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, তবে এই গ্রেপ্তারগুলোই তাঁকে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাঁকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাবজেলে বন্দী রাখা হয়।
জেলখানায় দুই ঈদ: এই কারাবাসকালে তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা—উভয় উৎসবই নির্জন প্রকোষ্ঠে পালন করেন। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন।
সন্তানদের বন্দিত্ব ও শোক: সেই সময় তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোও কারাবন্দি ছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি মায়ের লাশ দেখার অনুমতি পান। প্রায় ৩৭২ দিন বন্দী থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
জিয়ার জেলজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় শুরু হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
একমাত্র বন্দী: একটি বিশাল পরিত্যক্ত কারাগারে তিনি ছিলেন একমাত্র বন্দী। সেখানে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। পরে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি ও গৃহবন্দিত্ব: ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির সময় সরকার নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু ফিরোজা বাসভবনে থাকলেও সেটি ছিল মূলত একধরনের গৃহবন্দিত্ব। সেখানে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। এরপরই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে তাঁর দণ্ড মওকুফ করা হয়। দীর্ঘ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের পর গত ২৭ নভেম্বর তিনি সব মামলা থেকে সসম্মানে খালাস পান। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি অন্তত এই সান্ত্বনা নিয়ে গেছেন যে তিনি একটি স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করছেন।
খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নারী শিক্ষা প্রসারে উপবৃত্তি চালু, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপারসন ও ‘আপসহীন’ নেত্রী খালেদা জিয়া আর নেই। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির এক অনন্য অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।
দলীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, হৃদ্রোগসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তাঁর রক্তচাপ কমে যায় এবং শ্বাসকষ্ট তীব্রতর হয়। চিকিৎসকদের প্রাণপণ চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি পরপারে পাড়ি জমান। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে হাজারো নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের একটি বড় অংশ কেটেছে বন্দিদশায়। পাঁচবার কারাবরণ করা এই নেত্রীর জেলজীবন ছিল আত্মত্যাগ ও ধৈর্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
১৯৮২ সালে রাজনীতিতে আসার পর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপিয়েছেন তিনি। এই সময়ে ১৯৮৩ সালের ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৪ সালের ৩ মে এবং ১৯৮৭ সালের ১১ নভেম্বর—এই তিন দফায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। যদিও সেসব ক্ষেত্রে তাঁকে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, তবে এই গ্রেপ্তারগুলোই তাঁকে ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
এক-এগারোর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনানিবাসের মইনুল রোডের বাসভবন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় তাঁকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাবজেলে বন্দী রাখা হয়।
জেলখানায় দুই ঈদ: এই কারাবাসকালে তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা—উভয় উৎসবই নির্জন প্রকোষ্ঠে পালন করেন। ঈদের দিন পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেতেন।
সন্তানদের বন্দিত্ব ও শোক: সেই সময় তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোও কারাবন্দি ছিলেন। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁর মায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ৬ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি মায়ের লাশ দেখার অনুমতি পান। প্রায় ৩৭২ দিন বন্দী থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করেন।
জিয়ার জেলজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় শুরু হয় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় নাজিমুদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে।
একমাত্র বন্দী: একটি বিশাল পরিত্যক্ত কারাগারে তিনি ছিলেন একমাত্র বন্দী। সেখানে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে তাঁর স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটে। পরে তাঁকে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি ও গৃহবন্দিত্ব: ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনা মহামারির সময় সরকার নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে তাঁর সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার অনুমতি দেয়। কিন্তু ফিরোজা বাসভবনে থাকলেও সেটি ছিল মূলত একধরনের গৃহবন্দিত্ব। সেখানে বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করার সুযোগ ছিল অত্যন্ত সীমিত।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটে। এরপরই রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে তাঁর দণ্ড মওকুফ করা হয়। দীর্ঘ আইনি ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের পর গত ২৭ নভেম্বর তিনি সব মামলা থেকে সসম্মানে খালাস পান। মৃত্যুর ঠিক আগমুহূর্তে তিনি অন্তত এই সান্ত্বনা নিয়ে গেছেন যে তিনি একটি স্বাধীন ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করছেন।
খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। নারী শিক্ষা প্রসারে উপবৃত্তি চালু, স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর মৃত্যুতে বিএনপি সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সুশীল সমাজেরও ভূমিকা রয়েছে। সুশীল সমাজ যেখানে দৃঢ়, সেখানে চাইলেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা সম্ভব হয় না। আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৪ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ-২০২৪) এর শেষ দিনে বক্তাদের আলোচনায় এ সব কথা উঠে এসেছে...
১৮ নভেম্বর ২০২৪
বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জানাজা আগামীকাল বুধবার বেলা ২টার দিকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ মিনিট আগে
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশিত হয়েছে। এসব গণমাধ্যমে খালেদা জিয়াকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের শক্তি, শেখ হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি অভিধায় উল্লেখ করা হয়েছে।
১২ মিনিট আগে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আগামীকাল বুধবার বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
৩ ঘণ্টা আগে