Ajker Patrika

পুলিশের ১৩৮ অতিরিক্ত ডিআইজির পদে রদবদল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুলিশের ১৩৮ অতিরিক্ত ডিআইজির পদে রদবদল

বাংলাদেশ পুলিশের ১৩৮ জন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে রদবদল করেছে সরকার। পুলিশের এই কর্মকর্তাদের পদায়ন করে আজ বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ অধি শাখা-১ এর উপ সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এক যোগে পদায়ন হওয়া ১৩৮ কর্মকর্তারা হলেন-খাগড়াছড়ির আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ও বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট মো. আওরঙ্গজেব মাহবুবকে ৬ষ্ঠ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, অতিরিক্ত ডিআইজি পিটিসি নোয়াখালীর মো. রেজাউল করিমকে ঢাকা রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এম ফজলুর রহমানকে ঢাকা এপিবিএনে, বরিশাল মহানগর পুলিশের (বিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার প্রলয় চিসিমকে ঢাকা বিভাগের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের এসপি মো. মাসুদ করিমকে তৃতীয় এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলামকে সিআইডিতে, রাজশাহী মহানগরীর পুলিশ অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (আরএমপি) মো. সুজায়েত ইসলামকে ঢাকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা এসবির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএস) এজাজ আহমেদকে ঢাকার এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম নাহিদুল ইসলামকে ঢাকার সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি, আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলীকে ঢাকার পিবিআইয়ে, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেনকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহীতে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদার এসপি মো. আনিছুর রহমানকে ১২ এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. বরকতউল্লাহ খানকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মোজাহিদুল ইসলামকে ঢাকা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথকে চট্টগ্রামের রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আর আর এফ) কমান্ড্যান্ট, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খানকে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, ঢাকা পিবিআইয়ের এসপি মো. ইকবালকে খুলনা রেঞ্জ অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপির উপ কমিশনার (ডিসি) মো. আশরাফুল ইসলামকে ঢাকার এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শামসুল আলমকে ঢাকার হাইওয়ে পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. নজরুল ইসলামকে ঢাকা এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকার এসপিবিএনের এসপি মোহা. মনিরুজ্জামান কে ঢাকা এন্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা নৌ পুলিশের এসপি মো. ফরিদুল ইসলামকে সপ্তম এপিবিএনের অধিনায়ক, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সানা শামীনুর রহমানকে ঢাকা শিল্পাঞ্চল পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী সারদার এসপি ড. মো: আব্দুস সোবাহানকে বেতবুনিয়া পিএসটিএস কমান্ড্যান্ট, ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ওয়ালীদ হোসেনকে ঢাকার পিবিআইয়ের অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপির ডিসি টুটুল চক্রবর্ত্তীকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার, রংপুর মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মেহেদুল করিমকে ঢাকা পুলিশ স্টাফ কলেজের অতিরিক্ত ডিআইজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের এসপি মোহাম্মদ হাসান বারী নূরকে ১৬ এপিবিএনে, পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকা (টিআর পদে) এসপি এ কে এম মোশাররফ হোসেন মিয়াজীকে ঢাকায় প্রথম এপিবিএনের অধিনায়ক, সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের (টিআর পদের বিপরীতে) অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী সারদার অতিরিক্ত ডিআইজি নওরোজ হাসান তালুকদারকে খুলনা রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্স (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট, বিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হককে রাজশাহী সারদার অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

পুলিশ অধিদপ্তরের (ঢাকা টিআর) সহকারী মহাপরিদর্শক এআইজি মো. আব্দুর রাজ্জাককে রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) কমান্ড্যান্ট, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি মো. আলমগীর কবীরকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা এসবির এসপি মো. মনিরুজ্জামানকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপির ডিসি মোছা. ফরিদা ইয়াসমিনকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশ ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি বেগম হাসিনা রহমানকে ঢাকা পুলিশ টেলিকমের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি রেবেকা সুলতানাকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা ১১ এপিবিএনের এসপি শাহিনা আমিনকে ১১ এপিবিএনের অধিনায়ক; ঢাকা সিআইডির এসএস রুমানা আক্তারকে ঢাকা সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি, গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহমদ খানকে দ্বিতীয় আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। 

ঢাকার এসপি মো. মারুফ হোসেন সরদারকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, রাজশাহী অঞ্চলের নৌ পুলিশের এসপি দীন মোহাম্মদকে নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং কলেজের পিটিসি অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এসআইজি) মোহাম্মদ শাহজালালকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার নাছিমা আক্তারকে ঢাকা অ্যান্টি টেরেরিজমের অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপির ডিসি শ্যামল কুমার মুখার্জীকে ঢাকা ইউনিটের হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপির ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমানকে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি, সিআইডির এসএস বিজয় বসাককে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) (অতিরিক্ত) কমিশনার, ডিএমপির ডিসি মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনকে দশম এপিবিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। 

সিআইডির এসএস মো. এনামুল কবিরকে ময়মনসিংহ ডিআইজি রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত ডিআইজি, নড়াইলের এসপি প্রবীর কুমার রায়কে চট্টগ্রাম ডিআইজি রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত ডিআইজি, চট্টগ্রাম রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট এম এ মাসুদকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার; সিরাজগঞ্জের এসপি হাসিবুল আলমকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপির ডিসি আ স ম মাহতাব উদ্দিনকে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার, ডিএমপির ডিসি জয়দেব চৌধুরীকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি মো. মহিউল ইসলামে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি, ময়মনসিংহের এসপি মোহা. আহমার উজ্জমানকে ঢাকা এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা ১৩ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. রাশিদুল ইসলামকে ঢাকা এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। 

লক্ষীপুরের এসপি ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার; আরএমপির ডিসি এ এফ এম আনজুম কালামকে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; সুনামগঞ্জের এসপি মো. মিজানুর রহমানকে ঢাকা এসবির অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা এসবির এসএস মো. ফারুক হোসেনকে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার; সিআইডির এসএস মো. দেলোয়ার হোসেনকে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার; ঝিনাইদহের এসপি মুনতাসিরুল ইসলামকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; সিআইডির এসএস মো. মিজানুর রহমানকে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; চট্টগ্রামের এসপি এস এম রাশিদুল হককে রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; সিআইডির এসএস সামসুন নাহারকে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার; খুলনা রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মোছা. তাসলিমা খাতুনকে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার; কুড়িগ্রামের এসপি সৈয়দা জান্নাত আরাকে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি; পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি তামান্না ইয়াসমিনকে ঢাকা রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; সিআইডির এসএস পংকজ চন্দ্র রায়কে ঢাকা নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। 

দিনাজপুর এসপি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসের এসপি বেগম নাবিলা জাফরিন রীনাকে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; রাঙ্গামাটির এসপি মীর মোদাছেছর হোসেনকে খাগড়াছড়ি এপিবিএনের বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি; বিএমপির ডিসি মো. মোকতার হোসেনকে র্যাবের অধিনায়ক; আরএমপির ডিসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; শিল্পাঞ্চল পুলিশ ইউনিট ৭-এর এসপি আবু আহাম্মদ আল মামুনকে বিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার; বরিশালের এসপি মো. মারুফ হোসেনকে র্যাবের অধিনায়ক করা হয়েছে। 

পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি খোন্দকার নুরুন্নবীকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার; ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের এসপি সৈয়দ হারুন অর রশীদকে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক; রংপুর রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট মু. মাসুদ রানাকে সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার; নওগাঁর এসপি আবদুল মান্নান মিয়াকে ঢাকা অ্যান্টি টেরোরিজমের অতিরিক্ত ডিআইজি; পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলামকে ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; নারায়ণগঞ্জের এসপি মোহাম্মদ জায়েদুল আলমকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার; ডিএমপির ডিসি এস এম মেহেদী হাসানকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার; কুমিল্লার এসপি ফারুক আহমেদকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। 

সিআইডির এসএস মাসুদ আহাম্মদকে ঢাকা শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি; হবিগঞ্জ ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট মো. হেমায়েতুল ইসলামকে ঢাকা এন্টি টেরোরিজমের অতিরিক্ত ডিআইজি; খুলনা শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসপি এম এ জলিলকে সিলেট রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; সিলেট রেঞ্জর অফিসের এসপি নূরুল ইসলামকে স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশনের (এসপিবিএন-১) অধিনায়ক; পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি শাহজাদা মো. আসাদুজ্জামানকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; পুলিশ ব্যুরো ইনভেটিগেশনের (পিবিআই) এসপি মো. আতিকুর রহমানকে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা এসবির এসএস মো. সায়াফুজ্জামান ফারুকীকে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার; শিল্পাঞ্চল পুলিশের এসপি উত্তম কুমার পালকে আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার; নাটোরের এসপি লিটন কুমার সাহাকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার করা হয়েছে। 

লালমনিরহাটের এসপি আবিদা সুলতানাকে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ডিএমপির ডিসি সঞ্জিত কুমার রায়কে ডিএমপির ডিসি; পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি শেহেলা পারভীনকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; পুলিশ অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক নাসিয়ান ওয়াজেদকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা এপিবিএনের এসপি শামীমা আক্তারকে পঞ্চম এপিবিএনের অধিনায়ক; ফরিদপুর পিবিআইয়ের এসপি মো. মাহফুজুর রহমানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা সিআইডির এসএস সৈয়দ আবু সায়েমকে চতুর্থ এপিবিএনের অধিনায়ক; সিএমপির ডিসি মো. ফারুক উল হককে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; জিএমপির ডিসি তানভীর মমতাজকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি; কক্সবাজারের এসপি হাসানুজ্জামানকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি করা হয়েছে। 

ফরিদপুরের এসপি আলিমুজ্জামানকে র্যাবের অধিনায়ক; সিআইডির এসএস মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে নবম এপিবিএনের অধিনায়ক; পটুয়াখালীর এসপি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; পাবনার এসপি মো. মহিবুল ইসলাম খানকে র্যাবের অধিনায়ক; সিলেটের এসপি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনকে সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার; শরীয়তপুরের এসপি এস এম আশরাফুজ্জামানকে রংপুর রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্সের কমান্ড্যান্ট; সিআইডির এসএস কানিজ ফাতেমাকে ঢাকা এন্টি টেরোরিজমের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা রেঞ্জের অফিসের এসপি বেগম সুলতানা নাজমা হোসেনকে ঢাকা এন্টি টেরোরিজমের অতিরিক্ত ডিআইজি; ডিএমপির ডিসি মো. জোবায়দুর রহমানকে এসএমপির অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়েছে। 

ঢাকা এসবির এসপি ফরিদা ইয়াসমিনকে ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা হাইওয়ে পুলিশের এসপি মো. হামিদুল আলমকে রাজশাহীর বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সারদার অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি মো. জালাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা পিবিআইয়ের এসপি মো. হুমায়ুন কবীরকে সিলেট রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্সের অতিরিক্ত ডিআইজি, সিলেটের অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদারকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার; আরএমপির ডিসি মো. মো. রশীদুল হাসানকে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা ১২ এপিবিএনের অধিনায়ক মো. তোফায়েল আহমেদকে ১৩ এপিবিএনের অধিনায়ক; ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি সঞ্জয় কুমার কুন্ডুকে বিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়েছে। 

ডিএমপির ডিসি নিজামুল হক মোল্যাকে খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ডিএমপির ডিসি মো. এমরান হোসেনকে পুলিশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; সিআইডির এসএস মো. সাইদুর রহমান খানকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের এসপি মো. সাইফুল্লাহ আল মামুনকে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার; সিআইডির এসএস খান মুহাম্মদ রেজওয়ানকে এসপিবিএনের ২ অধিনায়ক; ঢাকা এসবির এসএস মো. আসাদ উল্লাহ চৌধুরীকে ঢাকা এন্টিটেরোরিজমের অধিনায়ক; সিএমপির ডিসি আমির জাফরকে অষ্টম এপিবিএনের অধিনায়ক; আরএমপির ডিসি মো. সাজিদ হোসেনকে কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার করা হয়েছে। 

ঢাকা পুলিশ অধিদপ্তরের এআইজি বিধান ত্রিপুরাকে ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি; পুলিশের অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদোন্নাতিপ্রাপ্ত মো. বেলাল উদ্দিনকে পুলিশের অধিদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি; কুমিল্লা ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট নরেশ চাকমাকে রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি; ঢাকা ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি ড. একেএম ইকবাল হোসেনকে বরিশাল রেঞ্জ রির্জাভ ফোর্সেস কমান্ড্যান্ট; ঢাকা ডিআইজি রেঞ্জ অফিসের এসপি মো. জিয়াউল হককে জিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এবং কিশোরগঞ্জের এসপি মো. মাশরুকুর রহমান খালেদকে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন আশিক চৌধুরী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট হাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট হাতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ

মহান বিজয় দিবসের ৫৪তম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন উপলক্ষে ৫৪টি জাতীয় পতাকা উড়িয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের ৫৪ জন প্যারাট্রুপার। এই দলে থাকবেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে স্কাই ডাইভিং করবেন তিনি।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, ‘১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারাট্রুপিং করে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন। এই ৫৪ জনের একজন আশিক চৌধুরী জাম্প করবেন ওসমান হাদির ছবি আঁকা হেলমেট পরে। বিজয়ের দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড ওসমান হাদির দ্রুত সুস্থতা কামনায় সকলকে দোয়া ও প্রার্থনার আহ্বান জানাই।’

এদিন একই পেজে দেওয়া আরেক পোস্টে বলা হয়, ‘এই বিজয় দিবসে চলে আসুন দলে দলে, এক অবিস্মরণীয় এয়ার শো দেখতে। বিজয়ের ৫৪তম বছরে, ৫৪ জন প্যারাট্রুপার, ৫৪টি জাতীয় পতাকা হাতে বিমান থেকে অবতরণ করবেন, গড়বেন বিশ্ব রেকর্ড। এয়ার শো উপভোগ করতে ব্যবহার করবেন আইডিবির উল্টো পাশের তালতলা গেট। গেট খোলা হবে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায়। ১০টার মধ্যেই সবাইকে নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে স্বাধীনতার ৫৪ বছর উদ্‌যাপনে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করবেন। এটি হবে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিং, যা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ

আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ।

আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করে হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ২৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই ছবি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তখন তাঁকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার এই ছবি ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বরের। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার পর তখন তাঁকে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে অন্তত পাঁচবার তলব করা হলো প্রতিবেশী দেশের রাষ্ট্রদূতকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রোববার সকালে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে দিল্লিতে আশ্রয় নেওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত উসকানিমূলক বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্বেগের বিষয়টিও জানিয়ে দেওয়া হয়।

গত শুক্রবার ঢাকায় জুলাই অভ্যুত্থানের সমর্থক ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তিনি এখনো সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ওসমান হাদিকে গুলিবর্ষণকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করা হয়েছে। তাঁরা যদি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে সক্ষমও হন, তবে তাঁদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশের কাছে প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়।

জুলাই অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। জুলাই আন্দোলন দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে গত ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর তাঁকে ফেরত দিতে নয়াদিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তাতে দিল্লির কোনো সাড়া মেলেনি। তা ছাড়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি বন্ধ করার আহ্বানে সাড়া দেয়নি ভারত।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরও শেখ হাসিনার বক্তব্য–বিবৃতি অব্যাহত রয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে আবার ভারতের হাইকমিশনারকে তলব করা হলো। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় তাঁকে ডেকে নিয়ে সরকারের পক্ষে উদ্বেগ তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।

ভারতের হাইকমিশনারকে বলা হয়, পলাতক শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে, যার মাধ্যমে তিনি তাঁর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসন্ন নির্বাচন বানচালে প্ররোচিত করছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা ভারতে বসে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বানচালে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও প্রণয় ভার্মাকে জানানো হয়। এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও জানানো হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত শেখ হাসিনা,ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে ফেরত পাঠানোর আহ্বানও আবার জানানো হয় ভারতের হাইকমিশনারকে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা প্রকাশ করেছে, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুরক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে ভারত সরকার। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—এমন প্রত্যাশা ভারতের রয়েছে এবং এ বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে তাঁর দেশ প্রস্তুত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৩
ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যেন বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করা হয়।

একই সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারকে অনুরোধ করে বলা হয়, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টাকারীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা রোধে ভারত সরকার যেন বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করে এবং তাঁরা ভারতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলে তাঁদের যেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে পাকড়াও করার উদ্যোগ নেয় এবং বাংলাদেশে প্রত্যর্পণ করে।

আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশের কাছে এসব অনুরোধ জানানো হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে, ভারতে অবস্থানকারী পলাতক অপরাধী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বিঘ্ন করাসহ আসন্ন নির্বাচন বানচাল করার অসাধু উদ্দেশ্যে ক্রমাগতভাবে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর দলের সমর্থকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। ভারত সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, তারা যেন অনতিবিলম্বে তাঁর এবং ভারতে পলাতক তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের এসব ফ্যাসিস্ট টেররিস্ট কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেয়।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল পুলিশ সরবরাহ করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, এই প্রটোকলে রাজনৈতিক নেতা ও আসন্ন নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাঁদের বাসস্থান, কার্যালয়, চলাচল, জনসভা ও সাইবার স্পেসে কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন—সে বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখসারির নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ও তাঁর সহযোগীদের পুলিশ এরই মধ্যে শনাক্ত করেছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিবিড় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি এরই মধ্যে জব্দ করা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করতে না পারে, সে জন্য হামলার দিন রাতেই সবগুলো ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের ছবি ও অন্যান্য তথ্য সরবরাহ করা হয়। সীমান্ত এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের অভ্যন্তরে একাধিকবার সন্দেহভাজনদের অবস্থান শনাক্ত করা হলেও বারবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এখনো তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ এরই মধ্যে প্রধান সন্দেহভাজনের চলাচলের খতিয়ান বা ট্রাভেল হিস্ট্রি সংগ্রহ করেছে। এতে দেখা যায়, আইটি ব্যবসায়ী পরিচয়ে তিনি গত কয়েক বছরে একাধিক দেশ ভ্রমণ করেছেন। সর্বশেষ গত ২১ জুলাই সিঙ্গাপুর ভ্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।

এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে—এমন আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে এরই মধ্যে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত