শহীদুল ইসলাম, ঢাকা

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একত্র হওয়া ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পাল্টা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারও পুরোদমে মাঠে নেমেছে। গতকাল রোববার প্রশাসন ক্যাডারের কয়েক শ কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন।
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস করার দাবিতে এই অবস্থান করেন। এত কর্মকর্তার এভাবে অবস্থান নেওয়া নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
এই অবস্থানের পর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। তবে অন্য ২৫ ক্যাডারের সঙ্গে আর বৈঠক করবে না তারা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশন সুপারিশ নেবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোন ক্যাডার সার্ভিস কী সুবিধা পাবে বা না পাবে, সে বিষয়ে কথা বলা সংস্কার কমিশনের কাজ নয়। এখতিয়ারের বাইরে কথা বলে কমিশন আন্তক্যাডার বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। এতে সরকার বেকায়দায় পড়তে পারে।
প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্য ২৫ ক্যাডারের এ বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি অবস্থানের শুরু জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর এক মন্তব্যের পর। ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আন্তক্যাডার বিতর্ক নিরসনের দাবিতে কর্মসূচি পালনরত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সংস্কার কমিশনের প্রধানের ওই বক্তব্যের পর বক্তৃতা-বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানান। প্রশাসন ক্যাডারও পাল্টা বক্তব্য-বিবৃতি দেয়। একপর্যায়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সব অফিসে ১ ঘণ্টার কলমবিরতি এবং বৃহস্পতিবার নিজ নিজ কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি দেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
এদিকে প্রশাসন ক্যাডারকে আলাদা করে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। গত দুই দিন তাঁরা ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইল পরিবর্তন করে একই লোগো যুক্ত করেন।
সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান
গতকাল বেলা ১১টার পর সচিবালয় ও আশপাশে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষণা
ছাড়াই চার শতাধিক কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় তলায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। অবশ্য গত শনিবার রাতে প্রশাসন ক্যাডারের ব্যাচভিত্তিক গ্রুপগুলোতে এ কর্মসূচি জানানো হয় বলে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান।
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্লাহ এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদসহ ১৫-২০ জন কর্মকর্তা ভবনের তৃতীয় তলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের দপ্তরে যান। বেলা পৌনে ১টায় তিনি দপ্তরে গেলে তাঁর সঙ্গে আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা। বেলা ২টা পর্যন্ত অবস্থান করেন কর্মকর্তারা।
প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সদস্যসচিব নিয়মিত চাকরিতে থাকলে এমন সুপারিশ করার চিন্তা করতেন না। তাঁরা দুজনেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চান। এ জন্যই তাঁরা এ বিতর্ক উসকে দিয়েছেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা অন্য কোনো ক্যাডারের পদে যাবেন না। তাঁদের পদেও যাতে কেউ না আসতে পারেন, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্যই তাঁরা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন।
তবে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখন যৌক্তিক কিছু বলছেন না। উপসচিব পদ শুধু প্রশাসন ক্যাডারের পদ নয়, এটি সরকারের সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি)। এ পদে কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয় না, নিয়োগ দেওয়া হয়। আর নতুন করে নিয়োগের সময় আগের পদ ছেড়ে আসতে হয়।
২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলো সরকারের পদ। এসব পদে সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
এভাবে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, কর্মকর্তারা কমিশনের সদস্যসচিবের মুখ থেকে একটা কথা শোনার জন্য ১০ মিনিটের জন্য এসেছেন। সেটা তো আসতেই পারেন। এখানে কোনো অশোভন আচরণ করা হয়নি। তাঁরা বক্তব্য শোনার জন্য এসেছেন। এটাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘তাঁরা তো অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা এখানে হয়তো দল বেঁধে এসেছেন। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে কীভাবে পজিটিভভাবে এগোনো যায়। আমরা বিভাগে, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে গেছি। এখন সেন্ট্রালে কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
আবার আলোচনায় বসবে কমিশন
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জনপ্রশাসন সচিব জানান, কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করার আগে চলতি সপ্তাহেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। এরপর বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে আর ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি মৌলিক বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে স্থিতিশীল রেখে, জনগণের স্বার্থে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যাতে এগোনো যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এটি কমিশনে জমা দেব। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কেউ কমিশনকে তথ্য ও সুপারিশ দিতে পারবে।’
জনপ্রশাসন সচিবকে গতকাল দেওয়া লিখিত সুপারিশে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, সিভিল প্রশাসন সার্ভিসকে অন্যান্য টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল ক্যাডারের সংমিশ্রণ থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। এ জন্য অন্যান্য টেকনিক্যাল, প্রফেশনাল বা বিষয়ভিত্তিক ক্যাডার সার্ভিস থেকে প্রশাসন ক্যাডারকে আলাদা করে এন্ট্রি পদ সহকারী কমিশনার বা সহকারী সচিব থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে (নন-ক্যাডার পদ ছাড়া) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যায্যভাবে বাদ দেওয়া উপসচিবের ২৫ শতাংশ পদ আবার এই সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উপসচিব থেকে শুরু করে সরকারের পদগুলোতে কীভাবে কর্মকর্তাদের পদায়ন হবে, এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের কপিও জনপ্রশাসন সচিবকে দেয় অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো ক্যাডারকে আন্ডারমাইন্ড করছি না। যার যার অবস্থান বা পদ থেকে ওপরে ওঠার যে সুযোগ রয়েছে, সেটা অবারিত আছে। সেখানে আমরা কখনো কারও বিরুদ্ধাচরণ করছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনের সঙ্গে আরও একবার বসার সুযোগ চাই।’
উপসচিব পুলে কোটা এল যেভাবে
১৯৯২ সালে সচিবালয় ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করে সচিবালয় ক্যাডারের সব পদ প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নীতিমালা জারি করে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে ২৫ শতাংশ পদ অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে আনুপাতিকভাবে বণ্টন করে কোটাপদ্ধতি চালু করে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সেবার উন্নতি, দুর্নীতি, হয়রানি ও রাজনীতিকীকরণ বন্ধ, জনসেবার মানোন্নয়ন, সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার মতো মূল কাজের বাইরে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কোন ক্যাডারকে কী দেবে না দেবে, সেটি তো কমিশনের বলার কথা নয়। আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করা কী তাদের কাজ? সব পক্ষেরই দাবিদাওয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনে আলাদা কমিটি করা যেতে পারে। এখন যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, এটা সহজে মিটবে না। এক পক্ষকে যখন সুবিধা দেবে, করপোরেশনসহ অন্যরাও রাস্তায় নেমে গেলে সরকারের কী হবে?

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একত্র হওয়া ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পাল্টা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারও পুরোদমে মাঠে নেমেছে। গতকাল রোববার প্রশাসন ক্যাডারের কয়েক শ কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করে নিজেদের দাবি জানিয়েছেন।
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস করার দাবিতে এই অবস্থান করেন। এত কর্মকর্তার এভাবে অবস্থান নেওয়া নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।
এই অবস্থানের পর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। তবে অন্য ২৫ ক্যাডারের সঙ্গে আর বৈঠক করবে না তারা। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশন সুপারিশ নেবে।
উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোন ক্যাডার সার্ভিস কী সুবিধা পাবে বা না পাবে, সে বিষয়ে কথা বলা সংস্কার কমিশনের কাজ নয়। এখতিয়ারের বাইরে কথা বলে কমিশন আন্তক্যাডার বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। এতে সরকার বেকায়দায় পড়তে পারে।
প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে অন্য ২৫ ক্যাডারের এ বিরোধ ও পাল্টাপাল্টি অবস্থানের শুরু জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীর এক মন্তব্যের পর। ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা। বর্তমান বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব পদে প্রশাসন ক্যাডারের ৭৫ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডারের ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর আন্তক্যাডার বিতর্ক নিরসনের দাবিতে কর্মসূচি পালনরত ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা সংস্কার কমিশনের প্রধানের ওই বক্তব্যের পর বক্তৃতা-বিবৃতিতে এর প্রতিবাদ জানান। প্রশাসন ক্যাডারও পাল্টা বক্তব্য-বিবৃতি দেয়। একপর্যায়ে আগামীকাল মঙ্গলবার সব অফিসে ১ ঘণ্টার কলমবিরতি এবং বৃহস্পতিবার নিজ নিজ কর্মস্থলের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি দেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
এদিকে প্রশাসন ক্যাডারকে আলাদা করে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ প্রতিষ্ঠার দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। গত দুই দিন তাঁরা ফেসবুকে নিজেদের প্রোফাইল পরিবর্তন করে একই লোগো যুক্ত করেন।
সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান
গতকাল বেলা ১১টার পর সচিবালয় ও আশপাশে কর্মরত প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের সামনে জড়ো হন। একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষণা
ছাড়াই চার শতাধিক কর্মকর্তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় তলায় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। অবশ্য গত শনিবার রাতে প্রশাসন ক্যাডারের ব্যাচভিত্তিক গ্রুপগুলোতে এ কর্মসূচি জানানো হয় বলে কয়েকজন কর্মকর্তা জানান।
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আনোয়ার উল্লাহ এবং ঢাকার জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদসহ ১৫-২০ জন কর্মকর্তা ভবনের তৃতীয় তলায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের দপ্তরে যান। বেলা পৌনে ১টায় তিনি দপ্তরে গেলে তাঁর সঙ্গে আধা ঘণ্টা বৈঠক করেন তাঁরা। বেলা ২টা পর্যন্ত অবস্থান করেন কর্মকর্তারা।
প্রশাসন ক্যাডারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রধান এবং সদস্যসচিব নিয়মিত চাকরিতে থাকলে এমন সুপারিশ করার চিন্তা করতেন না। তাঁরা দুজনেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়ে প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চান। এ জন্যই তাঁরা এ বিতর্ক উসকে দিয়েছেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা অন্য কোনো ক্যাডারের পদে যাবেন না। তাঁদের পদেও যাতে কেউ না আসতে পারেন, সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্যই তাঁরা প্রশাসন ক্যাডারের জন্য বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন।
তবে আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক ড. মুহম্মদ মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা এখন যৌক্তিক কিছু বলছেন না। উপসচিব পদ শুধু প্রশাসন ক্যাডারের পদ নয়, এটি সরকারের সিনিয়র সার্ভিস পুল (এসএসপি)। এ পদে কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয় না, নিয়োগ দেওয়া হয়। আর নতুন করে নিয়োগের সময় আগের পদ ছেড়ে আসতে হয়।
২০১৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদগুলো সরকারের পদ। এসব পদে সব ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পেয়ে থাকেন।
এভাবে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, কর্মকর্তারা কমিশনের সদস্যসচিবের মুখ থেকে একটা কথা শোনার জন্য ১০ মিনিটের জন্য এসেছেন। সেটা তো আসতেই পারেন। এখানে কোনো অশোভন আচরণ করা হয়নি। তাঁরা বক্তব্য শোনার জন্য এসেছেন। এটাকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করার সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘তাঁরা তো অ্যাসোসিয়েশন। তাঁরা এখানে হয়তো দল বেঁধে এসেছেন। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে কীভাবে পজিটিভভাবে এগোনো যায়। আমরা বিভাগে, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে গেছি। এখন সেন্ট্রালে কমিশনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
আবার আলোচনায় বসবে কমিশন
প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর জনপ্রশাসন সচিব জানান, কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করার আগে চলতি সপ্তাহেই অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। এরপর বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে আর ভুল-বোঝাবুঝির সুযোগ থাকবে না। তিনি বলেন, ‘কয়েকটি মৌলিক বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। সরকারকে স্থিতিশীল রেখে, জনগণের স্বার্থে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যাতে এগোনো যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন লিখিত প্রস্তাব জমা দিয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘এটি কমিশনে জমা দেব। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কেউ কমিশনকে তথ্য ও সুপারিশ দিতে পারবে।’
জনপ্রশাসন সচিবকে গতকাল দেওয়া লিখিত সুপারিশে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, সিভিল প্রশাসন সার্ভিসকে অন্যান্য টেকনিক্যাল ও প্রফেশনাল ক্যাডারের সংমিশ্রণ থেকে আলাদা করে স্বতন্ত্র বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। এ জন্য অন্যান্য টেকনিক্যাল, প্রফেশনাল বা বিষয়ভিত্তিক ক্যাডার সার্ভিস থেকে প্রশাসন ক্যাডারকে আলাদা করে এন্ট্রি পদ সহকারী কমিশনার বা সহকারী সচিব থেকে শুরু করে সচিব পর্যন্ত পদগুলোতে (নন-ক্যাডার পদ ছাড়া) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্যায্যভাবে বাদ দেওয়া উপসচিবের ২৫ শতাংশ পদ আবার এই সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। উপসচিব থেকে শুরু করে সরকারের পদগুলোতে কীভাবে কর্মকর্তাদের পদায়ন হবে, এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের কপিও জনপ্রশাসন সচিবকে দেয় অ্যাসোসিয়েশন।
এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার উল্লাহ বলেন, ‘আমরা কোনো ক্যাডারকে আন্ডারমাইন্ড করছি না। যার যার অবস্থান বা পদ থেকে ওপরে ওঠার যে সুযোগ রয়েছে, সেটা অবারিত আছে। সেখানে আমরা কখনো কারও বিরুদ্ধাচরণ করছি না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কমিশনের সঙ্গে আরও একবার বসার সুযোগ চাই।’
উপসচিব পুলে কোটা এল যেভাবে
১৯৯২ সালে সচিবালয় ক্যাডারকে প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত করে সচিবালয় ক্যাডারের সব পদ প্রশাসন ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৯৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নীতিমালা জারি করে উপসচিব পদে পদোন্নতিতে ২৫ শতাংশ পদ অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে আনুপাতিকভাবে বণ্টন করে কোটাপদ্ধতি চালু করে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সেবার উন্নতি, দুর্নীতি, হয়রানি ও রাজনীতিকীকরণ বন্ধ, জনসেবার মানোন্নয়ন, সরকারি কর্মচারীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার মতো মূল কাজের বাইরে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কোন ক্যাডারকে কী দেবে না দেবে, সেটি তো কমিশনের বলার কথা নয়। আন্তক্যাডার বৈষম্য দূর করা কী তাদের কাজ? সব পক্ষেরই দাবিদাওয়া আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসনে আলাদা কমিটি করা যেতে পারে। এখন যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে, এটা সহজে মিটবে না। এক পক্ষকে যখন সুবিধা দেবে, করপোরেশনসহ অন্যরাও রাস্তায় নেমে গেলে সরকারের কী হবে?

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের...
২৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
৩৮ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের কোনো অংশ কর্তন করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে যাত্রী বা এয়ারলাইনসের পূর্বানুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
তবে বাস্তবতায় দেখা যায়, বিদেশ থেকে আগত অনেক যাত্রী এ ধরনের লাগেজ ক্ষতির দায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কিংবা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করে থাকেন। পাশাপাশি কিছু অসাধু চক্রের এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে যাত্রীদের সম্পত্তি সুরক্ষা, লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং দায়ী স্টেশন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আজ রোববার থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ ওঠানামা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার কার্যকর করেছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, যাত্রীদের মালপত্র সুরক্ষা জোরদার করতে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইটের ব্যাগেজ ডেলিভারি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দেহে বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়। এই উদ্যোগে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় বর্তমানে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা গ্রহণকারী সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনকেও এই ক্যামেরাভিত্তিক নিরাপত্তা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আজ এই সম্প্রসারিত কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (গ্রাহকসেবা) ও যুগ্মসচিব বদরুল হাসান লিটন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের যাত্রীদের সম্পত্তি ও সেবার গুণগত মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বডি ওর্ন ক্যামেরা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। এটি যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের পেশাদারত্বকে আরও উজ্জ্বল করবে।’
বদরুল হাসান বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানের সার্বিক যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে যাত্রীসেবা ও লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহারের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের কোনো অংশ কর্তন করতে পারে। এসব ক্ষেত্রে যাত্রী বা এয়ারলাইনসের পূর্বানুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
তবে বাস্তবতায় দেখা যায়, বিদেশ থেকে আগত অনেক যাত্রী এ ধরনের লাগেজ ক্ষতির দায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কিংবা বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওপর আরোপ করে থাকেন। পাশাপাশি কিছু অসাধু চক্রের এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে যাত্রীদের সম্পত্তি সুরক্ষা, লাগেজ হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনা এবং দায়ী স্টেশন বা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার লক্ষ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস আজ রোববার থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত প্রতিটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের লাগেজ ওঠানামা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার কার্যকর করেছে।
বিমান কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, যাত্রীদের মালপত্র সুরক্ষা জোরদার করতে ২০২৪ সালের জুন মাস থেকে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইটের ব্যাগেজ ডেলিভারি কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের দেহে বডি ওর্ন ক্যামেরা সংযুক্ত করা হয়। এই উদ্যোগে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ায় বর্তমানে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা গ্রহণকারী সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনকেও এই ক্যামেরাভিত্তিক নিরাপত্তা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
আজ এই সম্প্রসারিত কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (গ্রাহকসেবা) ও যুগ্মসচিব বদরুল হাসান লিটন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমাদের যাত্রীদের সম্পত্তি ও সেবার গুণগত মান রক্ষায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। বডি ওর্ন ক্যামেরা প্রযুক্তির সম্প্রসারণ লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ের প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। এটি যাত্রীদের আস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের পেশাদারত্বকে আরও উজ্জ্বল করবে।’
বদরুল হাসান বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিমানের সার্বিক যাত্রীসেবার মান আরও উন্নত হবে বলে কর্তৃপক্ষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একত্র হওয়া ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পাল্টা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারও পুরোদমে মাঠে নেমেছে। গতকাল রোববার প্রশাসন ক্যাডারের কয়েক শ কর্মকর্তা...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
৩৮ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
আজ রোববার সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজারসহ পূর্বাঞ্চর রেলের ছয় রুটে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছে, যা গতকাল শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিভিন্ন রেলসেতুর মাশুল বাড়িয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ উল্লেখ করে নাগরিক সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ নিয়ে ছয় রুটে গত ১৩ বছরে পাঁচ দফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

রাষ্ট্রীয় গণপরিবহন ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
আজ রোববার সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, রেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা-কক্সবাজারসহ পূর্বাঞ্চর রেলের ছয় রুটে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়েছে, যা গতকাল শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিভিন্ন রেলসেতুর মাশুল বাড়িয়ে পূর্বাঞ্চল রেলের যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারী’ উল্লেখ করে নাগরিক সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এ নিয়ে ছয় রুটে গত ১৩ বছরে পাঁচ দফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একত্র হওয়া ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পাল্টা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারও পুরোদমে মাঠে নেমেছে। গতকাল রোববার প্রশাসন ক্যাডারের কয়েক শ কর্মকর্তা...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের...
২৮ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে
নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত রয়েছেন। ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটি প্রথম সাক্ষাৎ।
বৈঠকে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন উপস্থিত রয়েছেন। নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনীর প্রধানদের আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান।
বৈঠকে ১২ ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা হতে পারে।
এদিকে আজ বেলা আড়াইটায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান বা তাঁদের উপযুক্ত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধানেরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে বেসমেন্টে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।

সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন-পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে।


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত রয়েছেন। ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটি প্রথম সাক্ষাৎ।
বৈঠকে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন উপস্থিত রয়েছেন। নির্বাচন ভবনে পৌঁছালে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ তিন বাহিনীর প্রধানদের আলাদাভাবে অভ্যর্থনা জানান।
বৈঠকে ১২ ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা হতে পারে।
এদিকে আজ বেলা আড়াইটায় নির্বাচন ভবনের সম্মেলনকক্ষে সিইসির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান বা তাঁদের উপযুক্ত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্ট গার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার উপস্থিত থাকবেন।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. রুহুল আমিন মল্লিক জানান, দুপুর ১২টায় তিন বাহিনীর প্রধানেরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেলা আড়াইটায় আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা শেষে বেসমেন্টে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে ব্রিফিং করা হবে।

সভার আলোচ্যসূচির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন-পূর্ব আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধে যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম, প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের জন্য প্রণীত আচরণ বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী আচরণবিধি প্রতিপালন এবং নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পর্যালোচনা এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা হবে।


উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একত্র হওয়া ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পাল্টা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারও পুরোদমে মাঠে নেমেছে। গতকাল রোববার প্রশাসন ক্যাডারের কয়েক শ কর্মকর্তা...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের...
২৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
৩৮ মিনিট আগে
নিরাপত্তা-সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে (এএইচসিআই) সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম আইভিএসি বা আইভ্যাকে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম আজ রোববার, অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভিসা সেন্টার পুনরায় খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে।

নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির কারণে চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভ্যাক) বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, চট্টগ্রামের ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে (এএইচসিআই) সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রাম আইভিএসি বা আইভ্যাকে ভারতীয় ভিসা কার্যক্রম আজ রোববার, অর্থাৎ ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভিসা সেন্টার পুনরায় খোলার ঘোষণা দেওয়া হবে।

উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে বিরোধ ক্রমেই জটিল হচ্ছে। একত্র হওয়া ২৫টি ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কলমবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণার পাল্টা হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারও পুরোদমে মাঠে নেমেছে। গতকাল রোববার প্রশাসন ক্যাডারের কয়েক শ কর্মকর্তা...
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রটোকল অনুযায়ী, নিষিদ্ধ বা অবৈধ দ্রব্য বহনের আশঙ্কা দেখা দিলে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের লাগেজ তল্লাশিকালে প্রয়োজনে তালা ভাঙা, চেইন কাটা বা লাগেজের...
২৮ মিনিট আগে
বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আকস্মিক ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে এসব রুটের নিয়মিত যাত্রীদের জীবনযাত্রা আরও দুর্বিষহ হয়ে উঠবে।
৩৮ মিনিট আগে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ রোববার দুপুর ১২টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠক শুরু হয়।
২ ঘণ্টা আগে