Ajker Patrika

সড়ক পরিবহন আইন: বাধার মুখে দণ্ড কমানোর প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের সায়

  • অজামিনযোগ্য ধারাগুলো জামিনযোগ্য করার প্রস্তাব মালিক-শ্রমিকের।
  • দুর্ঘটনায় শাস্তি ৫ বছর থেকে কমিয়ে ৩ বছরে আনার দাবি।
  • জরিমানা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ০৯: ১১
সড়ক পরিবহন আইন: বাধার মুখে দণ্ড কমানোর প্রস্তাবে মন্ত্রণালয়ের সায়

২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর যে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়নের পথে শুরু থেকে বাধা হয়ে দাঁড়ায় পরিবহন খাতের প্রভাবশালী মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো।

এখন পরিবহননেতারা আইন সংশোধনের সুপারিশ করে শাস্তি ও জরিমানার হার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তাঁরা আইনের সব ধারা জামিনযোগ্য করার, কারাদণ্ড উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো এবং জরিমানা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর প্রস্তাব করেছেন।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ও প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে এবং আইন সংশোধনের ব্যাপারে তারা ইতিবাচক বলে জানা গেছে।

পরিবহন খাতের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২২ জুন বিদ্যুৎ ভবনে এক সভা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ সংশোধন নিয়ে পরিবহনমালিকদের দাবিগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। সভা সূত্রে এমনটি জানা গেছে।

জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের কিছু ধারার বিষয়ে পরিবহনমালিকেরা সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছেন; বিশেষ করে আইনের যে ধারায় পেনাল্টি আছে, সেগুলো শ্রমিকদের জন্য অনেক কঠিন বলে মালিকেরা দাবি করেছেন। ফলে পরিবহনমালিকেরা কিছু ধারার বিষয়ে সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।

আইন পরিবর্তন করতে হলে আন্তমন্ত্রণালয় মিটিং লাগবে, আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং লাগবে। কিন্তু বিষয়টি এখনো সেই পর্যায়ে যায়নি। আমরা এগুলো একটা প্যাকেজ হিসেবে কনসিডার করব, সড়কে শৃঙ্খলা আনাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সে ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিকদের সহযোগিতাও লাগবে। সড়কের শৃঙ্খলাভঙ্গ না করে তাদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সে বিষয়টা আমরা বিবেচনা করছি।’

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা ও পরিবহন খাতে শৃঙ্খলার অভাব বহুদিনের। ২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের’ পর তৎকালীন সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ পাস করেছিল। কিন্তু পাসের পর থেকে পরিবহনমালিক ও শ্রমিকদের তীব্র আপত্তির মুখে আইনটির প্রয়োগ স্থবির হয়ে পড়ে। ২০২২ সালে সড়ক আইনের বিধিমালা প্রকাশ করা হয়। তবে এখনো পুরোপুরি এই আইনের প্রয়োগ হচ্ছে না।

রোববারের সভায় উপস্থাপিত নথি থেকে জানা যায়, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর তিনটি ধারা সংশোধনের প্রস্তাব আলোচনায় আসে।

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে এরই মধ্যে পাঁচটি সভা হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার (অংশীজন) অংশ নেন। এসব সভায় আইন ও বিধিমালার বিভিন্ন ধারা সংশোধন, পরিবর্তন, সংযোজন ও বিয়োজনের সুপারিশ করা হয়। সভায় জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট কমিটির কাজ এখনো চলমান এবং বিধিমালা সংশোধনের প্রস্তাবও শিগগির দাখিল করা হবে।

এ ছাড়া সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা-৯৮ এ ওভারলোডিং বা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোটরযান চালনার ফলে দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের দণ্ড অনধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং আদালত জরিমানা সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ দিতে পারেন।

এখানে জরিমানা বা অনধিক ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড এবং আদালত জরিমানা সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারবেন বলে প্রস্তাব করা হয়। এই আইনের অপব্যবহার বন্ধ করা এবং কন্ডাক্টর, সুপারভাইজার ও সহকারীকে এই মামলায় আসামি করা যাবে না এবং ধারাটি জামিনযোগ্য করতে হবে বলেও প্রস্তাব করা হয়।

সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮-এর ধারা-১০৫ এ দুর্ঘটনাসংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এই আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত কোনো দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে কোনো ব্যক্তি আহত হলে বা তার প্রাণহানি ঘটলে তৎসংক্রান্ত অপরাধসমূহ (Penal Code, 1860 Act No XLV of 1860) এর এতৎসংশ্লিষ্ট বিধান অনুযায়ী অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা ৫ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হবে। এখানে জরিমানা ৯০ শতাংশ ও কারাদণ্ড ৪০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ৩ বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড এবং ধারাটি জামিনযোগ্য করতে হবে বলে প্রস্তাব করা হয়।

এ ছাড়া সভায় এই আইনে যাত্রী ও মোটরযানের বিমার বিষয়ে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় প্রক্রিয়া সংশোধন বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় জন্য। এই আবেদনের মেয়াদ ৯০ দিন করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাওয়ায় প্রক্রিয়া আরও সহজ এবং দ্রুত করার দাবি করেছেন মালিকেরা।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধনের বিষয়ে আমরা প্রস্তাব করেছি। যথাযথ বিবেচনার জন্য সরকার একটি সাবকমিটি করে দিয়েছে। সেই কমিটির মাধ্যমে বিষয়গুলো আলোচনা করে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেবে। দুর্ঘটনা হলেই চালকেরা জামিন পাচ্ছেন না। এর ফলে চালকের পেশায় আর কেউ আসতে চান না। এতে চালকের সংকট তৈরি হচ্ছে। এই অজামিনযোগ্য ধারাগুলো জামিনযোগ্য করার বিষয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনেক স্টেকহোল্ডারের মতামত নিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১০ সালের যে আইনটা তৈরি হয়েছিল, সেটার ধারেকাছে নেই ২০১৮ সালের আইন। কাটছাঁট করে একটা তৈরি করা হয়েছিল। এখন যদি কোনো সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়, সেটা একপক্ষীয় হয়ে গেলে আইনের সর্বজনীনতা হারিয়ে ফেলবে। যদি আইন পরিবর্তন করতেই হয়, তাহলে সব স্টেকহোল্ডারের মতামত নিয়ে করাটাই ভালো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে নোয়াবের শোক

দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন, নিউজপেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি এ. কে. আজাদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তাঁর সংগ্রাম সকল গোষ্ঠী ও মতের ঊর্ধ্বে। আমরা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।’

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আবারও বাড়ল পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২১
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময় আবারও বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, পোস্টাল ভোটের নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মতো বাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসি জানায়, আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপে নিবন্ধনের সময়সীমা ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল, তা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার ৩ আসনে এখন কী হবে, জানাল নির্বাচন কমিশন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর এক দিন আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। তিনি যে তিনটি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন, সেগুলোতে নতুন করে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

গতকাল সোমবার ছিল নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, খালেদা জিয়ার পক্ষে বগুড়া–৭, দিনাজপুর–৩ ও ফেনী–১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এই তিন আসনেই বিএনপির পক্ষ থেকে একজন করে ‘বিকল্প প্রার্থী’ রাখা হয়েছে, যাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খালেদা জিয়া শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর এই প্রয়াণের পর প্রশ্ন উঠেছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী ওই তিন আসনে নতুন করে নির্বাচনের সময়সূচি বা তফসিল ঘোষণা করতে হবে কি না।

জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা আছে, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি এমন কোনো ‘বৈধভাবে মনোনীত’ প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট আসনে নতুন করে তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করছে ইসি।

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ গণমাধ্যমকে জানান, মনোনয়নপত্র জমা দিলেই কেউ বৈধ প্রার্থী হয়ে যান না। বাছাইপ্রক্রিয়ায় টিকে যাওয়ার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃত হন। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, ফলে আইনিভাবে তিনি এখনো ‘বৈধ প্রার্থী’ হিসেবে বিবেচিত হননি। তাঁর মৃত্যুর কারণে সংশ্লিষ্ট তিন আসনে মনোনয়নপত্রটি স্থগিত থাকবে।

ইসি কমিশনার আরও উল্লেখ করেন, যেহেতু ওই তিনটি আসনেই বিএনপির বিকল্প প্রার্থী রয়েছে, তাই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। প্রতীক বরাদ্দের আগে দল থেকে যাঁর নামে চিঠি দেওয়া হবে, তিনিই দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী তফসিলে কোনো পরিবর্তন আনার সুযোগ বা প্রয়োজন নেই। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ওই আসনগুলোতে বাছাই ও ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির বিকল্প প্রার্থীরাই এখন ওই আসনগুলোতে দলের হাল ধরবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে শেখ হাসিনার দায় আছে: আসিফ নজরুল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৬
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা প্রহসনমূলক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ব্যক্তিগতভাবে তিনি করেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পেছনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের দায় রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘উনাকে একটা প্রহসনমূলক রায়ে জেলখানায় পাঠিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, এটা যে প্রহসনের একটা রায় ছিল, এটা যে একটা সম্পূর্ণ সাজানো রায় ছিল, এটা আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে আপিল ও রিভিউয়ের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিলেট ডিভিশনের রায়ের মধ্যে বারবার বলা হয়েছে যে, বেগম জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ রংলি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জিঘাংসাপ্রসূতভাবে উনাকে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘উনাকে জেলখানায় বিভিন্ন সময় যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, উনাকে আমরা হয়তো এত তাড়াতাড়ি হারাতাম না, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বেগম জিয়ার এই মৃত্যুর পেছনে ফ্যাসিস্ট যে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শেখ হাসিনা এবং উনার যে সরকার আছে, অবশ্যই তাঁর দায় রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত