মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, এ সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করে সব কর্মীর জন্য উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করা জটিল হতে পারে।
গত ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার আগে সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও কেবল উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ায় দেশটিতে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। অবশ্য এবার সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার গত অক্টোবরের শেষ দিকে আবার খুলেছে। তবে এটি খুলেছে শুধু কৃষি খাতের জন্য। দেশটি ইতিমধ্যে এ খাতে বিভিন্ন দেশের ২৫ হাজার কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা। এই কর্মীদের বয়স হতে হবে ২২ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। কাজের মেয়াদ হবে তিন বছর। গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার সে জটিলতা এড়াতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ওই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কৃষি খাতের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর কোনো চাহিদাপত্র সত্যায়ন করবে না মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, নিয়োগকর্তার চাহিদাপত্রগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়িত হয়ে আসার পর দ্রুত ছাড়পত্র দিচ্ছে বিএমইটি। ইতিমধ্যে পাঁচটি কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ৪৬১ কর্মীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা)।
মন্ত্রণালয় কৃষি খাতে কর্মী পাঠানোর খরচও নির্ধারণ করে দিয়েছে। ৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিক্রুটিং এজেন্টরা কর্মীদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্ট নির্ধারিত তারিখের আগে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা, বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র এবং উড়োজাহাজের টিকিট, প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশনসহ সব প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, বিএমইটির চলমান তথ্যভান্ডার থেকে মালয়েশিয়ার কৃষি খাতের জন্য কর্মীদের নির্বাচন করতে হবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে। কর্মীর যাওয়া-আসার উড়োজাহাজের টিকিট বহন করবেন নিয়োগকর্তা।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) বর্তমানে কমিটি নেই। বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সব সময় প্রাধান্য দেয়। তবে বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোই বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, মালয়েশিয়ার নিয়োগ-কর্তার কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পর কর্মীদের তথ্যসহ সেগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়ন করতে হয়। এতে সপ্তাহখানেক লাগে।
এরপর প্রত্যেক কর্মীর ভিসা সংগ্রহ ও অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। পরে বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেওয়ার পরই উড়োজাহাজের টিকিট কাটা যায়। এরপর হয় প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন। এসব কাজেও কয়েক দিন লাগে। এ কারণে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কর্মী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকে সুযোগটি নিতে পারবেন না।
শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় কর্মী পাঠানোর যে খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী উড়োজাহাজের টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকারীর দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় না। এ জন্য টিকিটের টাকাসহ আরও কিছু খরচ কর্মীকেই বহন করতে হয়।
জানা গেছে, কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হাইকমিশনে প্রায় ১৫ ধরনের তথ্য জমা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র, সত্যায়ন ফির মূল ব্যাংক স্লিপ, চার-পাঁচজন কর্মীর নমুনা বেতন স্লিপ, নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মীর (দেশি ও বিদেশি) সংখ্যা, শ্রমিকদের দু-তিনজনের ফোন নম্বর, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে ২ লাখ রিঙ্গিত)। এ ছাড়া কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট এবং নিয়োগকর্তার মধ্যে চুক্তি ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোটা অনুমোদনপত্র।
এর আগে ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের কর্মীদের জন্য বন্ধ হয়। ওই সময়সীমার কারণে ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হন প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। সেবার কর্মী যাওয়ার চাপে শেষমুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেও তাঁদের পাঠানো যায়নি। আশার কথা হলো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ৪ অক্টোবর ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে তাঁদের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবশ্যই সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ওই কর্মীদের যত দ্রুত সম্ভব মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গেছেন ৯২ হাজার ৯০৬ জন। ২০১৮ সালে শ্রমবাজারটি বন্ধের চার বছর পর ২০২২ সালে চালু হয়েছিল। সে বছর গিয়েছিলেন ৫০ হাজার ৯০ জন।

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, এ সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করে সব কর্মীর জন্য উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করা জটিল হতে পারে।
গত ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার আগে সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও কেবল উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ায় দেশটিতে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। অবশ্য এবার সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার গত অক্টোবরের শেষ দিকে আবার খুলেছে। তবে এটি খুলেছে শুধু কৃষি খাতের জন্য। দেশটি ইতিমধ্যে এ খাতে বিভিন্ন দেশের ২৫ হাজার কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা। এই কর্মীদের বয়স হতে হবে ২২ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। কাজের মেয়াদ হবে তিন বছর। গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার সে জটিলতা এড়াতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ওই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কৃষি খাতের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর কোনো চাহিদাপত্র সত্যায়ন করবে না মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, নিয়োগকর্তার চাহিদাপত্রগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়িত হয়ে আসার পর দ্রুত ছাড়পত্র দিচ্ছে বিএমইটি। ইতিমধ্যে পাঁচটি কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ৪৬১ কর্মীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা)।
মন্ত্রণালয় কৃষি খাতে কর্মী পাঠানোর খরচও নির্ধারণ করে দিয়েছে। ৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিক্রুটিং এজেন্টরা কর্মীদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্ট নির্ধারিত তারিখের আগে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা, বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র এবং উড়োজাহাজের টিকিট, প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশনসহ সব প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, বিএমইটির চলমান তথ্যভান্ডার থেকে মালয়েশিয়ার কৃষি খাতের জন্য কর্মীদের নির্বাচন করতে হবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে। কর্মীর যাওয়া-আসার উড়োজাহাজের টিকিট বহন করবেন নিয়োগকর্তা।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) বর্তমানে কমিটি নেই। বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সব সময় প্রাধান্য দেয়। তবে বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোই বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, মালয়েশিয়ার নিয়োগ-কর্তার কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পর কর্মীদের তথ্যসহ সেগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়ন করতে হয়। এতে সপ্তাহখানেক লাগে।
এরপর প্রত্যেক কর্মীর ভিসা সংগ্রহ ও অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। পরে বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেওয়ার পরই উড়োজাহাজের টিকিট কাটা যায়। এরপর হয় প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন। এসব কাজেও কয়েক দিন লাগে। এ কারণে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কর্মী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকে সুযোগটি নিতে পারবেন না।
শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় কর্মী পাঠানোর যে খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী উড়োজাহাজের টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকারীর দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় না। এ জন্য টিকিটের টাকাসহ আরও কিছু খরচ কর্মীকেই বহন করতে হয়।
জানা গেছে, কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হাইকমিশনে প্রায় ১৫ ধরনের তথ্য জমা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র, সত্যায়ন ফির মূল ব্যাংক স্লিপ, চার-পাঁচজন কর্মীর নমুনা বেতন স্লিপ, নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মীর (দেশি ও বিদেশি) সংখ্যা, শ্রমিকদের দু-তিনজনের ফোন নম্বর, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে ২ লাখ রিঙ্গিত)। এ ছাড়া কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট এবং নিয়োগকর্তার মধ্যে চুক্তি ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোটা অনুমোদনপত্র।
এর আগে ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের কর্মীদের জন্য বন্ধ হয়। ওই সময়সীমার কারণে ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হন প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। সেবার কর্মী যাওয়ার চাপে শেষমুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেও তাঁদের পাঠানো যায়নি। আশার কথা হলো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ৪ অক্টোবর ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে তাঁদের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবশ্যই সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ওই কর্মীদের যত দ্রুত সম্ভব মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গেছেন ৯২ হাজার ৯০৬ জন। ২০১৮ সালে শ্রমবাজারটি বন্ধের চার বছর পর ২০২২ সালে চালু হয়েছিল। সে বছর গিয়েছিলেন ৫০ হাজার ৯০ জন।
মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, এ সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করে সব কর্মীর জন্য উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করা জটিল হতে পারে।
গত ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার আগে সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও কেবল উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ায় দেশটিতে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। অবশ্য এবার সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার গত অক্টোবরের শেষ দিকে আবার খুলেছে। তবে এটি খুলেছে শুধু কৃষি খাতের জন্য। দেশটি ইতিমধ্যে এ খাতে বিভিন্ন দেশের ২৫ হাজার কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা। এই কর্মীদের বয়স হতে হবে ২২ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। কাজের মেয়াদ হবে তিন বছর। গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার সে জটিলতা এড়াতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ওই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কৃষি খাতের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর কোনো চাহিদাপত্র সত্যায়ন করবে না মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, নিয়োগকর্তার চাহিদাপত্রগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়িত হয়ে আসার পর দ্রুত ছাড়পত্র দিচ্ছে বিএমইটি। ইতিমধ্যে পাঁচটি কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ৪৬১ কর্মীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা)।
মন্ত্রণালয় কৃষি খাতে কর্মী পাঠানোর খরচও নির্ধারণ করে দিয়েছে। ৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিক্রুটিং এজেন্টরা কর্মীদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্ট নির্ধারিত তারিখের আগে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা, বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র এবং উড়োজাহাজের টিকিট, প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশনসহ সব প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, বিএমইটির চলমান তথ্যভান্ডার থেকে মালয়েশিয়ার কৃষি খাতের জন্য কর্মীদের নির্বাচন করতে হবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে। কর্মীর যাওয়া-আসার উড়োজাহাজের টিকিট বহন করবেন নিয়োগকর্তা।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) বর্তমানে কমিটি নেই। বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সব সময় প্রাধান্য দেয়। তবে বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোই বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, মালয়েশিয়ার নিয়োগ-কর্তার কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পর কর্মীদের তথ্যসহ সেগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়ন করতে হয়। এতে সপ্তাহখানেক লাগে।
এরপর প্রত্যেক কর্মীর ভিসা সংগ্রহ ও অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। পরে বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেওয়ার পরই উড়োজাহাজের টিকিট কাটা যায়। এরপর হয় প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন। এসব কাজেও কয়েক দিন লাগে। এ কারণে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কর্মী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকে সুযোগটি নিতে পারবেন না।
শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় কর্মী পাঠানোর যে খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী উড়োজাহাজের টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকারীর দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় না। এ জন্য টিকিটের টাকাসহ আরও কিছু খরচ কর্মীকেই বহন করতে হয়।
জানা গেছে, কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হাইকমিশনে প্রায় ১৫ ধরনের তথ্য জমা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র, সত্যায়ন ফির মূল ব্যাংক স্লিপ, চার-পাঁচজন কর্মীর নমুনা বেতন স্লিপ, নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মীর (দেশি ও বিদেশি) সংখ্যা, শ্রমিকদের দু-তিনজনের ফোন নম্বর, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে ২ লাখ রিঙ্গিত)। এ ছাড়া কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট এবং নিয়োগকর্তার মধ্যে চুক্তি ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোটা অনুমোদনপত্র।
এর আগে ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের কর্মীদের জন্য বন্ধ হয়। ওই সময়সীমার কারণে ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হন প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। সেবার কর্মী যাওয়ার চাপে শেষমুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেও তাঁদের পাঠানো যায়নি। আশার কথা হলো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ৪ অক্টোবর ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে তাঁদের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবশ্যই সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ওই কর্মীদের যত দ্রুত সম্ভব মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গেছেন ৯২ হাজার ৯০৬ জন। ২০১৮ সালে শ্রমবাজারটি বন্ধের চার বছর পর ২০২২ সালে চালু হয়েছিল। সে বছর গিয়েছিলেন ৫০ হাজার ৯০ জন।

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, এ সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করে সব কর্মীর জন্য উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করা জটিল হতে পারে।
গত ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার আগে সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও কেবল উড়োজাহাজের টিকিট না পাওয়ায় দেশটিতে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়নি প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মীর। অবশ্য এবার সমস্যা এড়াতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার গত অক্টোবরের শেষ দিকে আবার খুলেছে। তবে এটি খুলেছে শুধু কৃষি খাতের জন্য। দেশটি ইতিমধ্যে এ খাতে বিভিন্ন দেশের ২৫ হাজার কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা। এই কর্মীদের বয়স হতে হবে ২২ বছর থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। কাজের মেয়াদ হবে তিন বছর। গতবারের অভিজ্ঞতায় এবার সে জটিলতা এড়াতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৬ অক্টোবর ওই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কৃষি খাতের জন্য আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর কোনো চাহিদাপত্র সত্যায়ন করবে না মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নিতে হবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, নিয়োগকর্তার চাহিদাপত্রগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়িত হয়ে আসার পর দ্রুত ছাড়পত্র দিচ্ছে বিএমইটি। ইতিমধ্যে পাঁচটি কোম্পানিতে নিয়োগ পাওয়া ৪৬১ কর্মীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন ১ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত (মালয়েশিয়ার মুদ্রা)।
মন্ত্রণালয় কৃষি খাতে কর্মী পাঠানোর খরচও নির্ধারণ করে দিয়েছে। ৩ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিক্রুটিং এজেন্টরা কর্মীদের কাছ থেকে সরকারনির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ নিতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্ট নির্ধারিত তারিখের আগে কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভিসা, বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র এবং উড়োজাহাজের টিকিট, প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশনসহ সব প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, বিএমইটির চলমান তথ্যভান্ডার থেকে মালয়েশিয়ার কৃষি খাতের জন্য কর্মীদের নির্বাচন করতে হবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে। কর্মীর যাওয়া-আসার উড়োজাহাজের টিকিট বহন করবেন নিয়োগকর্তা।
জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের (বায়রা) বর্তমানে কমিটি নেই। বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, মালয়েশিয়া কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সব সময় প্রাধান্য দেয়। তবে বাংলাদেশ থেকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্মী পাঠানোই বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, মালয়েশিয়ার নিয়োগ-কর্তার কাছ থেকে চাহিদাপত্র পাওয়ার পর কর্মীদের তথ্যসহ সেগুলো মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে সত্যায়ন করতে হয়। এতে সপ্তাহখানেক লাগে।
এরপর প্রত্যেক কর্মীর ভিসা সংগ্রহ ও অনুমোদিত মেডিকেল সেন্টার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হয়। পরে বিএমইটি থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র নেওয়ার পরই উড়োজাহাজের টিকিট কাটা যায়। এরপর হয় প্রাক্-বহির্গমন ওরিয়েন্টেশন। এসব কাজেও কয়েক দিন লাগে। এ কারণে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে কর্মী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেকে সুযোগটি নিতে পারবেন না।
শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় কর্মী পাঠানোর যে খরচ নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী উড়োজাহাজের টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকারীর দেওয়ার কথা থাকলেও তা হয় না। এ জন্য টিকিটের টাকাসহ আরও কিছু খরচ কর্মীকেই বহন করতে হয়।
জানা গেছে, কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে হাইকমিশনে প্রায় ১৫ ধরনের তথ্য জমা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র, সত্যায়ন ফির মূল ব্যাংক স্লিপ, চার-পাঁচজন কর্মীর নমুনা বেতন স্লিপ, নিয়োগকর্তার প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মীর (দেশি ও বিদেশি) সংখ্যা, শ্রমিকদের দু-তিনজনের ফোন নম্বর, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিগত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে ২ লাখ রিঙ্গিত)। এ ছাড়া কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট এবং নিয়োগকর্তার মধ্যে চুক্তি ও মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোটা অনুমোদনপত্র।
এর আগে ৩১ মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের কর্মীদের জন্য বন্ধ হয়। ওই সময়সীমার কারণে ভিসা ও ছাড়পত্র পেয়েও মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হন প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি কর্মী। সেবার কর্মী যাওয়ার চাপে শেষমুহূর্তে উড়োজাহাজের টিকিটের সংকট দেখা দেয়। অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেও তাঁদের পাঠানো যায়নি। আশার কথা হলো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ৪ অক্টোবর ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সফরকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে তাঁদের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অবশ্যই সব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ওই কর্মীদের যত দ্রুত সম্ভব মালয়েশিয়ায় প্রবেশের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
বিএমইটি সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রায় ১৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় আছেন। গত বছর সেখানে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গেছেন ৯২ হাজার ৯০৬ জন। ২০১৮ সালে শ্রমবাজারটি বন্ধের চার বছর পর ২০২২ সালে চালু হয়েছিল। সে বছর গিয়েছিলেন ৫০ হাজার ৯০ জন।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ও আরও চারজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। এই অভিযোগের পর ঢাকার একটি মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাঁকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক রিহ্যাব মাহামুর বলেন, আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার একটি উদ্বেগজনক ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এসব অধিকার নিশ্চিত করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সনদের (আইসিসিপিআর) অধীনে নিজেদের দায়বদ্ধতার সম্মান জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।
আদালতে শুনানির সময় আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এই কাজই করছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে অন্তর্বর্তী সরকার সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে। সংশোধনের পর থেকে দলটির প্রতি সমর্থনের অভিযোগে একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাও রয়েছেন।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতাদর্শ-নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার সুরক্ষিত ও বিকশিত হয়। একটি মানবাধিকারসম্মত সমাজের জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাগুলো খর্ব করতে দমনমূলক আইনপ্রয়োগ বন্ধ করতে হবে।

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ
১৭ নভেম্বর ২০২৪
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ
১৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ
১৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার বন্ধ শ্রমবাজার আবার খুলেছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শ্রমবাজারে এবার প্ল্যান্টেশন অর্থাৎ কৃষি খাতে কর্মী নেওয়া হচ্ছে। তবে এবারও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ জানুয়ারি। জনশক্তি রপ্তানিকারকেরা বলছেন, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে এবারও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ
১৭ নভেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে (এটিএ) গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক আনিস আলমগীরের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। আজ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি জানায়, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে