Ajker Patrika

গুলি কখন করা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ২২: ৫৮
গুলি কখন করা যায়

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে সহিংসতায় ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। অনেকে নিজের বাসায় বা ছাদে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। হতাহতদের অনেকেরই গুলি লেগেছে চোখে, মাথায়, ঘাড়ে ও পেটে। অনেকে গুলির কারণে পঙ্গু হয়ে গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়েছেন চোখের আলো।

এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র’ ব্যবহার নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও আলোচনা হচ্ছে। এতে দেশের আইন ও সংবিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

কখন, কীভাবে গুলি করতে হবে এ বিষয়ে আইনে স্পষ্ট বলা আছে।

পুলিশ প্রবিধানমালার ১৫৩ ধারায় আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে বলা আছে:

 (ক) শুধু নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়ে থাকে—
 (১) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা বা সম্পত্তি রক্ষার অধিকার প্রয়োগ করার জন্য (দণ্ডবিধির ৯৬–১০৬ ধারার বিধান অনুযায়ী) 
 (২) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭-১২৮ ধারা অনুযায়ী) 
 (৩) কোনো কোনো পরিস্থিতিতে গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য (ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৬ ধারা অনুযায়ী)। 

(খ) ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার: 
এটি খুবই প্রয়োজন যেসব পদ মর্যাদার কর্মকর্তা ব্যক্তিগত আত্মরক্ষা ও সম্পত্তি রক্ষার অধিকার সম্পূর্ণভাবে উপলব্ধি করবেন। নিজেদের এবং সরকারি সম্পত্তি, যেমন অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ, মোটরযান, যানবাহন প্রভৃতি আক্রমণের হাত থেকে তাঁরা আইনানুগভাবে রক্ষা করার অধিকারী। এ ধরনের হামলা মোকাবিলার জন্য শক্তি প্রয়োগ করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার জন্য যতটুকু শক্তি প্রয়োজন তার বেশি প্রয়োগ করা যাবে না। 

কেবল ব্যক্তিগত আত্মরক্ষায় জরুরি প্রয়োগের প্রয়োজনের যথার্থতা ছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগে গুলি চালানো নিষিদ্ধ। ব্যক্তিগত আত্মরক্ষার মতো জরুরি পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছিল কিনা তা প্রমাণের দায়িত্ব গুলি বর্ষণকারীর অথবা গুলি বর্ষণের নির্দেশ প্রদানকারী কর্মকর্তার ওপর বর্তায়। 

 (গ) বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার: 
 (১) জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ একটি চরম ব্যবস্থা হিসেবে গণ্য করতে হবে এবং এ পদক্ষেপ গৃহীত হবে সব ব্যবস্থা শেষে যখন জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য তা একান্তভাবে অপরিহার্য হয়ে পড়ে বা যখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা এ ধরনের কর্মকর্তার উচ্চ পদ মর্যাদার কর্মকর্তা বিবেচনা করেন যে, অন্য কোনোভাবে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা সম্ভব নয়। কেবল তখনই ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। 

 (২) জনতার ওপর গুলি বর্ষণের আদেশ দেওয়ার আগে ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা কোনো ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে পুলিশ দলের অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা দাঙ্গাকারীদের পূর্ণাঙ্গ এবং অনেকবার সতর্ক বাণী প্রদান করবেন যে, তাঁরা যদি অবিলম্বে ছত্রভঙ্গ না হন, তবে তাঁদের ওপর গুলি বর্ষণ করা হবে। 

 (৩) দাঙ্গা দমনে অথবা দাঙ্গাকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার কাজে নিয়োজিত সব পদ মর্যাদার পুলিশ সদস্য গুলি বর্ষণের আগে একজন ম্যাজিস্ট্রেট, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা তাঁর থেকে ঊর্ধ্বতন পদ মর্যাদার কোনো পুলিশ কর্মকর্তার আদেশের জন্য অবশ্যই অপেক্ষা করবেন। 

পুলিশ প্রবিধানের ১৫৪ ধারায় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ নিয়মাবলি সম্পর্কে বলা হয়েছে:
 (ক) একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি বর্ষণের আগে বা গুলির আদেশ দেওয়ার আগে যেভাবেই সম্ভব তাঁর উদ্দেশ্য সম্পর্কে সতর্কবাণী দেবেন।
 (খ) গুলি সব সময়ে নিয়ন্ত্রিত হবে ও নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুর প্রতি পরিচালিত হতে হবে। 
 (গ) একেবারে অপরিহার্য ক্ষেত্র ছাড়া কোনো বড় রকমের ক্ষতি সাধন করা যাবে না। 
 (ঘ) উদ্দেশ্য সাধিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গুলি বর্ষণ বন্ধ করতে হবে। 

পুলিশ প্রবিধানের ১৫৫ ধারায় গুলি বর্ষণের নির্দেশ ও গুলি বর্ষণের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বলা হয়েছে:

 (ক) প্রবিধান ১৫১ (৩)–এর অধীনে অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে অথবা ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত না থাকলে নিজে যখন প্রয়োজন মনে করেন তখন শক্তি প্রয়োগ বা গুলি বর্ষণের নির্দেশ দেবেন। 
 (খ) তিনি এমনভাবে গুলি বর্ষণ করবেন যেন ন্যূনতম ক্ষতি সাধন করে তাৎক্ষণিক ফল অর্জন করা যায়। অবৈধ জনতা ছাড়া মাথার ওপর দিয়ে অথবা অন্য কোনো লক্ষ্যাভিমুখে গুলি বর্ষণের ওপর কঠোর বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। কেননা এতে দূরবর্তী নিরপরাধ লোক জখম হওয়ার ঘটনা এবং দৃশ্যমান কোনো কার্যকর ক্ষতি না দেখে বেআইনি জনতার উৎসাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার আগে তিনি দূরত্ব, লক্ষ্যবস্তু ও গুলির সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেবেন। 

(গ) পরিস্থিতি অনুযায়ী যা প্রয়োজন তা অপেক্ষা অতিরিক্ত গুলি যাতে বর্ষণ করা না হয় তার জন্য তিনি দায়ী থাকবেন। তিনি সাধারণত, গুলি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষকে অথবা নির্ধারিত দলকে নির্দেশ দেবেন। যদি উচ্ছৃঙ্খল জনতার মনোভাব কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা অথবা অন্যদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষার্থে অনিবার্য করে তোলে, তাহলে অর্ধেকের বেশি সদস্য যাতে একসঙ্গে গুলি বর্ষণ না করে সে জন্য তিনি নির্দেশ দেবেন। 

(ঘ) দাঙ্গাকারী জনতা সরে যাওয়ার বা ছত্রভঙ্গ হওয়ার সামান্যতম লক্ষণ দেখামাত্র তিনি গুলি বর্ষণ বন্ধের নির্দেশ দেবেন। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট যদি উপস্থিত থাকেন তবে পুলিশকে আদেশ দেওয়ার এমন ক্ষমতা তাঁর আছে। 

কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশের অনেক স্থানে পুলিশের অনেকে হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকাপুলিশ প্রবিধানের ১৫৬ ধারায় বলা আছে, পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের পর যে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে:
 (ক) অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা যত শিগগির সম্ভব মৃত দেহগুলো (যদি থাকে) শবাগারে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠাবেন।
 (খ) তিনি গুলির খোসাগুলো সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করবেন ও ইস্যুকৃত রাউন্ডের সংখ্যার সঙ্গে মিলিয়ে দেখবেন। 
 (গ) যদি ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তবে তিনি এবং অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা— 
 (১) ঘটনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত অথচ নিখুঁত প্রতিবেদন এবং এরপর
 (২) ব্যবহৃত ও ইস্যুকৃত গুলির সংখ্যাসহ ঘটনার সব প্রাসঙ্গিক বিষয়ের একটি নিখুঁত ও বিস্তারিত বিবরণ প্রস্তুত করবেন। 

 (ঘ) সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনের অনুলিপি জরুরি টেলিগ্রাম যোগে ও বিস্তারিত বিবরণ টেলিগ্রাম ছাড়া অন্য কোনো দ্রুত মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঠাতে হবে—
 (১) যদি একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকেন তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে, পুলিশ সুপারকে, কমিশনারকে এবং মুখ্য সচিবকে অনুরূপ প্রতিবেদন পাঠাবেন এবং
 (২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এবং ইন্সপেক্টর জেনারেলকে অধিনায়ক পুলিশ কর্মকর্তা কর্তৃক প্রতিবেদন পাঠানো হবে। 

 ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৯৬–১০৬ ধারায় আত্মরক্ষার অধিকার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। দণ্ডবিধির ৯৯ ধারায় বলা হয়েছে, আঘাত যতটুকু, প্রতিকারও ঠিক ততটুকু করতে পারবে। প্রতিঘাত আঘাতের বেশি হতে পারবে না। 

 ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোনো বেআইনি সমাবেশ বা সর্ব সাধারণের শান্তি বিনষ্ট হওয়ার কারণ ঘটাতে পারে এরূপ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ হতে আদেশ দিতে পারেন। ১২৮ ধারায় বলা হয়েছে, আদেশ পাওয়ার পরও কোনো সমাবেশ যদি ছত্রভঙ্গ না হয় তাহলে কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলপ্রয়োগ করে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য অগ্রসর হতে পারবেন। একই সঙ্গে সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্রবাহিনীর সাহায্য দাবি করতে পারেন এবং সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারবেন। 

বাংলাদেশের সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনের আশ্রয়লাভ এবং আইনানুযায়ী ও কেবল আইনানুযায়ী ব্যবহার লাভ যেকোনো স্থানে অবস্থানরত প্রত্যেক নাগরিকের এবং সাময়িকভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত অপরাপর ব্যক্তির অবিচ্ছেদ্য অধিকার। আইনানুযায়ী ব্যতীত এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যাতে কোনো ব্যক্তির জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, সুনাম বা সম্পত্তির হানি ঘটে। 

সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে কোনো ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাবে না। আর ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসংগত বাধা–নিষেধ সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হওয়ার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিষিদ্ধ দলের নেতারা আটকে যেতে পারেন তফসিলের শর্তে

তানিম আহমেদ, ঢাকা 
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪২
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া প্রার্থীদের নিষিদ্ধ কিংবা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন—এমন অঙ্গীকার করতে হবে। সঙ্গে দুজন সাক্ষীর সাক্ষ্যও জমা দিতে হবে। নির্বাচনে মনোনয়ন ফরমে এমন বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এমন বিধানকে অস্পষ্ট মনে করছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক রাজনৈতিক নেতা দল বদল করেছেন। আবার কেউ কেউ দল বিলুপ্ত করে বড় দলে যোগ দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের নেতারা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে কী বিধান থাকবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. মো. আবদুল আলীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন এবং কী কারণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নির্বাচন কমিশনকে পরিষ্কার করতে হবে। যেহেতু এক দল থেকে আরেক দলে যোগদান করা নিষিদ্ধ নয়, এ রকম অনেক উদাহরণ গত কয়েক দিনে হয়েছে।’

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রার্থীকে বলতে হবে, তিনি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন রাজনৈতিক দলের সদস্য নন।

পরে যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বিষয়টি মিথ্যাচার হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি মিথ্যাবাদী।

কেউ নিষিদ্ধ দলের সঙ্গে জড়িত কি না, ইসি কীভাবে সেটি প্রমাণ করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যম) জানিয়ে দেবেন, উনি (প্রার্থী) মিথ্যা কথা বলছেন। এরপর ইসি তদন্ত করে দেখবে, অভিযোগটি সত্য নাকি মিথ্যা।’ সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে—জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘সেটা নির্ভর করবে অপরাধের মাত্রার ওপরে।’

কী কারণে এমন বিধান ‍যুক্ত করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে আখতার আহমেদ বলেন, কর্তৃপক্ষ মনে করেছে, এবার এমন একটা অঙ্গীকারনামা থাকা ভালো।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। যেখানে ২৩ পাতার মনোনয়ন ফরম পূরণ করতে হবে প্রার্থীদের। যার শেষ দুই পাতার তফসিল-১ ও ২ প্রার্থীদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হবে।

তফসিল-১ অঙ্গীকারনামায় দলীয় প্রার্থী নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার পদধারী এমন দুজনকে স্বাক্ষর দিতে হবে। যেখানে রাজনৈতিক দলের নাম ও নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে।

রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকারনামার ক্ষেত্রে বলা আছে, ‘আমার দল এবং দল মনোনীত সব প্রার্থী সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ বিধান মেনে চলব। দল বা দল মনোনীত কোনো প্রার্থী এই আচরণ বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে আইন ও বিধিমালার বিধান অনুযায়ী শাস্তি মেনে নিতে বাধ্য থাকব।’

প্রার্থীর অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, ‘আমি অঙ্গীকার করেছি, আমি কোনো নিষিদ্ধ বা নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।’ প্রার্থীর স্বাক্ষরের সঙ্গে দুজন সাক্ষীর নাম, স্বাক্ষর ও এনআইডি নম্বর দিতে হবে।

আন্তর্জাতিক মানবতাবিরোধী আইন সংশোধন করে বলা হয়েছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলার অভিযোগপত্র গঠিত হলেই নির্বাচনে অযোগ্য হবেন অভিযুক্ত। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বলা হয়েছে, ফেরারি আসামিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেরারি আসামিদের নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণার প্রতিফলন হচ্ছে মনোনয়ন ফরমে নতুন বিধান যুক্ত করা। আর এখন যেহেতু আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ, তাই বিষয়টি বলা হয়েছে। দলটির নেতা-কর্মীদের নির্বাচনের বাইরে রাখতেই এমন বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে আওয়ামী লীগের গত তিন সরকারের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশ)। গতকাল দলের প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে উল্লেখ করেন দলের মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

সংবাদ সম্মেলনে শামীম হায়দার বলেন, ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ দলের কর্মীদের মনোনয়ন না দেওয়ার বিধান অসাংবিধানিক। দল নিষিদ্ধ হলে তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য যেকোনো দলে আসতেই পারেন এবং ভোট করতে পারেন। এটা তো সাংবিধানিক অধিকার। তিনি সাজাপ্রাপ্ত ও নির্বাচনে অযোগ্য নন। ইসির এমন তফসিল অবিবেচনাপ্রসূত ও অসাংবিধানিক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা

সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই হামলা ঘটতে দিয়েছে: নূরুল কবীর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫২
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নূরুল কবির। ছবি: সংগৃহীত
শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বক্তব্য দেন সাংবাদিক নূরুল কবির। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার এবং ছায়ানট ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি পরিকল্পিত এবং সরকারের কোনো না কোনো অংশের মদদেই এটি ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীর।

আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে দেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা কার্যালয়গুলোতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং ব্যাপক লুটপাট চালায়। বিশেষ করে প্রথম আলো কার্যালয় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়। একই রাতে ডেইলি স্টার কার্যালয়ে সংহতি জানাতে গিয়ে হেনস্তার শিকার হন সম্পাদক নূরুল কবীর। সাংবাদিক সমাজ এই ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের জন্য কালো দিন’ হিসেবে অভিহিত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

সম্মেলনে নূরুল কবীর বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে জানি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টার ও ছায়ানটকে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য এক-দুই দিন আগে থেকেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কারা এই ঘোষণা দিয়েছে, তা এ দেশের মানুষ জানে এবং সরকারও জানে। ফৌজদারি অপরাধের এমন প্রকাশ্য ঘোষণার পরও সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘সরকার হামলাকারীদের আগেভাগে থামায়নি বলেই আমরা মনে করি, সরকারের কোনো না কোনো অংশ এই ঘটনাটি ঘটতে দিয়েছে। একটি সংগঠিত শক্তি সেখানে গিয়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে স্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া গেছে।’

বিজেসি ষষ্ঠ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। অনুষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনেরা গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত বলে বর্ণনা করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন—সাবেক গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান ও ডেইলি স্টারের কনসালটিং এডিটর কামাল আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, যমুনা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজেসি ট্রাস্টি ফাহিম আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিজেসি উপদেষ্টা খায়রুল আনোয়ার।

বক্তারা বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার যেকোনো চেষ্টা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। এই হামলার ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে ভবিষ্যতে স্বাধীন সাংবাদিকতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।

হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সাংবাদিক নেতারা এই হামলার নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীদের খুঁজে বের করার এবং গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমান-জাইমার ভোটার হওয়া নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত রোববার: আখতার আহমেদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৭
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

তারেক রহমান ও জাইমা রহমানের ভোটার হওয়ার নথি রোববার কমিশনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিনিয়র সচিব।

আখতার আহমেদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান গুলশান এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার হওয়ার নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। আজকেই হয়তো তাঁদের এনআইডি নম্বর দেওয়া হবে। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর ভোটার হওয়ার জন্য কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। তাই আগামীকাল তাঁদের ভোটার হওয়ার নথি কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর মেয়ে জাইমা রহমান ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আজ শনিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে প্রথমে জাইমা রহমান এবং পরে তারেক রহমান এ দুই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কক্সবাজার-হাতিয়ায় সমুদ্রে মিসাইল ফায়ারিং পরিচালনা, নৌযান চলাচলে সতর্কতা আইএসপিআরের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৫৭
কক্সবাজার-হাতিয়ায় সমুদ্রে মিসাইল ফায়ারিং পরিচালনা, নৌযান চলাচলে সতর্কতা আইএসপিআরের

২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে অবস্থান ও চলাচল এড়িয়ে যেতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

আজ শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আইএসপিআর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ নৌবাহিনী কর্তৃক কক্সবাজার ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী সমুদ্র এলাকায় মিসাইল ফায়ারিং পরিচালিত হবে। এ সময় জানমালের নিরাপত্তায় সকল নৌযান, মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উক্ত এলাকায় অবস্থান ও চলাচল পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মারা গেছেন ঢাকা ক্যাপিটালসের কোচ, শোকাচ্ছন্ন বিপিএল

তারেক রহমানের পঙ্গু হাসপাতালে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল

আজকের রাশিফল: ভুঁড়িটা বাড়ছে—শরীরের দিকে নজর দিন, প্রাক্তনের মেসেজে রিপ্লাই দিলে বিপদ

কোন স্বার্থে মুসলিমপ্রধান সোমালিল্যান্ডকে সবার আগে স্বীকৃতি দিল ইসরায়েল

ফরিদপুরে জেমসের কনসার্ট পণ্ড, কী ঘটেছিল সেখানে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত