Ajker Patrika

আরপিও সংশোধনে ইসির চাওয়া

বিনা ভোটে আর এমপি নয়

  • কোনো আসনে একজন প্রার্থী থাকলে ‘না’ ভোটের সঙ্গে লড়াই, ‘না’ ভোট বেশি হলে আবার নির্বাচন।
  • একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ দুটি আসনে প্রার্থী হওয়ার বিধান, জোট করলেও ভোট নিজ দলের প্রতীকে।
  • আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনী যুক্ত করার প্রস্তাব, নির্বাচনে ইভিএম চায় না ইসি।
  • অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফিরে পেতে সংশোধনীতে প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা 
আপডেট : ২০ জুলাই ২০২৫, ০৯: ১৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের আমলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অর্ধেকের বেশি সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বা বিনা ভোটে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আগেই তাঁদের বিজয় নিশ্চিত করেছিল আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় বহাল থাকা। বিনা ভোটে এমপি হওয়ার সুযোগ আর রাখতে চায় না বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে ইসি।

ইসি সূত্র বলেছে, আরপিও সংশোধনের খসড়ায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পথ বন্ধ করার বিধান রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া অনিয়ম হলে পুরো আসনের ভোট বন্ধের ক্ষমতা ইসির ফিরে পাওয়া, এক প্রার্থীর সর্বোচ্চ দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জোট করলেও নিজ দলের প্রতীকে ভোট করাসহ বেশ কিছু বিধান যুক্ত হচ্ছে খসড়ায়। এ ছাড়া আরপিও থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা বাতিল হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে যুক্ত করার প্রস্তাবও রয়েছে সংশোধনীতে।

আরপিও সংশোধনের বিষয়ে ১০ জুলাই কমিশন সভা হয়। ওই সভার পর নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব আলোচ্য-সূচিতে থাকলেও তা শুধু উপস্থাপন করা হয়, বিস্তারিত আলোচনা এগোয়নি। পরবর্তী বৈঠকে শুধু আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হবে।

দশম সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনেই প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এ জন্য ওই নির্বাচন বিনা ভোটের নির্বাচন হিসেবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। পরে শুধু সংসদ নয়, স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচনেও বিনা ভোটে অনেক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি বিনা ভোটে বিজয়ের এই সুযোগ রাখতে চায় না। আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো আসনে একজনমাত্র প্রার্থী থাকলে তাঁকে ‘না’ ভোটের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। নির্বাচনে ‘না’ ভোট বিজয়ী হলে ওই আসনের জন্য আবার তফসিল ঘোষণা করে নতুনভাবে ভোট নেওয়া হবে।

এর আগে প্রয়াত সিইসি ড. এ টি এম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ‘না’ ভোট চালু করেছিল। তবে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগ সংসদে ওই বিধান পাস করেনি।

এ বিষয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য মো. আব্দুল আলীম বলেন, ২০০৮ সালের ‘না’ ভোট অর্থহীন ছিল। সেখানে ভোট বাতিলের বিধান ছিল না।

আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাবে ভোটে অনিয়ম হলে যেকোনো পর্যায়ে পুরো নির্বাচনী আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার বিধান রেখেছে কমিশন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধের ক্ষমতা আগে ইসির ছিল। সেটা বাদ দেওয়া হয়েছিল। এখন ইসির কেন্দ্রের ভোট বাতিলের ক্ষমতা আছে। পুরো আসনের নির্বাচন করার বিষয়টি ফেরত পাওয়ার জন্য তাঁরা প্রস্তাব করেছেন। আশা করছেন, এটা ফেরত পাবেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, আরপিও সংস্কারের মাধ্যমে ভোটের যেকোনো পর্যায়ে নির্বাচনী আসনের ভোট বন্ধের ক্ষমতা ফিরে পেলে ইসির ক্ষমতা আরও দৃশ্যমান হবে।

ইসির প্রস্তাবিত আরপিওর খসড়া অনুযায়ী, একজন প্রার্থী দুটির বেশি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। দুটির বেশি আসনে কেউ প্রার্থী হলে তাঁর সব মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে। বিদ্যমান আরপিওতে একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিধান রয়েছে।

সূত্র বলেছে, দুই বা ততোধিক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচনী জোট করলেও জোটভুক্ত দলগুলোকে নিজস্ব প্রতীক ব্যবহারের বিধান রাখা হচ্ছে সংশোধনীতে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট ১৪ দলের প্রার্থীদের বেশির ভাগ নিজ দলীয় প্রতীকের বদলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। এতে নামসর্বস্ব দলের প্রার্থী নৌকা প্রতীকের কারণে বিজয়ী হয়েছেন এবং অন্য দলগুলো দলীয়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন বৈঠকেও জোটের ভোটে দলগুলোর নিজ নিজ প্রতীক ব্যবহারের পক্ষে মত এসেছে।

সংশোধনী প্রস্তাবে দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সমান ভোট পেলে তাঁদের মধ্যে পরে আবার ভোট করার বিধান যুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে এক বা একাধিক প্রার্থী সমান ভোট পেলে লটারির মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

রাজনৈতিক ঐকমত্য ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশে ইভিএমের বিষয়টি নেই উল্লেখ করে আবুল ফজুল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইভিএম সামনে কোনো নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে না।’

সূত্র বলেছে, সংশোধিত আরপিওর খসড়ায় নির্বাচনী সহায়তার বিষয়ে সরকার ও ইসির মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে ইসির চাহিদাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের কোনো বিভাগ ও কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তব্যে অবহেলা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ইসির শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন সরকারের জন্য বাধ্যতামূলক করা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যক্তিগত নথি, চাকরির বহি ও বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনেও তার উল্লেখ থাকার বিধান থাকছে। সর্বশেষ গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন পুরোপুরি বন্ধ করার পরও দায়ীদের বিরুদ্ধে ইসির সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। নতুন এই বিধান যুক্ত হলে অনিয়মকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় ইসির এখতিয়ার বাড়বে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিদ্যমান সংজ্ঞায় পুলিশ বাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), আনসার বাহিনী, ব্যাটালিয়ন আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, বিএনসিসির নাম রয়েছে। এখন এর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের নাম যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে ইসি।

খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল নিষ্পত্তির পর ইসির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে অথবা তফসিল ঘোষণার ৪৫ দিন আগে থেকে ফলাফল ঘোষণার ১৫ দিন পর পর্যন্ত ইসির অনুমতি ছাড়া জেলা থেকে বিভাগীয় প্রশাসন-পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বদলি করা যাবে না। এর মধ্যে পুলিশের উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) বিষয়টি আগে ছিল না। সংশোধনী প্রস্তাবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে এই কর্তৃত্বের সুযোগ রয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, কোনো কর্মকর্তাকে বদলি বা প্রত্যাহারের প্রয়োজন হলে ইসি চিঠি দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ ছাড়া সংশোধিত আরপিওর খসড়ায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা অন্য কোনো পদে থাকলে প্রার্থী হতে ন্যূনতম স্নাতক পাস; হলফনামায় দেশে ও বিদেশে আয়ের উৎস জানানো; হলফনামায় সর্বশেষ সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্দিষ্ট করা নেই। ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে অনুমোদন নেই এমন ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে গ্রেপ্তার করা; প্রার্থীদের ব্যয় মনিটরিং, প্রার্থীদের ব্যয় অডিট করা এবং রাজনৈতিক দলের আয়-ব্যয় অডিট করার ক্ষমতা ইসিকে দেওয়া; নির্বাচনে জয়ের পরও আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির এমপি পদ বাতিল করার ক্ষমতা; নির্বাচনে কেউ অসত্য তথ্য দিয়ে অভিযোগ করার বিষয়টি প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মামলা করা; নির্বাচনী অপরাধ এবং আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘনের ব্যবস্থা নেওয়া; সরাসরি ও অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা; কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা এক অর্থবছরে দলকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অনুদান দিতে পারবে, তবে ব্যক্তির ট্যাক্স রিটার্ন দেখাতে হবে; প্রস্তাবিত আচরণবিধির সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিধি লঙ্ঘনে অর্থদণ্ড ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আরপিও সংশোধনের বিষয়ে ইসির আইন সংস্কার কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ‘আরপিও পর্যালোচনা চলছে। আমরা ঐকমত্য কমিশনের মতামতকে প্রাধান্য দিচ্ছি। ঐকমত্যের ভিত্তিতে যেসব বিষয় আসবে, সেগুলো এখানে যুক্ত করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুই মাসের চুক্তিতে স্বাস্থ্যের ডিজি ও সচিব নিয়োগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও মো. সাইদুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানকে দুই মাসের জন্য চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই মেয়াদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফরকে।

২৪ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সামিউল আমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সাইদুর রহমানকে তাঁর অবসরোত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধাদি স্থগিত এবং অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে ২০২৬ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো।

একই আইনের সমধারায় দুই মাসের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরও। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাঁকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মো. শাদরুল আলমকে। এত দিন তিনি সেন্টার ফর মেডিকেল এডুকেশনের (সিএমই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তাঁকে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ২৫৮২ জন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৭
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য ২ হাজার ৫৮২ জন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন এ তথ্য জানান।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক জানান, রংপুর অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৩টি আসন থেকে ৩৩৮টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৭৮টি। রাজশাহী অঞ্চলের ৮ জেলার ৩৯ আসন থেকে ৩২৯টি মনোনয়ন বিতরণ করা হয়েছিল। জমা পড়েছে ২৬০টি। বরিশাল অঞ্চলের ৬ জেলার ২১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ২১২টি, জমা পড়েছে ১৬৬টি। ফরিদপুর অঞ্চলের ৫ জেলার ১৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয় ১৬৫টি, জমা পড়েছে ১৪২টি।

খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬ আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৫৮টি, জমা পড়েছে ২৭৬টি। ঢাকা অঞ্চলের ৬ জেলার ৪১টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ৬৩৮টি, জমা পড়েছে ৪৪৪টি।

ময়মনসিংহের ৬টি জেলার ৩৮টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪০২টি, জমা পড়েছে ৩১১টি। সিলেটের ৪ জেলার ১৯টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছে ১৭৬টি, জমা পড়েছে ১৪৬টি। কুমিল্লার ৬ জেলার ৩৫টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ৪৯৬টি, জমা পড়েছে ৩৬৫টি। চট্টগ্রামের ৫ জেলার ২৩টি আসন থেকে বিতরণ করা হয়েছিল ২৯৩টি, জমা পড়েছে ১৯৪টি।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত, রিটার্নিং কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল করার সময় ৫ থেকে ৯ জানুয়ারি, আপিল নিষ্পত্তি ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ভোট শুরুর ৪৮ ঘণ্টা আগপর্যন্ত, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। সেদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: পি কে হালদারসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পি কে হালদার। ফাইল ছবি
পি কে হালদার। ফাইল ছবি

দেশের আর্থিক খাতের পাচারের অন্যতম হোতা এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৮ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দিয়া শিপিং লিমিটেড নামের একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৪৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এই চার্জশিট অনুমোদন করে কমিশন।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২০২২ সালের ১৯ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থাটির সহকারী পরিচালক রাকিবুল হায়াত বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক এমডি ও পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার, দিয়া শিপিং লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিবপ্রসাদ ব্যানার্জী, পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জী, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের চেয়ারম্যান এম এ হাফিজ, সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, পরিচালক অরুণ কুমার কুণ্ডু, অঞ্জন কুমার রায়, মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, উজ্জল কুমার নন্দী, সত্য গোপাল পোদ্দার এবং এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহরিয়ার।

তদন্তে আরও ছয়জনের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায় দুদক। তাঁরা হলেন ইটা অ্যান্ড টাইলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম নওশেরুল ইসলাম, দিয়া অয়েল লিমিটেডের এমডি বাসুদেব ব্যানার্জী, পরিচালক পূজা ব্যানার্জী, এমএসটি মেরিন সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেডার্স লিমিটেডের পরিচালক অমল চন্দ্র দাস, মমতাজ বেগম এবং বিডিএস অ্যাডজাস্টার্সের চিফ এক্সিকিউটিভ ইবনে মোফাজ্জল বারকি।

আসামিদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির মাধ্যমে এফএএস (ফাস) ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে অবৈধ উপায়ে ভুয়া ও কাগুজে প্রতিষ্ঠান দিয়া শিপিং লিমিটেডের নামে ঋণ হিসেবে ৪৪ কোটি টাকা গ্রহণ করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান মামলার অন্যতম আসামি এফএএস ফাইন্যান্সের সাবেক এম ডি রাসেল শাহরিয়ারকে ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে এই মামলায় তাঁকে কারাগারে পাঠায়।

কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বাংলাদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা পি কে হালদার। তিনি শিবশংকর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন।

২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে গ্রেপ্তার হন আরও পাঁচজন। পরে প্রশান্ত কুমার ওরফে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে পি কে হালদার ভারতের কারাগারে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যা মামলার তদন্ত-বিচারকাজে আইনি পরামর্শক হলেন সমাজী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি
এহসানুল হক সমাজী। ফাইল ছবি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় প্রসিকিউশন টিমকে আইনি পরামর্শ দিতে এহসানুল হক সমাজীকে স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজরের দায়িত্ব দিয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর সমাজীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদার সুবিধায় ওই দায়িত্ব দিয়ে আজ সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১২ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনী প্রচারণাকালে ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি আততায়ীর গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগরীর পল্টন থানায় ১৪ ডিসেম্বর মামলা হয়েছে। ডিএমপির অধীনে এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় মামলাটি দ্রুত তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাদি হত্যাকাণ্ডের মামলা তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বা তদন্তসংশ্লিষ্টদের এবং পরে আদালতে বিচারকালে বিচারসংশ্লিষ্ট প্রসিকিউশন টিমকে প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ দেওয়ার জন্য এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

৮ মিনিট দেরি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে অঝোরে কাঁদলেন এবি পার্টির প্রার্থী প্রত্যাশী

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

৪৭ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিল এনসিপি

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত