নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও বান্দরবান প্রতিনিধি

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
পাহাড়ে বেনজীরের এসব সম্পত্তি দেখাশোনা করেন বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা এবং বান্দরবান সদর থানার ডিবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফিজুর রহমান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দুজনই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বেনজীরকে এসব জায়গা দখল করে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিজের জমি ক্রয় ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শাহ জাহানের কাছ থেকে সদর উপজেলার সুয়ালক মৌজায় ৬১৪ নম্বর দাগের ৩ নম্বর সিটে ২৫ একর জমি স্ত্রী জীশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ও নিজের নামে লিখে নিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। ওই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গবাদি-পশুর খামার, মৎস্য প্রজেক্ট, ফলদ বৃক্ষ ও সেগুনবাগান এবং বিলাসবহুল একটি খামারবাড়ি। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ডলুছড়ি মৌজার টংগ ঝিরিতে অর্ধশত একর এবং জেলা সদরের সুয়ালক ১ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণঝিরি এলাকায় আরও ৪০ একর জায়গা কিনেছেন বেনজীর।
সরেজমিন সুয়ালকে দেখা যায়, জেলা সদরের সুয়ালকের মাঝের পাড়ার চা অফিস থেকে পৌনে ১ কিলোমিটার দূরে ২৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বেনজীরের ওই খামারবাড়ি। সেই খামারে এখন বিদেশি জাতের ৩৭টি গবাদিপশু আছে। আরও আছে বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত দোতলা পাকা দালান। কিছুদিন আগেও এই খামারের ত্রিসীমানায় যাওয়া যেত না। বেনজীর র্যাবপ্রধান থাকা অবস্থায় সেখানে ডিবির সাবেক ওসি মোস্তফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকবার তিনি ঘুরে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সুয়ালকের খামারবাড়িটি দেখাশোনা করেন লেদু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বেনজীর আহমেদের এই খামারে ১ মাস ধরে গরুগুলো দেখাশোনা করছেন তিনি। এই কাজের জন্য বেনজীরের পক্ষে তাঁকে বেতন দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াইচিং মারমা।
অন্যদিকে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছরি টংগো ঝিরি বাগানের কেয়ারটেকার মো. ইব্রাহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেনজীর আহমেদের ৫৫ একর জায়গা দেখাশোনা করছেন তিনি। তাঁকে আগে মং ওয়াইচিং মাসিক বেতন পরিশোধ করলেও ৫ মাস ধরে কোনো বেতন পরিশোধ করছেন না।
বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মং ওয়াইচিং জানান, সুয়ালকের মাঝের পাড়ায় নিজের জায়গার পাশে বেনজীর আহমেদের ২৫ একর জায়গা থাকার কারণে সেগুলো তাঁকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন বেনজীর। তবে লামার জায়গাজমি-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা।
১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি অনুসারে, পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা না হলে বাইরের কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে জমি কিনতে পারবেন না। বেনজীর আহমেদ জন্মসূত্রে গোপালগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও কীভাবে সেখানে জমি কিনলেন, সে প্রশ্ন উঠেছে এখন।
এই বিষয়ে বান্দরবান বোমাং রাজার সহকারী অংঝাই খ্যায়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি ক্রয় করতে বোমাং রাজার স্থায়ী বাসিন্দার সনদ, এনআইডি, পৌরসভার নাগরিক সনদ ও মা-বাবার নামে মৌজার জমি থাকলে তাঁরা জমি ক্রয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে বেনজীর কীভাবে জমি ক্রয় করেছেন, তা আমার জানা নেই।’
সুয়ালকের ইউপি চেয়ারম্যান উ ক্য নু মারমা বলেন, ‘সুয়ালক মৌজার মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমেদের জায়গা আছে, তা আমি জানি। মাঝে মাঝে একজন এসপি ও সাবেক ওসি এখানে আসেন। সম্প্রতি বাগানটির গাছ বিক্রির জন্য জোত পারমিট করা হয়েছে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বান্দরবানে বেনজীর আহমেদের জায়গাজমির তথ্য বা জবরদখল-সংক্রান্ত কোনো বিষয় জানা নেই। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশ ছাড়ার আগে ভাটারার সাততলা বাড়ি বিক্রি করেন বেনজীর দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তবে দেশ ছাড়ার আগে তিনি নিজের নামে থাকা ঢাকার একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি ও ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের খবর পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেনজীর আহমেদের ব্যাংকিং লেনদেনের পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেটা পাওয়া গেলে তিনি ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, সেগুলো কোথায় রেখেছেন, অবৈধ পন্থায় বিদেশে পাচার করেছেন কি না এবং তাঁকে অর্থ পাচারে কারা সহযোগিতা করেছে, তা খতিয়ে দেখবে দুদক।
এদিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বেনজীরের নামে থাকা একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই বাড়ি বিক্রি করে দেন বেনজীর আহমেদ।
গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। ৯ জুন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কীভাবে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
এ অবস্থায় তিনি দুদকের তলবে হাজির না হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর জজ আদালতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, উনাকে (বেনজীর) যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাঁর উপস্থিতির বিষয়ে বলা থাকলে বক্তব্য দিতে উনাকেই আসতে হবে। আবার আইনজীবী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে যদি বক্তব্যের বিষয়ে বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেভাবেই বক্তব্য দিতে পারেন। আমার মনে হয়, উনার সশরীরেই উপস্থিত হয়ে উনার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ, সেগুলো সঠিক নাকি মিথ্যা, জানানো উচিত।’

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
পাহাড়ে বেনজীরের এসব সম্পত্তি দেখাশোনা করেন বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা এবং বান্দরবান সদর থানার ডিবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফিজুর রহমান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দুজনই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বেনজীরকে এসব জায়গা দখল করে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিজের জমি ক্রয় ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শাহ জাহানের কাছ থেকে সদর উপজেলার সুয়ালক মৌজায় ৬১৪ নম্বর দাগের ৩ নম্বর সিটে ২৫ একর জমি স্ত্রী জীশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ও নিজের নামে লিখে নিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। ওই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গবাদি-পশুর খামার, মৎস্য প্রজেক্ট, ফলদ বৃক্ষ ও সেগুনবাগান এবং বিলাসবহুল একটি খামারবাড়ি। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ডলুছড়ি মৌজার টংগ ঝিরিতে অর্ধশত একর এবং জেলা সদরের সুয়ালক ১ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণঝিরি এলাকায় আরও ৪০ একর জায়গা কিনেছেন বেনজীর।
সরেজমিন সুয়ালকে দেখা যায়, জেলা সদরের সুয়ালকের মাঝের পাড়ার চা অফিস থেকে পৌনে ১ কিলোমিটার দূরে ২৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বেনজীরের ওই খামারবাড়ি। সেই খামারে এখন বিদেশি জাতের ৩৭টি গবাদিপশু আছে। আরও আছে বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত দোতলা পাকা দালান। কিছুদিন আগেও এই খামারের ত্রিসীমানায় যাওয়া যেত না। বেনজীর র্যাবপ্রধান থাকা অবস্থায় সেখানে ডিবির সাবেক ওসি মোস্তফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকবার তিনি ঘুরে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সুয়ালকের খামারবাড়িটি দেখাশোনা করেন লেদু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বেনজীর আহমেদের এই খামারে ১ মাস ধরে গরুগুলো দেখাশোনা করছেন তিনি। এই কাজের জন্য বেনজীরের পক্ষে তাঁকে বেতন দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াইচিং মারমা।
অন্যদিকে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছরি টংগো ঝিরি বাগানের কেয়ারটেকার মো. ইব্রাহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেনজীর আহমেদের ৫৫ একর জায়গা দেখাশোনা করছেন তিনি। তাঁকে আগে মং ওয়াইচিং মাসিক বেতন পরিশোধ করলেও ৫ মাস ধরে কোনো বেতন পরিশোধ করছেন না।
বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মং ওয়াইচিং জানান, সুয়ালকের মাঝের পাড়ায় নিজের জায়গার পাশে বেনজীর আহমেদের ২৫ একর জায়গা থাকার কারণে সেগুলো তাঁকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন বেনজীর। তবে লামার জায়গাজমি-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা।
১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি অনুসারে, পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা না হলে বাইরের কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে জমি কিনতে পারবেন না। বেনজীর আহমেদ জন্মসূত্রে গোপালগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও কীভাবে সেখানে জমি কিনলেন, সে প্রশ্ন উঠেছে এখন।
এই বিষয়ে বান্দরবান বোমাং রাজার সহকারী অংঝাই খ্যায়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি ক্রয় করতে বোমাং রাজার স্থায়ী বাসিন্দার সনদ, এনআইডি, পৌরসভার নাগরিক সনদ ও মা-বাবার নামে মৌজার জমি থাকলে তাঁরা জমি ক্রয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে বেনজীর কীভাবে জমি ক্রয় করেছেন, তা আমার জানা নেই।’
সুয়ালকের ইউপি চেয়ারম্যান উ ক্য নু মারমা বলেন, ‘সুয়ালক মৌজার মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমেদের জায়গা আছে, তা আমি জানি। মাঝে মাঝে একজন এসপি ও সাবেক ওসি এখানে আসেন। সম্প্রতি বাগানটির গাছ বিক্রির জন্য জোত পারমিট করা হয়েছে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বান্দরবানে বেনজীর আহমেদের জায়গাজমির তথ্য বা জবরদখল-সংক্রান্ত কোনো বিষয় জানা নেই। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশ ছাড়ার আগে ভাটারার সাততলা বাড়ি বিক্রি করেন বেনজীর দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তবে দেশ ছাড়ার আগে তিনি নিজের নামে থাকা ঢাকার একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি ও ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের খবর পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেনজীর আহমেদের ব্যাংকিং লেনদেনের পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেটা পাওয়া গেলে তিনি ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, সেগুলো কোথায় রেখেছেন, অবৈধ পন্থায় বিদেশে পাচার করেছেন কি না এবং তাঁকে অর্থ পাচারে কারা সহযোগিতা করেছে, তা খতিয়ে দেখবে দুদক।
এদিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বেনজীরের নামে থাকা একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই বাড়ি বিক্রি করে দেন বেনজীর আহমেদ।
গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। ৯ জুন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কীভাবে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
এ অবস্থায় তিনি দুদকের তলবে হাজির না হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর জজ আদালতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, উনাকে (বেনজীর) যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাঁর উপস্থিতির বিষয়ে বলা থাকলে বক্তব্য দিতে উনাকেই আসতে হবে। আবার আইনজীবী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে যদি বক্তব্যের বিষয়ে বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেভাবেই বক্তব্য দিতে পারেন। আমার মনে হয়, উনার সশরীরেই উপস্থিত হয়ে উনার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ, সেগুলো সঠিক নাকি মিথ্যা, জানানো উচিত।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও বান্দরবান প্রতিনিধি

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
পাহাড়ে বেনজীরের এসব সম্পত্তি দেখাশোনা করেন বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা এবং বান্দরবান সদর থানার ডিবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফিজুর রহমান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দুজনই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বেনজীরকে এসব জায়গা দখল করে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিজের জমি ক্রয় ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শাহ জাহানের কাছ থেকে সদর উপজেলার সুয়ালক মৌজায় ৬১৪ নম্বর দাগের ৩ নম্বর সিটে ২৫ একর জমি স্ত্রী জীশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ও নিজের নামে লিখে নিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। ওই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গবাদি-পশুর খামার, মৎস্য প্রজেক্ট, ফলদ বৃক্ষ ও সেগুনবাগান এবং বিলাসবহুল একটি খামারবাড়ি। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ডলুছড়ি মৌজার টংগ ঝিরিতে অর্ধশত একর এবং জেলা সদরের সুয়ালক ১ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণঝিরি এলাকায় আরও ৪০ একর জায়গা কিনেছেন বেনজীর।
সরেজমিন সুয়ালকে দেখা যায়, জেলা সদরের সুয়ালকের মাঝের পাড়ার চা অফিস থেকে পৌনে ১ কিলোমিটার দূরে ২৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বেনজীরের ওই খামারবাড়ি। সেই খামারে এখন বিদেশি জাতের ৩৭টি গবাদিপশু আছে। আরও আছে বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত দোতলা পাকা দালান। কিছুদিন আগেও এই খামারের ত্রিসীমানায় যাওয়া যেত না। বেনজীর র্যাবপ্রধান থাকা অবস্থায় সেখানে ডিবির সাবেক ওসি মোস্তফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকবার তিনি ঘুরে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সুয়ালকের খামারবাড়িটি দেখাশোনা করেন লেদু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বেনজীর আহমেদের এই খামারে ১ মাস ধরে গরুগুলো দেখাশোনা করছেন তিনি। এই কাজের জন্য বেনজীরের পক্ষে তাঁকে বেতন দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াইচিং মারমা।
অন্যদিকে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছরি টংগো ঝিরি বাগানের কেয়ারটেকার মো. ইব্রাহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেনজীর আহমেদের ৫৫ একর জায়গা দেখাশোনা করছেন তিনি। তাঁকে আগে মং ওয়াইচিং মাসিক বেতন পরিশোধ করলেও ৫ মাস ধরে কোনো বেতন পরিশোধ করছেন না।
বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মং ওয়াইচিং জানান, সুয়ালকের মাঝের পাড়ায় নিজের জায়গার পাশে বেনজীর আহমেদের ২৫ একর জায়গা থাকার কারণে সেগুলো তাঁকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন বেনজীর। তবে লামার জায়গাজমি-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা।
১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি অনুসারে, পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা না হলে বাইরের কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে জমি কিনতে পারবেন না। বেনজীর আহমেদ জন্মসূত্রে গোপালগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও কীভাবে সেখানে জমি কিনলেন, সে প্রশ্ন উঠেছে এখন।
এই বিষয়ে বান্দরবান বোমাং রাজার সহকারী অংঝাই খ্যায়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি ক্রয় করতে বোমাং রাজার স্থায়ী বাসিন্দার সনদ, এনআইডি, পৌরসভার নাগরিক সনদ ও মা-বাবার নামে মৌজার জমি থাকলে তাঁরা জমি ক্রয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে বেনজীর কীভাবে জমি ক্রয় করেছেন, তা আমার জানা নেই।’
সুয়ালকের ইউপি চেয়ারম্যান উ ক্য নু মারমা বলেন, ‘সুয়ালক মৌজার মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমেদের জায়গা আছে, তা আমি জানি। মাঝে মাঝে একজন এসপি ও সাবেক ওসি এখানে আসেন। সম্প্রতি বাগানটির গাছ বিক্রির জন্য জোত পারমিট করা হয়েছে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বান্দরবানে বেনজীর আহমেদের জায়গাজমির তথ্য বা জবরদখল-সংক্রান্ত কোনো বিষয় জানা নেই। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশ ছাড়ার আগে ভাটারার সাততলা বাড়ি বিক্রি করেন বেনজীর দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তবে দেশ ছাড়ার আগে তিনি নিজের নামে থাকা ঢাকার একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি ও ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের খবর পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেনজীর আহমেদের ব্যাংকিং লেনদেনের পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেটা পাওয়া গেলে তিনি ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, সেগুলো কোথায় রেখেছেন, অবৈধ পন্থায় বিদেশে পাচার করেছেন কি না এবং তাঁকে অর্থ পাচারে কারা সহযোগিতা করেছে, তা খতিয়ে দেখবে দুদক।
এদিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বেনজীরের নামে থাকা একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই বাড়ি বিক্রি করে দেন বেনজীর আহমেদ।
গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। ৯ জুন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কীভাবে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
এ অবস্থায় তিনি দুদকের তলবে হাজির না হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর জজ আদালতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, উনাকে (বেনজীর) যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাঁর উপস্থিতির বিষয়ে বলা থাকলে বক্তব্য দিতে উনাকেই আসতে হবে। আবার আইনজীবী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে যদি বক্তব্যের বিষয়ে বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেভাবেই বক্তব্য দিতে পারেন। আমার মনে হয়, উনার সশরীরেই উপস্থিত হয়ে উনার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ, সেগুলো সঠিক নাকি মিথ্যা, জানানো উচিত।’

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
পাহাড়ে বেনজীরের এসব সম্পত্তি দেখাশোনা করেন বান্দরবান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মং ওয়াইচিং মারমা এবং বান্দরবান সদর থানার ডিবির সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফিজুর রহমান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ দুজনই ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বেনজীরকে এসব জায়গা দখল করে দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লিজের জমি ক্রয় ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও বান্দরবান পৌরসভার মধ্যমপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শাহ জাহানের কাছ থেকে সদর উপজেলার সুয়ালক মৌজায় ৬১৪ নম্বর দাগের ৩ নম্বর সিটে ২৫ একর জমি স্ত্রী জীশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ও নিজের নামে লিখে নিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। ওই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে গবাদি-পশুর খামার, মৎস্য প্রজেক্ট, ফলদ বৃক্ষ ও সেগুনবাগান এবং বিলাসবহুল একটি খামারবাড়ি। এ ছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ডলুছড়ি মৌজার টংগ ঝিরিতে অর্ধশত একর এবং জেলা সদরের সুয়ালক ১ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণঝিরি এলাকায় আরও ৪০ একর জায়গা কিনেছেন বেনজীর।
সরেজমিন সুয়ালকে দেখা যায়, জেলা সদরের সুয়ালকের মাঝের পাড়ার চা অফিস থেকে পৌনে ১ কিলোমিটার দূরে ২৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বেনজীরের ওই খামারবাড়ি। সেই খামারে এখন বিদেশি জাতের ৩৭টি গবাদিপশু আছে। আরও আছে বিভিন্ন ফল ও ফুলের বাগান, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত দোতলা পাকা দালান। কিছুদিন আগেও এই খামারের ত্রিসীমানায় যাওয়া যেত না। বেনজীর র্যাবপ্রধান থাকা অবস্থায় সেখানে ডিবির সাবেক ওসি মোস্তফিজুর রহমানসহ বেশ কয়েকবার তিনি ঘুরে যান বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সুয়ালকের খামারবাড়িটি দেখাশোনা করেন লেদু মিয়া নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, বেনজীর আহমেদের এই খামারে ১ মাস ধরে গরুগুলো দেখাশোনা করছেন তিনি। এই কাজের জন্য বেনজীরের পক্ষে তাঁকে বেতন দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ওয়াইচিং মারমা।
অন্যদিকে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছরি টংগো ঝিরি বাগানের কেয়ারটেকার মো. ইব্রাহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেনজীর আহমেদের ৫৫ একর জায়গা দেখাশোনা করছেন তিনি। তাঁকে আগে মং ওয়াইচিং মাসিক বেতন পরিশোধ করলেও ৫ মাস ধরে কোনো বেতন পরিশোধ করছেন না।
বান্দরবানে বেনজীরের সম্পত্তি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মং ওয়াইচিং জানান, সুয়ালকের মাঝের পাড়ায় নিজের জায়গার পাশে বেনজীর আহমেদের ২৫ একর জায়গা থাকার কারণে সেগুলো তাঁকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন বেনজীর। তবে লামার জায়গাজমি-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এই নেতা।
১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি অনুসারে, পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা না হলে বাইরের কেউ পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে জমি কিনতে পারবেন না। বেনজীর আহমেদ জন্মসূত্রে গোপালগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা হয়েও কীভাবে সেখানে জমি কিনলেন, সে প্রশ্ন উঠেছে এখন।
এই বিষয়ে বান্দরবান বোমাং রাজার সহকারী অংঝাই খ্যায়াং আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জমি ক্রয় করতে বোমাং রাজার স্থায়ী বাসিন্দার সনদ, এনআইডি, পৌরসভার নাগরিক সনদ ও মা-বাবার নামে মৌজার জমি থাকলে তাঁরা জমি ক্রয় করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে বেনজীর কীভাবে জমি ক্রয় করেছেন, তা আমার জানা নেই।’
সুয়ালকের ইউপি চেয়ারম্যান উ ক্য নু মারমা বলেন, ‘সুয়ালক মৌজার মাঝের পাড়ায় বেনজীর আহমেদের জায়গা আছে, তা আমি জানি। মাঝে মাঝে একজন এসপি ও সাবেক ওসি এখানে আসেন। সম্প্রতি বাগানটির গাছ বিক্রির জন্য জোত পারমিট করা হয়েছে।’
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বান্দরবানে বেনজীর আহমেদের জায়গাজমির তথ্য বা জবরদখল-সংক্রান্ত কোনো বিষয় জানা নেই। এই বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশ ছাড়ার আগে ভাটারার সাততলা বাড়ি বিক্রি করেন বেনজীর দুর্নীতির অভিযোগ মাথায় নিয়ে দেশ ছেড়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ। তবে দেশ ছাড়ার আগে তিনি নিজের নামে থাকা ঢাকার একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি ও ব্যাংক থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা উত্তোলনের খবর পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেনজীর আহমেদের ব্যাংকিং লেনদেনের পুরো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেটা পাওয়া গেলে তিনি ব্যাংক থেকে কী পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করেছেন, সেগুলো কোথায় রেখেছেন, অবৈধ পন্থায় বিদেশে পাচার করেছেন কি না এবং তাঁকে অর্থ পাচারে কারা সহযোগিতা করেছে, তা খতিয়ে দেখবে দুদক।
এদিকে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বেনজীরের নামে থাকা একটি সাততলা বাড়ি বিক্রি করেছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানায়, দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই বাড়ি বিক্রি করে দেন বেনজীর আহমেদ।
গত ২৮ মে বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নোটিশ দেয় দুদক। নোটিশে ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় তাঁকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। ৯ জুন তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়েকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। কীভাবে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই বিষয়ে তাঁকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
এ অবস্থায় তিনি দুদকের তলবে হাজির না হলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর জজ আদালতে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, উনাকে (বেনজীর) যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাঁর উপস্থিতির বিষয়ে বলা থাকলে বক্তব্য দিতে উনাকেই আসতে হবে। আবার আইনজীবী বা প্রতিনিধির মাধ্যমে যদি বক্তব্যের বিষয়ে বলা হয়ে থাকে, তাহলে সেভাবেই বক্তব্য দিতে পারেন। আমার মনে হয়, উনার সশরীরেই উপস্থিত হয়ে উনার বিরুদ্ধে যেসমস্ত অভিযোগ, সেগুলো সঠিক নাকি মিথ্যা, জানানো উচিত।’

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
০৩ জুন ২০২৪
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
০৩ জুন ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
০৩ জুন ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
২ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

গ্রাম থেকে শহর, সাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপ ও সংরক্ষিত বনের পর এবার পাহাড়েও সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ জমির খোঁজ মিলেছে। পার্বত্য আইন অমান্য করে বান্দরবানে নিজের ও স্ত্রী-কন্যার নামে শত একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। আর এই জমিতে গড়ে তুলেছেন খামারবাড়ি ও বাগান।
০৩ জুন ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৩ ঘণ্টা আগে