Ajker Patrika

এক লাখ কোটি টাকার কোরবানির অর্থনীতি

ডয়চে ভেলে
এক লাখ কোটি টাকার কোরবানির অর্থনীতি

বাংলাদেশে কোরবানির ঈদের অর্থনীতি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই সময়ে প্রবাসী আয়ও দেশে বেশি আসে। আর কোরবানির গরুর উৎপাদনমূলত গ্রামকেন্দ্রিক। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কোরবানির ঈদ বড় ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

রাজবাড়ির কালুখালি থেকে ঢাকার গাবতলী গরুর হাটে ২৭টি গরু নিয়ে এসেছিলেন মো. নুরুল ইসলাম। তার সঙ্গে আরো চারজন ছিলেন। তারা কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করেই গরুর ব্যবসা করেন। ওই গরুগুলো তার ছয়-সাত মাস আগে কিনে লালনপালন করে এখন বিক্রি করছেন। তার কথায়, আমাদের এলাকার অনেকেই আছেন যারা আমরা মতো কোরবানি কেন্দ্রিক গরুর ব্যবসা করেন। অনেক গৃহস্থও আছেন যারা দুই-তিনটা গরু পোষেন কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য। আমাদের সারা বছরের আয়ের এটা একটা বড় উৎস। এক লাখ টাকায় কয়েকটি গরু কিনে ছয় মাস পর বিক্রি করলে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি গরুতে ২৫-৩০ হাজার টাকা থাকে।

যেভাবে চাঙ্গা গ্রামীণ অর্থনীতি
কুষ্টিয়ার রিয়াজুল ইসলামের নিজেরই একটি ছোট খামার আছে। সেই খামারের ২০টি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি ঢাকার হাজারিবাগের হাটে। এরমধ্যেই ১৩টি গরু তিনি বিক্রি করেছেন। তার গরুগুলো এক লাখ থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এখন অনেক ছোট ছোট খামার গড়ে উঠেছে। সেই সব খামার কোরবানির জন্যই গরু লালন পালন করা হয়। অনেক পরিবারের আর্থিক অবস্থা ফিরে গেছে।’

মো. আনিসুর রহমান তরুণ তিনটি গরু নিয়ে এসেছেন ফরিদপুর থেকে। তিনি কোরবানিতে বিক্রির জন্য এই তিনটি গরু লালনপালন করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মতো অনেকেই এখন ছেলে-মেয়ের বিয়ে শাদী, লেখাপড়া বা ঘর মেরামতসহ নানা কাজে বড়তি টাকার জন্য গরু পোষেন। ছাগলে লাভ কম তাই গরুর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে।’

এ বছর এক কোটি ২০ লাখ গরু, ছাগল ও ভেড়াসহ বিভিন্ন গবাদি পশু কোরবানি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ডেইরি অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি এবং সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মো. ইমরান হোসেন বলেন, দেশে প্রান্তিক কৃষক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে ১৭ লাখ ছোট বড় খামার আছে। ১২ লাখ হলেন একমদম প্রান্তিক কৃষক। এর সঙ্গে এক কোটি লোক যুক্ত। এটা গ্রামীণ অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখাছে।

তার কথায়, দেশে বছরে যে এক কোটি ২০ লাখ গরুর চাহিদা তারমধ্যে ৫০-৫৫ লাখ কোরবানির সময় লাগে। ফলে কোরবানির ঈদে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে ওঠে। ঈদের সময় ৭৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়। তারমধ্যে ৬০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন গবাদি পশু কেন্দ্রিক।

তিনি জানান, ২০২১ সালে করোনার মধ্যেও কোরবানির ঈদের আগে লকডাউন তুলে দেওয়া হয়েছিল এই কোরবানির ঈদের অর্থনীতির কথা চিন্তা করে।

যেন ফিক্সড ডিপোজিট
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজাজ্জামান বলেন, নানা দিক থেকে বিবেচনা করলে এখন কোরবানির ঈদের অর্থনীতির আকার এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ৭৫ হাজার কোটি টাকার হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংকের পুরোনো হিসাব। কারণ গবাদি পশু ছাড়াও এরসঙ্গে আরো অনেক বিষয় যুক্ত হয়েছে। এখানে মশলার বাজার আছে, কসাইদের আয় আছে, পশু খাদ্যের ব্যবসা আছে। আর কম হলেও এই ঈদেও মানুষ নতুন পোশাক কেনে।

তার কথায়, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে কোরবানির পশু এখন ফিক্সড ডিপোজিটের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। গৃহস্থ, ছোট ছোট কৃষক চার-পাঁচটি গরু লালনপালন করে কোরবানির বাজারে বিক্রি করে। এখান থেকে বছরে সে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করে। যা গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করছে।

তিনি বলেন, কোরবানির গরুসহ গবাদি পশুর মানও ভালো। কারণ এগুলো যত্ন নিয়ে লালন পালন করা হয়।

এক লাখ কোটি টাকার অর্থনীতি
ঈদের অর্থনীতি নিয়ে গবেষণা করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুঈদ রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার বিবেচনায়ও কোরবানির ঈদের অর্থনীতির এখন এক লাখ কোটি টাকার কম হবেনা। ঈদসহ যেকোনো উৎসবেই বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। কিন্তু কোরবানির ঈদের বিশেষত্ব হলো গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।’

তার কথায়, এর সঙ্গে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে যায়। আমাদের চামড়া শিল্পের প্রায় ৫০ ভাগ চামড়াই এই সময় সংগ্রহ করা হয়। আর মানসম্পন্ন চামড়ার প্রায় শতভাগই এই সময়ে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ ট্যানারি অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি শহীন আহমেদ বলেন, এবার কোরবানির ঈদে বিভিন্ন ধরনের ৭৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ হতে পারে। তার কথা, গত বছর ৮৫ লাখ চামড়া সংগ্রহ করা হয়েছিলো কোরবানির ঈদে। এবার অর্থনৈতিক কারণে কোরবানি কম হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয় বছরে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারের।

ড. মুঈদ রহমান বলেন, এখন গরুর ফেলে দেওয়া নাড়িভুড়িসহ বিভিন্ন অংশও বিদেশে রপ্তানি হয়। প্রতিবছর এখন প্রায় সাড়ে তিনশ কোটি টাকার এই ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়।

বাড়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ
কোরবানির ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গেছে। চলতি জুন মাসের প্রথম ১২ দিনেই ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৬ কোটি ডলার। ঈদ পর্যন্ত আরো আসবে। আর গত মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ডলার যা গত ৪৬ মাসে সর্বোচ্চ।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, দুই ঈদ এবং পহেলা বৈশাখ এই তিনটি বড় উৎসবে আমাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। এর বড় কারণ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। কোরবানিতে গরু আমাদের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতে অর্থের সরবরাহ বাড়ায়। গ্রামের পশু শহরে আসে। শহরের টাকা গ্রামে যায়। গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়। আরেকটি ব্যাপার হলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এর প্রভাব পড়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মানুষের হাতে টাকা আসে। ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজেটে যেমন কেন্দ্র থেকে অর্থ যায় গ্রামে। এখানে ঠিক উল্টো। গ্রামের মানুষের রেমিট্যান্স কেন্দ্রে চলে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার শোক বইয়ে স্বাক্ষর করতে মানুষের ঢল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৭
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর শোকের আবহ বিরাজ করছে। তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে রাখা শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক ও সর্বস্তরের জনগণ।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে খোলা হয় শোক বই। এর পর থেকে আসতে থাকেন দলের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আজ রাতে শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান। তাঁরা রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শোক প্রকাশ করেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম শোক বইয়ে স্বাক্ষর করে বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বিএনপির মহাসচিবসহ দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন।

শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

অন্যদিকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়েছে। দলটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের আজ সন্ধ্যায় শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

খালেদা জিয়ার প্রতি শোক ও শ্রদ্ধা জানাতে শোক বইটি উন্মুক্ত রয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব ও সর্বস্তরের মানুষ স্বাক্ষর অব্যাহত রেখেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়াকে চিরবিদায় জানাতে আসবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৭
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজায় অংশ নেবেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বালা নন্দ শর্মা। আগামীকাল বুধবারের জানাজায় অংশগ্রহণ ও শ্রদ্ধা জানাতে আজ মঙ্গলবারই তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই সফর সাবেক নেত্রীর প্রতি নেপালের গভীর শ্রদ্ধা এবং তাঁর তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বকালে নেপাল-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নের অবদানকে সম্মান জানানোর প্রতিফলন।

সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা থাকবেন। জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি কাঠমান্ডু ফিরবেন।

নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সফরকে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের জন্য থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৫০
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত
খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় নারীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যাতে তাঁরা সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশে জানাজায় অংশ নিতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা বাদ জোহর বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাতে আগত সবার সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৬
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তান পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের স্পিকার সরদার আইয়াজ সাদিক।

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডলে এ তথ্য জানিয়েছেন। ইসহাক দার লিখেছেন, আগামীকাল ঢাকায় খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নেবেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের একটি সূত্র জানিয়েছিল খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজায় যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন সে দেশের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত