Ajker Patrika

সড়ক পরিবহন আইন: বাধার মুখে দণ্ড কমানোর প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের সায়

  • অজামিনযোগ্য ধারাগুলো জামিনযোগ্য করার প্রস্তাব মালিক-শ্রমিকের।
  • দুর্ঘটনায় শাস্তি ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৩ বছরে আনার দাবি।
  • জরিমানা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ০৯: ১১
সড়ক পরিবহন আইন: বাধার মুখে দণ্ড কমানোর প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের সায়

২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর যে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের পথে শুরু থেকে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবহন খাতের প্রভাবশালী মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো।

এখন পরিবহননেতারা আইন সংশোধনের সুপারিশ করে শাস্তি ও জরিমানার হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁরা আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করার, কারাদণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো এবং জরিমানা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব করেছেন।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ও প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং আইন সংশোধনের ব্যাপারে তারা ইতিবাচক বলে জানা গেছে।

পরিবহন খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২ জুন বিদ্যুৎ ভবনে এক সভা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ সংশোধন নিয়ে পরিবহনমালিকদের দাবিগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা সূত্রে এমনটি জানা গেছে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের কিছু ধারার বিষয়ে পরিবহনমালিকেরা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন; বিশেষ করে আইনের যে ধারায় পেনাল্টি আছে, সেগুলো শ্রমিকদের জন্য অনেক কঠিন বলে মালিকেরা দাবি করেছেন। ফলে পরিবহনমালিকেরা কিছু ধারার বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।

আইন পরিবর্তন করতে হলে আন্তমন্ত্রণালয় মিটিং লাগবে, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং লাগবে। কিন্তু বিষয়টি এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি। আমরা এগুলো একটা প্যাকেজ হিসেবে কনসিডার করব, সড়কে শৃঙ্খলা আনাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতাও লাগবে। সড়কের শৃঙ্খলাভঙ্গ না করে তাদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়টা আমরা বিবেচনা করছি।’

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার অভাব বহুদিনের। ২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের’ পর তৎকালীন সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ পাস করেছিল। কিন্তু পাসের পর থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের তীব্র আপত্তির মুখে আইনটির প্রয়োগ স্থবির হয়ে পড়ে। ২০২২ সালে সড়ক আইনের বিধিমালা প্রকাশ করা হয়। তবে এখনো পুরোপুরি এই আইনের প্রয়োগ হচ্ছে না।

রোববারের সভায় উপস্থাপিত নথি থেকে জানা যায়, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর তিনটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আলোচনায় আসে।

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে এরই মধ্যে পাঁচটি সভা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) অংশ নেন। এসব সভায় আইন ও বিধিমালার বিভিন্ন ধারা সংশোধন, পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজনের সুপারিশ করা হয়। সভায় জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট কমিটির কাজ এখনো চলমান এবং বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাবও শিগগির দাখিল করা হবে।

এ ছাড়া সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা-৯৮ এ ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দণ্ড অনধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং আদালত জরিমানা সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন।

এখানে জরিমানা বা অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং আদালত জরিমানা সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন বলে প্রস্তাব করা হয়। এই আইনের অপব্যবহার বন্ধ করা এবং কন্ডাক্টর, সুপারভাইজার ও সহকারীকে এই মামলায় আসামি করা যাবে না এবং ধারাটি জামিনযোগ্য করতে হবে বলেও প্রস্তাব করা হয়।

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা-১০৫ এ দুর্ঘটনাসংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহ (Penal Code, 1860 Act No XLV of 1860) এর এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে। এখানে জরিমানা ৯০ শতাংশ ও কারাদণ্ড ৪০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং ধারাটি জামিনযোগ্য করতে হবে বলে প্রস্তাব করা হয়।

এ ছাড়া সভায় এই আইনে যাত্রী ও মোটরযানের বিমার বিষয়ে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় প্রক্রিয়া সংশোধন বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় জন্য। এই আবেদনের মেয়াদ ৯০ দিন করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং দ্রুত করার দাবি করেছেন মালিকেরা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের বিষয়ে আমরা প্রস্তাব করেছি। যথাযথ বিবেচনার জন্য সরকার একটি সাবকমিটি করে দিয়েছে। সেই কমিটির মাধ্যমে বিষয়গুলো আলোচনা করে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবে। দুর্ঘটনা হলেই চালকেরা জামিন পাচ্ছেন না। এর ফলে চালকের পেশায় আর কেউ আসতে চান না। এতে চালকের সংকট তৈরি হচ্ছে। এই অজামিনযোগ্য ধারাগুলো জামিনযোগ্য করার বিষয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক স্টেকহোল্ডারের মতামত নিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১০ সালের যে আইনটা তৈরি হয়েছিল, সেটার ধারেকাছে নেই ২০১৮ সালের আইন। কাটছাঁট করে একটা তৈরি করা হয়েছিল। এখন যদি কোনো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটা একপক্ষীয় হয়ে গেলে আইনের সর্বজনীনতা হারিয়ে ফেলবে। যদি আইন পরিবর্তন করতেই হয়, তাহলে সব স্টেকহোল্ডারের মতামত নিয়ে করাটাই ভালো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এখন র‍্যাপিড পাস রিচার্জ করা যাবে মোবাইল অ্যাপে

তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

মেট্রোর র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড গত মাস থেকে অনলাইনে রিচার্জের সুবিধা চালু হয়েছে। ফলে যাত্রীরা ঘরে বসেই মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ব্যবহার করে র‍্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারছেন। এবার সেই সেবাকে আরও সহজ ও ব্যবহারবান্ধব করতে র‍্যাপিড পাসের জন্য একটি অ্যাপ প্রস্তুত করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য র‍্যাপিড পাস অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে।

ডিটিসিএ সূত্র জানিয়েছে, এক মাস ধরে র‍্যাপিড পাস অ্যাপটি নিয়ে কাজ করছে সংস্থাটি। অ্যাপটি তৈরি করে ইতিমধ্যে গুগলের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে গুগল বিভিন্ন ধাপে অ্যাপটির পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার আজ সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, র‍্যাপিড পাস অ্যাপটি মোটামুটি প্রস্তুত। আগামী দুই–এক দিনের মধ্যে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এতে যাত্রীদের আরও বেশি সুবিধা হবে।

অ্যাপটি ব্যবহারের নিয়ম

ডিটিসিএ সূত্র জানায়, র‍্যাপিড পাস অ্যাপ ব্যবহার করতে হলে যেসব গ্রাহক ইতিমধ্যে rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাঁরা একই ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর ব্যবহারকারী ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারিত অ্যামাউন্ট সেট করে রিচার্জের জন্য প্রসেস দিতে পারবেন। এ সময় ব্যাংকের কার্ডের পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের মাধ্যমেও সহজে রিচার্জ করা যাবে।

অনলাইনে রিচার্জ সম্পন্ন হওয়ার পর র‍্যাপিড পাস বা এমআরটি পাস কার্ডটি মেট্রো স্টেশনে থাকা এভিএমে (অ্যাড ভ্যালু মেশিন) ট্যাগ করলেই রিচার্জ করা অর্থ কার্ডে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। পাশাপাশি অ্যাপের মাধ্যমে কার্ডে থাকা বর্তমান ব্যালেন্স, কোথায় কোথায় ভ্রমণ করা হয়েছে—এসব বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে। একই সঙ্গে যদি ব্যবহারকারীর মোবাইলে নিয়ার–ফিল্ড কমিউনিকেশন (এনএফসি) সুবিধা থাকে, তাহলে মোবাইলের নিচে র‍্যাপিড পাস কার্ড ধরলেই অ্যাপের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্ডে থাকা টাকার পরিমাণ মোবাইলের স্ক্রিনে দেখা যাবে।

ডিটিসিএ জানিয়েছে, র‍্যাপিড পাসের ওয়েবসাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রিচার্জের সুবিধা নিশ্চিত করতে মেট্রোর ১৬টি স্টেশনে দুটি করে মোট ৩২টি এভিএম বসানো হয়েছে। যাত্রীরা অনলাইনে রিচার্জ করার পর স্টেশনে থাকা এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ করলেই রিচার্জ সক্রিয় হয়ে যাবে।

ডিটিসিএ সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ গ্রাহক র‍্যাপিড পাস ও এমআরটি পাস ব্যবহার করছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক rapidpass.com.bd ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, অর্থাৎ তাঁরা অনলাইনে রিচার্জ সুবিধা ব্যবহার করছেন।

ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীদের সময় ও ঝামেলা কমাতেই অ্যাপের মাধ্যমে রিচার্জ সুবিধা চালু করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজেই অর্থ যোগ করা যাবে, ফলে যাতায়াত আরও নিরবচ্ছিন্ন হবে। মেট্রোরেল চালুর পর থেকে যাত্রীরা স্বল্প সময়ে র‍্যাপিড পাস ব্যবহার করে যাতায়াতের সুবিধা পাচ্ছেন। অ্যাপ ব্যবহার করে অনলাইন রিচার্জ যুক্ত হওয়ায় ডিজিটাল সেবার পরিধি আরও বাড়বে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৫ নভেম্বর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার থেকে র‍্যাপিড পাসের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন রিচার্জ সেবা চালু করা হয়েছিল। সেই সময় প্রধান উপদেষ্টার সড়ক, সেতু ও রেলযোগাযোগবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেলপথ, ইঞ্জিনসহ সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রেলপথ, রেলইঞ্জিন, কোচ, ওয়াগনসহ সব সম্পদ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ। এসব সম্পদের সুষ্ঠু পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করা শুধু রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের নয়, দেশের সব নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রেলসম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার রেজাউল করিম সিদ্দিকীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সম্প্রতি ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, অযৌক্তিকভাবে রেললাইন অবরোধ ও ইচ্ছাকৃতভাবে রেললাইনের ক্ষতিসাধনের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। পাশাপাশি সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনা ব্যাহত হওয়ায় রেলওয়ের ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, যেহেতু রেল একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় সম্পদ, তাই এর ক্ষতি মানে সরাসরি জনগণের ক্ষতি। এই ক্ষয়ক্ষতি ও লোকসান প্রতিরোধ করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। নৈতিক এই দায়িত্ব পালনে আরও সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।

যাত্রীসাধারণকে মানসম্মত সেবা দিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানসম্মত যাত্রীসেবা নিশ্চিতে নাগরিকদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।

এ ছাড়া যেকোনো রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতিসাধন বা এর চেষ্টা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে জানানো হয়, রাজনৈতিক, সামাজিক কিংবা অন্য যেকোনো কর্মসূচির নামে বেআইনি উপায়ে রেলের ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
৪ আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল

উচ্চ আদালতের চার আইন কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে গতকাল রোববার আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর কার্যালয় থেকে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার বিষয়টি জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে তাঁদের নিয়োগ আদেশ বাতিলক্রমে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

নিয়োগ বাতিল করা চার আইন কর্মকর্তা হলেন—ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিকার আলম শিমুল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইব্রাহিম খলিল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আইয়ুব আলী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মন্টু আলম।

উল্লেখ্য, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করে থাকেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ছে না: ইসি সচিব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ফাইল ছবি

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আর বাড়াবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানান।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা ইসি বাড়াচ্ছে কি না—এ বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘না। সময় বাড়ছে না।’

দল ও প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল আজ। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা।

আজ দিনভর কত মনোনয়নপত্র জমা পড়ল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘পুরোটা সংগ্রহ করা শেষ হলে, রাত ১০টার দিকে তা জানাতে পারব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত