গোলাম ওয়াদুদ

ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপে দেশে করোনা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে কমতে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগামী। বিশেষজ্ঞরা ঈদের আগে থেকে বলে আসছিলেন, ঈদ যাত্রার পর করোনা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখন সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৫০।
শুধু এ দুদিনে নয়, গত সাত দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। গত ১০ জুন করোনায় দেশে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ ১৬ জুন করোনায় একদিনে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে যেভাবে ঈদ যাত্রা করেছিল মানুষ, তাতে সে সময়ই এমন শঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন মহামারি বিশেষজ্ঞরা। শুধু এই সীমিত সময়ের জন্যই নয়, এ দেশের মানুষ সে অর্থে কখনোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেনি। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্যরা এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নানা সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেসব আমলে নেওয়া হয়নি। প্রশাসনিকভাবে তেমন তৎপরতা দেখানো হয়নি। যে মাত্রার স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল, তা করা হয়নি। যতটুকু করা হয়েছে, প্রশাসনিক তৎপরতার অভাবে তাও মানেনি মানুষ।
এর ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। গত সাত দিনের করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকালেই বিষয়টি বোঝা যাবে। গত ১০ জুন দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩৬ জনের। পরদিন এই সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়ায়। ১২ জুনে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমে ৩৯ হলেও পরদিন তা আবার বেড়ে ৪৭ জনে পৌঁছায়। ১৪ জুন মৃত্যু বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়ায়। আর গতকাল এ সংখ্যা আবার কিছুটা কমে ৫০–এ আসে, যার কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু মৃত্যুর সংখ্যার দিকে তাকালে পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়তো বোঝা যাবে না। এই একই সময়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে বলা যায় ধারাবাহিকভাবেই। দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা দু হাজারের কোটা পেরিয়েছিল আগেই। এখন এ সংখ্যা তিন হাজার পার হচ্ছে প্রতিদিনই। সাত দিন আগে দৈনিক শনাক্ত সংখ্যা আড়াই হাজার হলেও আজ বুধবার শনাক্ত সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ হাজার জন। এমন চলতে থাকলে সামনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রথম দিকে কঠোর লকডাউন (সরকারি ভাষায় চলাচলে বিধিনিষেধ) দিলেও ধীরে ধীরে তা শিথিল করা হয়। এখন দেশে চলছে ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ। এ দফায় বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে এক মাস। নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই গত বছর থেকেই চলছে সাধারণ ছুটি। নিত্যপণ্যের দোকান ও বাজার খোলা রয়েছে। এ ছাড়া বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিকের মতো জনসমাগম হয়—এমন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে। গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এই বিধিনিষেধের মধ্যেও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো কেন? কারণ, অসতর্কতা এবং অবহেলা। এই ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ খাতায় থাকলেও আসলে বাস্তবে দেখা যায় না। স্বাস্থ্যবিধির কথা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্নভাবে প্রচার করা হলেও তা যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা দেখার কেউ নেই। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন হাটবাজার বা জনসমাগম স্থলে গিয়ে মাস্ক না পরার দায়ে বিভিন্ন মানুষকে জরিমানা করা হচ্ছে বটে। কিন্তু এটি বৃহত্তর পরিসরে তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শপিংমলসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থল ঠিকই খোলা রাখা হয়েছে। যদিও করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল অন্য দেশগুলো ঠিক বিপরীত কাজটি করেছে। নিত্যপণ্য ব্যতীত মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলার আগে তারা চেষ্টা করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে। এর সুফলও তারা পেয়েছে। পেয়েছে কারণ, লকডাউন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে তারা কয়েকটি ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। আর তা কাগুজে ছিল না, ছিল কার্যক্ষেত্রে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তবে কী করা হচ্ছে? রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের যে এলাকায় ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ দেখা দেবে, সেখানেই লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। সরকার থেকে স্পষ্টভাবে এ কথা জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় প্রশাসনের ওপর এমন নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। উচ্চ মহলের নির্দেশনা ছাড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তারা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলেও কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। কিছু কিছু সীমান্ত এলাকায় কঠোর লকডাউন আরোপ করা হলেও, তার অকার্যকারিতা করোনার নতুন এই ধরনের অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়া থেকেই বোঝা যায়। সীমান্ত এলাকা নয়—এমন কিছু এলাকায়ও এখন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছে। ফলে বিদ্যমান লকডাউন বা বিধিনিষেধের কার্যকারিতা নিয়ে স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠছে।
একই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ। রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানার আশঙ্কা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সেটি কতটা সামাল দিতে পারবে, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ। এক মাস আগেও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ শতাংশ ছিল। এখন এ হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখনো ৪০ শতাংশের বেশি। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে সেসব জেলায়। গত ১৫ দিনে শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় দেড় শ রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। খুলনার অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আজ বুধবার জেলাটিতে নয়জন মারা গেছে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না গেলে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। অর্থনীতিকে সচল রেখে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার মাধ্যমে কী করে করোনা মোকাবিলা করা যায়, তা বের করাই এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপে দেশে করোনা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে কমতে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগামী। বিশেষজ্ঞরা ঈদের আগে থেকে বলে আসছিলেন, ঈদ যাত্রার পর করোনা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখন সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিন এ সংখ্যা ছিল ৫০।
শুধু এ দুদিনে নয়, গত সাত দিন ধরেই ধারাবাহিকভাবে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। গত ১০ জুন করোনায় দেশে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আজ ১৬ জুন করোনায় একদিনে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় ৩৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে যেভাবে ঈদ যাত্রা করেছিল মানুষ, তাতে সে সময়ই এমন শঙ্কার কথা শুনিয়েছিলেন মহামারি বিশেষজ্ঞরা। শুধু এই সীমিত সময়ের জন্যই নয়, এ দেশের মানুষ সে অর্থে কখনোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেনি। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্যরা এ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত নানা সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেসব আমলে নেওয়া হয়নি। প্রশাসনিকভাবে তেমন তৎপরতা দেখানো হয়নি। যে মাত্রার স্বাস্থ্য সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল, তা করা হয়নি। যতটুকু করা হয়েছে, প্রশাসনিক তৎপরতার অভাবে তাও মানেনি মানুষ।
এর ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে। গত সাত দিনের করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকালেই বিষয়টি বোঝা যাবে। গত ১০ জুন দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৩৬ জনের। পরদিন এই সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়ায়। ১২ জুনে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমে ৩৯ হলেও পরদিন তা আবার বেড়ে ৪৭ জনে পৌঁছায়। ১৪ জুন মৃত্যু বেড়ে ৫৪ জনে দাঁড়ায়। আর গতকাল এ সংখ্যা আবার কিছুটা কমে ৫০–এ আসে, যার কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু মৃত্যুর সংখ্যার দিকে তাকালে পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়তো বোঝা যাবে না। এই একই সময়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে বলা যায় ধারাবাহিকভাবেই। দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা দু হাজারের কোটা পেরিয়েছিল আগেই। এখন এ সংখ্যা তিন হাজার পার হচ্ছে প্রতিদিনই। সাত দিন আগে দৈনিক শনাক্ত সংখ্যা আড়াই হাজার হলেও আজ বুধবার শনাক্ত সংখ্যা ছিল প্রায় ৪ হাজার জন। এমন চলতে থাকলে সামনে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে প্রথম দিকে কঠোর লকডাউন (সরকারি ভাষায় চলাচলে বিধিনিষেধ) দিলেও ধীরে ধীরে তা শিথিল করা হয়। এখন দেশে চলছে ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ। এ দফায় বিধিনিষেধ বাড়ানো হয়েছে এক মাস। নতুন ঘোষণায় বলা হয়েছে, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খোলা থাকবে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেই গত বছর থেকেই চলছে সাধারণ ছুটি। নিত্যপণ্যের দোকান ও বাজার খোলা রয়েছে। এ ছাড়া বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিকের মতো জনসমাগম হয়—এমন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে এবং আসনসংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে। গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এই বিধিনিষেধের মধ্যেও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো কেন? কারণ, অসতর্কতা এবং অবহেলা। এই ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ খাতায় থাকলেও আসলে বাস্তবে দেখা যায় না। স্বাস্থ্যবিধির কথা জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্নভাবে প্রচার করা হলেও তা যথাযথভাবে মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা দেখার কেউ নেই। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন হাটবাজার বা জনসমাগম স্থলে গিয়ে মাস্ক না পরার দায়ে বিভিন্ন মানুষকে জরিমানা করা হচ্ছে বটে। কিন্তু এটি বৃহত্তর পরিসরে তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে না। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু শপিংমলসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থল ঠিকই খোলা রাখা হয়েছে। যদিও করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল অন্য দেশগুলো ঠিক বিপরীত কাজটি করেছে। নিত্যপণ্য ব্যতীত মার্কেট ও শপিংমলগুলো খোলার আগে তারা চেষ্টা করেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে। এর সুফলও তারা পেয়েছে। পেয়েছে কারণ, লকডাউন তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে তারা কয়েকটি ধাপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিল। আর তা কাগুজে ছিল না, ছিল কার্যক্ষেত্রে।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তবে কী করা হচ্ছে? রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এস এম আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের যে এলাকায় ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণ দেখা দেবে, সেখানেই লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। সরকার থেকে স্পষ্টভাবে এ কথা জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় প্রশাসনের ওপর এমন নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। উচ্চ মহলের নির্দেশনা ছাড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না তারা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হলেও কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে না স্থানীয় প্রশাসন। কিছু কিছু সীমান্ত এলাকায় কঠোর লকডাউন আরোপ করা হলেও, তার অকার্যকারিতা করোনার নতুন এই ধরনের অন্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়া থেকেই বোঝা যায়। সীমান্ত এলাকা নয়—এমন কিছু এলাকায়ও এখন ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছে। ফলে বিদ্যমান লকডাউন বা বিধিনিষেধের কার্যকারিতা নিয়ে স্বাভাবিক প্রশ্ন উঠছে।
একই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ। রাজধানী ঢাকায় করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউ আঘাত হানার আশঙ্কা এরই মধ্যে প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সেটি কতটা সামাল দিতে পারবে, তা নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট উদ্বেগ। এক মাস আগেও পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৭ শতাংশ ছিল। এখন এ হার ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশের উত্তর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখনো ৪০ শতাংশের বেশি। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে সেসব জেলায়। গত ১৫ দিনে শুধু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রায় দেড় শ রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। খুলনার অবস্থাও দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আজ বুধবার জেলাটিতে নয়জন মারা গেছে। ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না গেলে ভয়াবহ সংকট দেখা দেবে। অর্থনীতিকে সচল রেখে স্বাস্থ্য সতর্কতা মেনে চলার মাধ্যমে কী করে করোনা মোকাবিলা করা যায়, তা বের করাই এখন সবচেয়ে জরুরি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৩ মিনিট আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বিজিবিও সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের প্রায় ৩৫ হাজার সদস্য নির্বাচনের সময় নিয়োজিত থাকবে। এর মধ্যেও দুই-চারটা অস্ত্র যে দেশে ঢুকছে না তা না। তবে এগুলো ধরাও হচ্ছে। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে। কোনো রকমের কোথাও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। এবারই নির্বাচনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
কেরানীগঞ্জ মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কেরানীগঞ্জে যেই ব্যক্তি অপকর্মটা ঘটিয়েছে সে পলাতক রয়েছে। কিন্তু তার সহযোগীকে ধরা হয়েছে। পলাতক ওই ব্যক্তিকেও ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এসব ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে কিনা —এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিস্ট যারা আছে তারা সব সময়ই এটা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু সবার সহযোগিতা যদি থাকে তবে নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এ রকম একটা নির্বাচনই এই সরকারের দেওয়ার ইচ্ছা এবং এটা বাস্তবায়ন করবে।

দ্বিতীয় ধাপে দেশে করোনা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে কমতে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগামী। বিশেষজ্ঞরা ঈদের আগে থেকে বলে আসছিলেন, ঈদ যাত্রার পর করোনা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখন সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে...
১৬ জুন ২০২১
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিআরটিএ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা প্রকাশ করে।
বিআরটিএ নির্দেশনায় বলা হয়েছে—
১. কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীর গতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।
২. সর্বদা ‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩. লেন পরিবর্তন/ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।
৪. ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে দেশে করোনা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে কমতে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগামী। বিশেষজ্ঞরা ঈদের আগে থেকে বলে আসছিলেন, ঈদ যাত্রার পর করোনা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখন সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে...
১৬ জুন ২০২১
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৩ মিনিট আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ সোমবার বিজিবি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমান্ত সুরক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবিকে আরও পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বক্তব্যের শুরুতে মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির সাহস ও আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। একই সঙ্গে তিনি জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ওই আন্দোলনে আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী ছাত্র-জনতার প্রতি সম্মান জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘বিজিবি একটি গৌরবময় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। বর্তমানে বিজিবি একটি “ত্রিমাত্রিক বাহিনী” হিসেবে সীমান্ত সুরক্ষা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা এবং জনকল্যাণমূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিজিবির সার্বিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের মাদক দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জোরদার করতে হবে।’
একই সঙ্গে অবৈধ পথে দেশীয় পণ্য বিদেশে পাচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
চোরাকারবারি ও মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পাশাপাশি অধীনস্ত সদস্যদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বদা সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা অত্যন্ত কৌশল ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, যাতে দেশের স্বার্থ শতভাগ সুরক্ষিত থাকে। সীমান্ত ব্যবহারকারী চোরাকারবারিদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় বজায় রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বিজিবি সদস্যদের ‘চেইন অব কমান্ড’-এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও আনুগত্য বজায় রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে বিজিবি দেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়ে তার গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে এমন প্রত্যাশা তাঁর।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং বিজিবির মহাপরিচালকসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় ধাপে দেশে করোনা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে কমতে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগামী। বিশেষজ্ঞরা ঈদের আগে থেকে বলে আসছিলেন, ঈদ যাত্রার পর করোনা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখন সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে...
১৬ জুন ২০২১
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৩ মিনিট আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
৩ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব কোম্পানি করবে সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে বিআইডব্লিউটিসির কার্যক্রমে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আন্তদেশীয় প্রটোকলের আওতায় নৌযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও আন্তদেশীয় প্রটোকল রুটে দুর্ঘটনাকবলিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা যেকোনো বিপর্যস্ত নৌযান উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত যেকোনো যাত্রী ও ফেরি নৌপথে নৌ যোগাযোগ ও পরিবহন সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে, সে জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌপথে পলি অপসারণের কাজ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিমউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাবিনেটের নির্দেশনায় আগের অধ্যাদেশ পুনর্লিখন করা হচ্ছে। এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইনটিকে যুগোপযোগী করতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করপোরেশন আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ এবং ১৯৭৯ সালে এই অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার এই অর্থ দেবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূলধন আরও বাড়াতে পারবে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৪০ লাখ টাকা।
খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে পরিচালনা পর্ষদে মোট পাঁচজন সদস্য ছিলেন। খসড়ায় আরও দুই সদস্য যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা সাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন যুক্ত দুই সদস্যের একজন হবেন নৌ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অন্যজন হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে মনোনীত একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের মতো আইন প্রযোজ্য হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে শুধু কাগজ-কলমে আইন ও নীতি প্রণয়নেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামোর সব কর্মপরিধি যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এক বা একাধিক সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করতে চায়। এসব কোম্পানির শেয়ার করপোরেশন নিজে ধারণ করতে পারবে এবং প্রয়োজনে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেও ধারণের অনুমতি দিতে পারবে।
বিআইডব্লিউটিসি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে এসব কোম্পানি করবে সরকারের পূর্বানুমোদন নিয়ে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধন ৪০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এই অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে মতামতের জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।
খসড়া বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে বিআইডব্লিউটিসির কার্যক্রমে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য বিআইডব্লিউটিসির দায়িত্ব ও কাজের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি আন্তদেশীয় প্রটোকলের আওতায় নৌযান পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীণ, উপকূলীয় ও আন্তদেশীয় প্রটোকল রুটে দুর্ঘটনাকবলিত, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বা যেকোনো বিপর্যস্ত নৌযান উদ্ধারে সহায়তা করতে পারবে। এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসি পরিচালিত যেকোনো যাত্রী ও ফেরি নৌপথে নৌ যোগাযোগ ও পরিবহন সেবা যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু থাকে, সে জন্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট নৌপথে পলি অপসারণের কাজ করতে পারবে।
অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মো. সলিমউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ক্যাবিনেটের নির্দেশনায় আগের অধ্যাদেশ পুনর্লিখন করা হচ্ছে। এর আওতায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আইনটিকে যুগোপযোগী করতে কিছু নতুন বিষয় যুক্ত করা হয়েছে, যাতে করপোরেশন আরও কার্যকর ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে।
১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির আদেশে বিআইডব্লিউটিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৭৬ এবং ১৯৭৯ সালে এই অধ্যাদেশে সংশোধন আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই অধ্যাদেশ সংশোধনের উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
নতুন অধ্যাদেশের খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির অনুমোদিত মূলধনের বিষয়ে পরিবর্তন এনে অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকার এই অর্থ দেবে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই মূলধন আরও বাড়াতে পারবে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৪০ লাখ টাকা।
খসড়ায় বিআইডব্লিউটিসির পরিচালনা পর্ষদেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে পরিচালনা পর্ষদে মোট পাঁচজন সদস্য ছিলেন। খসড়ায় আরও দুই সদস্য যুক্ত করে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসংখ্যা সাত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন যুক্ত দুই সদস্যের একজন হবেন নৌ মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা, অন্যজন হবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে মনোনীত একই পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও চারজন পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবেন।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান, পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের সবার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের মতো আইন প্রযোজ্য হবে।
বিআইডব্লিউটিসি অধ্যাদেশের খসড়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নৌপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো. ইমরান উদ্দিন বলেন, অধ্যাদেশের খসড়ার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে তা দেশের নৌপরিবহন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা করা যায়। তবে শুধু কাগজ-কলমে আইন ও নীতি প্রণয়নেই সীমাবদ্ধ না থেকে প্রতিষ্ঠানটির সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামোর সব কর্মপরিধি যাতে সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় এবং দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো যেন যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে দেশে করোনা প্রকট আকার ধারণ করেছিল। রোজার ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে কমতে থাকে করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের সংখ্যা। তবে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগামী। বিশেষজ্ঞরা ঈদের আগে থেকে বলে আসছিলেন, ঈদ যাত্রার পর করোনা প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। এখন সেই চিত্রই দেখা যাচ্ছে...
১৬ জুন ২০২১
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন কোনো শঙ্কা নেই। প্রতিদিনই বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে। কোনো রকমের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল(অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
৪৩ মিনিট আগে
শীতকালে ঘন কুয়াশার কারণে চালকের দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপদে গাড়ি চালাতে মোটরযান চালক ও মালিকদের জন্য কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
১ ঘণ্টা আগে
সীমান্ত দিয়ে কোনো অপরাধী বা সন্ত্রাসী যেন পালিয়ে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
২ ঘণ্টা আগে