তানিম আহমেদ, ঢাকা

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতেও কাটছে না সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে অনিশ্চয়তা।
১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে—গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হয়, সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের জন্য বুধবারের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতপার্থক্য কমানোর জন্যই দুই দিন পেছানো হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যেখানে ৮৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে দলগুলোর আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ করা আছে। সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আপত্তিসহ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা। অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলগুলো স্বাক্ষরে ইতিবাচক থাকলেও জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য ও বাস্তবায়নের সুপারিশ দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
তবে সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। দলগুলোকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবেন বলে জানান তিনি। আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলগুলোর বক্তব্য আমরা আমলে নিয়েছি। জাতীয় সনদে ভিন্নমত থাকবে। সেটার কারণ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কী কারণে আপত্তি, সেটা উল্লেখ করেছি। ফলে দলিলে দলগুলোর অবস্থান সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। ফলে আমরা আশা করি এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব রাজনৈতিক দল সনদে স্বাক্ষর করবে।’
জুলাই সনদকে বিএনপি ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সনদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষরে জামায়াত ইতিবাচক হলেও দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত করিনি। এখনো তো সময় আছে। তাড়াহুড়ো নেই। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আপত্তি বিবেচনা করে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। কিন্তু সনদের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করব।’
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদে মূলনীতির অংশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার বিপক্ষে সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী, গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ। তারা সনদে আপত্তির বিষয়গুলো থাকলে স্বাক্ষর না করার কথা বলছে। এ ছাড়া কমিশনের নতুন প্রস্তাবিত সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদ বাতিলের বিপক্ষেও দলগুলো। যেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) অপসারণের কথা বলা আছে। বিষয়গুলো নিয়ে আজ দলগুলো বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য আমাদের মনমতো হলে স্বাক্ষর করব, না হলে করব না।’
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, ‘জুলাই সনদে যদি সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া বিষয়গুলো থাকে, তাহলে আমরা স্বাক্ষর করব। নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে কমিশন। সেখানে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও দিনক্ষণ নিয়ে দ্বিমত ছিল। বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল ভোটের আগেই গণভোট চেয়েছে।
গণভোটের প্রশ্ন নিয়েও দলগুলোর মতভিন্নতা আছে। কমিশন প্রথমে ‘একমত ও আপত্তি’ নিয়ে দুটো প্রশ্নে গণভোট করার চিন্তা করেছিল। দুটি আলাদা প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে এগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না। তবে এখন কমিশন একটি প্রশ্ন রাখার চিন্তা করছে। সূত্র জানায়, সেটি হলো পুরো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চান কি না? সেখানে ভিন্নমতসহ যেসব সিদ্ধান্ত আছে, সেগুলোও থাকবে। যদি ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হয়, তাহলে ৮৪টি প্রস্তাবে যেভাবে ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। ভিন্নমত সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে না। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জুলাই ঘোষণাপত্রের অধীনে বিশেষ আদেশের ভিত্তিতে এ গণভোট করার সুপারিশ করবে কমিশন।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে কমিশন। এর মধ্যে গত শনিবার ও গতকাল রোববার জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করে কমিশন। এ ছাড়া শনিবার এনসিপির সঙ্গে এবং গতকাল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকেও গণভোটের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেনি দলগুলো। তবে, কমিশন আশা করছে, গণভোটের ভিত্তি, গণভোটের বিষয় ও সময় নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতা কমে আসবে। কমিশন চারটি বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে, গণভোট করা, কিসের ভিত্তিতে গণভোট, গণভোটে কী থাকবে এবং গণভোট কখন হবে।
গতকাল দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ভোটের দিন গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরেন তিনি। সেখানে একই দিন গণভোট করলে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে ভোট গ্রহণের হার কম হবে বলেও যুক্তি দেন সালাহউদ্দিন।
এ দিন বিকেলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে কমিশনের সদস্যরা দ্বিতীয় দিনের বৈঠক করেন। সেখানে নেতারা ভোটের আগে গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরে বলে জানা গেছে। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।’
অনানুষ্ঠানিক আলাপের বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, যাতে করে মতপার্থক্য কমিয়ে এনে দ্রুত সনদ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়।’
গণভোটের পরেও জুলাই সনদ সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতার সুপারিশ করবে কমিশন। সূত্রে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদের ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে তারা। তা না হলে সংস্কার ঝুলে যাবে। কমিশন মনে করে, প্রথম অধিবেশনে সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো পাস করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে সংসদ গঠিত হওয়ার বা আগামী সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে এ সময় আরও বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতেও কাটছে না সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে অনিশ্চয়তা।
১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে—গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হয়, সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের জন্য বুধবারের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতপার্থক্য কমানোর জন্যই দুই দিন পেছানো হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যেখানে ৮৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে দলগুলোর আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ করা আছে। সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আপত্তিসহ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা। অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলগুলো স্বাক্ষরে ইতিবাচক থাকলেও জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য ও বাস্তবায়নের সুপারিশ দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
তবে সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। দলগুলোকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবেন বলে জানান তিনি। আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলগুলোর বক্তব্য আমরা আমলে নিয়েছি। জাতীয় সনদে ভিন্নমত থাকবে। সেটার কারণ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কী কারণে আপত্তি, সেটা উল্লেখ করেছি। ফলে দলিলে দলগুলোর অবস্থান সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। ফলে আমরা আশা করি এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব রাজনৈতিক দল সনদে স্বাক্ষর করবে।’
জুলাই সনদকে বিএনপি ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সনদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষরে জামায়াত ইতিবাচক হলেও দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত করিনি। এখনো তো সময় আছে। তাড়াহুড়ো নেই। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আপত্তি বিবেচনা করে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। কিন্তু সনদের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করব।’
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদে মূলনীতির অংশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার বিপক্ষে সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী, গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ। তারা সনদে আপত্তির বিষয়গুলো থাকলে স্বাক্ষর না করার কথা বলছে। এ ছাড়া কমিশনের নতুন প্রস্তাবিত সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদ বাতিলের বিপক্ষেও দলগুলো। যেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) অপসারণের কথা বলা আছে। বিষয়গুলো নিয়ে আজ দলগুলো বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য আমাদের মনমতো হলে স্বাক্ষর করব, না হলে করব না।’
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, ‘জুলাই সনদে যদি সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া বিষয়গুলো থাকে, তাহলে আমরা স্বাক্ষর করব। নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে কমিশন। সেখানে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও দিনক্ষণ নিয়ে দ্বিমত ছিল। বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল ভোটের আগেই গণভোট চেয়েছে।
গণভোটের প্রশ্ন নিয়েও দলগুলোর মতভিন্নতা আছে। কমিশন প্রথমে ‘একমত ও আপত্তি’ নিয়ে দুটো প্রশ্নে গণভোট করার চিন্তা করেছিল। দুটি আলাদা প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে এগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না। তবে এখন কমিশন একটি প্রশ্ন রাখার চিন্তা করছে। সূত্র জানায়, সেটি হলো পুরো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চান কি না? সেখানে ভিন্নমতসহ যেসব সিদ্ধান্ত আছে, সেগুলোও থাকবে। যদি ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হয়, তাহলে ৮৪টি প্রস্তাবে যেভাবে ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। ভিন্নমত সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে না। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জুলাই ঘোষণাপত্রের অধীনে বিশেষ আদেশের ভিত্তিতে এ গণভোট করার সুপারিশ করবে কমিশন।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে কমিশন। এর মধ্যে গত শনিবার ও গতকাল রোববার জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করে কমিশন। এ ছাড়া শনিবার এনসিপির সঙ্গে এবং গতকাল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকেও গণভোটের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেনি দলগুলো। তবে, কমিশন আশা করছে, গণভোটের ভিত্তি, গণভোটের বিষয় ও সময় নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতা কমে আসবে। কমিশন চারটি বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে, গণভোট করা, কিসের ভিত্তিতে গণভোট, গণভোটে কী থাকবে এবং গণভোট কখন হবে।
গতকাল দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ভোটের দিন গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরেন তিনি। সেখানে একই দিন গণভোট করলে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে ভোট গ্রহণের হার কম হবে বলেও যুক্তি দেন সালাহউদ্দিন।
এ দিন বিকেলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে কমিশনের সদস্যরা দ্বিতীয় দিনের বৈঠক করেন। সেখানে নেতারা ভোটের আগে গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরে বলে জানা গেছে। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।’
অনানুষ্ঠানিক আলাপের বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, যাতে করে মতপার্থক্য কমিয়ে এনে দ্রুত সনদ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়।’
গণভোটের পরেও জুলাই সনদ সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতার সুপারিশ করবে কমিশন। সূত্রে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদের ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে তারা। তা না হলে সংস্কার ঝুলে যাবে। কমিশন মনে করে, প্রথম অধিবেশনে সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো পাস করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে সংসদ গঠিত হওয়ার বা আগামী সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে এ সময় আরও বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।
তানিম আহমেদ, ঢাকা

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতেও কাটছে না সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে অনিশ্চয়তা।
১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে—গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হয়, সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের জন্য বুধবারের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতপার্থক্য কমানোর জন্যই দুই দিন পেছানো হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যেখানে ৮৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে দলগুলোর আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ করা আছে। সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আপত্তিসহ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা। অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলগুলো স্বাক্ষরে ইতিবাচক থাকলেও জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য ও বাস্তবায়নের সুপারিশ দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
তবে সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। দলগুলোকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবেন বলে জানান তিনি। আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলগুলোর বক্তব্য আমরা আমলে নিয়েছি। জাতীয় সনদে ভিন্নমত থাকবে। সেটার কারণ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কী কারণে আপত্তি, সেটা উল্লেখ করেছি। ফলে দলিলে দলগুলোর অবস্থান সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। ফলে আমরা আশা করি এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব রাজনৈতিক দল সনদে স্বাক্ষর করবে।’
জুলাই সনদকে বিএনপি ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সনদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষরে জামায়াত ইতিবাচক হলেও দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত করিনি। এখনো তো সময় আছে। তাড়াহুড়ো নেই। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আপত্তি বিবেচনা করে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। কিন্তু সনদের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করব।’
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদে মূলনীতির অংশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার বিপক্ষে সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী, গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ। তারা সনদে আপত্তির বিষয়গুলো থাকলে স্বাক্ষর না করার কথা বলছে। এ ছাড়া কমিশনের নতুন প্রস্তাবিত সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদ বাতিলের বিপক্ষেও দলগুলো। যেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) অপসারণের কথা বলা আছে। বিষয়গুলো নিয়ে আজ দলগুলো বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য আমাদের মনমতো হলে স্বাক্ষর করব, না হলে করব না।’
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, ‘জুলাই সনদে যদি সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া বিষয়গুলো থাকে, তাহলে আমরা স্বাক্ষর করব। নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে কমিশন। সেখানে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও দিনক্ষণ নিয়ে দ্বিমত ছিল। বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল ভোটের আগেই গণভোট চেয়েছে।
গণভোটের প্রশ্ন নিয়েও দলগুলোর মতভিন্নতা আছে। কমিশন প্রথমে ‘একমত ও আপত্তি’ নিয়ে দুটো প্রশ্নে গণভোট করার চিন্তা করেছিল। দুটি আলাদা প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে এগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না। তবে এখন কমিশন একটি প্রশ্ন রাখার চিন্তা করছে। সূত্র জানায়, সেটি হলো পুরো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চান কি না? সেখানে ভিন্নমতসহ যেসব সিদ্ধান্ত আছে, সেগুলোও থাকবে। যদি ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হয়, তাহলে ৮৪টি প্রস্তাবে যেভাবে ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। ভিন্নমত সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে না। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জুলাই ঘোষণাপত্রের অধীনে বিশেষ আদেশের ভিত্তিতে এ গণভোট করার সুপারিশ করবে কমিশন।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে কমিশন। এর মধ্যে গত শনিবার ও গতকাল রোববার জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করে কমিশন। এ ছাড়া শনিবার এনসিপির সঙ্গে এবং গতকাল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকেও গণভোটের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেনি দলগুলো। তবে, কমিশন আশা করছে, গণভোটের ভিত্তি, গণভোটের বিষয় ও সময় নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতা কমে আসবে। কমিশন চারটি বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে, গণভোট করা, কিসের ভিত্তিতে গণভোট, গণভোটে কী থাকবে এবং গণভোট কখন হবে।
গতকাল দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ভোটের দিন গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরেন তিনি। সেখানে একই দিন গণভোট করলে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে ভোট গ্রহণের হার কম হবে বলেও যুক্তি দেন সালাহউদ্দিন।
এ দিন বিকেলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে কমিশনের সদস্যরা দ্বিতীয় দিনের বৈঠক করেন। সেখানে নেতারা ভোটের আগে গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরে বলে জানা গেছে। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।’
অনানুষ্ঠানিক আলাপের বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, যাতে করে মতপার্থক্য কমিয়ে এনে দ্রুত সনদ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়।’
গণভোটের পরেও জুলাই সনদ সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতার সুপারিশ করবে কমিশন। সূত্রে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদের ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে তারা। তা না হলে সংস্কার ঝুলে যাবে। কমিশন মনে করে, প্রথম অধিবেশনে সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো পাস করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে সংসদ গঠিত হওয়ার বা আগামী সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে এ সময় আরও বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতেও কাটছে না সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে অনিশ্চয়তা।
১৫ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে—গত বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছিল ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু গত শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর জানানো হয়, সর্বসাধারণের অংশগ্রহণের জন্য বুধবারের পরিবর্তে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারে স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে, বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে মতপার্থক্য কমানোর জন্যই দুই দিন পেছানো হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপের সংলাপের ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ তৈরি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, যেখানে ৮৪টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে দলগুলোর আপত্তির (নোট অব ডিসেন্ট) কথা উল্লেখ করা আছে। সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী), বাংলাদেশ জাসদসহ বামপন্থী দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আপত্তিসহ জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না তারা। অন্যদিকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ অন্য দলগুলো স্বাক্ষরে ইতিবাচক থাকলেও জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য ও বাস্তবায়নের সুপারিশ দেখে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে।
তবে সব দলের স্বাক্ষর নিয়ে সংশয় নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। দলগুলোকে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবেন বলে জানান তিনি। আলী রীয়াজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলগুলোর বক্তব্য আমরা আমলে নিয়েছি। জাতীয় সনদে ভিন্নমত থাকবে। সেটার কারণ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কী কারণে আপত্তি, সেটা উল্লেখ করেছি। ফলে দলিলে দলগুলোর অবস্থান সুস্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। ফলে আমরা আশা করি এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সব রাজনৈতিক দল সনদে স্বাক্ষর করবে।’
জুলাই সনদকে বিএনপি ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি গত শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের আগেই এই সনদের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
জুলাই সনদে স্বাক্ষরে জামায়াত ইতিবাচক হলেও দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বাক্ষরের বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত করিনি। এখনো তো সময় আছে। তাড়াহুড়ো নেই। দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।’
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আপত্তি বিবেচনা করে এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে। কিন্তু সনদের মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়নে গড়িমসি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করব।’
বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলা হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদে মূলনীতির অংশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকার কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার বিপক্ষে সিপিবি, বাসদ, বাসদ-মার্ক্সবাদী, গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ। তারা সনদে আপত্তির বিষয়গুলো থাকলে স্বাক্ষর না করার কথা বলছে। এ ছাড়া কমিশনের নতুন প্রস্তাবিত সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদ বাতিলের বিপক্ষেও দলগুলো। যেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি (ছবি) অপসারণের কথা বলা আছে। বিষয়গুলো নিয়ে আজ দলগুলো বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত ভাষ্য আমাদের মনমতো হলে স্বাক্ষর করব, না হলে করব না।’
বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন বলেন, ‘জুলাই সনদে যদি সর্বসম্মতভাবে একমত হওয়া বিষয়গুলো থাকে, তাহলে আমরা স্বাক্ষর করব। নোট অব ডিসেন্টসহ সনদে আমরা স্বাক্ষর করব না।’
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপে পাঁচ দিন সংলাপ করে কমিশন। সেখানে গণভোটের বিষয়ে দলগুলো একমত হলেও দিনক্ষণ নিয়ে দ্বিমত ছিল। বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল ভোটের দিন গণভোট চেয়েছে। অন্যদিকে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ কয়েকটি দল ভোটের আগেই গণভোট চেয়েছে।
গণভোটের প্রশ্ন নিয়েও দলগুলোর মতভিন্নতা আছে। কমিশন প্রথমে ‘একমত ও আপত্তি’ নিয়ে দুটো প্রশ্নে গণভোট করার চিন্তা করেছিল। দুটি আলাদা প্রশ্নে জানতে চাওয়া হবে এগুলোর বাস্তবায়ন চান কি না। তবে এখন কমিশন একটি প্রশ্ন রাখার চিন্তা করছে। সূত্র জানায়, সেটি হলো পুরো জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চান কি না? সেখানে ভিন্নমতসহ যেসব সিদ্ধান্ত আছে, সেগুলোও থাকবে। যদি ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হয়, তাহলে ৮৪টি প্রস্তাবে যেভাবে ঐকমত্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে, সেভাবেই বাস্তবায়ন করা হবে। ভিন্নমত সে ক্ষেত্রে গুরুত্ব পাবে না। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। জুলাই ঘোষণাপত্রের অধীনে বিশেষ আদেশের ভিত্তিতে এ গণভোট করার সুপারিশ করবে কমিশন।
বিএনপি, জামায়াত, এনসিপির মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করছে কমিশন। এর মধ্যে গত শনিবার ও গতকাল রোববার জামায়াতের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করে কমিশন। এ ছাড়া শনিবার এনসিপির সঙ্গে এবং গতকাল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক হয়। এসব বৈঠকেও গণভোটের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করেনি দলগুলো। তবে, কমিশন আশা করছে, গণভোটের ভিত্তি, গণভোটের বিষয় ও সময় নিয়ে দলগুলোর মতভিন্নতা কমে আসবে। কমিশন চারটি বিষয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে, গণভোট করা, কিসের ভিত্তিতে গণভোট, গণভোটে কী থাকবে এবং গণভোট কখন হবে।
গতকাল দুপুরে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে ভোটের দিন গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরেন তিনি। সেখানে একই দিন গণভোট করলে রাষ্ট্রের অর্থ সাশ্রয় হবে বলেও জানান তিনি। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে ভোট গ্রহণের হার কম হবে বলেও যুক্তি দেন সালাহউদ্দিন।
এ দিন বিকেলে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও আইনজীবী শিশির মনিরের সঙ্গে কমিশনের সদস্যরা দ্বিতীয় দিনের বৈঠক করেন। সেখানে নেতারা ভোটের আগে গণভোটের পক্ষে দলটির যুক্তি আবারও তুলে ধরে বলে জানা গেছে। বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘গণভোটের বিষয়ে আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবিতে আমরা কর্মসূচি দিয়েছি।’
অনানুষ্ঠানিক আলাপের বিষয়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি, যাতে করে মতপার্থক্য কমিয়ে এনে দ্রুত সনদ বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া যায়।’
গণভোটের পরেও জুলাই সনদ সংবিধানসংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানে পরবর্তী জাতীয় সংসদকে দ্বৈত ক্ষমতার সুপারিশ করবে কমিশন। সূত্রে জানা গেছে, সংবিধান সংস্কার পরিষদের ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পক্ষে তারা। তা না হলে সংস্কার ঝুলে যাবে। কমিশন মনে করে, প্রথম অধিবেশনে সংবিধানসংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো পাস করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে সংসদ গঠিত হওয়ার বা আগামী সংসদের প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করার সময় বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে এ সময় আরও বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে।

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৪ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৮ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নতুন এসব মাদকের বড় বড় চালান বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষছে ভারতের মাদক কারবারিরা। ফেনসিডিলের মতো এসব সিরাপও কোডিন ফসফেট মিশ্রিত। বোতলজাত এসব মাদকের দেশে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ফেনসিডিলের মতো নেশাজাতীয় নতুন এই সিরাপগুলো হলো ‘ব্রনোকফ সি’, ‘চকো প্লাস’ ও ‘উইন কোরেক্স’। এগুলোর মধ্যে ব্রনোকফ সি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর। নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় কাশির এসব সিরাপ ইতিমধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাম নতুন হলেও এই তিন সিরাপের নেশার মাত্রা ফেনসিডিলের সমান। ফেনসিডিলের বোতলে ভরে নতুন নামের মোড়ক লাগিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ভারত থেকে এস্কাফ নামের সিরাপও একইভাবে দেশে ঢুকেছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩ লাখ। তাদের বেশির ভাগ পুরুষ। নারী ও শিশুদের মধ্যেও মাদকাসক্তি রয়েছে। ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মাদকসেবী ফেনসিডিল ও সমজাতীয় মাদকে আসক্ত।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা বলছে, এসব মাদক সেবনে গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি, লিভার-কিডনি অকেজো হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী ১০টি জেলায় কমপক্ষে ৬২টি কারখানায় নেশাজাতীয় নতুন তিন ধরনের সিরাপ তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল, সিপাহীজলা, বিলোনিয়া, শান্তির বাজার ও মেঘালয় রাজ্যের একটি জেলায়। এসব কারখানাকেন্দ্রিক ৩৭৪ ভারতীয় মাদক কারবারি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান করে। এসব মাদক ঢুকছে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, অধিদপ্তর ভারতে মাদক তৈরির এসব কারখানা ও কারবারিদের বিস্তারিত পরিচয়, ঠিকানা, পাঠানোর রুট এবং জিরো লাইন থেকে দূরত্ব পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিয়ে কারখানাগুলো বন্ধের সুপারিশ করবে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি এই মাদক দেশের যে আট সীমান্ত জেলা দিয়ে ঢুকছে, সেখানকার পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হবে।
তবে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় মাদক তৈরির কারখানার তালিকা করে কখনো খুব একটা ফল আসেনি। অভিযোগ দিলেও আগে ভারত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন তিনটি নেশাজাতীয় সিরাপের মধ্যে ‘ব্রনোকফ সি’ বেশি উদ্বেগের কারণ। রাজশাহীর চারঘাট ও দামকুড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নতুন এই সিরাপ বেশি ঢুকছে। সহজলভ্যতার কারণে এটি দ্রুত ওষুধজাত মাদকের বিকল্প হয়ে উঠেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত হয়ে পড়লে এই মাদক পাচার বহুগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন মাদকের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোডিন ফসফেট মিশ্রিত সিরাপের বাণিজ্যিক নাম ফেনসিডিল, ব্রনোকফ সি, চকো প্লাস বা উইন কোরেক্স যা-ই হোক না কেন, এগুলোর দেশে প্রবেশ বন্ধে প্রথমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সতর্কতা প্রয়োজন। সীমান্তে ঠেকাতে পারলে দেশে এসব মাদক নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, ভারতের ল্যাবোরেট ফার্মাসিউটিক্যালস নামের প্রতিষ্ঠান সিরাপগুলো কাশির ওষুধ হিসেবে প্রস্তুত করে। নেশাজাতীয় উপাদান ব্যবহারের কারণে ভারতেই এগুলো নিষিদ্ধ; তবে উৎপাদন বন্ধ হয়নি। ফলে সেগুলো ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যে এবং সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে।
অধিদপ্তরের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও দামকুড়া থানার মুরারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ‘ব্রনোকফ সি’ আনা-নেওয়ার সঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য নতুন মাদকের ধরনটি এখনো না চেনায় পাচারকারীরা সহজে সীমান্ত পার করতে পারছে। ব্রনোকফ সির প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে অধিদপ্তর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তে ৩ ডিসেম্বর ‘চকো প্লাস’ সিরাপের একটি চালান জব্দ করে বিজিবি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়ন সীমান্তে টহল জোরদার করে এবং ১৫০ বোতল চকো প্লাস উদ্ধার করে। গত এক মাসে একই ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০০ বোতল চকো প্লাস জব্দ করেছে। চকো প্লাস নামের সিরাপ এই সীমান্তে এর আগে আটক হয়নি।
জানতে চাইলে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। নতুন মাদক নিয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি এবং মাদক প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বেশি আসছে ‘উইন কোরেক্স’ নামের নেশাজাতীয় সিরাপ। গত নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে বিজিবি ৮৫০ বোতল এই সিরাপ জব্দ করেছে। এক বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, কিন্তু এক বোতল উইন কোরেক্স বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। বোতলের আকারসহ সবকিছু ফেনসিডিলের মতো হওয়ায় তরুণদের মধ্যে নতুন এই সিরাপে আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, পাচারকারীরা নেশার মাত্রা বাড়াতে ছিপি খুলে সিরাপের সঙ্গে প্যাথেডিন মিশিয়ে দিচ্ছে। এতে এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও বাংলাদেশে নানা ধরনের মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ওষুধের আড়ালে ভিন্ন ভিন্ন নামে যদি নতুন মাদক প্রবেশ করে, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে প্রতিটি সংস্থাকে নজরদারি জোরদার করতে হবে। তা না হলে দেশে মাদকাসক্ত তরুণের সংখ্যা আরও বাড়বে; যার পরিণতি দেশের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।

দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে নতুন এসব মাদকের বড় বড় চালান বাংলাদেশে পাঠানোর ছক কষছে ভারতের মাদক কারবারিরা। ফেনসিডিলের মতো এসব সিরাপও কোডিন ফসফেট মিশ্রিত। বোতলজাত এসব মাদকের দেশে প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের সূত্র বলছে, ফেনসিডিলের মতো নেশাজাতীয় নতুন এই সিরাপগুলো হলো ‘ব্রনোকফ সি’, ‘চকো প্লাস’ ও ‘উইন কোরেক্স’। এগুলোর মধ্যে ব্রনোকফ সি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন অধিদপ্তর। নেশাজাতীয় উপাদান থাকায় কাশির এসব সিরাপ ইতিমধ্যে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নাম নতুন হলেও এই তিন সিরাপের নেশার মাত্রা ফেনসিডিলের সমান। ফেনসিডিলের বোতলে ভরে নতুন নামের মোড়ক লাগিয়ে পাঠানো হচ্ছে। এর আগে ভারত থেকে এস্কাফ নামের সিরাপও একইভাবে দেশে ঢুকেছিল।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৮৩ লাখ। তাদের বেশির ভাগ পুরুষ। নারী ও শিশুদের মধ্যেও মাদকাসক্তি রয়েছে। ৩ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মাদকসেবী ফেনসিডিল ও সমজাতীয় মাদকে আসক্ত।
অধিদপ্তরের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন অধিশাখা বলছে, এসব মাদক সেবনে গলা শুকিয়ে যাওয়া, ঝিমুনি, লিভার-কিডনি অকেজো হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদে পুরুষের প্রজননক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো মারাত্মক ক্ষতি হয়।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ভারতের সীমান্তবর্তী ১০টি জেলায় কমপক্ষে ৬২টি কারখানায় নেশাজাতীয় নতুন তিন ধরনের সিরাপ তৈরি হচ্ছে। এসব কারখানা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, মালদা, মুর্শিদাবাদ, ত্রিপুরার পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চল, সিপাহীজলা, বিলোনিয়া, শান্তির বাজার ও মেঘালয় রাজ্যের একটি জেলায়। এসব কারখানাকেন্দ্রিক ৩৭৪ ভারতীয় মাদক কারবারি বাংলাদেশে মাদক চোরাচালান করে। এসব মাদক ঢুকছে সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র বলেছে, অধিদপ্তর ভারতে মাদক তৈরির এসব কারখানা ও কারবারিদের বিস্তারিত পরিচয়, ঠিকানা, পাঠানোর রুট এবং জিরো লাইন থেকে দূরত্ব পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসব তথ্য ভারতকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দিয়ে কারখানাগুলো বন্ধের সুপারিশ করবে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি এই মাদক দেশের যে আট সীমান্ত জেলা দিয়ে ঢুকছে, সেখানকার পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হবে।
তবে অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় মাদক তৈরির কারখানার তালিকা করে কখনো খুব একটা ফল আসেনি। অভিযোগ দিলেও আগে ভারত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন তিনটি নেশাজাতীয় সিরাপের মধ্যে ‘ব্রনোকফ সি’ বেশি উদ্বেগের কারণ। রাজশাহীর চারঘাট ও দামকুড়া এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নতুন এই সিরাপ বেশি ঢুকছে। সহজলভ্যতার কারণে এটি দ্রুত ওষুধজাত মাদকের বিকল্প হয়ে উঠেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত হয়ে পড়লে এই মাদক পাচার বহুগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
নতুন মাদকের বিষয়ে খোঁজখবর রাখা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বগুড়া কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহা. জিললুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোডিন ফসফেট মিশ্রিত সিরাপের বাণিজ্যিক নাম ফেনসিডিল, ব্রনোকফ সি, চকো প্লাস বা উইন কোরেক্স যা-ই হোক না কেন, এগুলোর দেশে প্রবেশ বন্ধে প্রথমে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সতর্কতা প্রয়োজন। সীমান্তে ঠেকাতে পারলে দেশে এসব মাদক নিয়ন্ত্রণ অনেক সহজ হবে। তিনি বলেন, ভারতের ল্যাবোরেট ফার্মাসিউটিক্যালস নামের প্রতিষ্ঠান সিরাপগুলো কাশির ওষুধ হিসেবে প্রস্তুত করে। নেশাজাতীয় উপাদান ব্যবহারের কারণে ভারতেই এগুলো নিষিদ্ধ; তবে উৎপাদন বন্ধ হয়নি। ফলে সেগুলো ভারতীয় বিভিন্ন রাজ্যে এবং সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে।
অধিদপ্তরের গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ও দামকুড়া থানার মুরারীপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী ‘ব্রনোকফ সি’ আনা-নেওয়ার সঙ্গে জড়িত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য নতুন মাদকের ধরনটি এখনো না চেনায় পাচারকারীরা সহজে সীমান্ত পার করতে পারছে। ব্রনোকফ সির প্রবেশ বন্ধে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে অধিদপ্তর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্তে ৩ ডিসেম্বর ‘চকো প্লাস’ সিরাপের একটি চালান জব্দ করে বিজিবি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়ন সীমান্তে টহল জোরদার করে এবং ১৫০ বোতল চকো প্লাস উদ্ধার করে। গত এক মাসে একই ব্যাটালিয়ন প্রায় ২০০ বোতল চকো প্লাস জব্দ করেছে। চকো প্লাস নামের সিরাপ এই সীমান্তে এর আগে আটক হয়নি।
জানতে চাইলে বিজিবির মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মাদক চোরাচালানের বিরুদ্ধে বিজিবি জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। নতুন মাদক নিয়েও আমরা সতর্ক রয়েছি এবং মাদক প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।’
সূত্র জানায়, যশোরের শার্শা ও বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বেশি আসছে ‘উইন কোরেক্স’ নামের নেশাজাতীয় সিরাপ। গত নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনে বিজিবি ৮৫০ বোতল এই সিরাপ জব্দ করেছে। এক বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, কিন্তু এক বোতল উইন কোরেক্স বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়। বোতলের আকারসহ সবকিছু ফেনসিডিলের মতো হওয়ায় তরুণদের মধ্যে নতুন এই সিরাপে আগ্রহ দ্রুত বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে, পাচারকারীরা নেশার মাত্রা বাড়াতে ছিপি খুলে সিরাপের সঙ্গে প্যাথেডিন মিশিয়ে দিচ্ছে। এতে এটি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও বাংলাদেশে নানা ধরনের মাদক ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ওষুধের আড়ালে ভিন্ন ভিন্ন নামে যদি নতুন মাদক প্রবেশ করে, তাহলে সেগুলোর বিষয়ে প্রতিটি সংস্থাকে নজরদারি জোরদার করতে হবে। তা না হলে দেশে মাদকাসক্ত তরুণের সংখ্যা আরও বাড়বে; যার পরিণতি দেশের জন্য ভয়াবহ হতে পারে।

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৩ অক্টোবর ২০২৫
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এটি ৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।
সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকেরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকেরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ থাকতে পারবে।
বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নতুন নীতিমালায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে তাঁদের প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায়, তারা আগেই ডিগ্রি স্তরে এমপিও পেত, তারা অনার্স স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
আজ রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে। এটি ৪ ডিসেম্বর জারি করা হয়েছিল বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব (বেসরকারি মাধ্যমিক) সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী রাতে আজকের পত্রিকাকে জানান, নতুন নীতিমালায় একাডেমিক স্বীকৃতি বা অধিভুক্তির জন্য আলাদা সূচক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি শ্রেণিতে ৫৫ জন শিক্ষার্থী থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে নীতিমালায়।
সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকে এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করা শিক্ষকেরা এ সুবিধা পেতেন। এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএড করলেও শিক্ষকেরা বিএড স্কেল পাবেন, তবে এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা ইউজিসি থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের অধিভুক্তি থাকতে হবে এবং ইউজিসি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে অধিভুক্তির ঘোষণা প্রকাশ থাকতে পারবে।
বেসরকারি কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ গত অক্টোবরেই বিলুপ্ত করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, নতুন নীতিমালায় সে বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা বলে জানান এ কর্মকর্তা।
অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ নতুন নীতিমালায় দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী আরও বলেন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ দিয়ে তাঁদের প্যাটার্নভুক্ত করা হয়েছে। এমপিওভুক্ত যে কলেজগুলো অনার্স পড়ায়, তারা আগেই ডিগ্রি স্তরে এমপিও পেত, তারা অনার্স স্তরে এখন এমপিওভুক্তির সুযোগ পাবে।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময় জারি করা আগের নীতিমালার সংশোধনী ও স্পষ্টীকরণগুলো নতুন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ২৮ মার্চ সর্বশেষ এমপিও নীতিমালা জারি করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৩ অক্টোবর ২০২৫
দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৪ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৭ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।
থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি দেশটির রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের রানং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি আরও বলেন, বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পাশের দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ওষুধ, চিংড়ি, ফার্নিচার ও পর্যটনশিল্পে বিনিয়োগ করতে পারে। এ ধরনের বিনিয়োগ উভয় দেশের জন্য লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে।
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সমুদ্রপথ ও নৌপরিবহনের মাধ্যমে লজিস্টিক সংযোগ আরও শক্তিশালী করতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করবে।
থাই রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি দেশটির রানং বন্দর এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক বাণিজ্য রুট চালু করার পাশাপাশি থাইল্যান্ড-বাংলাদেশ মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের রানং সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য হলে উভয় দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ব্যয় ও সময় হ্রাস করবে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এ ধরনের অবকাঠামোগত সংযোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি আরও বলেন, বিদ্যমান নৌপরিবহন ব্যবস্থায় থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে পণ্য আসতে ১৪-১৫ দিন সময় লাগে। থাইল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলের নৌরুট ব্যবহার করলে পণ্য ৪-৭ দিনে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ থাইল্যান্ডসহ পাশের দেশগুলোর বন্দরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান এবং থাই দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৩ অক্টোবর ২০২৫
দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৪ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিন
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নাগরিকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সঠিক ও সুন্দরভাবে এগোচ্ছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন ও একই দিনে গণভোট আয়োজনের জন্য কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
আজ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনাররা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নির্বাচন আয়োজনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানান। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রস্তুতিকালে ইসিকে পূর্ণ সহযোগিতা দেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা। নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও ধন্যবাদ জানান তাঁরা।
সিইসি বলেন, ইতিমধ্যে নাগরিকেরা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, যা দেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি করেছে।
এ সময় নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সরকার। তিনি বলেন, ‘জাতির জন্য প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে আপনারা (ইসি) চালকের আসনে আছেন। আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতেই হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতিকে আমরা ইতিহাসের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে চলছি।’
বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘ সংলাপের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে জুলাই জাতীয় সনদ। ওই সনদে স্বাক্ষরের সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঠিক হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো এক জায়গায় আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ অবস্থায় পিছিয়ে দেওয়া হয় তারিখ। দলগুলোর মতপার্থক্য দূর করতে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
১৩ অক্টোবর ২০২৫
দেশে ফেনসিডিলের পাশাপাশি নেশা-জাতীয় একই ধরনের নতুন তিনটি সিরাপের বিস্তার ঘটাতে চাইছে ভারতের মাদক কারবারিরা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা ভারতের ১০ জেলার কারখানায় তৈরি এসব মাদক ঢুকছে দেশের আট সীমান্ত জেলা দিয়ে। ইতিমধ্যে ছোট কয়েকটি চালান আটকও হয়েছে। মাদক হিসেবে এখনো অপরিচিত নতুন এসব সিরাপ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত
৪ ঘণ্টা আগে
বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল ও কলেজে জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা, শিক্ষকদের বিএড স্কেল প্রাপ্তির বিধানে পরিবর্তন, অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করা, এমপিওভুক্তির সূচকে পরিবর্তনসহ নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে নতুন এমপিও নীতিমালায়।
৬ ঘণ্টা আগে
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত থিতিপর্ন চিরাসাওয়াদি। আজ রোববার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ ও নৌপরিবহন সুবিধা কার্যকরভাবে কাজে লাগানোর ওপর
৭ ঘণ্টা আগে