সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।
সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।

পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৭ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘গতকাল থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য আমার মনটা খুব বিষণ্ন হয়ে আছে। অনেক বছর ধরে তিনি আমার অন্যতম রাজনৈতিক আদর্শ। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি কতটা কষ্ট সহ্য করেছেন। কীভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক নিজের সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের মতো।’
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে আজ বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন শেষে ফেসবুকে রাত ৮টার দিকে শফিকুল আলম এই পোস্ট দেন।
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার জন্য তাঁরা দুজনেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁরা খুব কমই মেজাজ হারাতেন। অহংকার তাঁদের ছুঁতে পারতো না বললেই চলে। কঠিন সময়ে তাঁরা অত্যন্ত যত্ন এবং সংযমের সাথে জনগণকে পথ দেখিয়েছেন।’
বিএনপির মহাসচিবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে শফিকুল আলম আরও লেখেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন আর সেই চেনা মহাসচিব নেই, যিনি একসময় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়াতেন। খালেদা জিয়া যখন তাঁকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, তখন তিনি বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতা ছিলেন এবং তাঁর সেন্টার-লেফট আদর্শিক ঝোঁকের জন্য পরিচিত ছিলেন। তবুও সংকটের মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে দক্ষ কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত ও অটল রেখেছিলেন। কিন্তু জুলাই মাস যখন এলো, তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায় ছিলেন এবং মির্জা ফখরুল নিজেও তাঁর শরীরের শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এ এক যুগের অবসান।’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘গতকাল থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জন্য আমার মনটা খুব বিষণ্ন হয়ে আছে। অনেক বছর ধরে তিনি আমার অন্যতম রাজনৈতিক আদর্শ। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি, তিনি কতটা কষ্ট সহ্য করেছেন। কীভাবে দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঠিক নিজের সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের মতো।’
রাজধানীর জিয়া উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে আজ বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাফন শেষে ফেসবুকে রাত ৮টার দিকে শফিকুল আলম এই পোস্ট দেন।
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার জন্য তাঁরা দুজনেই সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁরা খুব কমই মেজাজ হারাতেন। অহংকার তাঁদের ছুঁতে পারতো না বললেই চলে। কঠিন সময়ে তাঁরা অত্যন্ত যত্ন এবং সংযমের সাথে জনগণকে পথ দেখিয়েছেন।’
বিএনপির মহাসচিবের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে শফিকুল আলম আরও লেখেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মির্জা ফখরুলের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। তিনি এখন আর সেই চেনা মহাসচিব নেই, যিনি একসময় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চষে বেড়াতেন। খালেদা জিয়া যখন তাঁকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেন, তখন তিনি বিএনপির একজন মধ্যম সারির নেতা ছিলেন এবং তাঁর সেন্টার-লেফট আদর্শিক ঝোঁকের জন্য পরিচিত ছিলেন। তবুও সংকটের মুহূর্তে তিনিই সবচেয়ে দক্ষ কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার পাশে থেকে তিনি দলটিকে সুসংগঠিত ও অটল রেখেছিলেন। কিন্তু জুলাই মাস যখন এলো, তখন বড্ড দেরি হয়ে গেছে। খালেদা জিয়া মৃত্যুশয্যায় ছিলেন এবং মির্জা ফখরুল নিজেও তাঁর শরীরের শক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেছেন। এ এক যুগের অবসান।’

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর।
আজ বুধবার বেলা ৩টায় রাজধানীর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাহমুদুল হাসানের মৃত্যুতে টাঙ্গাইলে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু ও প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
শোকবার্তায় তাঁরা বলেন, মাহমুদুল হাসান আজীবন আদর্শ টাঙ্গাইল গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন সমাজসেবক, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্বশীল মানুষ। শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল সদর একজন অভিভাবক হারাল।
সেই সঙ্গে তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মাহমুদুল হাসান ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাকোরকোল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্রপতি এরশাদের শাসনামলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন এবং ২০১২ সালের উপনির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য হন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৭ মিনিট আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত ৪৬০ জনের মধ্যে ৫৫ জন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া দল আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সদস্য।
মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালে গণপিটুনি বা মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক বেড়ে যাওয়ায় জনমনে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি প্রশ্নাতীতভাবে এগিয়ে রয়েছে। প্রচলিত আইন অবজ্ঞা করে গণপিটুনির ঘটনাগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হয়। নাগরিকের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার মূল উৎস এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর মব সহিংসতা। নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাওয়ামাত্র গণপিটুনি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করার লক্ষণীয় প্রভাব থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এমএসএফের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার ৫৯৯টি ঘটনায় শিকার হয়েছে ৫ হাজার ৬০৪ জন। তাদের মধ্যে ৮৬ জন নিহত ও ৫ হাজার ৫১৮ জন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৫ জন বিএনপি, আটজন আওয়ামী লীগ, তিনজন জামায়াতে ইসলামী এবং ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের সাধারণ নাগরিক, যাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। ২০২৫ সালে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর দুষ্কৃতকারীদের হামলার ১৬৯টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৪৭ জন নিহত ও ১৮৭ জন আহত হয়েছেন।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে সরকার পতন ও গণ-অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে ৬৭টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৭ হাজার ৭৮০ জনকে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি করা হয়েছে এবং ১১ হাজার ১৭৯ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলাগুলোর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২৯টি মামলা হয়েছে। সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন-সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৩ হাজার ৬৯৫ জন নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’—এর আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ২২ হাজার ২৮৪ জন। গ্রেপ্তার ১১ হাজার ৩১৩ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় লোকজন।
এমএসএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের কমপক্ষে ১৯টি ঘটনা ঘটেছে। সংঘটিত বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। এ বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারা হেফাজতে ১১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভয়ে পালাতে গিয়ে আট যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
এমএসএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালে ৬৪১ জন সাংবাদিক দেশের বিভিন্ন জেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় হত্যা, হামলা, হুমকি, আইনি হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০২৫ সালে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাসহ মোট ২৫টি মামলায় ৫৫ জন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৭ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় উপস্থিত হয়ে তাঁর শোকাহত জ্যেষ্ঠ পুত্র ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সান্ত্বনা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানাজা শেষে প্রধান উপদেষ্টা তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং এই কঠিন সময়ে তাঁর ও পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এ সময় বিএনপির শীর্ষ নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহল এবং সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে শোকের আবহ বিরাজ করছে।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
পোস্টে প্রেস সচিব লিখেছেন, ‘শহীদ বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর থেকে আমার মনে হচ্ছে তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) ভীষণ একা হয়ে পড়েছেন। একত্রে এই দুই নেতা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম এক সম্মানিত ও নির্ভরযোগ্য অংশীদারিত্বের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। সহমর্মিতা এবং নীরবে ধৈর্য ধরার ক্ষমতার...
১৭ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, রাজধানীতে নিজ বাসায় বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর টাঙ্গাইল শহরের বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
২ ঘণ্টা আগে
সদ্য সমাপ্ত ২০২৫ সালে সারা দেশে অন্তত ৪২৮টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। ২০২৪ সালে গণপিটুনির ১৬৯টি ঘটনায় নিহত হয়েছিল ১৪৬ জন এবং আহত ছিল ১২৬ জন। আর ২০২৫ সালে গণপিটুনিতে ১৬৬ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ৪৬০ জন। ২২০ জনকে আহতাবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গণপিটুনির ঘটনায় আহত
২ ঘণ্টা আগে