কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে শুরু করবে, এমন আশাবাদ ছিল সরকারের। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সুযোগে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের পালে জোর হাওয়া লাগার আশা জাগে সরকারের অনেকের ভেতর। কিন্তু বাস্তবে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তির কারও সঙ্গেই সম্পর্ক তেমন এগোচ্ছে না।
তিন দেশের কূটনীতিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত শুরু থেকেই খুব প্রয়োজন না হলে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নেয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশে সরকারের ভেতরে-বাইরে ধীরে হলেও নির্বাচনের হাওয়া বইছে। কয়েকটি দল এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। এখন ভারতের পাশাপাশি চীনও নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে, তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করছেন, দিল্লি থেকে একের পর এক বিভ্রান্তিকর সংকেত আসছে। ভারতের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পর্ক মেরামতের’ পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মাঝেমধ্যে ভালো ভালো কথা বলে। কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার উল্টো। পুশ ইন ও সীমান্ত হত্যা চলছে। নিয়মিত কিছু বৈঠক চেয়েও কোনো সাড়া মেলে না। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্পর্কের বরফ গলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারের বাইরের বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, বাংলাদেশের চারদিকে ভারত থাকায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সমালোচনার ভয়ে সরকার সেদিকে যাচ্ছে না। এর বাইরে চীনসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি নেই।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারও সঙ্গেই সম্পর্ক খুব একটা এগোচ্ছে না। সরকারের নামই যখন অন্তর্বর্তী সরকার, তখন সবাই বোঝে, এ সরকার সীমিত সময়ের জন্য। এ কারণে দেশগুলো নিয়মিত সরকারের মতো এ সরকারকে গণ্য করে না; এটাই স্বাভাবিক।
চীনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা এই কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার এলেও তারা কতটা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, সে বিষয়েও বিদেশিদের মধ্যে প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে প্রায় সব দেশ নির্বাচিত নিয়মিত সরকার দায়িত্বে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি গত ৪ এপ্রিল ব্যাংককের বৈঠকে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর সংকেত আসার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এক কূটনীতিক বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৬ জুন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ভালো করার’ চেষ্টার কথা ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান। পরদিন (২৭ জুন) দিল্লি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিন ধরনের সংকেত এসেছে।
তৌহিদ হোসেনের মন্তব্যকে সূত্র করে দিল্লিতে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ২৭ জুন বলেন, অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে ভারত সরকার প্রস্তুত। বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু সমাধানেও ভারত সরকার অপেক্ষা করছে।
একই দিন (২৭ জুন) দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ আতা হাসনাইন ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অমিতাভ মাতো।
কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী কংগ্রেস নেতা ও এমপি শশী থারুর বৈঠকের পর দিল্লির গণমাধ্যমকে জানান, বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তাঁদের অভিমত দিয়েছেন। তাঁরা ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকের সংখ্যা কমে আসার কথা জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর নতুন বাস্তবতা বুঝে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামত করা দরকার। বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হলেও ইউনূসের সরকারের সঙ্গে ভারতকে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ তৈরি করতে হবে।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘চীন-পাকিস্তান চক্র’ অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উপায়ে যেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান টানাপোড়েনের সম্পর্কের ওপর পড়বে। পাকিস্তানকে ভারত যেভাবে দেখে, বাংলাদেশকে একই দৃষ্টিতে না দেখার ওপরও তাঁরা জোর দেন। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা নেতিবাচক।
সেদিনই (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেসব পণ্যের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেগুলো হলো কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। তবে শুধু মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতে যেতে পারবে। অথচ এসব পণ্য সাধারণত স্থলবন্দর হয়েই রপ্তানি হয়ে থাকে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৯ বাংলাদেশি পণ্য ভারতের স্থলবন্দর হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব পণ্য ব্যবহার করে তৈরি হওয়া পণ্য দেশ দুটি অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারবে না।
এই নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারত তিন মাসে তিন দফা বিধিনিষেধ আরোপ করল। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা, সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় বাংলাদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর গত ৭ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা ভারত সরকার প্রত্যাহার করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশটি থেকে স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির ওপর আসা বিধিনিষেধের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত।
বাংলাভাষী ভারতীয়দের বাংলাদেশে পুশ ইন করার বিপক্ষে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সার্বিকভাবে পুশ ইন বন্ধ হয়নি। পুশ ইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য কনস্যুলার সংলাপ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। এর বাইরে অনেকগুলো নিয়মিত বৈঠকও আটকে আছে ভারতের অনাগ্রহে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে ভারত সরকারের মন্তব্য করাকেও এখানে সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতিগত অবস্থান হিসেবেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সেটাই করে চলেছে।
১৯৯৬ সালে ৩০ বছরের জন্য সই হওয়া গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর (২০২৬) শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে শেখ হাসিনার সর্বশেষ সফরে চুক্তিটি পর্যালোচনার বিষয়টি আসে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বিষয়টি আর এগোয়নি।
ভারতে অথবা ভারত হয়ে অন্য দেশে রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি ভারত থেকে মানুষের পুশ ইন, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্থানীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে গণ্য করছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার আশাবাদের কথা জানান।
এর তিন মাসের মাথায় গত সপ্তাহে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটি সফর করে এলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরুর আশাবাদের কথা চীনা নেতারা তাঁদের জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চীন আশা করছে, একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তারা আরও গভীর, আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে পারবে।’
বিএনপি নেতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকটিতেও চীনাদের আগ্রহ আছে।
চীনের এক কূটনীতিক বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক বজায় থাকা তিন দেশের জন্যই প্রয়োজন। এতে চীনেরও স্বার্থ আছে। সেটা হলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা। এ ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা দরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে শুরু করবে, এমন আশাবাদ ছিল সরকারের। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সুযোগে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের পালে জোর হাওয়া লাগার আশা জাগে সরকারের অনেকের ভেতর। কিন্তু বাস্তবে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তির কারও সঙ্গেই সম্পর্ক তেমন এগোচ্ছে না।
তিন দেশের কূটনীতিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত শুরু থেকেই খুব প্রয়োজন না হলে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নেয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশে সরকারের ভেতরে-বাইরে ধীরে হলেও নির্বাচনের হাওয়া বইছে। কয়েকটি দল এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। এখন ভারতের পাশাপাশি চীনও নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে, তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করছেন, দিল্লি থেকে একের পর এক বিভ্রান্তিকর সংকেত আসছে। ভারতের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পর্ক মেরামতের’ পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মাঝেমধ্যে ভালো ভালো কথা বলে। কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার উল্টো। পুশ ইন ও সীমান্ত হত্যা চলছে। নিয়মিত কিছু বৈঠক চেয়েও কোনো সাড়া মেলে না। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্পর্কের বরফ গলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারের বাইরের বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, বাংলাদেশের চারদিকে ভারত থাকায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সমালোচনার ভয়ে সরকার সেদিকে যাচ্ছে না। এর বাইরে চীনসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি নেই।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারও সঙ্গেই সম্পর্ক খুব একটা এগোচ্ছে না। সরকারের নামই যখন অন্তর্বর্তী সরকার, তখন সবাই বোঝে, এ সরকার সীমিত সময়ের জন্য। এ কারণে দেশগুলো নিয়মিত সরকারের মতো এ সরকারকে গণ্য করে না; এটাই স্বাভাবিক।
চীনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা এই কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার এলেও তারা কতটা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, সে বিষয়েও বিদেশিদের মধ্যে প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে প্রায় সব দেশ নির্বাচিত নিয়মিত সরকার দায়িত্বে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি গত ৪ এপ্রিল ব্যাংককের বৈঠকে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর সংকেত আসার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এক কূটনীতিক বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৬ জুন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ভালো করার’ চেষ্টার কথা ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান। পরদিন (২৭ জুন) দিল্লি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিন ধরনের সংকেত এসেছে।
তৌহিদ হোসেনের মন্তব্যকে সূত্র করে দিল্লিতে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ২৭ জুন বলেন, অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে ভারত সরকার প্রস্তুত। বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু সমাধানেও ভারত সরকার অপেক্ষা করছে।
একই দিন (২৭ জুন) দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ আতা হাসনাইন ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অমিতাভ মাতো।
কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী কংগ্রেস নেতা ও এমপি শশী থারুর বৈঠকের পর দিল্লির গণমাধ্যমকে জানান, বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তাঁদের অভিমত দিয়েছেন। তাঁরা ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকের সংখ্যা কমে আসার কথা জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর নতুন বাস্তবতা বুঝে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামত করা দরকার। বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হলেও ইউনূসের সরকারের সঙ্গে ভারতকে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ তৈরি করতে হবে।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘চীন-পাকিস্তান চক্র’ অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উপায়ে যেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান টানাপোড়েনের সম্পর্কের ওপর পড়বে। পাকিস্তানকে ভারত যেভাবে দেখে, বাংলাদেশকে একই দৃষ্টিতে না দেখার ওপরও তাঁরা জোর দেন। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা নেতিবাচক।
সেদিনই (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেসব পণ্যের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেগুলো হলো কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। তবে শুধু মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতে যেতে পারবে। অথচ এসব পণ্য সাধারণত স্থলবন্দর হয়েই রপ্তানি হয়ে থাকে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৯ বাংলাদেশি পণ্য ভারতের স্থলবন্দর হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব পণ্য ব্যবহার করে তৈরি হওয়া পণ্য দেশ দুটি অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারবে না।
এই নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারত তিন মাসে তিন দফা বিধিনিষেধ আরোপ করল। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা, সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় বাংলাদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর গত ৭ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা ভারত সরকার প্রত্যাহার করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশটি থেকে স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির ওপর আসা বিধিনিষেধের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত।
বাংলাভাষী ভারতীয়দের বাংলাদেশে পুশ ইন করার বিপক্ষে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সার্বিকভাবে পুশ ইন বন্ধ হয়নি। পুশ ইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য কনস্যুলার সংলাপ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। এর বাইরে অনেকগুলো নিয়মিত বৈঠকও আটকে আছে ভারতের অনাগ্রহে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে ভারত সরকারের মন্তব্য করাকেও এখানে সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতিগত অবস্থান হিসেবেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সেটাই করে চলেছে।
১৯৯৬ সালে ৩০ বছরের জন্য সই হওয়া গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর (২০২৬) শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে শেখ হাসিনার সর্বশেষ সফরে চুক্তিটি পর্যালোচনার বিষয়টি আসে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বিষয়টি আর এগোয়নি।
ভারতে অথবা ভারত হয়ে অন্য দেশে রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি ভারত থেকে মানুষের পুশ ইন, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্থানীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে গণ্য করছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার আশাবাদের কথা জানান।
এর তিন মাসের মাথায় গত সপ্তাহে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটি সফর করে এলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরুর আশাবাদের কথা চীনা নেতারা তাঁদের জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চীন আশা করছে, একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তারা আরও গভীর, আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে পারবে।’
বিএনপি নেতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকটিতেও চীনাদের আগ্রহ আছে।
চীনের এক কূটনীতিক বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক বজায় থাকা তিন দেশের জন্যই প্রয়োজন। এতে চীনেরও স্বার্থ আছে। সেটা হলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা। এ ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা দরকার।
কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে শুরু করবে, এমন আশাবাদ ছিল সরকারের। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সুযোগে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের পালে জোর হাওয়া লাগার আশা জাগে সরকারের অনেকের ভেতর। কিন্তু বাস্তবে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তির কারও সঙ্গেই সম্পর্ক তেমন এগোচ্ছে না।
তিন দেশের কূটনীতিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত শুরু থেকেই খুব প্রয়োজন না হলে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নেয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশে সরকারের ভেতরে-বাইরে ধীরে হলেও নির্বাচনের হাওয়া বইছে। কয়েকটি দল এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। এখন ভারতের পাশাপাশি চীনও নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে, তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করছেন, দিল্লি থেকে একের পর এক বিভ্রান্তিকর সংকেত আসছে। ভারতের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পর্ক মেরামতের’ পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মাঝেমধ্যে ভালো ভালো কথা বলে। কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার উল্টো। পুশ ইন ও সীমান্ত হত্যা চলছে। নিয়মিত কিছু বৈঠক চেয়েও কোনো সাড়া মেলে না। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্পর্কের বরফ গলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারের বাইরের বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, বাংলাদেশের চারদিকে ভারত থাকায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সমালোচনার ভয়ে সরকার সেদিকে যাচ্ছে না। এর বাইরে চীনসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি নেই।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারও সঙ্গেই সম্পর্ক খুব একটা এগোচ্ছে না। সরকারের নামই যখন অন্তর্বর্তী সরকার, তখন সবাই বোঝে, এ সরকার সীমিত সময়ের জন্য। এ কারণে দেশগুলো নিয়মিত সরকারের মতো এ সরকারকে গণ্য করে না; এটাই স্বাভাবিক।
চীনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা এই কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার এলেও তারা কতটা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, সে বিষয়েও বিদেশিদের মধ্যে প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে প্রায় সব দেশ নির্বাচিত নিয়মিত সরকার দায়িত্বে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি গত ৪ এপ্রিল ব্যাংককের বৈঠকে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর সংকেত আসার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এক কূটনীতিক বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৬ জুন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ভালো করার’ চেষ্টার কথা ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান। পরদিন (২৭ জুন) দিল্লি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিন ধরনের সংকেত এসেছে।
তৌহিদ হোসেনের মন্তব্যকে সূত্র করে দিল্লিতে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ২৭ জুন বলেন, অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে ভারত সরকার প্রস্তুত। বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু সমাধানেও ভারত সরকার অপেক্ষা করছে।
একই দিন (২৭ জুন) দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ আতা হাসনাইন ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অমিতাভ মাতো।
কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী কংগ্রেস নেতা ও এমপি শশী থারুর বৈঠকের পর দিল্লির গণমাধ্যমকে জানান, বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তাঁদের অভিমত দিয়েছেন। তাঁরা ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকের সংখ্যা কমে আসার কথা জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর নতুন বাস্তবতা বুঝে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামত করা দরকার। বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হলেও ইউনূসের সরকারের সঙ্গে ভারতকে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ তৈরি করতে হবে।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘চীন-পাকিস্তান চক্র’ অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উপায়ে যেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান টানাপোড়েনের সম্পর্কের ওপর পড়বে। পাকিস্তানকে ভারত যেভাবে দেখে, বাংলাদেশকে একই দৃষ্টিতে না দেখার ওপরও তাঁরা জোর দেন। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা নেতিবাচক।
সেদিনই (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেসব পণ্যের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেগুলো হলো কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। তবে শুধু মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতে যেতে পারবে। অথচ এসব পণ্য সাধারণত স্থলবন্দর হয়েই রপ্তানি হয়ে থাকে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৯ বাংলাদেশি পণ্য ভারতের স্থলবন্দর হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব পণ্য ব্যবহার করে তৈরি হওয়া পণ্য দেশ দুটি অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারবে না।
এই নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারত তিন মাসে তিন দফা বিধিনিষেধ আরোপ করল। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা, সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় বাংলাদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর গত ৭ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা ভারত সরকার প্রত্যাহার করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশটি থেকে স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির ওপর আসা বিধিনিষেধের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত।
বাংলাভাষী ভারতীয়দের বাংলাদেশে পুশ ইন করার বিপক্ষে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সার্বিকভাবে পুশ ইন বন্ধ হয়নি। পুশ ইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য কনস্যুলার সংলাপ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। এর বাইরে অনেকগুলো নিয়মিত বৈঠকও আটকে আছে ভারতের অনাগ্রহে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে ভারত সরকারের মন্তব্য করাকেও এখানে সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতিগত অবস্থান হিসেবেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সেটাই করে চলেছে।
১৯৯৬ সালে ৩০ বছরের জন্য সই হওয়া গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর (২০২৬) শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে শেখ হাসিনার সর্বশেষ সফরে চুক্তিটি পর্যালোচনার বিষয়টি আসে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বিষয়টি আর এগোয়নি।
ভারতে অথবা ভারত হয়ে অন্য দেশে রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি ভারত থেকে মানুষের পুশ ইন, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্থানীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে গণ্য করছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার আশাবাদের কথা জানান।
এর তিন মাসের মাথায় গত সপ্তাহে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটি সফর করে এলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরুর আশাবাদের কথা চীনা নেতারা তাঁদের জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চীন আশা করছে, একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তারা আরও গভীর, আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে পারবে।’
বিএনপি নেতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকটিতেও চীনাদের আগ্রহ আছে।
চীনের এক কূটনীতিক বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক বজায় থাকা তিন দেশের জন্যই প্রয়োজন। এতে চীনেরও স্বার্থ আছে। সেটা হলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা। এ ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা দরকার।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে শুরু করবে, এমন আশাবাদ ছিল সরকারের। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের সুযোগে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের পালে জোর হাওয়া লাগার আশা জাগে সরকারের অনেকের ভেতর। কিন্তু বাস্তবে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তির কারও সঙ্গেই সম্পর্ক তেমন এগোচ্ছে না।
তিন দেশের কূটনীতিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পর ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ভারত শুরু থেকেই খুব প্রয়োজন না হলে দূরত্ব বজায় রাখার কৌশল নেয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা আসার পর বাংলাদেশে সরকারের ভেতরে-বাইরে ধীরে হলেও নির্বাচনের হাওয়া বইছে। কয়েকটি দল এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী প্রচারও শুরু করে দিয়েছে। এখন ভারতের পাশাপাশি চীনও নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার আসবে, তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা মনে করছেন, দিল্লি থেকে একের পর এক বিভ্রান্তিকর সংকেত আসছে। ভারতের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সম্পর্ক মেরামতের’ পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও মাঝেমধ্যে ভালো ভালো কথা বলে। কিন্তু বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার উল্টো। পুশ ইন ও সীমান্ত হত্যা চলছে। নিয়মিত কিছু বৈঠক চেয়েও কোনো সাড়া মেলে না। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্পর্কের বরফ গলানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
সরকারের বাইরের বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করছেন, বাংলাদেশের চারদিকে ভারত থাকায় দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও সমালোচনার ভয়ে সরকার সেদিকে যাচ্ছে না। এর বাইরে চীনসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কেও বাস্তবে তেমন অগ্রগতি নেই।
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, কারও সঙ্গেই সম্পর্ক খুব একটা এগোচ্ছে না। সরকারের নামই যখন অন্তর্বর্তী সরকার, তখন সবাই বোঝে, এ সরকার সীমিত সময়ের জন্য। এ কারণে দেশগুলো নিয়মিত সরকারের মতো এ সরকারকে গণ্য করে না; এটাই স্বাভাবিক।
চীনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা এই কূটনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকার এলেও তারা কতটা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে, সে বিষয়েও বিদেশিদের মধ্যে প্রশ্ন আছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। এ কারণে প্রায় সব দেশ নির্বাচিত নিয়মিত সরকার দায়িত্বে আসার জন্য অপেক্ষা করছে।
মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি গত ৪ এপ্রিল ব্যাংককের বৈঠকে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে দিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর সংকেত আসার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে এক কূটনীতিক বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গত ২৬ জুন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ‘ভালো করার’ চেষ্টার কথা ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান। পরদিন (২৭ জুন) দিল্লি থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তিন ধরনের সংকেত এসেছে।
তৌহিদ হোসেনের মন্তব্যকে সূত্র করে দিল্লিতে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ২৭ জুন বলেন, অনুকূল পরিবেশে বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে ভারত সরকার প্রস্তুত। বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা বিভিন্ন ইস্যু সমাধানেও ভারত সরকার অপেক্ষা করছে।
একই দিন (২৭ জুন) দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলেন দেশটির সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, বাংলাদেশে সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস, অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ আতা হাসনাইন ও জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অমিতাভ মাতো।
কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী কংগ্রেস নেতা ও এমপি শশী থারুর বৈঠকের পর দিল্লির গণমাধ্যমকে জানান, বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে তাঁদের অভিমত দিয়েছেন। তাঁরা ভারতে যাওয়া বাংলাদেশের নাগরিকের সংখ্যা কমে আসার কথা জানান।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ক্ষমতাকাঠামোর নতুন বাস্তবতা বুঝে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক মেরামত করা দরকার। বেসরকারি খাতের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হলেও ইউনূসের সরকারের সঙ্গে ভারতকে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে ভারতের স্বার্থ তৈরি করতে হবে।
ভারতীয় বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ‘চীন-পাকিস্তান চক্র’ অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন উপায়ে যেভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা বাড়াচ্ছে, তার প্রভাব বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান টানাপোড়েনের সম্পর্কের ওপর পড়বে। পাকিস্তানকে ভারত যেভাবে দেখে, বাংলাদেশকে একই দৃষ্টিতে না দেখার ওপরও তাঁরা জোর দেন। তাঁরা মনে করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা নেতিবাচক।
সেদিনই (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ৯ ধরনের পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেসব পণ্যের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা এসেছে, সেগুলো হলো কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড়। তবে শুধু মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য ভারতে যেতে পারবে। অথচ এসব পণ্য সাধারণত স্থলবন্দর হয়েই রপ্তানি হয়ে থাকে।
সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এই ৯ বাংলাদেশি পণ্য ভারতের স্থলবন্দর হয়ে নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এসব পণ্য ব্যবহার করে তৈরি হওয়া পণ্য দেশ দুটি অন্য দেশে রপ্তানি করতে পারবে না।
এই নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে ভারত তিন মাসে তিন দফা বিধিনিষেধ আরোপ করল। এর আগে গত ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা, সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় বাংলাদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আর গত ৭ এপ্রিল ভারতের কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা ভারত সরকার প্রত্যাহার করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, দেশটি থেকে স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে রপ্তানির ওপর আসা বিধিনিষেধের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত।
বাংলাভাষী ভারতীয়দের বাংলাদেশে পুশ ইন করার বিপক্ষে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সার্বিকভাবে পুশ ইন বন্ধ হয়নি। পুশ ইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলার জন্য কনস্যুলার সংলাপ চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ বিষয়ে ভারতের দিক থেকে কোনো সাড়া নেই। এর বাইরে অনেকগুলো নিয়মিত বৈঠকও আটকে আছে ভারতের অনাগ্রহে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও নৃতাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠীর বিষয়ে ভারত সরকারের মন্তব্য করাকেও এখানে সরকার ভালোভাবে নিচ্ছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নীতিগত অবস্থান হিসেবেই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করা হয় না। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ সেটাই করে চলেছে।
১৯৯৬ সালে ৩০ বছরের জন্য সই হওয়া গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগি চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর (২০২৬) শেষ হচ্ছে। ২০২৪ সালের জুনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভারতে শেখ হাসিনার সর্বশেষ সফরে চুক্তিটি পর্যালোচনার বিষয়টি আসে। দুই দেশের বিশেষজ্ঞদের এ বিষয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর বিষয়টি আর এগোয়নি।
ভারতে অথবা ভারত হয়ে অন্য দেশে রপ্তানিতে বাধা সৃষ্টির পাশাপাশি ভারত থেকে মানুষের পুশ ইন, সীমান্ত হত্যাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপকে স্থানীয় কর্মকর্তারা বাংলাদেশের ওপর চাপ তৈরির কৌশল হিসেবে গণ্য করছেন।
মুহাম্মদ ইউনূস গত ২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার আশাবাদের কথা জানান।
এর তিন মাসের মাথায় গত সপ্তাহে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে দেশটি সফর করে এলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ঢাকায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কার্যক্রম শুরুর আশাবাদের কথা চীনা নেতারা তাঁদের জানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, ‘চীন আশা করছে, একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তারা আরও গভীর, আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে পারবে।’
বিএনপি নেতার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক বজায় রাখার দিকটিতেও চীনাদের আগ্রহ আছে।
চীনের এক কূটনীতিক বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভালো সম্পর্ক বজায় থাকা তিন দেশের জন্যই প্রয়োজন। এতে চীনেরও স্বার্থ আছে। সেটা হলো আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকা। এ ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকা দরকার।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৩ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনী কার্যক্রমের এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটের কাজে কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইসি।
এর আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠি দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে পাঠানো চিঠিতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বিধান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা ও এ জন্য বাজেট প্রণয়ন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুত করা, ভুল তথ্য ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমোদন ও নিরাপত্তা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের তাগিদ দেওয়া হয়।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং প্রয়োজনে বেসরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং গণমাধ্যমের বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক আসবেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে ভিসা প্রসেসিংসহ সব বিষয়ে সচিবের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বিগত সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য যেভাবে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়েছিল, এবারও তা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবদের কাছে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালানো ও জনসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিবকে পাঠানো চিঠিতে পোস্টাল ভোটের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, ডাক বিভাগকে সমন্বয় ও গোপনীয়তা বজায় রেখে পোস্টাল ব্যালট দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া এবং ফেরত আনার কাজ সুষ্ঠুভাবে করতে হবে।
এ ছাড়া আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে দেওয়া চিঠিতে ইসি জানায়, ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সংস্কার এবং কেন্দ্রে যাতায়াতের ভাঙা ও সংকীর্ণ রাস্তা মেরামতের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে ইসির সম্মতির প্রয়োজন হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে
০১ জুলাই ২০২৫
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৩ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সারা দেশে কর্মরত জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে অভিভাষণ দেবেন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে এই অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে আজ রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের এক স্মারকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে আয়োজিত প্রধান বিচারপতির অভিভাষণ দেওয়া অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য দেশের সব জেলার জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে শপথবাক্য পড়ান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে
০১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৩ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জানান, গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য প্রায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের ব্যবসায়ী সমাজ নতুন নতুন খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই ঢাকা-করাচি সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার জানান, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানো টেকনোলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে পড়ার বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
লিভার ও কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের পাকিস্তানে যাওয়ার হার বাড়ছে উল্লেখ করে ইমরান হায়দার বলেন, পাকিস্তান এ-সংক্রান্ত বিশেষায়িত চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের সুযোগ দিতে প্রস্তুত।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান যোগাযোগকে স্বাগত জানান। তিনি সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক এবং সরাসরি জনযোগাযোগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দারের দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের মধ্যে যৌথ বিনিয়োগের নতুন দুয়ার উন্মোচিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-বিষয়ক (এসডিজি) সমন্বয়কারী ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে
০১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

ঘন কুয়াশার কারণে আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদপুর ও দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সব ধরনের নৌযান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
আজ বিআইডব্লিউটিএর জারি করা এক বিশেষ নৌ চলাচল বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে যেসব লঞ্চ নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রাপথে রয়েছে, সেসবসহ অন্য সব নৌযানকে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বিধিমালা, ১৯৭৬ অনুসরণ করে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ ও বরিশালগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ নামে দুই লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় চার যাত্রী নিহত হন এবং আহত হন বেশ কয়েকজন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিন মাস আগে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কথা হয়েছিল চীন ও ভারতের দুই শীর্ষ নেতার। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে, তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে অন্তত বরফ গলতে
০১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। আজ রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৩০০ আসন থেকে ৩ হাজার ১৪৪ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। আর জমা দিয়েছেন ১৬৬ জন।
২ ঘণ্টা আগে
আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটরিয়ামে অভিভাষণ দেবেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে
৩ ঘণ্টা আগে