আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার যখন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কিশোর-তরুণ ছেলেমেয়েরা কাঁচা হাতে, কেউ দক্ষ হাতে দেয়ালে অনেক গ্রাফিতি তৈরি করেছে, ছবি এঁকেছে, অনেক কথা লিখেছে। সেই ছবি ও কথার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেখানে যে চিন্তাটা প্রধান হয়েছে, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে স্বৈরশাসক, নির্যাতন থাকবে না। মানুষের যে অধিকার, প্রয়োজন, আকাঙ্ক্ষা এবং তাঁদের জীবন, সেটার একটা পরিবর্তন ঘটবে। এতে প্রকাশিত হয়েছে, বৈচিত্র্য আছে। বিভিন্ন ধর্মের, ভাষার মানুষ আছে—তাঁদের সবার অধিকার থাকবে এবং সবাই মিলেই বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, আধিপত্য ও নিপীড়নবিরোধী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হতাশার সঙ্গে লক্ষ করলাম, বর্তমান সরকারের সময় শ্রমিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় নারীবিদ্বেষী তৎপরতা ও বিভিন্ন ভাষার মানুষের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই দিনে হামলা হয়েছে বলে জানান আনু মুহাম্মদ।
যেই গ্রাফিতিটা পাঠ্যবইয়ে আনা হয়েছিল, সেটা গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের একটা চিত্র হিসেবে এটা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাদ দেওয়া হলো আদিবাসী শব্দটা থাকার কারণে। আদিবাসী শব্দ নিয়ে অনেক ভুল-বোঝাবুঝি, বিভ্রান্তি আছে। আবার একটা রাজনীতি, দমনপীড়ন ও আধিপত্যের জাল আছে।’
আদিবাসী মানে আদি বাসিন্দা নয়—জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আদিবাসী যেখানেই থাকুক, তিনি আদিবাসী। তাঁর নিজস্ব একটা সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আইনি কাঠামো আছে। আলাদা একটা জাতিগত বৈশিষ্ট্য আছে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা হয়েছে শেখ মুজিব থেকে। যাঁরা বলছেন, শেখ মুজিব ফ্যাসিবাদী শাসনের সূচনা করেছেন, সেই ফ্যাসিবাদের অন্যতম উপাদান হলো অন্যান্য জাতিকে অস্বীকার করা। এটা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন আদিবাসী বলত। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এল, তখন হঠাৎ করেই বলল, আদিবাসী ব্যবহার করা যাবে না। তার মানে হচ্ছে, রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে আদিবাসী এ ধারণাকে অস্বীকার করার একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। ফলে যাঁরা ক্ষমতায় যান, তাঁরা অস্বীকার করতে চান। তাঁদের একটা যুক্তি, আদিবাসী বলে স্বীকার করলে বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। অথচ যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তারা বারবার বলছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশে থাকতে চাই।’

আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিটি সচেতন মানুষের নাগরিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাঁর নাগরিক অধিকার নিয়ে চলাফেরা করবেন, কেন সব সময় ভয়ে ভয়ে চলতে হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠান যাতে তৈরি হয়, সেটাই হওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের এটা দায়িত্ব ছিল, যেন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে এখনো আগের অবস্থা বিরাজ করছে।’
আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদিবাসী শব্দ নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাদের ডেকে একসঙ্গে বসতে পারতেন। কিন্তু কোনো আলোচনা নেই। তারা প্রতিবাদ করল আর একটা গোষ্ঠী তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করল। আর সরকারকে দেখা যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে খুবই নমনীয়। আবার সেটার বিষয়ে যখন আপত্তি জানাল, প্রতিবাদ করল আগের মতোই পুলিশ চড়াও হলো। এর দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন এবং প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি। যদিও আমরা দেখতে পাচ্ছি, বলা হচ্ছে এ সরকার গণ-অভ্যুত্থানের সরকার, তাঁদের সমালোচনা করা মানে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা যাঁরা বলেন, তাঁরাই ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করবেন।’
হঠাৎ কারও সঙ্গে আলোচনা না করে, জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবে ভ্যাট নামক একটা জিনিস জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে জিনিসপত্রের দামের কোনো উন্নতি হয়নি। শ্রমিক ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কমে গেছে। ডলার ও টাকার বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে নানা অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণের ওপর বোঝা তৈরি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা এমন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কিছু করতে পারেনি বা সরকারের কোনো ইচ্ছা আছে বলেও মনে হয় না। তাঁরা আগের মতোই বলেন, রাতারাতি কিছুই করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনাদের তো লক্ষণ দেখা যাবে, কোন পথে হাঁটছেন।’
ইচ্ছেমতো ভ্যাট বসাচ্ছে। সরকার কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হাঁটছে না। এ প্রক্রিয়ায় চলতে পারে না বলে মনে করেন আনু মুহাম্মদ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, একের পর এক গণবিরোধী কাজ করছে ইউনূস সরকার। আবার সরকার আশা করছে, আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাব। পাশাপাশি বলা হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানের সরকারের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করা যাবে না।’
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সমন্বয়ক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সরকার বেইমানি করেছে। গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে যে হামলা করেছিল, একইভাবে ১৫ জানুয়ারি মতিঝিলে ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনের সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যেমন লাঠিয়াল বাহিনীর মতো কাজ করেছে, ঠিক একইভাবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠেছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। মিছিলটি শাহবাগ থেকে কাটাবন, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতিগত বিভাজন রুখে দেবে জনগণ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার যখন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কিশোর-তরুণ ছেলেমেয়েরা কাঁচা হাতে, কেউ দক্ষ হাতে দেয়ালে অনেক গ্রাফিতি তৈরি করেছে, ছবি এঁকেছে, অনেক কথা লিখেছে। সেই ছবি ও কথার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেখানে যে চিন্তাটা প্রধান হয়েছে, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে স্বৈরশাসক, নির্যাতন থাকবে না। মানুষের যে অধিকার, প্রয়োজন, আকাঙ্ক্ষা এবং তাঁদের জীবন, সেটার একটা পরিবর্তন ঘটবে। এতে প্রকাশিত হয়েছে, বৈচিত্র্য আছে। বিভিন্ন ধর্মের, ভাষার মানুষ আছে—তাঁদের সবার অধিকার থাকবে এবং সবাই মিলেই বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, আধিপত্য ও নিপীড়নবিরোধী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হতাশার সঙ্গে লক্ষ করলাম, বর্তমান সরকারের সময় শ্রমিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় নারীবিদ্বেষী তৎপরতা ও বিভিন্ন ভাষার মানুষের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই দিনে হামলা হয়েছে বলে জানান আনু মুহাম্মদ।
যেই গ্রাফিতিটা পাঠ্যবইয়ে আনা হয়েছিল, সেটা গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের একটা চিত্র হিসেবে এটা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাদ দেওয়া হলো আদিবাসী শব্দটা থাকার কারণে। আদিবাসী শব্দ নিয়ে অনেক ভুল-বোঝাবুঝি, বিভ্রান্তি আছে। আবার একটা রাজনীতি, দমনপীড়ন ও আধিপত্যের জাল আছে।’
আদিবাসী মানে আদি বাসিন্দা নয়—জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আদিবাসী যেখানেই থাকুক, তিনি আদিবাসী। তাঁর নিজস্ব একটা সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আইনি কাঠামো আছে। আলাদা একটা জাতিগত বৈশিষ্ট্য আছে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা হয়েছে শেখ মুজিব থেকে। যাঁরা বলছেন, শেখ মুজিব ফ্যাসিবাদী শাসনের সূচনা করেছেন, সেই ফ্যাসিবাদের অন্যতম উপাদান হলো অন্যান্য জাতিকে অস্বীকার করা। এটা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন আদিবাসী বলত। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এল, তখন হঠাৎ করেই বলল, আদিবাসী ব্যবহার করা যাবে না। তার মানে হচ্ছে, রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে আদিবাসী এ ধারণাকে অস্বীকার করার একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। ফলে যাঁরা ক্ষমতায় যান, তাঁরা অস্বীকার করতে চান। তাঁদের একটা যুক্তি, আদিবাসী বলে স্বীকার করলে বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। অথচ যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তারা বারবার বলছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশে থাকতে চাই।’

আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিটি সচেতন মানুষের নাগরিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাঁর নাগরিক অধিকার নিয়ে চলাফেরা করবেন, কেন সব সময় ভয়ে ভয়ে চলতে হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠান যাতে তৈরি হয়, সেটাই হওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের এটা দায়িত্ব ছিল, যেন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে এখনো আগের অবস্থা বিরাজ করছে।’
আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদিবাসী শব্দ নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাদের ডেকে একসঙ্গে বসতে পারতেন। কিন্তু কোনো আলোচনা নেই। তারা প্রতিবাদ করল আর একটা গোষ্ঠী তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করল। আর সরকারকে দেখা যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে খুবই নমনীয়। আবার সেটার বিষয়ে যখন আপত্তি জানাল, প্রতিবাদ করল আগের মতোই পুলিশ চড়াও হলো। এর দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন এবং প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি। যদিও আমরা দেখতে পাচ্ছি, বলা হচ্ছে এ সরকার গণ-অভ্যুত্থানের সরকার, তাঁদের সমালোচনা করা মানে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা যাঁরা বলেন, তাঁরাই ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করবেন।’
হঠাৎ কারও সঙ্গে আলোচনা না করে, জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবে ভ্যাট নামক একটা জিনিস জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে জিনিসপত্রের দামের কোনো উন্নতি হয়নি। শ্রমিক ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কমে গেছে। ডলার ও টাকার বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে নানা অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণের ওপর বোঝা তৈরি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা এমন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কিছু করতে পারেনি বা সরকারের কোনো ইচ্ছা আছে বলেও মনে হয় না। তাঁরা আগের মতোই বলেন, রাতারাতি কিছুই করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনাদের তো লক্ষণ দেখা যাবে, কোন পথে হাঁটছেন।’
ইচ্ছেমতো ভ্যাট বসাচ্ছে। সরকার কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হাঁটছে না। এ প্রক্রিয়ায় চলতে পারে না বলে মনে করেন আনু মুহাম্মদ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, একের পর এক গণবিরোধী কাজ করছে ইউনূস সরকার। আবার সরকার আশা করছে, আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাব। পাশাপাশি বলা হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানের সরকারের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করা যাবে না।’
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সমন্বয়ক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সরকার বেইমানি করেছে। গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে যে হামলা করেছিল, একইভাবে ১৫ জানুয়ারি মতিঝিলে ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনের সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যেমন লাঠিয়াল বাহিনীর মতো কাজ করেছে, ঠিক একইভাবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠেছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। মিছিলটি শাহবাগ থেকে কাটাবন, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতিগত বিভাজন রুখে দেবে জনগণ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার যখন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কিশোর-তরুণ ছেলেমেয়েরা কাঁচা হাতে, কেউ দক্ষ হাতে দেয়ালে অনেক গ্রাফিতি তৈরি করেছে, ছবি এঁকেছে, অনেক কথা লিখেছে। সেই ছবি ও কথার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেখানে যে চিন্তাটা প্রধান হয়েছে, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে স্বৈরশাসক, নির্যাতন থাকবে না। মানুষের যে অধিকার, প্রয়োজন, আকাঙ্ক্ষা এবং তাঁদের জীবন, সেটার একটা পরিবর্তন ঘটবে। এতে প্রকাশিত হয়েছে, বৈচিত্র্য আছে। বিভিন্ন ধর্মের, ভাষার মানুষ আছে—তাঁদের সবার অধিকার থাকবে এবং সবাই মিলেই বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, আধিপত্য ও নিপীড়নবিরোধী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হতাশার সঙ্গে লক্ষ করলাম, বর্তমান সরকারের সময় শ্রমিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় নারীবিদ্বেষী তৎপরতা ও বিভিন্ন ভাষার মানুষের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই দিনে হামলা হয়েছে বলে জানান আনু মুহাম্মদ।
যেই গ্রাফিতিটা পাঠ্যবইয়ে আনা হয়েছিল, সেটা গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের একটা চিত্র হিসেবে এটা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাদ দেওয়া হলো আদিবাসী শব্দটা থাকার কারণে। আদিবাসী শব্দ নিয়ে অনেক ভুল-বোঝাবুঝি, বিভ্রান্তি আছে। আবার একটা রাজনীতি, দমনপীড়ন ও আধিপত্যের জাল আছে।’
আদিবাসী মানে আদি বাসিন্দা নয়—জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আদিবাসী যেখানেই থাকুক, তিনি আদিবাসী। তাঁর নিজস্ব একটা সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আইনি কাঠামো আছে। আলাদা একটা জাতিগত বৈশিষ্ট্য আছে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা হয়েছে শেখ মুজিব থেকে। যাঁরা বলছেন, শেখ মুজিব ফ্যাসিবাদী শাসনের সূচনা করেছেন, সেই ফ্যাসিবাদের অন্যতম উপাদান হলো অন্যান্য জাতিকে অস্বীকার করা। এটা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন আদিবাসী বলত। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এল, তখন হঠাৎ করেই বলল, আদিবাসী ব্যবহার করা যাবে না। তার মানে হচ্ছে, রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে আদিবাসী এ ধারণাকে অস্বীকার করার একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। ফলে যাঁরা ক্ষমতায় যান, তাঁরা অস্বীকার করতে চান। তাঁদের একটা যুক্তি, আদিবাসী বলে স্বীকার করলে বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। অথচ যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তারা বারবার বলছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশে থাকতে চাই।’

আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিটি সচেতন মানুষের নাগরিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাঁর নাগরিক অধিকার নিয়ে চলাফেরা করবেন, কেন সব সময় ভয়ে ভয়ে চলতে হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠান যাতে তৈরি হয়, সেটাই হওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের এটা দায়িত্ব ছিল, যেন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে এখনো আগের অবস্থা বিরাজ করছে।’
আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদিবাসী শব্দ নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাদের ডেকে একসঙ্গে বসতে পারতেন। কিন্তু কোনো আলোচনা নেই। তারা প্রতিবাদ করল আর একটা গোষ্ঠী তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করল। আর সরকারকে দেখা যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে খুবই নমনীয়। আবার সেটার বিষয়ে যখন আপত্তি জানাল, প্রতিবাদ করল আগের মতোই পুলিশ চড়াও হলো। এর দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন এবং প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি। যদিও আমরা দেখতে পাচ্ছি, বলা হচ্ছে এ সরকার গণ-অভ্যুত্থানের সরকার, তাঁদের সমালোচনা করা মানে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা যাঁরা বলেন, তাঁরাই ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করবেন।’
হঠাৎ কারও সঙ্গে আলোচনা না করে, জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবে ভ্যাট নামক একটা জিনিস জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে জিনিসপত্রের দামের কোনো উন্নতি হয়নি। শ্রমিক ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কমে গেছে। ডলার ও টাকার বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে নানা অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণের ওপর বোঝা তৈরি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা এমন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কিছু করতে পারেনি বা সরকারের কোনো ইচ্ছা আছে বলেও মনে হয় না। তাঁরা আগের মতোই বলেন, রাতারাতি কিছুই করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনাদের তো লক্ষণ দেখা যাবে, কোন পথে হাঁটছেন।’
ইচ্ছেমতো ভ্যাট বসাচ্ছে। সরকার কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হাঁটছে না। এ প্রক্রিয়ায় চলতে পারে না বলে মনে করেন আনু মুহাম্মদ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, একের পর এক গণবিরোধী কাজ করছে ইউনূস সরকার। আবার সরকার আশা করছে, আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাব। পাশাপাশি বলা হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানের সরকারের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করা যাবে না।’
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সমন্বয়ক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সরকার বেইমানি করেছে। গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে যে হামলা করেছিল, একইভাবে ১৫ জানুয়ারি মতিঝিলে ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনের সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যেমন লাঠিয়াল বাহিনীর মতো কাজ করেছে, ঠিক একইভাবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠেছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। মিছিলটি শাহবাগ থেকে কাটাবন, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতিগত বিভাজন রুখে দেবে জনগণ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি আয়োজিত ‘আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।
আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার যখন নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, সে সময় ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে কিশোর-তরুণ ছেলেমেয়েরা কাঁচা হাতে, কেউ দক্ষ হাতে দেয়ালে অনেক গ্রাফিতি তৈরি করেছে, ছবি এঁকেছে, অনেক কথা লিখেছে। সেই ছবি ও কথার মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। সেখানে যে চিন্তাটা প্রধান হয়েছে, আমরা এমন একটা বাংলাদেশ চাই, যেখানে স্বৈরশাসক, নির্যাতন থাকবে না। মানুষের যে অধিকার, প্রয়োজন, আকাঙ্ক্ষা এবং তাঁদের জীবন, সেটার একটা পরিবর্তন ঘটবে। এতে প্রকাশিত হয়েছে, বৈচিত্র্য আছে। বিভিন্ন ধর্মের, ভাষার মানুষ আছে—তাঁদের সবার অধিকার থাকবে এবং সবাই মিলেই বাংলাদেশকে বৈষম্যহীন, আধিপত্য ও নিপীড়নবিরোধী রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই হতাশার সঙ্গে লক্ষ করলাম, বর্তমান সরকারের সময় শ্রমিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় নারীবিদ্বেষী তৎপরতা ও বিভিন্ন ভাষার মানুষের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই দিনে হামলা হয়েছে বলে জানান আনু মুহাম্মদ।
যেই গ্রাফিতিটা পাঠ্যবইয়ে আনা হয়েছিল, সেটা গণ-অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের একটা চিত্র হিসেবে এটা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাদ দেওয়া হলো আদিবাসী শব্দটা থাকার কারণে। আদিবাসী শব্দ নিয়ে অনেক ভুল-বোঝাবুঝি, বিভ্রান্তি আছে। আবার একটা রাজনীতি, দমনপীড়ন ও আধিপত্যের জাল আছে।’
আদিবাসী মানে আদি বাসিন্দা নয়—জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আদিবাসী যেখানেই থাকুক, তিনি আদিবাসী। তাঁর নিজস্ব একটা সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আইনি কাঠামো আছে। আলাদা একটা জাতিগত বৈশিষ্ট্য আছে। সেটা বাংলাদেশের মানুষ স্বীকার করে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমস্যা হয়েছে শেখ মুজিব থেকে। যাঁরা বলছেন, শেখ মুজিব ফ্যাসিবাদী শাসনের সূচনা করেছেন, সেই ফ্যাসিবাদের অন্যতম উপাদান হলো অন্যান্য জাতিকে অস্বীকার করা। এটা পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ যখন বিরোধী দলে ছিল, তখন আদিবাসী বলত। কিন্তু ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এল, তখন হঠাৎ করেই বলল, আদিবাসী ব্যবহার করা যাবে না। তার মানে হচ্ছে, রাষ্ট্রক্ষমতার সঙ্গে আদিবাসী এ ধারণাকে অস্বীকার করার একটা রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। ফলে যাঁরা ক্ষমতায় যান, তাঁরা অস্বীকার করতে চান। তাঁদের একটা যুক্তি, আদিবাসী বলে স্বীকার করলে বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে যাবে। অথচ যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, তারা বারবার বলছে, আমরা বিচ্ছিন্ন হতে চাই না। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশে থাকতে চাই।’

আদিবাসীদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিটি সচেতন মানুষের নাগরিক দায়িত্ব বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘মানুষ তাঁর নাগরিক অধিকার নিয়ে চলাফেরা করবেন, কেন সব সময় ভয়ে ভয়ে চলতে হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও প্রতিষ্ঠান যাতে তৈরি হয়, সেটাই হওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারের এটা দায়িত্ব ছিল, যেন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। কিন্তু পার্বত্য অঞ্চলে এখনো আগের অবস্থা বিরাজ করছে।’
আদিবাসী শব্দ বাদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদিবাসী শব্দ নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। তাদের ডেকে একসঙ্গে বসতে পারতেন। কিন্তু কোনো আলোচনা নেই। তারা প্রতিবাদ করল আর একটা গোষ্ঠী তাদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা করল। আর সরকারকে দেখা যাচ্ছে, তাদের বিষয়ে খুবই নমনীয়। আবার সেটার বিষয়ে যখন আপত্তি জানাল, প্রতিবাদ করল আগের মতোই পুলিশ চড়াও হলো। এর দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরেই বর্তায়। এটি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন এবং প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হচ্ছি। যদিও আমরা দেখতে পাচ্ছি, বলা হচ্ছে এ সরকার গণ-অভ্যুত্থানের সরকার, তাঁদের সমালোচনা করা মানে যাঁরা সমালোচনা করেন, তাঁরা ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা যাঁরা বলেন, তাঁরাই ফ্যাসিবাদ বা আওয়ামী লীগের প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করবেন।’
হঠাৎ কারও সঙ্গে আলোচনা না করে, জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবে ভ্যাট নামক একটা জিনিস জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ মাসে জিনিসপত্রের দামের কোনো উন্নতি হয়নি। শ্রমিক ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় কমে গেছে। ডলার ও টাকার বিনিময় হারের তারতম্যের কারণে নানা অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণের ওপর বোঝা তৈরি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যাঁরা এমন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার কিছু করতে পারেনি বা সরকারের কোনো ইচ্ছা আছে বলেও মনে হয় না। তাঁরা আগের মতোই বলেন, রাতারাতি কিছুই করা সম্ভব নয়। কিন্তু আপনাদের তো লক্ষণ দেখা যাবে, কোন পথে হাঁটছেন।’
ইচ্ছেমতো ভ্যাট বসাচ্ছে। সরকার কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হাঁটছে না। এ প্রক্রিয়ায় চলতে পারে না বলে মনে করেন আনু মুহাম্মদ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মাহা মির্জা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, একের পর এক গণবিরোধী কাজ করছে ইউনূস সরকার। আবার সরকার আশা করছে, আমরা তাদের সমর্থন দিয়ে যাব। পাশাপাশি বলা হচ্ছে, গণ-অভ্যুত্থানের সরকারের সমালোচনা বা প্রতিবাদ করা যাবে না।’
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সমন্বয়ক রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, ‘যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সরকার বেইমানি করেছে। গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে যে হামলা করেছিল, একইভাবে ১৫ জানুয়ারি মতিঝিলে ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনের সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ যেমন লাঠিয়াল বাহিনীর মতো কাজ করেছে, ঠিক একইভাবে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে উঠেছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। মিছিলটি শাহবাগ থেকে কাটাবন, নীলক্ষেত হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় জাতিগত বিভাজন রুখে দেবে জনগণ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তাঁরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৩ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স ডে’ উদ্যাপন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রশিক্ষিত ভলান্টিয়াররা নিজেদের নিঃস্বার্থ সেবার মাধ্যমে জনগণের বন্ধু হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্প, বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা এবং অন্যান্য দুর্যোগে ফায়ার ফাইটারদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভলান্টিয়াররাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণ করেছেন।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ভলান্টিয়ারদের আন্তরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘কোনো রকম সুবিধা না নিয়ে নিজের ইচ্ছায় নিঃস্বার্থভাবে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য আপনারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আপনারা এ কাজের প্রতিদান শুধু ইহকালে নয়, পরকালেও পাবেন।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সারা দেশে ৬২ হাজার ভলান্টিয়ার তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবকেরা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবারের গর্বিত সদস্য হিসেবে আর্তমানবতার সেবায় ভূমিকা রাখছেন। এর ফলে একদিকে যেমন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জনবল সংকট দূর হচ্ছে, তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতাও বাড়ছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকারি বাহিনীর সদস্যদের পক্ষে এককভাবে ভূমিকম্প, বড় অগ্নিদুর্ঘটনা বা বন্যার মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করা দুরূহ। এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবকেরা পেশাদার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করে দুর্যোগ প্রশমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে, ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সব স্তরে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ রাজনীতিমুক্ত হবে কি না—এ-সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আইন প্রণয়ন করা হয় জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য। এই আইনও করা হয়েছে জনগণ যেন প্রকৃত সেবা পায়, তা নিশ্চিত করতে। তিনি আশ্বস্ত করেন, পুলিশ কমিশন জনগণ ও পুলিশের প্রকৃত কল্যাণে কিছু সুপারিশ করবে, যা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে উপদেষ্টা পূর্বাচল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রদর্শিত মহড়া দেখেন এবং তাঁদের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৭ ঘণ্টা আগেরংপুর প্রতিনিধি

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। রংপুর অঞ্চলে চার দিনের সফরে এসেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা তো চেয়েছি যে তাঁকে (শেখ হাসিনাকে) ফেরত পাঠানো হোক। যেহেতু উনি একজন কনভিক্টেড, যেহেতু সর্বোচ্চ বিচারিক সংস্থা তাঁকে একটি শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরা ইতিবাচক কোনো সাড়া এখন পর্যন্ত পাইনি। এটা নিয়ে আমার মনে হয় স্পেকুলেট না করাই ভালো। দেখা যাক কী হয়। আমরা তো চেয়েছি খুব, এ ধরনের ঘটনায় তো ঝট করে এক দিনে, সাত দিনে কোনো পরিবর্তন ঘটে না। আমরা অপেক্ষা করব, দেখি, ভারতের পক্ষ থেকে কী আসছে রিঅ্যাকশন।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা রিঅ্যাকশন আমরা দেখেছি যেটা, সেটা হলো তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে, এ রকম একটা কথা আসছে আমাদের। দেখুক তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরে কোনো তথ্য নেই বলে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তারেক সাহেব কখন আসবেন, এই সম্বন্ধে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। উনার স্ত্রী সম্ভবত আসছেন বা পৌঁছে গেছেন হয়তো ইতিমধ্যে। আজকে সকালে পৌঁছার কথা ছিল। বেগম জিয়াকে আজকে নেওয়া হচ্ছে না, আমি ঢাকা থেকে আজকে সকালে জানলাম যে আজকে নেওয়া হচ্ছে না। একটু টেকনিক্যাল প্রবলেম দেখা দিয়েছে ওই এয়ারক্র্যাফট নিয়ে। সে ক্ষেত্রে হয়তো এক-আধ দিন দেরি হতে পারে।’
আরাকান আর্মি বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আরাকান আর্মির সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা সম্ভব নয়। তারা একটা নন-স্টেট অ্যাক্টর। আমরা স্টেট হিসেবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ, থাইল্যান্ড বা ভারতের সাথে করতে পারি, সেটা তাদের সাথে করতে পারি না। তবে আমাদের স্বার্থ যেহেতু আছে, আমাদের দেখতে হবে। এই ঘটনা যাতে কমে বা আদৌ না ঘটে, এটার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
এ ছাড়াও নীলফামারীতে প্রস্তাবিত চীনা হাসপাতালের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত শুরু করে যেতে চায় বলেও জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্বাচিত সরকার এলে এই কাজ সমাপ্ত করবে বলেও আশা তার। এ সময় পিছিয়ে পড়া রংপুরের প্রত্নতাত্ত্বিকসহ সব ক্ষেত্রে নেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সরকারের সদিচ্ছার কথা জানান তৌহিদ হোসেন।
এরপর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সপরিবার রংপুর জমিদার বাড়ি তাজহাটে পরিদর্শনে যান। এ ছাড়াও বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউসে চা-চক্রের কথা রয়েছে তৌহিদ হোসেনের। আগামীকাল রংপুরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল পরিদর্শন করার কথাও রয়েছে তাঁর।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৩ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর দু’টি মোর্চা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ ও ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের’ নেতারা এক যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন।
কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমাদের নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সন্তানতুল্য কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। রোববার থেকে সব শ্রেণির তৃতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন (বার্ষিক পরীক্ষা) চলবে।
এদিকে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষক নেতাদের ‘হয়রানিমূলক’ বদলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাদের দাবি, বৃহস্পতিবার তিনজন কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে নিজ জেলার বাইরে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলিকে তাঁরা ‘হয়রানিমূলক বদলি’ বলে মন্তব্য করেছেন।
শিক্ষক নেতারা দাবি করেছেন, ‘রেওয়াজ না থাকলেও নিজ জেলার বাইরে হয়রানি করতে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করা হয়েছে।’
যদিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে এসব বদলির আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে প্রাথমিক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ জানিয়েছেন, তাঁকে নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আরেক আহ্বায়ক খায়রুন নাহার লিপি জানিয়েছেন, তিনিসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত অন্তত ৪৪ জন সহকারী শিক্ষককে অন্য জেলায় প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের প্রথমে শোকজ ও পরে বদলি করা হলো। এটি হয়রানিমূলক বদলি, আমাদের শাস্তি দিয়েছে কারণ আমরা শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে লড়াই করেছি। কিন্তু অনেক শিক্ষক যাঁরা আন্দোলনে জড়িত ছিলেন না তবুও তাঁরা বদলি হয়েছেন।
‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ অনুসারীরা সরকারের দেওয়া আশ্বাস বাস্তবায়নের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেশ কিছু স্কুলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা তা বর্জন করে কর্মবিরতি চালিয়ে যান।
কয়েক দিন আগে দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছিলেন। পরে ১১ তম গ্রেডে বেতনের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন।
গত ৮ নভেম্বর শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের’ ব্যানারে সেদিন বিকেলে তাঁরা ‘কলম বিরতি কর্মসূচি’ পালনে মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যাওয়া চেষ্টা করলে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান, লাঠিপেটা, কাঁদুনে গ্যাস প্রয়োগ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। সেসময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা পরদিন থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন।
পরে ১০ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা, যেখানে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ এবং উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জটিলতা নিরসনে সরকারে আশ্বাস দিয়েছে জানিয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৩ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৫ ঘণ্টা আগে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেয়ালের গ্রাফিতিতে যে আকাঙ্ক্ষার কথা প্রকাশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে যাঁরা সরকারে বসেছেন বা তাঁদের ঘনিষ্ঠদের চিন্তায় সেটা নেই। তাঁদের মধ্যে বৈষম্যবাদী রাজনীতি, সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। অন্যান্য জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করার প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি।’
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ভলান্টিয়ার বা স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া এবং তাঁদের প্রশিক্ষণের মান ও সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এই লক্ষ্যে একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত প্রণয়ন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল...
৩ ঘণ্টা আগে
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে ভারত এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আমরাও তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
৫ ঘণ্টা আগে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করে শুরু হওয়া সহকারী শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকেরা রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে