নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজপথে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের যেন শেষ নেই। এসব সামলানোর পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের অহেতুক হস্তক্ষেপে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। বাহিনীর কর্মকর্তারাই সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন এই পরিস্থিতির কথা। তবে পুলিশের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এক সভায় নিজেদের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন পুলিশের কর্মকর্তারা। সভায় দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকও ছিলেন সভায়।
পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের দাবি জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সভায় পুলিশের খাবার, আবাসন সংকট, সময় ঘণ্টা ও গাড়ির সংকট নিয়েও আলোচনা করেন কর্মকর্তারা।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম বলেন, পুলিশ বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে। এতে চাপে ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে হয়। পাশাপাশি পুলিশের তীব্র আবাসন সংকট রয়েছে। পুলিশের জন্য ঢাকার আশপাশে আবাসনের ব্যবস্থা করার কথা বলেন তিনি।
পুলিশকে বিভিন্ন দল, সরকার ও ব্যক্তি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার অনুরোধ জানান।
খুলনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, পুলিশকে কাজ করতে দিতে হবে। পুলিশকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
পুলিশের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব বলেন, বাহিনীর বদলি, পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়মমাফিক হওয়া উচিত। তিনি পুলিশ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং আশা প্রকাশ করেন, সংস্কারের মাধ্যমে বাহিনীর কার্যক্রম আরও সুশৃঙ্খল হবে।
পুলিশের এসব দাবিদাওয়া সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। তবে পুলিশের উচিত ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা। আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের কোনো ছাত্রসংগঠন বা বিশেষ দলের প্রতি অনুগত না থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় আইজিপি বাহারুল আলম পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দরকার। ওই কমিশনের অধীনে পুলিশ পরিচালিত হবে। কিন্তু পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এই বিষয় আসেনি বলেও তিনি জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি পুলিশকে ৯টি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—গুজব ছড়িয়ে মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। প্রচলিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য কমিউনিটিভিত্তিক কমিউনিটি/সোশ্যাল মোবিলাইজেশন করা দরকার। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে দায়ের মামলাগুলোতে বিশেষ মনিটরিং করতে হবে। অধীনস্থ পুলিশদের নজরদারিতে রাখতে হবে।
দেশ যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
দেশ যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত একটা যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। এই যুদ্ধ অবস্থা থেকে আমাদের জয়ে ফিরে আসতে হবে।’
নিত্য নতুনভাবে অপপ্রচার হবে, সবাইকে দ্বিধাগ্রস্ত করবে—এ মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা কোনো অপপ্রচার দেখলে মানুষকে সচেতন করার জন্য পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা বলছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই এর মধ্যে যা আমরা করতে চাই, যা আমাদের সামর্থ্য আছে, এগুলো করে ফেলা। আমাদের যত সংস্কার করার দরকার আছে, করে ফেলব। কারও জন্য অপেক্ষা করে আমাদের কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
নির্বাচনে পুলিশ নানা রকমের সমস্যায় পড়তে পারে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নানা রকম চাপ আসবে। সেখানে শক্ত থাকতে হবে, আইনের ভেতরে থাকতে হবে; যাতে করে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে, সে সরকার আইনের সরকার হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতন শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজপথে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের যেন শেষ নেই। এসব সামলানোর পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের অহেতুক হস্তক্ষেপে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। বাহিনীর কর্মকর্তারাই সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন এই পরিস্থিতির কথা। তবে পুলিশের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এক সভায় নিজেদের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন পুলিশের কর্মকর্তারা। সভায় দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটনের কমিশনার ও ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শকও ছিলেন সভায়।
পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের দাবি জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সভায় পুলিশের খাবার, আবাসন সংকট, সময় ঘণ্টা ও গাড়ির সংকট নিয়েও আলোচনা করেন কর্মকর্তারা।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম বলেন, পুলিশ বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দায়িত্ব পালন করে। এতে চাপে ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে হয়। পাশাপাশি পুলিশের তীব্র আবাসন সংকট রয়েছে। পুলিশের জন্য ঢাকার আশপাশে আবাসনের ব্যবস্থা করার কথা বলেন তিনি।
পুলিশকে বিভিন্ন দল, সরকার ও ব্যক্তি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছে উল্লেখ করে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার অনুরোধ জানান।
খুলনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, পুলিশকে কাজ করতে দিতে হবে। পুলিশকে প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে।
পুলিশের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব বলেন, বাহিনীর বদলি, পদোন্নতি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিয়মমাফিক হওয়া উচিত। তিনি পুলিশ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং আশা প্রকাশ করেন, সংস্কারের মাধ্যমে বাহিনীর কার্যক্রম আরও সুশৃঙ্খল হবে।
পুলিশের এসব দাবিদাওয়া সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার পুলিশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। তবে পুলিশের উচিত ভালো কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা। আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ সদস্যদের কোনো ছাত্রসংগঠন বা বিশেষ দলের প্রতি অনুগত না থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় আইজিপি বাহারুল আলম পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে হলে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দরকার। ওই কমিশনের অধীনে পুলিশ পরিচালিত হবে। কিন্তু পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে এই বিষয় আসেনি বলেও তিনি জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সারা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি পুলিশকে ৯টি বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—গুজব ছড়িয়ে মব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। প্রচলিত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য কমিউনিটিভিত্তিক কমিউনিটি/সোশ্যাল মোবিলাইজেশন করা দরকার। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে দায়ের মামলাগুলোতে বিশেষ মনিটরিং করতে হবে। অধীনস্থ পুলিশদের নজরদারিতে রাখতে হবে।
দেশ যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা
দেশ যুদ্ধাবস্থার মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত একটা যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আছি। এই যুদ্ধ অবস্থা থেকে আমাদের জয়ে ফিরে আসতে হবে।’
নিত্য নতুনভাবে অপপ্রচার হবে, সবাইকে দ্বিধাগ্রস্ত করবে—এ মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা কোনো অপপ্রচার দেখলে মানুষকে সচেতন করার জন্য পুলিশের প্রতি নির্দেশনা দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে খুব বেশি সময় নেই উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা বলছি ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। কাজেই এর মধ্যে যা আমরা করতে চাই, যা আমাদের সামর্থ্য আছে, এগুলো করে ফেলা। আমাদের যত সংস্কার করার দরকার আছে, করে ফেলব। কারও জন্য অপেক্ষা করে আমাদের কোনো ফায়দা হবে না। কাজটা করতে হবে এবং সেটা আমাদের প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।’
নির্বাচনে পুলিশ নানা রকমের সমস্যায় পড়তে পারে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নানা রকম চাপ আসবে। সেখানে শক্ত থাকতে হবে, আইনের ভেতরে থাকতে হবে; যাতে করে যে সরকার নির্বাচিত হয়ে আসবে, সে সরকার আইনের সরকার হয়।
প্রধান উপদেষ্টার সম্প্রতি চীন সফরের ফলাফল পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ-চীন সহযোগিতা দ্রুততর করতে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তাঁরা এ সাক্ষাৎ করেন।
৫ ঘণ্টা আগেএজেন্সিগুলোর গাফিলতির কারণে চলতি বছর প্রায় সাড়ে ১০ হাজার ব্যক্তির হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে ধর্ম উপদেষ্টার হুঁশিয়ারির পর তৎপরতা বাড়িয়েছে এজেন্সিগুলো। এতে অনিশ্চয়তা প্রায় কেটে গেছে। হজযাত্রীদের ভিসাপ্রক্রিয়াও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকোর মহাপরিচালক পদে (২০২৫-২৯) মেক্সিকোর প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাটিনা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। আজ রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। এ সময় মেক্সিকোর অনাবাসিক
৬ ঘণ্টা আগেজুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পদোন্নতি–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আবেদনটি আগামী ১৮ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির...
৮ ঘণ্টা আগে