সংস্কার কমিশনের সুপারিশ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এই মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে গত ১৮ নভেম্বর ৮ সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন তাদের প্রাথমিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে কার্যত কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই। এ মুহূর্তে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। নতুবা নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।’
বর্তমানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে কমিশন। এ বিষয়ে তাদের সুপারিশে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনো সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করেছে সংস্কার কমিশন। তারা বলেছে, আগামী জুনের মধ্যে সমতল ও পাহাড়ের সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে।
পাহাড়ে নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে সংসদীয় কাঠামোতে সংস্থাপিত করে আইন সংশোধন করে চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাহাড়ের তিনটি জেলা পরিষদের নির্বাচনও করা যেতে পারে।’
দেশের সংবিধান নারীকে প্রজাতন্ত্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মূলধারায় নিয়ে আসার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। এ কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পুরো পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড (একক অসন) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে পুনর্গঠন করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় প্রতিটি পরিষদে ও কাউন্সিলে মোট ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ প্রতি নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকারের নতুন কাঠামো অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যরা পদাধিকার বলে চেয়ার ও মেয়র-কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যপদ লাভ করবেন।’
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি মৌলিক আইন রয়েছে। সেগুলো হলো ‘ইউনিয়ন পরিষদ আইন’, ‘উপজেলা পরিষদ আইন’, ‘জেলা পরিষদ আইন’, ‘পৌরসভা আইন’ ও ‘সিটি করপোরেশন আইন’। আইনগুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ কাঠামো অসামঞ্জস্যপূর্ণ। গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক আইনের বদলে একটি একক আইন ও নগর স্থানীয় সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান যথা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে আরেকটি একক আইনের অধীনে এনে কাঠামোগত সামঞ্জস্যতা বিধান করার প্রস্তাব করেছে সংস্কার কমিশন।

সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এই মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক-প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে গত ১৮ নভেম্বর ৮ সদস্যের স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিশন তাদের প্রাথমিক সুপারিশসম্বলিত প্রতিবেদন গত বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জমা দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশে কার্যত কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নেই। এ মুহূর্তে সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব। বর্তমানে নতুন একটি স্বচ্ছ ক্যানভাসে নতুন ছবি আঁকা সম্ভব। নতুবা নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিষ্ঠানের মেয়াদ শেষ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আইনি জটিলতার উদ্ভব হতে পারে।’
বর্তমানে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করে কমিশন। এ বিষয়ে তাদের সুপারিশে বলা হয়, ‘স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সংসদীয় পদ্ধতি চালু করার আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে জনপরিসরে থাকলেও কোনো সুযোগ সৃষ্টি হয়নি। এখন সে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।’
আগামী মার্চ অথবা এপ্রিলের মধ্যে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে পাঁচ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য দুটি একীভূত স্থানীয় সরকার আইন প্রণয়ন করেছে সংস্কার কমিশন। তারা বলেছে, আগামী জুনের মধ্যে সমতল ও পাহাড়ের সব ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ‘স্থানীয় সরকার কমিশন’ এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ এপ্রিলের আগে শেষ করতে পারে। তবে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সরকার, রাজনৈতিক দলগুলো এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটি ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হলেই তা সম্ভবপর হবে।
পাহাড়ে নির্বাচনের বিষয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, ‘পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদ আইনকে সংসদীয় কাঠামোতে সংস্থাপিত করে আইন সংশোধন করে চলতি বছরের জুনের মধ্যে পাহাড়ের তিনটি জেলা পরিষদের নির্বাচনও করা যেতে পারে।’
দেশের সংবিধান নারীকে প্রজাতন্ত্রের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মূলধারায় নিয়ে আসার বিশেষ ব্যবস্থা রেখেছে। এ কথা উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নারীর প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসন পদ্ধতি পরিবর্তন করে পুরো পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ ওয়ার্ড (একক অসন) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে পুনর্গঠন করা যেতে পারে। প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় প্রতিটি পরিষদে ও কাউন্সিলে মোট ওয়ার্ডের এক-তৃতীয়াংশ প্রতি নির্বাচনে নারীদের জন্য সংরক্ষিত করা হবে। প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকারের নতুন কাঠামো অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যরা পদাধিকার বলে চেয়ার ও মেয়র-কাউন্সিলের নির্বাহী পরিষদের এক-তৃতীয়াংশ সদস্যপদ লাভ করবেন।’
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া সারা দেশে স্থানীয় সরকারের পাঁচটি মৌলিক আইন রয়েছে। সেগুলো হলো ‘ইউনিয়ন পরিষদ আইন’, ‘উপজেলা পরিষদ আইন’, ‘জেলা পরিষদ আইন’, ‘পৌরসভা আইন’ ও ‘সিটি করপোরেশন আইন’। আইনগুলো ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ কাঠামো অসামঞ্জস্যপূর্ণ। গ্রামীণ স্থানীয় সরকারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে তিনটি পৃথক আইনের বদলে একটি একক আইন ও নগর স্থানীয় সরকারের দুটি প্রতিষ্ঠান যথা পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে আরেকটি একক আইনের অধীনে এনে কাঠামোগত সামঞ্জস্যতা বিধান করার প্রস্তাব করেছে সংস্কার কমিশন।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৪৪ মিনিট আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে এই মামলায় ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। মামলায় জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ এনেছে প্রসিকিউশন।
অভিযোগের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, গুম-খুনের কালচার শেখ হাসিনার আমলে শুরু হয়েছিল। সেটা সরাসরি শেখ হাসিনার নির্দেশে হতো। পরে নির্দেশ আসত তাঁর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মাধ্যমে। এসব কিছুর বাস্তবায়নের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউল আহসান। বাংলাদেশে এ রকম বীভৎস, নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর ব্যাপারে তাঁর যে স্পর্ধা, সে জন্য তাঁকে একক আসামি হিসেবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ-১: ২০১১ সালের ১১ জুলাই রাতে গাজীপুরের পুবাইলের ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে জিয়াউল আহসানের পরিকল্পনায় ও প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে সজল ও অজ্ঞাতনামা তিনজনকে গুলি করে হত্যা।
অভিযোগ-২: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার পাথরঘাটা থানার চরদুয়ানীর নিকটবর্তী বলেশ্বর নদের মোহনায় নজরুল ইসলাম মল্লিক, আলকাছ মল্লিকসহ কমপক্ষে ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা ও লাশ গুম।
অভিযোগ-৩: ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বরগুনার বলেশ্বর নদ ও বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে তথাকথিত বনদস্যু দমনের নামে মাসুদসহ ৫০ জনকে গুলি করে হত্যা।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে র্যাবে পোস্টিং হওয়ার পর থেকে জিয়াউল আহসান বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ফলে ২০২৪ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আগপর্যন্ত কখনোই তাঁকে সেনাবাহিনীতে ফেরত যেতে হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জিয়াউল আহসান র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক ও এডিজি (অপস) হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসংখ্য গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। অগণিত হত্যাকাণ্ড, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ তাঁর সরাসরি নির্দেশে বিশ্বস্ত র্যাব সদস্যরা ঘটাতেন।
হত্যাকাণ্ডের অন্যতম হটস্পট ছিল বরগুনার পাথরঘাটার চরদুয়ানী ইউনিয়নের চরদুয়ানী খাল বেয়ে অগ্রসর হয়ে বলেশ্বর নদের বিভিন্ন পয়েন্ট ও মোহনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী, সড়কপথে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া হয়ে বরগুনার চরদুয়ানীতে রাত ১১টা কিংবা তারও পরে কালো কাচের মাইক্রোবাস, জিপ, ডাবল কেবিন পিকআপসহ বিভিন্ন গাড়িবহরে র্যাব সদস্যরা সাদা পোশাকে আসতেন। তাঁদের সঙ্গে দু-একজন করে বন্দী থাকতেন, কখনো বন্দীর সংখ্যা অনেক বেশিও হতো। বন্দীদের ট্রলারে উঠিয়ে মাঝ নদীতে নিয়ে শরীরের সঙ্গে (মাথা বা বুকে) বালিশ ঠেকিয়ে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হতো। এরপর পেট ছুরি দিয়ে ফেড়ে শরীরে (মাথা ও পায়ে) সিমেন্টের ব্লক বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হতো।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঢাকার বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা এবং চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা ও পতেঙ্গা উপকূলবর্তী বঙ্গোপসাগরেও এ ধরনের অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। এ ধরনের অপারেশনের অনেকগুলোয় জিয়াউল আহসান সশরীরে অংশ নেন এবং অনেকগুলোয় তাঁর প্রত্যক্ষ নির্দেশনার আলোকে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা অথবা তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্যান্য ব্যাটালিয়নের বাছাই করা সদস্যরা হত্যাকাণ্ড ঘটান।
অভিযোগে বলা হয়, গুম থাকা ব্যক্তিদের নিয়ে গভীর রাতে পাথরঘাটার চরদুয়ানী থেকে ট্রলারে করে বলেশ্বর নদ হয়ে সুন্দরবনের পূর্বনির্ধারিত নিজেদের সাজানো কথিত বনদস্যুদের আস্তানায় নিয়ে যাওয়া হতো। ভুক্তভোগীদের চোখ, হাত-পা বেঁধে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর উপর্যুপরি গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের আবহ তৈরি করা হতো। অনেক ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযানের সাক্ষী হিসেবে নিয়ে যাওয়া হতো কিছু অনুগত সাংবাদিককে। তবে তাঁদের ঘটনাস্থলে না নিয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্রসফায়ারের নামে ভুক্তভোগীদের হত্যা করা হতো। পরে তাঁদের ঘটনাস্থলে নিয়ে নিজেদের মনমতো ঘটনার বর্ণনা দিত। দস্যুনিধনের নামে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগে থেকে আটক রাখা নিরপরাধ বন্দীদের হত্যা করা হতো।
অধিকাংশ অভিযানে জিয়াউল আহসান নিজেই অংশ নিতেন। এ ছাড়া তদন্তে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে ২০১০-১৩ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনকে হত্যা, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নামে কমপক্ষে ৬১ জনকে হত্যাসহ আরও অসংখ্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউল আহসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে পৃথক তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এ মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চিফ প্রসিকিউটর।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপির নেতা সাজিদুল ইসলাম সুমনসহ আটজনকে তুলে নেওয়ার কাজটি জিয়াউল আহসানের নির্দেশ ও তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে। ছাত্রশিবিরের নেতা গোলাম কিবরিয়া, হাফেজ জাকির, চৌধুরী আলম—এ রকম উল্লেখযোগ্য গুমের ঘটনার প্রতিটির পেছনের পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন জিয়াউল আহসান।
চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদকে তুলে নেওয়া এবং পরে ভারতে পাচার করে দেওয়ার পেছনেও জিয়াউল আহসান ছিলেন। বিচারের স্বার্থে এগুলোকে আলাদা করা হয়েছে, যাতে আরও সুষ্ঠুভাবে সাক্ষী উপস্থাপন করা যায়। তিনি বলেন, ‘আপাতত আমরা শতাধিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চার্জ দাখিল করেছি। বাকি আরও পাঁচ শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে। এগুলোকে আলাদাভাবে দাখিল করা হবে।’

সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এ মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৪৪ মিনিট আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান দেশটিতে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন।
রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করেন এবং হাদির চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি জানান, হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।
প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে হাদির জন্য দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় চলন্ত অটোরিকশায় হাদিকে মোটরসাইকেল থেকে গুলি করা হয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এ মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৪৪ মিনিট আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ এসব মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবিএল) সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বশির আহম্মেদ পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই কাজে কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ব্যবহার করেন তাঁরা। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঋণের নামে ইউসিবিএলের বিভিন্ন শাখা থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, সাধারণ শ্রমিক, দিনমজুর ও অসহায় মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো ব্যবহার করে আটটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ আবেদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
ইউসিবিএলের চকবাজার শাখায় আমির হামজাকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মঈন উদ্দিনকে মুন এন্টারপ্রাইজ, নুরুল ইসলামকে ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, সাইফু উদ্দিনকে সান সাইন এন্টারপ্রাইজ, দিদারুল আলমকে আলম এন্টারপ্রাইজ, জসীম উদ্দিনকে জুপিটার এন্টারপ্রাইজ, নাজিম উদ্দিনকে নাজিম অ্যান্ড সন্স এবং রাজধন কর্মকারকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দেখিয়ে আটটি চলতি হিসাব খোলা হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, ইউসিবিএলের চকবাজার শাখা থেকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ৮ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৭ কোটি টাকা, ইসলাম এন্টারপ্রাইজের নামে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সান সাইন এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ইউসিবিএলের পোর্ট শাখা থেকে আলম এন্টারপ্রাইজের নামে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, জুপিটার এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি টাকা, পাহাড়তলী শাখা থেকে নাজিম অ্যান্ড সন্সের নামে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বহদ্দারহাট শাখা থেকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের নামে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নামসর্বস্ব আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ১১৫ জনকে আসামি করে আটটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব ভুয়া প্রতিষ্ঠান গঠনের নেপথ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনিসহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জড়িত বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বুধবার দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ এসব মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ভাই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবিএল) সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি এবং সাবেক পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য বশির আহম্মেদ পরস্পর যোগসাজশে ব্যাংকের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই কাজে কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ব্যবহার করেন তাঁরা। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঋণের নামে ইউসিবিএলের বিভিন্ন শাখা থেকে ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, সাধারণ শ্রমিক, দিনমজুর ও অসহায় মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হয়। পরে সেগুলো ব্যবহার করে আটটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণ আবেদন করা হয়। ঋণ অনুমোদনের পর ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহায়তায় অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
ইউসিবিএলের চকবাজার শাখায় আমির হামজাকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজ, মঈন উদ্দিনকে মুন এন্টারপ্রাইজ, নুরুল ইসলামকে ইসলাম এন্টারপ্রাইজ, সাইফু উদ্দিনকে সান সাইন এন্টারপ্রাইজ, দিদারুল আলমকে আলম এন্টারপ্রাইজ, জসীম উদ্দিনকে জুপিটার এন্টারপ্রাইজ, নাজিম উদ্দিনকে নাজিম অ্যান্ড সন্স এবং রাজধন কর্মকারকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী দেখিয়ে আটটি চলতি হিসাব খোলা হয়।
তদন্তে দেখা গেছে, ইউসিবিএলের চকবাজার শাখা থেকে এশিয়া এন্টারপ্রাইজের নামে ৮ কোটি টাকা, মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৭ কোটি টাকা, ইসলাম এন্টারপ্রাইজের নামে ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সান সাইন এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। ইউসিবিএলের পোর্ট শাখা থেকে আলম এন্টারপ্রাইজের নামে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, জুপিটার এন্টারপ্রাইজের নামে ৯ কোটি টাকা, পাহাড়তলী শাখা থেকে নাজিম অ্যান্ড সন্সের নামে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং বহদ্দারহাট শাখা থেকে আল রাজি এন্টারপ্রাইজের নামে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে আটটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৫৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন এ মুহূর্তে একসঙ্গে করা সম্ভব বলে মনে করছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। আগামী জুনের মধ্যেই ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদের ভোট শেষ করা যেতে পারে বলে নিজেদের সুপারিশে জানিয়েছে কমিশন।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
গুমের পর শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই অভিযোগ আমলে নিয়ে ২১ ডিসেম্বর জিয়াউল আহসানকে
৪৪ মিনিট আগে
বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। আজ বুধবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীকে উঠিয়ে নেওয়া এবং পরে হত্যা করা হয়েছে বলে তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগে