সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।
সুলতান মাহমুদ, ঢাকা

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
তবে টাকা ওঠানোর জন্য ব্যাংকে চেক জমা দেওয়া হলে ওই চেকটির বিপরীতে টাকা প্রদান করতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অস্বীকৃতি জানাতে পারে। একেই বলে চেক ডিজঅনার। অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, প্রদানকারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা, টাকার পরিমাণ অঙ্কে এবং কথায় মিল না থাকা, ইত্যাদি কারণে চেক ডিজঅনার হতে পারে।
চেকটি ব্যাংকে জমা প্রদানের পর যদি তা অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে চেক ডিজঅনার হয়, তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ডিজঅনারের কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ প্রদান করবে।
চেক ডিজঅনার হলে মামলা করতে হয় ১৮৮১ সালের হস্তান্তর যোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা মোতাবেক। ওই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত অর্থের ৩ (তিন) গুন অর্থ জরিমানা করতে পারে।
ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান বলেন, ‘যদিও আইনে তিন গুন জরিমানার কথা উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবে আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা সাধারণত করেন না। আদালত পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা বিবাদী স্বেচ্ছায় না দিলে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে আদায় করা যেতে পারে।’
চেক ডিজ অনার হয় যেসব কারণে
এক. ব্যাংকের হিসাবে অপর্যাপ্ত অর্থ থাকলে। অর্থাৎ চেকে যে পরিমাণ অর্থ উল্লেখ করা হয়েছে তা অপেক্ষা কম অর্থ হিসাবে থাকা।
দুই. যে ব্যক্তি চেক প্রদান করেন তাঁর স্বাক্ষর যদি না মেলে।
তিন. যদি চেকে উল্লেখিত অর্থ অঙ্কে ও কথায় লেখার মধ্যে গরমিল পাওয়া যায়।
চার. চেক মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে।
পাঁচ. চেক যথাযথভাবে পূরণ করা না হলে।
ছয়. চেকে ঘষামাজা করলে।
সাত. চেকে কাটাকাটি থাকলে পূর্ণ স্বাক্ষর দিয়ে তা সত্যায়িত করা না হলে।
মামলা করবেন যেভাবে
প্রথমে ব্যাংকে গিয়ে চেক ডিজঅনার করে নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ ডিজঅনার স্লিপ আনতে হবে।
এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ দিতে হবে।
উকিল নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে, পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।
মামলায় যেসব নথি লাগবে
মামলা করার সময় বাদীর জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি ফিরিস্তি করে জমা দিতে হবে। এ ছাড়া মামলা করার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। এটি ছাড়াও মামলার আরজির সঙ্গে প্রসেস ফি দাখিল করতে হবে।
উকিল নোটিশ দেবেন যেভাবে
যিনি চেক ইস্যু করবেন তাঁকে আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ দিতে হবে। তিন ভাবে এটি দেওয়া যায়। এক. চেক ইস্যুকারীর হাতে সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায়। দুই. প্রাপ্তি স্বীকার রসিদসহ (এডি) রেজিস্টার্ড ডাকযোগে তাঁর ঠিকানায় পাঠানো। তিন. বহুল প্রচারিত কোনো বাংলা জাতীয় দৈনিকেও নোটিশ প্রকাশ করা যায়।
মামলা করার সময়সীমা
চেকগ্রহীতা ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসার ৩০ দিনের মধ্যে চেক দাতাকে নোটিশ দিতে হবে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতা চেকগ্রহীতাকে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে, চেকগ্রহীতা মামলা করতে পারবেন।
মামলা কোথায় করবেন
চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে করতে হয়। মেট্রোপলিটন এরিয়াতে চেক ডিজঅনারের মামলা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়। আর অন্য এলাকাতে এই মামলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা হয়।
এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অথবা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেন। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১–এর ১৩৮ ধারা অনুযায়ী চেক ডিজঅনারের মামলা করা হয়।
সাধারণত প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা অনুযায়ী নালিশকারীকে পরীক্ষা (জবানবন্দি গ্রহণ) করবেন। পরীক্ষা করার পর যদি ম্যাজিস্ট্রেট দেখেন, নালিশের প্রিমাফ্যাসি (প্রাথমিক দৃষ্টি) অনুকূলে আছে, তাহলে মামলা আমলে নিয়ে প্রস্তুত করে বিচারের জন্য দায়রা আদালতে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর মামলাটি দায়রা আদালতে বিচার হবে।
চেক ডিজঅনারের মামলা সব সময় নালিশি মামলা হিসেবে বিবেচিত হয়।
চেক ডিজঅনারের মামলা চলাকালীন আসামির মৃত্যু হলে
চেক ডিজঅনারের মামলা করার আগেই চেকদাতা মারা গেলে চেক গ্রহীতার আর কোনো প্রতিকার পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি আসামি মামলা চলমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষ মামলা চালাতে পারেন না।
আসামি মারা যাওয়ার পর চেক ডিজঅনারের মামলাটি বাদী ফৌজদারি আদালতে চালাতে না পারলেও দেওয়ানি আদালতে অর্থ উদ্ধারের উপায় রয়েছে।
মামলা করার আগে বা পরে যখনই আসামি মারা যান না কেন, উভয় ক্ষেত্রেই বাদীর প্রতিকার হলো— মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী বা আইনগত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে টাকার মামলা করে চেকে উল্লেখিত টাকা আদায়ের ব্যবস্থা করা যায়।
আপিল
১৩৮ ধারায় চেক ডিজঅনার মামলায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা যায়। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে। ১৩৮ ধারায় প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালতে আপিল করা যাবে। চেক ডিজঅনারের মামলাটি যুগ্ম দায়রা জজ কর্তৃক বিচার করা হলে, দায়রা জজের কাছে রায়ের পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৮ ধারার আপিলের বিধান প্রযোজ্য হবে।
আপিলের পূর্বশর্ত
চেক ডিজঅনারের মামলায় চেকে উল্লেখিত অর্থের ৫০ শতাংশ টাকা জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। যে আদালত শাস্তি দেন, সেই আদালতে ডিজঅনারকৃত চেকের টাকার ৫০ শতাংশ জমা দিয়ে আপিল করতে হবে। অর্থাৎ ৫০ শতাংশ টাকা বিচারিক আদালতে জমা দিতে হবে, আপিল আদালতে নয়।
রিভিশন দায়ের
চেক ডিজঅনারের মামলায় রিভিশনের আবেদনও করা যায়। শুধু আইনগত প্রশ্নে রিভিশন করা যায়। এখানেও ফৌজদারি কার্যবিধির রিভিশনের বিধান প্রযোজ্য হবে। এখানে বলা হয়েছে, আইনগত প্রশ্নে রিভিশনের আবেদন করা যায়। আইনগত প্রশ্ন বলতে বোঝায়, উদাহরণস্বরূপ, ব্যাংক থেকে চেকটি অপরিশোধিত হয়ে আসার পর ৩০ দিনের মধ্যে চেকদাতাকে নোটিশ না দেওয়া। এটি একটা আইনগত প্রশ্ন।
চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা
১. মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে চেক প্রদানকারী যদি চেকে উল্লেখিত টাকা চেক গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে চেক গ্রহণকারীকে জরিমানা (ক্ষতিপূরণ) দেবেন।
২. চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর কিন্তু ৬ মাসের আগে চেক গ্রহীতাকে ওই টাকা দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার পাশাপাশি, সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ পরিমাণ দিতে হবে।
৩. যদি চেক প্রদানকারী চেকে উল্লেখিত পুরো টাকা মামলা হওয়ার ৬ মাস পর, কিন্তু এক বছরের আগে দিতে চান, তবে আদালত চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা এবং উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।
৪. যদি চেক প্রদানকারী সমুদয় টাকা মামলা হওয়ার এক বছর পর, কিন্তু দুই বছরের আগে দিতে চান, তবে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার তিনগুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
৫. মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী টাকা না দেন, সে ক্ষেত্রে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা এবং আদালত মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত সাজা দিতে পারেন।

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেওমর ফারুক, চট্টগ্রাম

জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। অথচ যে জেনারেটরের অভাবে উৎপাদন চালু করা যাচ্ছে না সেটি প্রতিস্থাপনে ব্যয় হবে ১৩০ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় নতুন জেনারেটর ক্রয়প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুনরায় উৎপাদনে যেতে অন্তত আরও এক থেকে দেড় বছর লাগবে। এতে কেন্দ্রটির লোকসানের অঙ্ক আরও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
বিপিডিবি সূত্র জানায়, শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্রটির গড় উৎপাদন ক্ষমতা ১৪৫ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে উৎপাদন হয় প্রায় ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ, যা মাসে দাঁড়ায় প্রায় ১০ কোটি ৪৪ লাখ ইউনিট। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে গড় ব্যয় ৫ টাকা ৪০ পয়সা। বিপরীতে বিদ্যুতের বর্তমান বিক্রয়মূল্য আবাসিক খাতে ৮ টাকা ৫৬ পয়সা, ক্ষুদ্র শিল্পে ১০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং বাণিজ্যিক খাতে ১৩ টাকা ১ পয়সা। সব মিলিয়ে গড় বিক্রয়মূল্য দাঁড়ায় প্রতি ইউনিট ১০ টাকা ৭৭ পয়সা। ফলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ বিক্রিতে কেন্দ্রটির গড় লাভ হয় ৫ টাকা ৩৩ পয়সা। এই হিসাবে কেন্দ্রটি চালু থাকলে মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে লাভ হতো প্রায় ৫৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, যা বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে কেন্দ্রটির উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। ফলে গত সাড়ে চার বছরে বিপুল এই সম্ভাব্য আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। সংশ্লিষ্ট হিসাব অনুযায়ী, এ সময় আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা।
বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি উৎপাদন শুরু করে। প্রায় ১৩ বছর নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে জেনারেটর ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে গুরুতর ত্রুটি দেখা দেয়। একপর্যায়ে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, প্রাথমিক মেরামতের পর উৎপাদনে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ২০২৩ সালের আগস্টে কেন্দ্রটির জেনারেটর আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা মত দেন, জেনারেটর ও গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আর মেরামতযোগ্য নয়। নতুন যন্ত্রপাতি ছাড়া কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব নয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৯১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে গ্যাস টারবাইন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ কেনা হলেও জেনারেটর সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়ায় সেগুলো এখনো স্থাপন করা যায়নি।
শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম হায়দার তালুকদার জানান, বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ২১০০তম সভায় নতুন জেনারেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন আরোপিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০২৫ অনুসরণ করে জেনারেটর ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
জেনারেটর কেনায় বিলম্ব ও দীর্ঘদিন প্ল্যান্ট বন্ধ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের আগস্টে আগুনে পুড়ে যাওয়ার পরপরই জেনারেটর মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে জার্মানির সিমেন্সের বিশেষজ্ঞ দল আসতে দেরি হয়। পরবর্তীকালে তারা মত দেয়, জেনারেটরটি আর মেরামতযোগ্য নয়। এরপর বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে নতুন জেনারেটর কেনার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পিপিআর-২০২৫ কার্যকর হওয়ায় পুরো প্রক্রিয়া নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। এতে অন্তত ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগছে।’
কেন্দ্রসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিডিউলভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণের অংশ হিসেবে টারবাইন, কম্প্রেসার ও কম্বাশন চেম্বারের মেজর ওভারহোলিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ ইতিমধ্যে কেন্দ্রের ভান্ডারে মজুত রয়েছে। তবে জেনারেটর সমস্যার কারণে টারবাইন অংশের ওভারহোলিং শেষ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নতুন জেনারেটর কিনতে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে জেনারেটর স্থাপন শেষে পুনরায় উৎপাদনে গেলে কেন্দ্রটি থেকে আগের মতোই বছরে প্রায় ৬৬৭ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
১৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র বন্ধের প্রভাব ২২৫ মেগাওয়াট প্ল্যান্টেও বিপিডিবির অধীনে চট্টগ্রামে মোট সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্র কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহায় অবস্থিত, যার দুটি ১৫০ ও ৬০ মেগাওয়াটের পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল প্ল্যান্ট। এর মধ্যে ৬০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০১৭ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ আছে গত সাড়ে চার বছর ধরে। বর্তমানে শুধু কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘদিন ১৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপরও চাপ বেড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওভারহোলিং প্রয়োজন হলেও বিদ্যুতের চাহিদার কারণে গত পাঁচ বছর কেন্দ্রটি পূর্ণ ক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে চালু রাখতে হয়েছে। ফলে ওভারহোলিং করা সম্ভব হয়নি।
বিদ্যুৎ সরবরাহে সংকট এড়াতে ২২৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের ওভারহোলিং নিশ্চিত করতে হলে ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টটি দ্রুত উৎপাদনে আনা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করে পদ থেকে ইস্তফা চেয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক অব্যাহতিপত্র পাঠিয়েছেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ইস্তফাপত্রটি আগামীকাল রোববার সকালে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি বিগত ০৮ আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখ থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে কর্মরত আছি। বর্তমানে আমি ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে দায়িত্ব পালনে অপারগ।
বিধায় আমাকে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ হতে অব্যাহতি প্রদানে মহোদয়ের মর্জি হয়।
গত ৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে ভোট করবেন। সেদিন নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, ‘আমি ভোট করব। আমি নমিনেশন ওখানে চেয়েছি। আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে আছি এখনো। আমার অ্যাটর্নি জেনারেল পদ ছেড়ে গিয়ে আমি ভোট করব। যখন সময় আসবে, তখন করব।’
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেন। তিনি বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৮ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তী সরকার অনুমোদিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছে সংগঠনটি।
আজ শনিবার বিএনটিটিপি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি যুগান্তকারী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
অনুমোদিত অধ্যাদেশে সব পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপানসহ সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, মোড়কে স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার পরিসর ৭৫ শতাংশে উন্নীতকরণ, নিকোটিন পাউচসহ নতুন পণ্যকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তগুলোকে ‘অত্যন্ত ইতিবাচক’ বলে উল্লেখ করেছে বিএনটিটিপি।
তবে প্রস্তাবিত খসড়া থেকে খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ এবং তামাক বিক্রেতাদের লাইসেন্সিং বা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার বিধান বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুচরা শলাকা বিক্রির কারণে শিশু-কিশোর ও স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে তামাক সহজলভ্য হয়ে থাকছে, যা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিএনটিটিপির মতে, তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি, অবৈধ বাণিজ্য এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের কাছে তামাক বিক্রি রোধে বিক্রেতা নিবন্ধন ও খুচরা শলাকা বিক্রি নিষিদ্ধকরণ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। সরকার এ বিষয়ে পরিপূরক আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যয়, পরিবেশগত ক্ষতি ও উৎপাদনশীলতা হ্রাসের কারণে বছরে প্রায় ৮৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
এ প্রেক্ষাপটে সরকার গৃহীত তামাক নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ শক্তিশালী ও তামাকমুক্ত ভবিষ্যতের পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ উল্লেখ করে এই আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় বিএনটিটিপি।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আগামীকাল রোববার শপথ নেবেন বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী। শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বিষয়টি আজ বাসসকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিমকোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘কাল (রোববার) সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।’
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ২৩ ডিসেম্বরে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
১৯৮৫ সালে জুবায়ের রহমান চৌধুরী জজ কোর্টে এবং ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হন জুবায়ের রহমান চৌধুরী।
২০২৪ সালের ১২ আগস্ট তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (সম্মান) ও এলএলএম করেন। পরে যুক্তরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম করেন।

বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি হিসেবে একে অপরকে ব্যাংক চেক দেওয়া হয়ে থাকে। চেক গ্রহীতা উল্লেখিত তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে চেকটি ব্যাংকে উপস্থাপন করে টাকা উত্তোলন করতে পারে।
২৯ মার্চ ২০২৪
জেনারেটরসহ অন্যান্য যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাড়ে চার বছর বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শিকলবাহা ১৫০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎকেন্দ্র। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) হিসাবে দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
৮ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আজ শনিবার তিনি ইস্তফা চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর এক চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে অ্যাটর্নি জেনারেল লিখেছেন, যথাবিহিত সম্মানপূর্বক আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে...
১১ ঘণ্টা আগে
এতে বলা হয়, দীর্ঘ এক যুগ পর নেওয়া এই পদক্ষেপ দেশে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা জোরদার করবে এবং কিশোর-তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ই-সিগারেট, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ নতুন প্রজন্মের তামাক ও নিকোটিন পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব...
১৩ ঘণ্টা আগে